মৃত্যু যখন পারমাণবিক বোমার আঘাতে হবে


💣 বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাত্র ১ মেগাটনের একটি পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরিত হলে চারিদিকে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এর তেজস্ক্রিয়তা থেকে মানুষ, গাছপালা, দালানকোঠা রক্ষা পায়না কোনকিছুই। বিস্ফোরণের জায়গা থেকে ৮-১২ কিমি দূরে মানুষের ত্বকে থার্ড ডিগ্রি বার্ন হয়। আর ১৫-২০ কিমি পর্যন্ত অবস্থান করা মানুষের কানের পর্দা ফেটে যায়, গ্লাস ভেঙে পড়ে, খসে পড়ে নিমিষেই। ৫০-৮০ কিমি দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে তেজস্ক্রিয়তা।
💣একটি পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণে তাৎক্ষণিক প্রাণহানি ঘটতে পারে ৩-৭ লাখ মানুষের, গুরুতর আহত হতে পারে ৫-১০ লাখ মানুষ। আর ৫ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত ভবনগুলোর ৯০ শতাংশই রূপ নেবে ধ্বংসস্তুপে। বিষ্ফোরণের জায়গা থেকে চারিদিকে ৫০-৮০ কিলোমিটারের মত জায়গায় ২০-৩০ বছর মাটি ও জল দূষিত অবস্থায় পাওয়া যাবে। এর ফলে বেঁচে যাওয়া মানুষেরা ক্যান্সার ও রেডিয়েশনজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু মুখে পতিত হতে পারে। পুরুষরা হারাবে তাদের পুরুষত্ব, পরবর্তী প্রজন্ম জন্ম নিবে প্রতিবন্ধী হয়ে।
💣এদিকে অতীত ইতিহাস থেকেও জানা যায়, পারমাণবিক💣 বোমা বিস্ফোরণের ভয়বহতা। ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র জাপানের হিরোশিমা শহরের ওপর ফেলে ‘লিটল বয়’ নামের একটি পারমাণবিক বোমা। বিস্ফোরণের মুহূর্তেই প্রাণ হারান প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ। কয়েক মাসে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ৪০ হাজারে । এর তিন দিন পর, ৯ আগস্ট নাগাসাকি শহরের ওপর ফেলা হয় ‘ফ্যাট ম্যান’ নামের দ্বিতীয় বোমাটি। এতে নিহত হন আরও ৭৫ হাজার মানুষ। এ দুই হামলায় প্রমাণ হয় পারমাণবিক বোমা যুদ্ধের অস্ত্র নয়, বরং মানবতা ধ্বংসের একমাত্র মাধ্যম।