মনোহরদীতে উপজেলা নির্বাচনী মাঠে জামায়াতের শক্ত বার্তা: এটিএম রফিউদ্দিন-শাহীন


আসন্ন মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোহরদী দক্ষিণ সাংগঠনিক শাখা। চেয়ারম্যান পদে মনোনীত হয়েছেন দলের নরসিংদী জেলা শাখার সাবেক আমীর ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ আবু তৈয়ব মোহাম্মদ রফিউদ্দিন, এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন শিক্ষানুরাগী সমাজসেবক ও শিক্ষক মোঃ তাজুল ইসলাম শাহীন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি এক বিশেষ সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ দুইজনের নাম ঘোষণা করা হয়। প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই উপজেলায় শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনার ঝড়। দলীয় নেতাকর্মীরা প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে ইতোমধ্যে শুভেচ্ছা সফর, গণসংযোগ ও নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছেন।
আবু তৈয়ব মোহাম্মদ রফিউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। নরসিংদী জেলা আমীর হিসেবে তাঁর নেতৃত্ব এলাকাবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্যতা ও আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। পরিচ্ছন্ন রাজনীতি, নীতিনিষ্ঠতা ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী এই নেতার ভাষায়, “আমি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্যই এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।”
দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের মতে, তিনি একজন নির্লোভ, পরিশ্রমী ও দৃঢ়চেতা ব্যক্তিত্ব। সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গঠনে তাঁর প্রতিশ্রুতি এলাকাবাসীর কাছে যথেষ্ট আস্থার জায়গা তৈরি করেছে।
অন্যদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ তাজুল ইসলাম শাহীন একজন পরিচ্ছন্ন ও মানবিক রাজনীতিবিদ। তিনি জামায়াতে ইসলামীর মনোহরদী দক্ষিণ শাখার দায়িত্বশীল সেক্রেটারি হিসেবে দীর্ঘদিন দলীয়ভাবে সক্রিয়। পাশাপাশি, শিবপুর খড়িয়া হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর অবদান প্রশংসনীয়। তিনি ব্যবসায়ী হিসেবেও এলাকায় সুপরিচিত।
তাঁর ঘনিষ্ঠ সহকর্মীরা বলছেন, তিনি একজন সদালাপী, বিনয়ী ও নিরহঙ্কার মানুষ, যিনি সবসময় ন্যায়ের পক্ষে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার। সমাজসেবা, শিক্ষা এবং মানবিক সহায়তায় তাঁর সক্রিয় ভূমিকা তাঁকে জনমানুষের কাছে আস্থাভাজন করে তুলেছে।
দুই প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর থেকে মনোহরদী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভোটার ও সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে শুরু হয়েছে গণসংযোগ, প্রচারপত্র বিলি ও এলাকাভিত্তিক মতবিনিময় সভা।
জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ আশা করছেন, রফিউদ্দিন ও শাহীন বিজয়ী হলে মনোহরদী উপজেলা হবে একটি আদর্শিক, সুশাসিত ও মানবিক উন্নয়নের মডেল। দলীয়ভাবে এই নির্বাচনে সংগঠিত ও ইতিবাচক প্রচারণা চালানোর প্রস্তুতি চলছে।
এলাকার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় এবং ভোটারদের রায় প্রতিফলিত হয়, তবে জামায়াতের প্রার্থীরা শক্ত অবস্থানে রয়েছেন।