শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

মেট্রোরেল লাইন ৬ মতিঝিল থেকে কমলাপুর

শাহরিয়া শিকদার প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫, ৪:০৭ পিএম | 164 বার পড়া হয়েছে
মেট্রোরেল লাইন ৬ মতিঝিল থেকে কমলাপুর

মেট্রোরেল লাইন-৬ এর মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত অংশে চলতি বছরের ডিসেম্বরে যাত্রী পরিবহন করার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদার নিয়োগে জটিলতার কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তবে সেই বাধা কাটিয়ে নতুন করে আবার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। বরাদ্দকৃত মূল্যের চেয়ে প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি দরে নতুন চুক্তি করেছে সরকার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, ডলার উন্মুক্ত করা, কাঁচামাল সরবরাহে জটিলতা, পরিবহন খচর সব মিলিয়ে নির্ধারিত বরাদ্দে কাজ করতে রাজি হচ্ছিলেন না পুরোনো ঠিকাদার। তাই পুরোনো দরে নতুন চুক্তি করা যাচ্ছিল না। এখন বরাদ্দকৃত মূল্যের চেয়ে প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি দরে নতুন চুক্তি করেছে সরকার। প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (আরডিপিপি) ইলেকট্রোমেকানিক্যাল খাতে ২৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিল ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল); কিন্তু কাজ দেওয়া হয়েছে ৪৬৫ কোটি টাকায়। যদিও দরপত্রে শুরুতে ঠিকাদারের চাওয়া ছিল প্রায় সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা।

মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ দুই ভাগে চলছে। একটি অবকাঠামোভিত্তিক। অন্যটি কারিগরি। অবকাঠামোর কাজে তেমন সমস্যা না হলেও আটকে ছিল কারিগরি কাজ। যেমন, বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা, লিফট, এক্সেলেটর, ট্রেনের দরজার সঙ্গে মিলিয়ে দরজা খোলার গেট, মনিটর, সিসিটিভি, সিগন্যাল ও টেলিকমিউনিকেশন যোগাযোগ স্থাপনের কাজ। প্রকৌশলের ভাষায় পুরো বিষয়টিকে এক শব্দে ইলেকট্রোমেকানিক্যাল বলা হয়।

ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, কাজের ধারাবাহিকতা ঠিক রাখতে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশে যে যা কাজ করছে, সেই প্রতিষ্ঠানকে দিয়েই বর্ধিত অংশের কাজ করাতে হচ্ছে, তা না হলে নতুন ঠিকাদার কাজে মিল করতে পারবেন না। আবার নতুন ঠিকাদারের জন্য ফের দরপত্র আহ্বান করতে হবে। এতে কাজে আরও দেরি হবে।

জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, শুরুতে রিভিউ করতে বলেছিলাম। পরে জাইকার চুক্তির কারণে তাদের সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে। তবে কোম্পানি যেটা কোট করেছিল, সেখান থেকে আলোচনা করে প্রায় ২০০ কোটি টাকা কমানো হয়েছে।

ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, বর্ধিত অংশের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বানের সুযোগ ছিল না। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশে যে প্রতিষ্ঠান যেসব কাজ করেছে, তাদের সঙ্গেই বর্ধিত অংশের জন্য নতুন করে চুক্তি করা হয়; কিন্তু বরাদ্দের দ্বিগুণ খরচ চাওয়ায় উচ্চপদস্থদের অনুমতি ছাড়া এটি অনুমোদন করা যায়নি। এতে কাজ আটকে গেছে।

এদিকে মেট্রোরেল লাইন-৬ প্রকল্পের অর্থায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। অর্থায়নের চুক্তি অনুযায়ী, ঠিকাদার নির্ধারণে জাইকা ভূমিকা রাখবে। নতুন ঠিকাদার থেকে দর পেতে আবার উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করতে হতো। পুরো প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ। তা ছাড়া নতুন দরপত্র কাজের জন্য খরচ কম প্রস্তাব করা হবে কি না, সেটি নিয়েও প্রশ্ন ছিল।

জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়া বলেন, কাজ দেরি হলে আর্থিকভাবে সরকার রাজস্ব হারাবে। আমাদের হিসাবে বছরে অন্তত ১২৬ কোটি টাকা হারাতে হবে। এখন দিনে যাত্রীপ্রতি গড়ে ৪৬ টাকা পাওয়া যায়। কমলাপুর পৌঁছানো মানেই যাত্রীদের কাছ থেকে এ পরিমাণ ভাড়া বাবদ টাকা পাওয়া।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্য নির্ধারণ করা ছিল। কিন্তু বাজার উন্মুখ হওয়ার ফলে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে। মেট্রোরেলের সরঞ্জাম কিনতে হবে ডলারে। তাই আগের থেকে টাকা এখন বেশি লাগবে। আবার অল্প সংখ্যক পণ্য দিতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ কম। পণ্যের পরিমাণ কম হওয়ায় পরিবহনের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে পণ্যের বাজারদর বেড়েছে। এসব কারণে দরপত্রে বেশি খরচ চেয়েছেন ঠিকাদার।

ঠিকাদারের প্রস্তাবে ডিএমটিসিএলের সম্মতি ছিল। তাই গত ২২ এপ্রিলের বোর্ড সভার সপ্তাহ দুয়েক আগে ডিএমটিসিএলের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে বৈঠক করে। দরপত্র মেনে নেওয়ার বিষয়টি উপদেষ্টাকে বোঝানো হয়েছে বলে বৈঠক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বৈঠক সূত্র বলছে, বর্তমান ঠিকাদারের বাইরে গিয়ে অন্য কোনো ঠিকাদারের সঙ্গে কাজ করতে গেলে নির্মাণের সময় আরও বেড়ে যাবে, বৈঠকে এমন আশঙ্কার কথাও তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে বাণিজ্যিক ক্ষতি, রাজস্ব হারানোর বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়…..

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।