রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

নারীর নিজের বাড়ি

শেফালী সাথী প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫, ১১:১৫ এএম | 87 বার পড়া হয়েছে
নারীর নিজের বাড়ি

নারীদের নিজেদের কোন বাড়ি থাকে না।
নারী জন্মের পর, নারী নিজের বাবার বাড়িটাকে আপন ও নিজের বাড়ি ভাবতে ভাবতেই বড় হন।
কিন্তু,একটা সময় পার হওয়ার পর, নিজের চারপাশের আপন মানুষগুলোই প্রতিনিয়ত তার কানে ঢুকিয়ে দেন ।
*এ বাড়িটা তার নয়,
*এ বাড়িতে সে ক্ষণিকের অতিথি।
তার যেখানে বিয়ে হবে, সেই বাড়িটা তার আসল বাড়ি।
তারপর একদিন বিয়ে হয়। অনেক স্বপ্ন নিয়ে শ্বশুর বাড়িটাকে আপন করতে নারী পা দেয় শ্বশুরবাড়ি।
কিছুদিনের মধ্যে সে শুনতে পান,
* এটা শশুর বাড়ি।
* এখানে এটা করা যাবে না, সেটা করা যাবে না
*শ্বশুর বাড়ির সম্মান রক্ষা করো।
এর কিছুদিন পর, হয়তো স্বামীর একটা বাড়ি হয়।
নারী নতুন করে, নতুন উদ্যমে, স্বপ্ন দেখে নিজের বাড়ির।
স্বামীর বাড়ি, তার নিজের বাড়ি, আসল বাড়ি।
নারী একটু একটু করে সাজাতে থাকেন; স্বামীর ঘর, সংসার, স্বামীর বাড়ি।
কয়েক বছর পার হওয়ার পর, সেখানেও একদিন শুনতে হয়;
* এটা আমার বাড়ি।
* এখানে আমি যা বলব, তাই হবে।
যদি না মানতে পারো ;
*বাড়ি থেকে চলে যাও ।
*আমার বাড়ি ছেড়ে দাও।
* আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও। *আমার বাড়িতে এসব করা চলবে না।
এমন নানা সব কথার আঘাতে;
নারী দুমড়ে মুচড়ে যেতে থাকেন। প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে নারী মৃত মানুষের মতো বাঁচেন।
#বাড়ি, নারীদের একান্ত নিজের একটা বাড়ি বানানোর স্বপ্ন থাকা উচিত।
সেই স্বপ্নকে ঘিরে নারীর জীবন গঠিত হতে থাকবে।
স্বপ্ন পূরণ করার জন্য নারী একটু একটু করে নিজেকে তৈরি করবেন।
সমস্ত শিক্ষা,যোগ্যতা, জ্ঞান, আর পরিশ্রমের দ্বারা নারী নিজেকে পূর্ণ করতে থাকবেন ।
নারী পরিবার-পরিজন ব্যক্তিগত জীবন সবকিছু আগলে রেখেও পরিশ্রম করে উপার্জন করবেন। উপার্জনের অর্থ সঞ্চয় করবেন এবং সেই অর্থ দিয়ে একসময় নিজেই নিজের একটা বাড়ি তৈরি করবেন।
যে বাড়িটা একান্ত নিজের যে বাড়িতে কারো কোন অধিকার থাকবে না।
নারী ইচ্ছে করলে নিজের মতো করে পরিচালনা করতে পারবেন।
যে বাড়িতে কেউ কোনদিন বলতে পারবেন না যে,
‘*আমার বাড়ি থেকে তুমি চলে যাও, *আমার বাড়িতে এসব করা চলবে না,
*আমার বাড়ি ছেড়ে দাও, কিংবা
* বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও’।
সমস্ত জীবন জুড়ে দায়িত্ব আর কর্তব্য পালন করতে করতে কাটিয়ে দেয়ার পরেও যেন,
নারী নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগে।
ভয় না পায়,
*বাড়ি হারানোর ভয়,
*সংসার হারানোর ভয়,
*রাস্তায় নেমে যাওয়ার ভয়।
হারানোর ভয় নারীকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে দেয় না।

রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও পুনরায় তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

মোঃ আশিকুর সরকার (রাব্বি) প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৭ পিএম
রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও পুনরায় তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ডিলার নিয়োগে বৈষম্য ও অনিয়মের অভিযোগ এবং পুনরায় তদন্ত পূর্বক শতভাগ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় লটারির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করেছে বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে,অনিয়মের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পরা ব্যাক্তিদের সুকৌশলে ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দা না হয়েও অনেকেই এই নিয়োগপ্রাপ্ত হন।নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য অনেক ব্যক্তিকে সুকৌশলে বাদ দিয়ে নিয়ম বহি:ভূর্ত বাহিরের অনেক কে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।ডিলার নিয়োগে এহেন বৈষম্যরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় তদন্ত সাপেক্ষে লটারির আহবান জানান বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

রোববার দুপুরে ১২:০০ টা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের মেইন গেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন,আব্দুল মোত্তালেব,আজিজুল ইসলাম,ফখরুল ইসলাম, রাজু ইসলাম, আহসান, সহিদুল ইসলাম,রোকেয়া বেগম,দৌলত হোসেন,আব্দুল লতিফ,সেকেন্দার আলী লিমন,হান্নান মিয়া আব্দুল লতিফ বাবলুসহ আরও অনেকে।

হরিপুরে পাটের জাগ নিয়ে বিড়ম্বনায় কৃষক

সিরাজুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৬ পিএম
হরিপুরে পাটের জাগ নিয়ে বিড়ম্বনায় কৃষক

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে শুরু হয়েছে বিভিন্ন মাঠের পাট কাটা। তবে খালবিলে ও মাঠে পানি না থাকায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে সংকটে পড়েছেন চাষিরা। রাস্তার পাশে খাল ও পুকুরের পানি দিয়ে পাট জাগ দেওয়া শুরু হলেও আঁশের মান তেমন ভালো হচ্ছে না। এতেই বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

পাট চাষিরা জানান, হরিপুরে উপজেলায় দুটি বড় বিলের পাশে পানি না থাকার কারণে পাট পচানো সমস্যা হয়েছে । পানি সরাসরি বিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পাটের জাগ নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে।

পাট চাষি মো. আবদুল মালেক ও সারোয়ার হোসেন বলেন খালবিলে, নদীনালায়, পুকুরে পানি নেই; পাট জাগ দেওয়ার জায়গাও নেই। এখন আমরা পাট নিয়ে সংকটে পড়েছি। এজন্য হরিপুর উপজেলায় পার্শ্ববর্তী বিলে আমরা পাট জাগ দিয়েছি।

সমির হোসেন নামে আরেকজন বলেন, বৃষ্টিতে পাটক্ষেতে অল্প পানি জমেছে, এতে পাটের গোড়া নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষেতে বেশি পানি হলে পাটের গোড়া পচন ধরত না। ক্ষেতের পাট ক্ষেতেই জাগ দেওয়া যেত। এখন পিকআপ ও ভ্যান ভাড়া করে পাট জাগ দিতে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

মিনাপুর গ্রামের সারোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের হরিপুর ইউনিয়নের মাঠে-ঘাটে কোথাও পানি নেই। পাট কেটে জাগ দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুবেল হুসেন জানান, এ বছর হরিপুরে ৪৭০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জায়গায় পাটের আবাদ হয়েছে। পানি না থাকায় পাটের জাগ দেওয়া নিয়ে সমস্যা পড়ছেন কৃষকরা। কেউ কেউ পুকুরে নদীতে পাটের জাগ দিচ্ছে।

সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৪ পিএম
সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে

”আমার সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে”
যখন আশেপাশে শুনি —
“এটা তো সময়ের ব্যাপার, একটু ধৈর্য ধরো”
“তুমি কেন এত ভাবছো? সব ঠিক হয়ে যাবে”
“এটা তো সম্পর্কের অংশ, মানিয়ে নিতে হবে”
তখন সেই শূন্যতা কোথায় যাবে?
হুরায়রা কনসালটেন্সি এমন একটা জায়গা,
যেখানে আপনি আপনার সম্পর্কের টানাপোড়েন খুলে বলতে পারেন,
কেউ আপনাকে ছোট করবে না,
কেউ আপনাকে দোষী মনে করবে না।
আমরা জানি, সম্পর্কের মাঝে এই অনিশ্চয়তা অনেক সময় ভয়াবহ হতে পারে,
আপনি একা নন,
আমি হুরায়রা শিশির এবং আমার টিম পাশে আছি।
চলুন, একসাথে চেষ্টা করি কিভাবে একটু একটু করে ভালো থাকা যায়।

error: Content is protected !!