শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

ভারতের সঙ্গে সংঘাত: 

পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫, ৩:৩০ পিএম | 63 বার পড়া হয়েছে
পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের আবারও ব্যাপক প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পারমাণবিক উত্তেজনার মধ্যেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ এড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
বুধবার ন্যাটো সম্মেলনের শেষে হেগে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, গত মাসে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে যুদ্ধাবস্থার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা বিশ্বব্যাপী চলমান উত্তেজনাগুলোর মধ্যে “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংকট” ছিল। তিনি দাবি করেন, বাণিজ্যের প্রশ্নে দুই দেশের সঙ্গে ফোনালাপের মাধ্যমেই তিনি পরিস্থিতি শান্ত করেন।
ট্রাম্প বলেন, “এটা এমন না যে, ভবিষ্যতে ওরা পারমাণবিক অস্ত্র পেতে পারে— যেমনটা আমরা মধ্যপ্রাচ্যে বা ইসরায়েল-ইরানের প্রসঙ্গে বলছি। এরা আগে থেকেই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ।”
তিনি জানান, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেওয়ার পর তিনি ফোন করে বলেন, “যদি তোমরা লড়াই করতে চাও, তাহলে আমরা কোনও বাণিজ্য করব না”। তখন উভয় পক্ষই বলেন, “না না, আমরা বাণিজ্য চুক্তি চাই।”
ট্রাম্প আরও বলেন, “আমি পাকিস্তানের একজন জেনারেলের সঙ্গে কথা বলেছিলাম, যিনি খুবই প্রভাবশালী একজন মানুষ। তিনি আমার অফিসে এসেছিলেন। আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিরও বন্ধু। তিনিও একজন অসাধারণ মানুষ। আমি তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলাম— যদি লড়াই করো, তাহলে (যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে) বাণিজ্য করা হবে না।”
তিনি বলেন, “তারা বলল, ‘না, আমরা বাণিজ্য চুক্তিই চাই’। এবং এইভাবেই পারমাণবিক যুদ্ধ থেমে যায়।”
ট্রাম্প সরাসরি আসিম মুনিরের নাম নেননি, তবে এর আগেও তিনি মুনিরকে “ব্যতিক্রমী মানুষ এবং অনুপ্রেরণাদায়ী নেতৃত্ব” বলে উল্লেখ করেছেন।
ট্রাম্পের এই বক্তব্য মূলত পাকিস্তানের অবস্থানকেই সমর্থন করছে। কারণ পাকিস্তানও বলে আসছে, যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপেই উত্তেজনা কমে। যদিও ভারত সরকার বরাবরই দাবি করে আসছে, মে মাসে দুই দেশের মধ্যে যে সংকট তৈরি হয়েছিল, তা তারা ‘নিজেদের সিদ্ধান্তেই’ সামাল দেয় এবং যুক্তরাষ্ট্র কোনও মধ্যস্থতা করেনি।

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।