মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুকে ‘আল্লাহর শত্রু’ আখ্যা দিয়ে ইরানে ফতোয়া

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ৪:৩৯ পিএম | 19 বার পড়া হয়েছে
ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুকে ‘আল্লাহর শত্রু’ আখ্যা দিয়ে ইরানে ফতোয়া

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে একটি ধর্মীয় আদেশ বা ফতোয়া জারি করেছেন ইরানের শীর্ষ শিয়া ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ নাসের মাকারেম শিরাজি। এই ফতোয়ায় তিনি ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুকে ‘আল্লাহর শত্রু’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি বা শাসক ইসলামের নেতা বা শীর্ষ ধর্মীয় ব্যক্তিত্বকে হুমকি দেয়, সে ‘যুদ্ধপিপাসু’ বা ‘সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত ব্যক্তি’ হিসেবে বিবেচিত হবে।
সোমবার (৩০ জুন) এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ নাসের মাকারেম শিরাজি এই ফতোয়ায় বিশ্বের সব মুসলমানের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে। কারণ তারা ইসলামী প্রজাতন্ত্রের নেতৃত্বকে হুমকি দিয়েছে।
ফতোয়ায় বলেন, যে ব্যক্তি বা শাসক ইসলামের নেতা বা শীর্ষ ধর্মীয় ব্যক্তিত্বকে হুমকি দেয়, সে ‘যুদ্ধপিপাসু’ বা ‘সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত ব্যক্তি’ হিসেবে বিবেচিত হবে।
ইরানি আইন অনুযায়ী, যারা সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, তাদের শাস্তি হতে পারে মৃত্যুদণ্ড, শূলবিদ্ধকরণ, অঙ্গচ্ছেদ অথবা নির্বাসন।
ফতোয়ায় আরও বলা হয়েছে, এই শত্রুদের সঙ্গে মুসলিম বা কোনো ইসলামী রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে কোনও ধরণের সহযোগিতা বা সমর্থন অবৈধ এবং নিষিদ্ধ। সব মুসলমানের উচিত এই শত্রুদের কথাবার্তা ও কাজের জন্য তাদের অনুতপ্ত করা।
এছাড়াও এতে বলা হয়েছে, যদি কোনো মুসলমান তার ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের পথে ক্ষতি বা কষ্টের সম্মুখীন হয়, তাহলে সে সৃষ্টিকর্তার রাস্তায় সংগ্রামরত একজন যোদ্ধার পুরস্কার লাভ করবে, ইনশাআল্লাহ।
এই ফতোয়ার পেছনে ইসরায়েল ও ইরানের সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনাকেই কারণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা।
ইরানি ধর্মীয় নেতারা এর আগেও ফতোয়ার দিয়েছেন। ইরানের অন্যতম ভয়ংকর ফতোয়া জারি হয় ১৯৮৯ সালে। লেখক সালমান রুশদির “শয়তানি আয়াত” উপন্যাস প্রকাশের পর তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া জারি করা হয়। অনেক মুসলমান মনে করেছিলেন যে বইটি তাদের ধর্মকে অবমাননা করেছে। সেই ফতোয়ার পর রুশদিকে আত্মগোপনে যেতে হয়।

কাঠালিয়ায় সরকারি পুকুরে মাছ অবমুক্ত করলো উপজেলা প্রশাসন

ফাতিমা আক্তার মিম কাঠালিয়া সংবাদদাতা প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১১:১৭ পিএম
কাঠালিয়ায় সরকারি পুকুরে মাছ অবমুক্ত করলো উপজেলা প্রশাসন

ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার বিভিন্ন সরকারি পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেছে উপজেলা প্রশাসন। সোমবার এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জলাশয়ের যথাযথ ব্যবহারের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।এদিন উপজেলার ১১টি সরকারি জলাশয়ে মাছ অবমুক্ত করা হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:উপজেলা পরিষদের পুকুর (৩টি) – আয়তন ০.৪ হেক্টর,ঐতিহাসিক চর ডিসি লেক – আয়তন ২.৫ হেক্টর,কাঠালিয়া থানার পুকুর – আয়তন ০.০৮ হেক্টর,চিংড়াখালী মিয়াজী দরবার পুকুর – আয়তন ০.১২ হেক্টর,

আমুয়া তহসিল অফিসের পুকুর – আয়তন ০.০৮ হেক্টর,শৌলজালিয়ার সোনার বাংলা মৎস্য অবয়াশ্রম – আয়তন ১ হেক্টর,

এছাড়া আরও কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা, দরবার ও সরকারি স্থাপনার পুকুরেও মাছ অবমুক্ত করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম বলেন, “সরকারি জলাশয়গুলোতে মাছ অবমুক্তের মাধ্যমে মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং স্থানীয় জনগণের জন্য পুষ্টির উৎস নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মৎস্য কর্মকর্তা ও জনসাধারণ এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, এ উদ্যোগটি দেশের মৎস্য খাতকে এগিয়ে নিতে সরকারের সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ।

রাজাপুরের চর পালট খেয়াঘাটে যাত্রীছাউনি নির্মান এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী

আলমগীর শরীফ, ঝালকাঠি প্রতিনিধি প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১১:১৩ পিএম
রাজাপুরের চর পালট খেয়াঘাটে যাত্রীছাউনি নির্মান এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার অন্তর্গত চল্লিশ কাহনিয়া লঞ্চঘাট ও খেয়াঘাটে যাত্রী ছাউনি না থাকায় বারিবর্ষণ ও প্রচন্ড রোদে চরম ভোগান্তিতে পরতে হয় বিষখালী নদীর এপার ওপারের দুই তিনটি উপজেলার সাধারন মানুষসহ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিভিন্ন বাজারগামী ক্রেতা-বিক্রেতাদের।

এমতাবস্থায় অতিব প্রয়োজন একটি যাত্রী ছাউনি। উল্লেখ্য যে, রাজাপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ও নলছিটি উপজেলার তেতুলবাড়িয়াসহ ১০ ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের যাওয়া আসার একমাত্র মাধ্যম বিষখালী নদীর খেয়া পারাপার। তবে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল চন্দ ইতোমধ্যে নিজ উদ্যোগে নদীর রাজাপুরের পারে একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করে দিয়েছেন। এখানে লঞ্চে যাতায়াতের ও খেয়াপারাপারের এক পারের যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসন হলেও দুর্ভোগ রয়েগেছে নলছিটির ওপারের যাত্রীদের। এই স্থান থেকে ঢাকা, বরিশাল, ঝালকাঠি, খুলনা, রাজাপুর, কাঠালিয়া, ভান্ডারীয়া ও বড়ইয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা যাত্রী সাধারণ এই লঞ্চঘাটে আসে এবং নির্মিত যাত্রী ছাউনির সুবিধা ভোগ করেন। বিশেষ করে নদীপথ বিলুপ্ত প্রায় তারপরও এখান থেকে চল্লিশ কাহনিয়া খেয়া পার হয়ে চরপালট খেয়াঘাট হয়ে তেতুলবাড়িয়া, মোল্লার হাট, নলছিটির, বাকেরগঞ্জ ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়ত শতশত মানুষ এবং অসংখ্য মটরসাইকেল খেয়া পারের মাধ্যেমে যাতায়াত করে থাকে। অপরদিকে চরপালট খেয়াঘাটের মাধ্যমে নলছিটি, মোল্লারহাটসহ তেঁতুলবাড়িয়ার বহু মানুষ প্রতিদিন বড়ইয়া বাজার, বড়ইয়া কলেজ, উত্তমপুর বাজার, বড়ইয়া ইউনিয়ন পরিষদ, পুটিয়াখালী বাজার, রাজাপুর উপজেলা, ঝালকাঠি, ভান্ডারিয়া ও খুলনায় যাতায়াত করে থাকেন।

এ অবস্থায় চল্লিশকাহনিয়া ঘাটে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক নির্মিত যাত্রী ছাউনিটিরন্যায় চরপালটেও একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য এলাকাবাসীর প্রানের দাবী।

জেলা প্রশাসক ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন নীলফামারী পৌরসভা

নীলফামারী প্রতিনিধি প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১১:০৭ পিএম
জেলা প্রশাসক ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন নীলফামারী পৌরসভা

নীলফামারীতে আজ ৩০ জুন জেলা প্রশাসক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এই ম্যাচে সৈয়দপুর উপজেলার মুখোমুখি হন নীলফামারী পৌরসভা।

ম্যাচ শুরু থেকেই দুই দলেই ছিলো বেশ ছন্দে। তবে কাজের কাজটি করতে পারেনি বিশ্রামে থাকার পর সৈয়দপুর দলটি,সেসময় ফলাফলটা ছিলো ০-১ ব্যবধনে।

দীপকের একমাত্র গোলে এগিয়ে যায় নীলফামারী পৌরসভা দলটি। ১-০ গোলেই মাঠ ছাড়তে হয় শক্তিশালী সৈয়দপুরকে। ম্যাচে গোলের দেখা মিলতো সৈয়দপুরের কিন্তু ভাগ্যক্রমে গোলের বারে লেগে ঘুরে চলে আসে বল। ভূবন মোহন রেফারির লম্বা বাঁশি বাজিয়ে জানিয়ে দেয় খেলা সমাপ্তি।

নীলফামারী পৌরসভা দলের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন এ সময়ের সেরা খেলোয়াড় আল আমিন সঙ্গে ছিলেন আরো আন্তর্জাতিক তারকা সাঈদ, দীপক সহ অনেকে। ম্যাচ সেরা হন দীপক। এই ম্যাচে তার একমাত্র গোল ছাড়াও গত ম্যাচে তার একায় আট গোলের দেখা।

error: Content is protected !!