রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২
রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

নরসিংদীর পলাশে বি এন পির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলি বৃদ্ধ ২ নিহত ১

মোঃ কামাল হোসেন প্রধান জেলা প্রতিনিধি নরসিংদী  প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৭:৪৫ পিএম | 19 বার পড়া হয়েছে
নরসিংদীর পলাশে বি এন পির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলি বৃদ্ধ ২ নিহত ১

নরসিংদীর পলাশে ছাত্রদল ও বিএনপির সংঘর্ষে আহত ছাত্রদল কর্মী ঈসমাইল হোসেন (২৬) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার ছয়দিন অন্য ২১ জুন শনিবার দুপুর ২ টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়। নিহত ইসমাইল হোসেন পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার খানেপুর গ্রামের আব্দুর রহিম ভূঁইয়ার ছেলে।নিহতের বাবা আব্দুর রহিম ভূঁইয়া বলেন,২১ জুন শনিবার বেলা ২ টার দিকে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আমাদেরকে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে এবং আজই জানাযা শেষে গ্রামের বাড়িতে তার দাফন করা হবে। আমার ছেলের হত্যার বিচার ও জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার দাবি জানাই।পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ নাজমুল হোসেন সোহেল জানান, ইসমাইল ছাত্রদলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। আমাদের ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল ও তার লোকজন গুলিবর্ষণ করে। এতে ইসমাইল গুলিবিদ্ধ হয়ে ৬ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর আজ মারা যায়। এ ঘটনার যেন বার বার পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য তার গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনির হোসেন বলেন, আমরা জানতে পেরেছি,গুলিবিদ্ধ ঈসমাইল হোসেন মারা গেছেন। তবে,আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে এখনো জানায়নি। বিষয়টি জানানোর পর পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।উল্লেখ্য, রবিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যার দিকে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার বিএডিসির মোড়ে পলাশ উপজেলা ছাত্রদল ও জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এছাড়া ছাত্রদল কর্মী ইসমাইল ও পথচারী সোহেল মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। পরে,আহত ঈসমাইলকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঈসমাইল হাসপাতালে ভর্তির ৬ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।এ ঘটনায় গত রবিবার রাতেই ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সিয়াম মিয়া বাদী হয়ে জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর কবির জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামী করে পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। জুয়েলের পক্ষ থেকে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনার গত বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বিএনপি নেতা জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে।

গাইবান্ধায় জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপের দ্বিতীয় দিনের খেলায় গোবিন্দগঞ্জের জয়

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ১০:৫০ পিএম
গাইবান্ধায় জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপের দ্বিতীয় দিনের খেলায় গোবিন্দগঞ্জের জয়

গাইবান্ধা জেলা স্টেডিয়াম মাঠে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ এর দ্বিতীয় দিনের খেলায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা দল ৩-২ গোলের ব্যবধানে পলাশবাড়ী উপজেলা দলকে পরাজিত করেছে। শনিবার (২১ জুন) বিকেলে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচটি ছিল অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং উপভোগ্য।

ম্যাচে গোবিন্দগঞ্জ দলের খেলোয়াড়রা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা উপহার দেন। প্রথমার্ধেই তারা দুইটি গোল করে এগিয়ে যায়। পলাশবাড়ী দলও সমতায় ফেরার জন্য প্রাণপণ লড়াই করে এবং দ্বিতীয়ার্ধে দুইটি গোল শোধ দেয়। তবে শেষ সময়ে গোবিন্দগঞ্জ দলের নির্ধারিত জয়সূচক গোলটি তাদের জয় নিশ্চিত করে।

ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন গোবিন্দগঞ্জ দলের মিশরের মোস্তফা। তার দুর্দান্ত খেলার জন্য তাকে ম্যাচ সেরা পুরস্কার প্রদান করেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আল মামুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদুজ্জামান শহীদ, সাবেক জাতীয় দলের ফুটবলার ইলিয়াস হোসেনসহ ক্রীড়া অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ম্যাচটি শেষ হয়। জেলার ক্রীড়াপ্রেমীরা এমন আয়োজনের জন্য জেলা প্রশাসন ও ক্রীড়া সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান।

গাইবান্ধায় জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপের দ্বিতীয় দিনের খেলায় গোবিন্দগঞ্জের জয়

মোঃ মিঠু মিয়া গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৯:২৬ পিএম
গাইবান্ধায় জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপের দ্বিতীয় দিনের খেলায় গোবিন্দগঞ্জের জয়

গাইবান্ধা জেলা স্টেডিয়াম মাঠে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ এর দ্বিতীয় দিনের খেলায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা দল ৩-২ গোলের ব্যবধানে পলাশবাড়ী উপজেলা দলকে পরাজিত করেছে। শনিবার (২১ জুন) বিকেলে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচটি ছিল অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং উপভোগ্য।

ম্যাচে গোবিন্দগঞ্জ দলের খেলোয়াড়রা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা উপহার দেন। প্রথমার্ধেই তারা দুইটি গোল করে এগিয়ে যায়। পলাশবাড়ী দলও সমতায় ফেরার জন্য প্রাণপণ লড়াই করে এবং দ্বিতীয়ার্ধে দুইটি গোল শোধ দেয়। তবে শেষ সময়ে গোবিন্দগঞ্জ দলের নির্ধারিত জয়সূচক গোলটি তাদের জয় নিশ্চিত করে।

ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন গোবিন্দগঞ্জ দলের মিশরের মোস্তফা। তার দুর্দান্ত খেলার জন্য তাকে ম্যাচ সেরা পুরস্কার প্রদান করেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আল মামুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদুজ্জামান শহীদ, সাবেক জাতীয় দলের ফুটবলার ইলিয়াস হোসেনসহ ক্রীড়া অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ম্যাচটি শেষ হয়। জেলার ক্রীড়াপ্রেমীরা এমন আয়োজনের জন্য জেলা প্রশাসন ও ক্রীড়া সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান।

হোসেনপুরে কিশোরগঞ্জ জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীর উপর হামলা

তপন চন্দ্র সরকার হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৮:৫৯ পিএম
হোসেনপুরে কিশোরগঞ্জ জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীর উপর হামলা

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী মাহবুবুর

আলম ছোটন (২৭) প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার পরিবারের লোকজন জানান, শুক্রবার (২০ জুন) আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে উপজেলা সদর থেকে বাড়ী ফেরার পথে

উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আনুহা জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় প্রতিপক্ষের লোকজন তার উপর হামলা করে। এ সময় তাঁর চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা মটর সাইকেলে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন আহত ছোটনকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সে ঐ এলাকার আবুল কালামের ছেলে ও বেসরকারী ঈশা খাঁ ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ৯ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। জানা যায় (১৩ জুন) উপজেলার বীল চাতল ও আনুহা গ্রামবাসীর মধ্যে তুচ্ছ ঘটনার জেরে মারামারি হয়। এ ঘটনায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে মঞ্জুরুল ইসলাম বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় একটি মামলা করেছেন ঐ মামলার ১নং স্বাক্ষী জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী ছোটন। সে প্রধান স্বাক্ষী হওয়ায় প্রতিপেক্ষর দুর্বৃত্তরা তার উপর হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ হোসেন জানান, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।