রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

অভিমান অভিযোগ

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫, ৪:০৪ পিএম | 112 বার পড়া হয়েছে
অভিমান অভিযোগ

আজকাল স্ত্রী আর প্রেমিকা নিয়ে অনেক পোস্ট দেখছি, স্ত্রীরা বিয়ের পর তাদের কষ্টের কথা, বরের বাইরের সম্পর্কের কথা নিয়ে অনেক অভিমান অভিযোগ এনে বোঝাতে চেয়েছেন….স্ত্রীরা যে মানুষটাকে ভালোবাসে তার ভালো থাকার জন্যই সংসারের জোয়াল টেনে তার নিজের প্রতি আর খেয়াল রাখার সময় থাকেনা। কেন স্বামী এটা বোঝে না। কেন তার এতো ত্যাগ করা সত্ত্বেও স্বামীরা বাইরের অন্য মেয়ে বৌ দের জন্য পাগল হয়ে পরকীয়া শুরু করে!! বিভিন্ন জন নিজের ক্ষোভ বিভিন্ন রকম ভাবে উদাহরণ দিয়ে প্রকাশ করছে। বারবার বোঝাতে চাইছে, স্ত্রী ডাল ভাত, এতেই সুন্দর করে সারাজীবন অতিবাহিত করা যায়, বাইরের পরকীয়া করা মেয়েরা বিরিয়ানি সমান, বিরিয়ানি রোজ রোজ খেলে বদহজম হবে… etc etc…অনেক ভাবে ছেলেদের মানে স্বামীদের স্ত্রীরা ফেবু জুড়ে পোস্ট করে বোঝাতে চেয়েছে, ” আমাদের ভালোবাসো, ওদের নয়। আমরা তোমার জন্য ত্যাগ করছি, সবকিছু, তারপরে ও তুমি কেন মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছ!!” এইসব।
আমার প্রশ্ন কেন নিজেকে ছোট করে এইভাবে রিকোয়েস্ট করছেন?? এইযে এতো বলছেন বোঝাচ্ছেন যাকে, তিনি আদৌ বুঝতে পারছে কি?
আপনারা কি জানেননা, এইসব মানুষদের অপূর্ণ আত্মা কখনো পরিপূর্ণ হবে না।
এরা শুধু নিজের কমতি ঢাকতে বউদের দোষ খুজে বেড়ায়। আর কিছুই না! দেখুন যে বা যাদের বাইরের দিকে তাকানো অভ্যেস তারা কখনো আপনার ত্যাগ দেখবেনা। যতই করুন একটুও সহানুভূতি দেখাবেনা। বিশ্বাস করুন, আপনি এখন জাস্ট টেকেন ফর গ্র্যান্টেড হয়ে গেছেন, ওরা জানে যতই লাথি ঝ্যাটা, মুখ ঝামটা, এমনকি মারধর… যাই হোক না কেন, আপনি থেকে যাবেন। কাঁদবেন, সারাদিন ছটফট করবেন, সারারাত ঘুমাবেননা, কিন্তু পরেরদিন আবার সকালে উঠে ঠিক রান্না করে মুখের কাছে সবটুকু গুছিয়ে দেবেন। যাতে সে টিপ টপ বাবুটি হয়ে বাইরে অন্য মেয়েদের কাছে ইনিয়ে বিনিয়ে বলতে পারে, “জানোতো আমার বৌটা না একদম ভালো নয়। সারাদিন….etc etc…”
আসলে ওরা বুঝে যায়, আপনি করবেনই….
কি!!!!! ত্যাগ, ওই মানুষটার জন্য, ছেলেমেয়েদের জন্য, সংসারের জন্য।
তাই বলি কি, ওনাকে নয়, নিজেকে পরিবর্তন করুন। সবার প্রথমে কান্না কাটি মন খারাপ করা বন্ধ করুন। তারপরে ওনাকে একদম পাত্তা দেওয়া বন্ধ করুন। তারপরে ওনাকে কোনোভাবে সাহায্য করা বন্ধ করুন। লক্ষ্মী বৌ এর মত মুখের ধারে আগ বাড়িয়ে সবকিছু হাতের নাগালের মধ্যে দেওয়া বন্ধ করুন। তার বাবা মাকে দেখা দায়িত্ব আপনাদের দুইজনের। সে না দায় নিলে আপনিও নেবেননা। সংসারের ব্যাপারে নিজে সব কাজ কাঁধে নিয়ে তাকে গা এলিয়ে ভাসতে দেবেননা। সব কাজ দায়িত্ব আপনার ঘাড়ে চাপিয়ে তিনি গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়িয়ে অন্য মেয়েদের দিকে ভালোবেসে ঘরে এসে বৌকে অসহ্য লাগা, এসব আদৌ হতে দেবেননা।
জানি অনেকেই বলবেন “সম্ভব কি!! ”
বিশ্বাস করুন সম্ভব। প্রথম প্রথম নিজেকে পরিবর্তন করতে ভীষণ সমস্যা হয়। কিন্তু একবার মনের জোরে নিজেকে পাল্টে দেখুন অনেকটা কষ্ট গায়েব হয়ে যাবে। নইলে তো কষ্টই পাচ্ছেন, মন মরে গেলে মানুষ কি নিয়ে বাঁচে?? এইভাবে মরে বেঁচে থেকে কি পাচ্ছেন!! কেউ আপনার ত্যাগের দাম দেবেনা। বরং নিজেকে ভালো রাখুন, একটু সুন্দর করে নিজের জন্য সাজুন, নিজেকে ভালোবাসুন, বাইরের মানুষদের সাথে কথা বলুন। প্রথম প্রথম অসুবিধা হবে। কিন্তু পরে ঠিক পারবেন। মনের জোড় রাখুন। নিজেকে ভালো রাখাটা প্রয়োজন আগে।
এর পরে আরেকটা কথা বলবো, কোনো মানুষ কিছুই পারিনা এটা হতে পারেনা। প্রত্যেকের ভিতরে কিছু না কিছু ট্যালেন্ট আছে, সেইটা কাজে লাগান, যেকরেই হোক জীবনে নিজের পায়ে দাঁড়ান, বাইরে বের হন, কাজ করুন, বাইরের বাতাস আপনার গায়েও লাগুক, ভালোলাগা ছড়িয়ে পড়ুক মাসের শেষে নিজে রোজগার করে। আত্মবিশ্বাস বারুক আপনার। এবারে মন থেকে তৈরি হন পরিস্থিতি সামলাতে। নিজের মনকে শক্ত করুন, রোজ রোজ অপমানে মরে যাওয়ার থেকে প্রতিবাদ করুন। আর ওনাকে বুঝিয়ে দিন উনি দাম না দিলেও দাম দেওয়ার মত অনেক মানুষ আছে এই পৃথিবীতে।
ফেবুতে ইনিয়ে বিনিয়ে পোস্ট করে প্রেমিকার থেকে বৌ ভালো প্রচার করে লাভ নেই, বৌ কত ভয়ঙ্কর হতে পারে সেটাও দেখিয়ে দিন মাঝে মাঝে। মেয়েরা কিন্তু মেয়েদের শত্রু হয় বেশি, মেয়েরাই মেয়েদের ঘর ভাঙে বেশি।
(এটা শুধু মেয়েদের জন্য বললাম তা নয়, অনেক ছেলেরাও স্ত্রীর পরকীয়ায় মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে যান। তাদের জন্য ও বলছি, তবে হ্যাঁ যারা ভাবেন সংসার ঘর আর পরকীয়া বারান্দার মিষ্টি হাওয়া, তাদেরকে বলি ওই মিষ্টি হাওয়ার স্বাদ যদি আপনার পার্টনার পেতে চায় মানতে পারবেন তো!! আমার এই পোস্ট হয়তো কিছু বিশেষ জনের খারাপ লাগবে। ইগনোর করবেন খারাপ লাগলে। ওই অসহায় মন থেকে মরে যাওয়া মানুষ গুলোর জন্য পোস্ট করতে ইচ্ছে হলো। ভালো থাকুন সবাই, মেয়েরা মেয়েদের শত্রু নাইবা হলেন। হয়তো তাদের বিবাহিত সম্পর্কটা ঠিক হয়ে যেত যদি আপনি মাঝে এসে নিজের এক্সট্রাঅর্ডিনারি ক্রেডিট না দেখাতেন, অথচ দেখবেন ওনার সাথে ঘর করলে দুইদিন পরে আপনিও কেমন একঘেয়ে হয়ে গেছেন, দূর থেকে সব জিনিস খুব সুন্দর মনে হয়। ভেবে দেখবেন, কারোর দীর্ঘ শ্বাসের কারণ হওয়াটা কিন্তু কোনো ক্রেডিট নয়, এটা খুব খারাপ বলেই জানি, কর্মফল ফেরত আসবেই, তখন সামলাতে পারলেই হলো।

দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

মো: মেহেদী হাসান ফুয়াদ দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫৫ পিএম
দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

২ আগষ্ট শনিবার বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর নব নির্বাচিত কার্য্যকরী কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নব- নির্বাচিত সভাপতি- মোঃ আব্দুস সাত্তার, সহ সভাপতি- মোঃ শরিফুল ইসলাম সেলি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিসুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক, আবুল কালাম (১), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ এনামুল হক, অর্থ সম্পাদক- আবুস সালাম ও কার্র্য্যনির্বাহী পরিষোধের সদস্য মোঃ কমর আলী শেখ ও মোঃ বিশালকে ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র অনুর্যায়ী শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশান দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি রবিউল আউয়াল খোকা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার হবিবর রহমান। উল্লেখ্য, বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ২ জুলাই ‘২০২৫। নির্বাচনে উপরোক্ত ৮জন প্রার্থী বিজয়ী হন।

দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

বগুড়া থেকে মোঃ হাফিজুর রহমান প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫১ পিএম
দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

গাবতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গাবতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জনাব ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ জানিয়েছেন —
আমাদের দেশ চলে মানুষের ঘাম আর পরিশ্রমের করের টাকায়। প্রতিটি রাস্তা, স্কুল, হাসপাতাল, সরকারি সেবা ও অবকাঠামো জনগণের টাকায় গড়ে উঠেছে।
কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট শাসন আর আজকের কর্তৃত্ববাদী মনোভাব দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকারকে অবমূল্যায়ন করেছে — মানুষের ভোটাধিকার হরণ হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত হয়েছে, গণতন্ত্রকে পদদলিত করা হয়েছে। স্বজনপ্রীতি, লুটপাট আর দুর্নীতি সাধারণ মানুষের জীবনকে জিম্মি করে রেখেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিশ্বাস করে—গণতন্ত্র মানে শুধু ভোট নয়, মানুষের কথা শোনা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
আমাদের আপোষহীন নেত্রী, তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষায় আজও আপোষহীনভাবে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। বিএনপি জনগণের অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে সবসময়ই জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপি সরকারের সময় দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের পথে ছিল, গণতন্ত্র ও মানুষের কথা বলার অধিকার সুরক্ষিত ছিল — যা আজ হরণ হয়েছে।
আগামী নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জনগণকে আহ্বান জানাই—আপনাদের শক্তি ও অধিকারকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিজয়ের প্রতীক ধানের শীষে ভোট দিন, আপনার আস্থা ও বিশ্বাস প্রকাশ করুন।
বিএনপি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পক্ষে। দেশের প্রতিটি টাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করাই আমাদের অঙ্গীকার। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকাটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত শক্তি।
আমরা বিশ্বাস করি—ধানের শীষে জনগণের এই আস্থা গণতন্ত্র, উন্নয়ন আর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হয়ে উঠবে।

মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

Masud Parves প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৪৯ পিএম
মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

মধ্যবয়সী নারীকে বাইরে থেকে দেখে কেউ বুঝতে পারে না, তার ভেতর কতটা জীবন বয়ে চলে। তার মুখে হয়তো একরাশ শান্তি, চোখে একটুখানি ক্লান্তি—কিন্তু এই চেহারার ভেতরে আছে এক গভীর নদী, যেটা ধীরে ধীরে বয়ে যায়। এই নদী যেন নীরব, তবে থেমে নেই। প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা, ভালোবাসা, হারানো-বিলুপ্ত কিছু স্মৃতি—সব মিলে তার কামনা তৈরি হয় এক নতুন রূপে, এক অনন্য ভাষায়।
এই বয়সে সে আর কারো মন জেতার জন্য হাসে না। সে নিজেকে লুকিয়ে রাখে না, সাজিয়ে তোলে না কেবল কারো নজর কাড়ার জন্য। বরং সে নিজেকে ভালোবাসে গভীরভাবে। জানে—তার শরীর ঠিক যেমন, তেমনটাই সুন্দর। তার যৌনতা এখন আর দেহের খেলায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা হয়ে উঠেছে বোঝাপড়ার, সম্মান আর সংবেদনের জায়গা।
তরুণ বয়সের কামনা হঠাৎ জ্বলে ওঠে, হঠাৎ নিভেও যায়। সেখানে থাকে আবেগের ঝড়, না বুঝে ফেলার এক উন্মাদনা। কিন্তু মধ্যবয়সী নারীর কামনা অনেক বেশি ধৈর্যের, অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের। সে জানে, কীভাবে তার শরীরের প্রতিটি প্রতিক্রিয়া বোঝে নিতে হয়। সে জানে, কখন আগলে রাখতে হয় নিজেকে, আর কখন খুলে দিতে হয় সমস্ত দরজা।
এই নারী কাউকে ছুঁতে চায়—কিন্তু ছোঁয়াটার আগে সে বোঝে নেয় সেই মানুষটার ভেতরটা। সে শুধু শরীর খোঁজে না—সে এমন একজন সঙ্গী খোঁজে, যার স্পর্শে থাকে শ্রদ্ধা, যার চোখে থাকে নিরাপত্তা। সে জানে কার পাশে ঘুমালে শান্তি নামে, আর কার পাশে থাকলে ভালোবাসা শুকিয়ে যায়।
তার কামনা আর শিশুর মতো নিষ্পাপ নয়। বরং তাতে এক ধরনের প্রাপ্তবয়স্ক মমতা থাকে, থাকে বোঝাপড়া। সে জানে কখন চাওয়া, কখন না বলা। সে জানে, ‘না’ বলাটাও নিজের প্রতি এক রকম ভালোবাসা। তার ভালোবাসা এখন আর পাগলামি নয়—তা গভীর, সযত্নে বাছাই করা, বোধসম্পন্ন।
সমাজ হয়তো ভাবে এই বয়সের নারী নিঃসাড়, নিঃস্পৃহ। কিন্তু তারা জানে না, তার ভেতরটায় প্রতিদিন ঢেউ খেলে যায়। তার চোখে জমে থাকা পুরনো গল্পের আলো ঝিলমিল করে, তার হাসিতে মিশে থাকে না বলা ভালোবাসার রেশ। এই নারী চাইলেই কারো জীবনে নীরবে ঢুকে যেতে পারে, আবার কাউকে বিদায়ও জানাতে পারে নিঃশব্দে—এক বিন্দু তিক্ততা ছাড়াই।
তার যৌনতা আজ আর কারো কাছ থেকে অনুমতি চায় না। সে নিজের শরীর, নিজের কামনা, নিজের মনের দায়িত্ব নিজেই নেয়। সে জানে—কে তার জলের গভীরে স্নান করার যোগ্য, আর কে কেবল পাথর ছুড়ে জল ঘোলা করতে চায়।
মধ্যবয়স মানে ক্ষয় নয়, সেটি এক নবজন্ম। একজন নারী এই বয়সে এসে হয়তো সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল হয়—যেন সন্ধ্যার আলোয় জ্বলে ওঠা দীপ, যা সারা দিনের ক্লান্তিকে শান্ত করে। তার কামনা আগুন নয়—তা আলো। তা জ্বলিয়ে দেয় না, তা গায়ে মেখে থাকে।
এক নদী, যে জানে কখন কার দিকে পথ খুলে দিতে হয়, আর কখন নিজেকে আগলে রাখতে হয়।
যে জানে, ভালোবাসা মানে কারো হাত ধরা নয়—বরং কারো হাতে নিজের হাত রাখার মতো আত্মবিশ্বাস অর্জন করা।

error: Content is protected !!