রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

অটোরিকশা চালিয়ে গোল্ডেন এ প্লাস জিপিএ- ৫ পাওয়া রোমান উচ্চশিক্ষা নিয়ে হতাশ

মোঃ তুহিন ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ১১:০৬ এএম | 59 বার পড়া হয়েছে
অটোরিকশা চালিয়ে গোল্ডেন এ প্লাস জিপিএ- ৫ পাওয়া রোমান উচ্চশিক্ষা নিয়ে হতাশ

অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালানো আর বাবার চিকিৎসা খরচ জোগানোর লড়াই করতে করতে এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে রোমান আলী। সংসার চালানো আর বাবার চিকিৎসা খরচ জোগানের লড়াইয়ে শত প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও হার মানেননি তিনি। তার এই সাফল্য এখন এলাকার গর্ব ও অনুপ্রেরণার গল্প।

রোমান চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার তাঁতীপাড়া গ্রামের মো. তোফাজ্জল হক ও রুনা বেগমের একমাত্র ছেলে। সে বজরাটেক সবজা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সকল বিষয়ে গোল্ডেন এ প্লাস অর্জন করেছে।

ছোটবেলা থেকেই জীবনের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি রোমান। যখন তার বয়স মাত্র চার বছর তখন তার বাবা নিম গাছ থেকে পড়ে মারাক্তকভাবে আহত হন। ভেঙে যায় কোমর, পরবর্তীতে নষ্ট হয়ে যায় একটি কিডনি। পরিবারের উপার্জনের উৎস বন্ধ হয়ে যায়। স্কুলে ভর্তি হলেও তার প্রতিদিনের সময় কাটে রিকশা চালিয়ে। সকালে স্কুল আর বিকেলে উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে চলা।

রোমান আলী বলেন, ‘আমার বাল্যকালে বাবা শারীরিভাবে অচল হয়ে যায়। বড় হয়ে আমাকে পরিবারের হাল ধরতে হয়। পড়ালেখার সময় পড়ালেখা করি, স্কুল থেকে এসে বিকেল বেলা রিক্সা চালায়। আমি হতাস হয়ে গেছিলাম যে, আমি পড়ালেখা করতে পারবো কী না? কিন্তু আমার পড়ালেখার জন্য আমার মা বাবা, আত্নীয় স্বজন, শিক্ষকেরা অনেক সহযোগীতা করেছে। লক্ষ্য ছিল বাবাকে ওষুধের ব্যবস্থার পাশাপাশি সংসার চালানো আর পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া।

পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে রোমান বলেন, পড়াশুনার খরচ চালানোর মত আমার কোনো সামর্থ্য নাই। কষ্ট করে হলেও যতদূর সম্ভব পড়ালেখা চালিয়ে যাবো। পড়ালেখা করে আমি মানুষের মত মানুষ হতে চাই।’

রোমানের চাচা মো. জহরুল হক জানান, ‘২০১৩ সালে আমার ছোট ভাই তোফাজ্জল নিম গাছের ডাল কাটতে গিয়ে পড়ে যায়। এরপর দীর্ঘ চিকিৎসা চলছে। কোনোভাবে বেঁচে আছে সে। এখন ভাতিজা রোমানই রিকশা চালিয়ে সংসার চালায়। সারাদিন রিকশা চালিয়ে ক্লান্ত শরীরে রাতে যতটুকু সময় পেয়েছে মন দিয়ে পড়েছে। ছোটবেলা থেকেই কষ্ট করে বড় হয়েছে। এত প্রতিকূলতার মাঝেও ভালো রেজাল্ট করেছে। কেউ যদি পাশে দাঁড়ায়, তাহলে ছেলেটা উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে এবং মানুষের মত মানুষ হবে।’

রোমানের মা রুনা বেগম বলেন, ‘ছেলে স্কুল থেকে ফিরে কোনো বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পাইনি। সংসারের টানাপোড়েনে রাস্তায় নেমেছে রিকশা নিয়ে। রাতে ক্লান্ত শরীরেও বই খুলে পড়তে বসত।’

বাবা তোফাজ্জল হক বলেন, ‘ছেলেটা বড় কষ্ট করে এত ভালো রেজাল্ট করেছে। কিন্তু এখন কীভাবে তাকে কলেজে পড়াব, সেটাই বুঝি না। যদি কেউ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিত, তবে হয়তো ছেলের ভবিষ্যৎ আলোকিত হতে পারত।’

রোমানের এই সাফল্যে এলাকাজুড়ে খুশির আমেজ থাকলেও তার ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় ডুবে আছে। স্বহৃদয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা পেলে সে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে এমনটাই প্রত্যাশা রোমান ও তার পরিবারের।

দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

মো: মেহেদী হাসান ফুয়াদ দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫৫ পিএম
দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

২ আগষ্ট শনিবার বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর নব নির্বাচিত কার্য্যকরী কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নব- নির্বাচিত সভাপতি- মোঃ আব্দুস সাত্তার, সহ সভাপতি- মোঃ শরিফুল ইসলাম সেলি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিসুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক, আবুল কালাম (১), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ এনামুল হক, অর্থ সম্পাদক- আবুস সালাম ও কার্র্য্যনির্বাহী পরিষোধের সদস্য মোঃ কমর আলী শেখ ও মোঃ বিশালকে ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র অনুর্যায়ী শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশান দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি রবিউল আউয়াল খোকা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার হবিবর রহমান। উল্লেখ্য, বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ২ জুলাই ‘২০২৫। নির্বাচনে উপরোক্ত ৮জন প্রার্থী বিজয়ী হন।

দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

বগুড়া থেকে মোঃ হাফিজুর রহমান প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫১ পিএম
দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

গাবতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গাবতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জনাব ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ জানিয়েছেন —
আমাদের দেশ চলে মানুষের ঘাম আর পরিশ্রমের করের টাকায়। প্রতিটি রাস্তা, স্কুল, হাসপাতাল, সরকারি সেবা ও অবকাঠামো জনগণের টাকায় গড়ে উঠেছে।
কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট শাসন আর আজকের কর্তৃত্ববাদী মনোভাব দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকারকে অবমূল্যায়ন করেছে — মানুষের ভোটাধিকার হরণ হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত হয়েছে, গণতন্ত্রকে পদদলিত করা হয়েছে। স্বজনপ্রীতি, লুটপাট আর দুর্নীতি সাধারণ মানুষের জীবনকে জিম্মি করে রেখেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিশ্বাস করে—গণতন্ত্র মানে শুধু ভোট নয়, মানুষের কথা শোনা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
আমাদের আপোষহীন নেত্রী, তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষায় আজও আপোষহীনভাবে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। বিএনপি জনগণের অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে সবসময়ই জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপি সরকারের সময় দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের পথে ছিল, গণতন্ত্র ও মানুষের কথা বলার অধিকার সুরক্ষিত ছিল — যা আজ হরণ হয়েছে।
আগামী নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জনগণকে আহ্বান জানাই—আপনাদের শক্তি ও অধিকারকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিজয়ের প্রতীক ধানের শীষে ভোট দিন, আপনার আস্থা ও বিশ্বাস প্রকাশ করুন।
বিএনপি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পক্ষে। দেশের প্রতিটি টাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করাই আমাদের অঙ্গীকার। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকাটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত শক্তি।
আমরা বিশ্বাস করি—ধানের শীষে জনগণের এই আস্থা গণতন্ত্র, উন্নয়ন আর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হয়ে উঠবে।

মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

Masud Parves প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৪৯ পিএম
মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

মধ্যবয়সী নারীকে বাইরে থেকে দেখে কেউ বুঝতে পারে না, তার ভেতর কতটা জীবন বয়ে চলে। তার মুখে হয়তো একরাশ শান্তি, চোখে একটুখানি ক্লান্তি—কিন্তু এই চেহারার ভেতরে আছে এক গভীর নদী, যেটা ধীরে ধীরে বয়ে যায়। এই নদী যেন নীরব, তবে থেমে নেই। প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা, ভালোবাসা, হারানো-বিলুপ্ত কিছু স্মৃতি—সব মিলে তার কামনা তৈরি হয় এক নতুন রূপে, এক অনন্য ভাষায়।
এই বয়সে সে আর কারো মন জেতার জন্য হাসে না। সে নিজেকে লুকিয়ে রাখে না, সাজিয়ে তোলে না কেবল কারো নজর কাড়ার জন্য। বরং সে নিজেকে ভালোবাসে গভীরভাবে। জানে—তার শরীর ঠিক যেমন, তেমনটাই সুন্দর। তার যৌনতা এখন আর দেহের খেলায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা হয়ে উঠেছে বোঝাপড়ার, সম্মান আর সংবেদনের জায়গা।
তরুণ বয়সের কামনা হঠাৎ জ্বলে ওঠে, হঠাৎ নিভেও যায়। সেখানে থাকে আবেগের ঝড়, না বুঝে ফেলার এক উন্মাদনা। কিন্তু মধ্যবয়সী নারীর কামনা অনেক বেশি ধৈর্যের, অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের। সে জানে, কীভাবে তার শরীরের প্রতিটি প্রতিক্রিয়া বোঝে নিতে হয়। সে জানে, কখন আগলে রাখতে হয় নিজেকে, আর কখন খুলে দিতে হয় সমস্ত দরজা।
এই নারী কাউকে ছুঁতে চায়—কিন্তু ছোঁয়াটার আগে সে বোঝে নেয় সেই মানুষটার ভেতরটা। সে শুধু শরীর খোঁজে না—সে এমন একজন সঙ্গী খোঁজে, যার স্পর্শে থাকে শ্রদ্ধা, যার চোখে থাকে নিরাপত্তা। সে জানে কার পাশে ঘুমালে শান্তি নামে, আর কার পাশে থাকলে ভালোবাসা শুকিয়ে যায়।
তার কামনা আর শিশুর মতো নিষ্পাপ নয়। বরং তাতে এক ধরনের প্রাপ্তবয়স্ক মমতা থাকে, থাকে বোঝাপড়া। সে জানে কখন চাওয়া, কখন না বলা। সে জানে, ‘না’ বলাটাও নিজের প্রতি এক রকম ভালোবাসা। তার ভালোবাসা এখন আর পাগলামি নয়—তা গভীর, সযত্নে বাছাই করা, বোধসম্পন্ন।
সমাজ হয়তো ভাবে এই বয়সের নারী নিঃসাড়, নিঃস্পৃহ। কিন্তু তারা জানে না, তার ভেতরটায় প্রতিদিন ঢেউ খেলে যায়। তার চোখে জমে থাকা পুরনো গল্পের আলো ঝিলমিল করে, তার হাসিতে মিশে থাকে না বলা ভালোবাসার রেশ। এই নারী চাইলেই কারো জীবনে নীরবে ঢুকে যেতে পারে, আবার কাউকে বিদায়ও জানাতে পারে নিঃশব্দে—এক বিন্দু তিক্ততা ছাড়াই।
তার যৌনতা আজ আর কারো কাছ থেকে অনুমতি চায় না। সে নিজের শরীর, নিজের কামনা, নিজের মনের দায়িত্ব নিজেই নেয়। সে জানে—কে তার জলের গভীরে স্নান করার যোগ্য, আর কে কেবল পাথর ছুড়ে জল ঘোলা করতে চায়।
মধ্যবয়স মানে ক্ষয় নয়, সেটি এক নবজন্ম। একজন নারী এই বয়সে এসে হয়তো সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল হয়—যেন সন্ধ্যার আলোয় জ্বলে ওঠা দীপ, যা সারা দিনের ক্লান্তিকে শান্ত করে। তার কামনা আগুন নয়—তা আলো। তা জ্বলিয়ে দেয় না, তা গায়ে মেখে থাকে।
এক নদী, যে জানে কখন কার দিকে পথ খুলে দিতে হয়, আর কখন নিজেকে আগলে রাখতে হয়।
যে জানে, ভালোবাসা মানে কারো হাত ধরা নয়—বরং কারো হাতে নিজের হাত রাখার মতো আত্মবিশ্বাস অর্জন করা।

error: Content is protected !!