
নারীদের নিজেদের কোন বাড়ি থাকে না।
নারী জন্মের পর, নারী নিজের বাবার বাড়িটাকে আপন ও নিজের বাড়ি ভাবতে ভাবতেই বড় হন।
কিন্তু,একটা সময় পার হওয়ার পর, নিজের চারপাশের আপন মানুষগুলোই প্রতিনিয়ত তার কানে ঢুকিয়ে দেন ।
*এ বাড়িটা তার নয়,
*এ বাড়িতে সে ক্ষণিকের অতিথি।
তার যেখানে বিয়ে হবে, সেই বাড়িটা তার আসল বাড়ি।
তারপর একদিন বিয়ে হয়। অনেক স্বপ্ন নিয়ে শ্বশুর বাড়িটাকে আপন করতে নারী পা দেয় শ্বশুরবাড়ি।
কিছুদিনের মধ্যে সে শুনতে পান,
* এটা শশুর বাড়ি।
* এখানে এটা করা যাবে না, সেটা করা যাবে না
*শ্বশুর বাড়ির সম্মান রক্ষা করো।
এর কিছুদিন পর, হয়তো স্বামীর একটা বাড়ি হয়।
নারী নতুন করে, নতুন উদ্যমে, স্বপ্ন দেখে নিজের বাড়ির।
স্বামীর বাড়ি, তার নিজের বাড়ি, আসল বাড়ি।
নারী একটু একটু করে সাজাতে থাকেন; স্বামীর ঘর, সংসার, স্বামীর বাড়ি।
কয়েক বছর পার হওয়ার পর, সেখানেও একদিন শুনতে হয়;
* এটা আমার বাড়ি।
* এখানে আমি যা বলব, তাই হবে।
যদি না মানতে পারো ;
*বাড়ি থেকে চলে যাও ।
*আমার বাড়ি ছেড়ে দাও।
* আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও। *আমার বাড়িতে এসব করা চলবে না।
এমন নানা সব কথার আঘাতে;
নারী দুমড়ে মুচড়ে যেতে থাকেন। প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে নারী মৃত মানুষের মতো বাঁচেন।
#বাড়ি, নারীদের একান্ত নিজের একটা বাড়ি বানানোর স্বপ্ন থাকা উচিত।
সেই স্বপ্নকে ঘিরে নারীর জীবন গঠিত হতে থাকবে।
স্বপ্ন পূরণ করার জন্য নারী একটু একটু করে নিজেকে তৈরি করবেন।
সমস্ত শিক্ষা,যোগ্যতা, জ্ঞান, আর পরিশ্রমের দ্বারা নারী নিজেকে পূর্ণ করতে থাকবেন ।
নারী পরিবার-পরিজন ব্যক্তিগত জীবন সবকিছু আগলে রেখেও পরিশ্রম করে উপার্জন করবেন। উপার্জনের অর্থ সঞ্চয় করবেন এবং সেই অর্থ দিয়ে একসময় নিজেই নিজের একটা বাড়ি তৈরি করবেন।
যে বাড়িটা একান্ত নিজের যে বাড়িতে কারো কোন অধিকার থাকবে না।
নারী ইচ্ছে করলে নিজের মতো করে পরিচালনা করতে পারবেন।
যে বাড়িতে কেউ কোনদিন বলতে পারবেন না যে,
‘*আমার বাড়ি থেকে তুমি চলে যাও, *আমার বাড়িতে এসব করা চলবে না,
*আমার বাড়ি ছেড়ে দাও, কিংবা
* বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও’।
সমস্ত জীবন জুড়ে দায়িত্ব আর কর্তব্য পালন করতে করতে কাটিয়ে দেয়ার পরেও যেন,
নারী নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগে।
ভয় না পায়,
*বাড়ি হারানোর ভয়,
*সংসার হারানোর ভয়,
*রাস্তায় নেমে যাওয়ার ভয়।
হারানোর ভয় নারীকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে দেয় না।