রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

মেট্রোরেল লাইন ৬ মতিঝিল থেকে কমলাপুর

শাহরিয়া শিকদার প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫, ৪:০৭ পিএম | 113 বার পড়া হয়েছে
মেট্রোরেল লাইন ৬ মতিঝিল থেকে কমলাপুর

মেট্রোরেল লাইন-৬ এর মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত অংশে চলতি বছরের ডিসেম্বরে যাত্রী পরিবহন করার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদার নিয়োগে জটিলতার কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তবে সেই বাধা কাটিয়ে নতুন করে আবার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। বরাদ্দকৃত মূল্যের চেয়ে প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি দরে নতুন চুক্তি করেছে সরকার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, ডলার উন্মুক্ত করা, কাঁচামাল সরবরাহে জটিলতা, পরিবহন খচর সব মিলিয়ে নির্ধারিত বরাদ্দে কাজ করতে রাজি হচ্ছিলেন না পুরোনো ঠিকাদার। তাই পুরোনো দরে নতুন চুক্তি করা যাচ্ছিল না। এখন বরাদ্দকৃত মূল্যের চেয়ে প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি দরে নতুন চুক্তি করেছে সরকার। প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (আরডিপিপি) ইলেকট্রোমেকানিক্যাল খাতে ২৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিল ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল); কিন্তু কাজ দেওয়া হয়েছে ৪৬৫ কোটি টাকায়। যদিও দরপত্রে শুরুতে ঠিকাদারের চাওয়া ছিল প্রায় সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা।

মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ দুই ভাগে চলছে। একটি অবকাঠামোভিত্তিক। অন্যটি কারিগরি। অবকাঠামোর কাজে তেমন সমস্যা না হলেও আটকে ছিল কারিগরি কাজ। যেমন, বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা, লিফট, এক্সেলেটর, ট্রেনের দরজার সঙ্গে মিলিয়ে দরজা খোলার গেট, মনিটর, সিসিটিভি, সিগন্যাল ও টেলিকমিউনিকেশন যোগাযোগ স্থাপনের কাজ। প্রকৌশলের ভাষায় পুরো বিষয়টিকে এক শব্দে ইলেকট্রোমেকানিক্যাল বলা হয়।

ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, কাজের ধারাবাহিকতা ঠিক রাখতে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশে যে যা কাজ করছে, সেই প্রতিষ্ঠানকে দিয়েই বর্ধিত অংশের কাজ করাতে হচ্ছে, তা না হলে নতুন ঠিকাদার কাজে মিল করতে পারবেন না। আবার নতুন ঠিকাদারের জন্য ফের দরপত্র আহ্বান করতে হবে। এতে কাজে আরও দেরি হবে।

জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, শুরুতে রিভিউ করতে বলেছিলাম। পরে জাইকার চুক্তির কারণে তাদের সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে। তবে কোম্পানি যেটা কোট করেছিল, সেখান থেকে আলোচনা করে প্রায় ২০০ কোটি টাকা কমানো হয়েছে।

ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, বর্ধিত অংশের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বানের সুযোগ ছিল না। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশে যে প্রতিষ্ঠান যেসব কাজ করেছে, তাদের সঙ্গেই বর্ধিত অংশের জন্য নতুন করে চুক্তি করা হয়; কিন্তু বরাদ্দের দ্বিগুণ খরচ চাওয়ায় উচ্চপদস্থদের অনুমতি ছাড়া এটি অনুমোদন করা যায়নি। এতে কাজ আটকে গেছে।

এদিকে মেট্রোরেল লাইন-৬ প্রকল্পের অর্থায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। অর্থায়নের চুক্তি অনুযায়ী, ঠিকাদার নির্ধারণে জাইকা ভূমিকা রাখবে। নতুন ঠিকাদার থেকে দর পেতে আবার উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করতে হতো। পুরো প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ। তা ছাড়া নতুন দরপত্র কাজের জন্য খরচ কম প্রস্তাব করা হবে কি না, সেটি নিয়েও প্রশ্ন ছিল।

জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়া বলেন, কাজ দেরি হলে আর্থিকভাবে সরকার রাজস্ব হারাবে। আমাদের হিসাবে বছরে অন্তত ১২৬ কোটি টাকা হারাতে হবে। এখন দিনে যাত্রীপ্রতি গড়ে ৪৬ টাকা পাওয়া যায়। কমলাপুর পৌঁছানো মানেই যাত্রীদের কাছ থেকে এ পরিমাণ ভাড়া বাবদ টাকা পাওয়া।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্য নির্ধারণ করা ছিল। কিন্তু বাজার উন্মুখ হওয়ার ফলে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে। মেট্রোরেলের সরঞ্জাম কিনতে হবে ডলারে। তাই আগের থেকে টাকা এখন বেশি লাগবে। আবার অল্প সংখ্যক পণ্য দিতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ কম। পণ্যের পরিমাণ কম হওয়ায় পরিবহনের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে পণ্যের বাজারদর বেড়েছে। এসব কারণে দরপত্রে বেশি খরচ চেয়েছেন ঠিকাদার।

ঠিকাদারের প্রস্তাবে ডিএমটিসিএলের সম্মতি ছিল। তাই গত ২২ এপ্রিলের বোর্ড সভার সপ্তাহ দুয়েক আগে ডিএমটিসিএলের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে বৈঠক করে। দরপত্র মেনে নেওয়ার বিষয়টি উপদেষ্টাকে বোঝানো হয়েছে বলে বৈঠক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বৈঠক সূত্র বলছে, বর্তমান ঠিকাদারের বাইরে গিয়ে অন্য কোনো ঠিকাদারের সঙ্গে কাজ করতে গেলে নির্মাণের সময় আরও বেড়ে যাবে, বৈঠকে এমন আশঙ্কার কথাও তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে বাণিজ্যিক ক্ষতি, রাজস্ব হারানোর বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়…..

দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

মো: মেহেদী হাসান ফুয়াদ দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫৫ পিএম
দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

২ আগষ্ট শনিবার বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর নব নির্বাচিত কার্য্যকরী কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নব- নির্বাচিত সভাপতি- মোঃ আব্দুস সাত্তার, সহ সভাপতি- মোঃ শরিফুল ইসলাম সেলি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিসুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক, আবুল কালাম (১), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ এনামুল হক, অর্থ সম্পাদক- আবুস সালাম ও কার্র্য্যনির্বাহী পরিষোধের সদস্য মোঃ কমর আলী শেখ ও মোঃ বিশালকে ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র অনুর্যায়ী শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশান দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি রবিউল আউয়াল খোকা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার হবিবর রহমান। উল্লেখ্য, বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ২ জুলাই ‘২০২৫। নির্বাচনে উপরোক্ত ৮জন প্রার্থী বিজয়ী হন।

দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

বগুড়া থেকে মোঃ হাফিজুর রহমান প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫১ পিএম
দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

গাবতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গাবতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জনাব ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ জানিয়েছেন —
আমাদের দেশ চলে মানুষের ঘাম আর পরিশ্রমের করের টাকায়। প্রতিটি রাস্তা, স্কুল, হাসপাতাল, সরকারি সেবা ও অবকাঠামো জনগণের টাকায় গড়ে উঠেছে।
কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট শাসন আর আজকের কর্তৃত্ববাদী মনোভাব দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকারকে অবমূল্যায়ন করেছে — মানুষের ভোটাধিকার হরণ হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত হয়েছে, গণতন্ত্রকে পদদলিত করা হয়েছে। স্বজনপ্রীতি, লুটপাট আর দুর্নীতি সাধারণ মানুষের জীবনকে জিম্মি করে রেখেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিশ্বাস করে—গণতন্ত্র মানে শুধু ভোট নয়, মানুষের কথা শোনা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
আমাদের আপোষহীন নেত্রী, তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষায় আজও আপোষহীনভাবে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। বিএনপি জনগণের অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে সবসময়ই জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপি সরকারের সময় দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের পথে ছিল, গণতন্ত্র ও মানুষের কথা বলার অধিকার সুরক্ষিত ছিল — যা আজ হরণ হয়েছে।
আগামী নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জনগণকে আহ্বান জানাই—আপনাদের শক্তি ও অধিকারকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিজয়ের প্রতীক ধানের শীষে ভোট দিন, আপনার আস্থা ও বিশ্বাস প্রকাশ করুন।
বিএনপি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পক্ষে। দেশের প্রতিটি টাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করাই আমাদের অঙ্গীকার। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকাটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত শক্তি।
আমরা বিশ্বাস করি—ধানের শীষে জনগণের এই আস্থা গণতন্ত্র, উন্নয়ন আর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হয়ে উঠবে।

মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

Masud Parves প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৪৯ পিএম
মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

মধ্যবয়সী নারীকে বাইরে থেকে দেখে কেউ বুঝতে পারে না, তার ভেতর কতটা জীবন বয়ে চলে। তার মুখে হয়তো একরাশ শান্তি, চোখে একটুখানি ক্লান্তি—কিন্তু এই চেহারার ভেতরে আছে এক গভীর নদী, যেটা ধীরে ধীরে বয়ে যায়। এই নদী যেন নীরব, তবে থেমে নেই। প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা, ভালোবাসা, হারানো-বিলুপ্ত কিছু স্মৃতি—সব মিলে তার কামনা তৈরি হয় এক নতুন রূপে, এক অনন্য ভাষায়।
এই বয়সে সে আর কারো মন জেতার জন্য হাসে না। সে নিজেকে লুকিয়ে রাখে না, সাজিয়ে তোলে না কেবল কারো নজর কাড়ার জন্য। বরং সে নিজেকে ভালোবাসে গভীরভাবে। জানে—তার শরীর ঠিক যেমন, তেমনটাই সুন্দর। তার যৌনতা এখন আর দেহের খেলায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা হয়ে উঠেছে বোঝাপড়ার, সম্মান আর সংবেদনের জায়গা।
তরুণ বয়সের কামনা হঠাৎ জ্বলে ওঠে, হঠাৎ নিভেও যায়। সেখানে থাকে আবেগের ঝড়, না বুঝে ফেলার এক উন্মাদনা। কিন্তু মধ্যবয়সী নারীর কামনা অনেক বেশি ধৈর্যের, অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের। সে জানে, কীভাবে তার শরীরের প্রতিটি প্রতিক্রিয়া বোঝে নিতে হয়। সে জানে, কখন আগলে রাখতে হয় নিজেকে, আর কখন খুলে দিতে হয় সমস্ত দরজা।
এই নারী কাউকে ছুঁতে চায়—কিন্তু ছোঁয়াটার আগে সে বোঝে নেয় সেই মানুষটার ভেতরটা। সে শুধু শরীর খোঁজে না—সে এমন একজন সঙ্গী খোঁজে, যার স্পর্শে থাকে শ্রদ্ধা, যার চোখে থাকে নিরাপত্তা। সে জানে কার পাশে ঘুমালে শান্তি নামে, আর কার পাশে থাকলে ভালোবাসা শুকিয়ে যায়।
তার কামনা আর শিশুর মতো নিষ্পাপ নয়। বরং তাতে এক ধরনের প্রাপ্তবয়স্ক মমতা থাকে, থাকে বোঝাপড়া। সে জানে কখন চাওয়া, কখন না বলা। সে জানে, ‘না’ বলাটাও নিজের প্রতি এক রকম ভালোবাসা। তার ভালোবাসা এখন আর পাগলামি নয়—তা গভীর, সযত্নে বাছাই করা, বোধসম্পন্ন।
সমাজ হয়তো ভাবে এই বয়সের নারী নিঃসাড়, নিঃস্পৃহ। কিন্তু তারা জানে না, তার ভেতরটায় প্রতিদিন ঢেউ খেলে যায়। তার চোখে জমে থাকা পুরনো গল্পের আলো ঝিলমিল করে, তার হাসিতে মিশে থাকে না বলা ভালোবাসার রেশ। এই নারী চাইলেই কারো জীবনে নীরবে ঢুকে যেতে পারে, আবার কাউকে বিদায়ও জানাতে পারে নিঃশব্দে—এক বিন্দু তিক্ততা ছাড়াই।
তার যৌনতা আজ আর কারো কাছ থেকে অনুমতি চায় না। সে নিজের শরীর, নিজের কামনা, নিজের মনের দায়িত্ব নিজেই নেয়। সে জানে—কে তার জলের গভীরে স্নান করার যোগ্য, আর কে কেবল পাথর ছুড়ে জল ঘোলা করতে চায়।
মধ্যবয়স মানে ক্ষয় নয়, সেটি এক নবজন্ম। একজন নারী এই বয়সে এসে হয়তো সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল হয়—যেন সন্ধ্যার আলোয় জ্বলে ওঠা দীপ, যা সারা দিনের ক্লান্তিকে শান্ত করে। তার কামনা আগুন নয়—তা আলো। তা জ্বলিয়ে দেয় না, তা গায়ে মেখে থাকে।
এক নদী, যে জানে কখন কার দিকে পথ খুলে দিতে হয়, আর কখন নিজেকে আগলে রাখতে হয়।
যে জানে, ভালোবাসা মানে কারো হাত ধরা নয়—বরং কারো হাতে নিজের হাত রাখার মতো আত্মবিশ্বাস অর্জন করা।

error: Content is protected !!