শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

আতিকুর রহমান

বরিশাল-৪ আসনে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির অগ্রদূত মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ

আতিকুর রহমান প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ১:১৫ পিএম | 54 বার পড়া হয়েছে
বরিশাল-৪ আসনে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির অগ্রদূত মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ

বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) আসনের জনপ্রিয় মুখ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নিবেদিতপ্রাণ নেতা মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ দীর্ঘদিন ধরেই এই অঞ্চলের মানুষের পাশে থেকে নিরলসভাবে রাজনীতি করে আসছেন। তাঁর নেতৃত্বগুণ, সততা ও ত্যাগের রাজনীতির জন্যে ইতোমধ্যেই তিনি স্থানীয় পর্যায়ে গণমানুষের মাঝে এক বিশেষ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত।

দলের দুঃসময়ে সাহসী ভূমিকা, আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং নেতাকর্মীদের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা তাঁকে বরিশাল বিএনপির একজন বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য নেতৃত্বে পরিণত করেছে। বরিশাল দক্ষিণাঞ্চলে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।

আন্দোলন-সংগ্রামে সাহসী ভূমিকা ও মামলা-হামলার শিকার

বিগত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিএনপির প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথে ছিলেন মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, সেই সময় তাঁর সাহসী নেতৃত্বে বরিশাল-৪ আসনে বহু নেতাকর্মী সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। বিভিন্ন সময় পুলিশের গুলিবর্ষণ, লাঠিচার্জ, গ্রেফতার ও নির্যাতনের মুখেও ফরহাদ রাজপথে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে একাধিক রাজনৈতিক ও মিথ্যা মামলা। দিনের পর দিন তাঁকে আদালতের বারান্দায় ঘুরতে হয়েছে, কখনো কারাবরণও করতে হয়েছে—তবুও তিনি পিছপা হননি।

নেতাকর্মীদের পাশে থাকা এক অবিচল নেতৃত্ব

মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ শুধু নিজেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেননি, বরং তৃণমূলের নেতাকর্মীদের খোঁজখবর রাখা, তাদের আইনি সহায়তা দেওয়া এবং পরিবারের পাশে দাঁড়ানোতেও তাঁর সুনাম রয়েছে। কারাবন্দী কর্মীদের পরিবারের খোঁজ নেওয়া থেকে শুরু করে চিকিৎসা বা আর্থিক সহায়তা দেওয়া—সবখানেই তাঁর ভূমিকা ছিল নীরব কিন্তু নিরবচ্ছিন্ন।

মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলার মাঠ পর্যায়ের তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং প্রত্যেকের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ফরহাদকে একজন সত্যিকারের জননেতায় পরিণত করেছে। কর্মীরা মনে করেন, ফরহাদ শুধু নেতা নন—তাঁদের আত্মার আত্মীয়, বিপদের সময়ের অভিভাবক।

আসন্ন নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে অগ্রভাগে

দলীয় সূত্রমতে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদকে বরিশাল-৪ আসনে বিএনপির অন্যতম মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত তাঁর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা তাঁকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে গেছে।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করছেন, যদি ত্যাগ, আদর্শ, এবং জনসম্পৃক্ততা বিবেচনায় মনোনয়ন প্রদান করা হয়, তবে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদই হতে পারেন বরিশাল-৪ আসনের সবচেয়ে উপযুক্ত ও জনভিত্তিক প্রার্থী।

ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-মাইক্রো-প্রাইভেটকারের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১ আহত হয়েছেন অন্তত চারজন

অপি মুন্সী : শিবচর ( মাদারীপুর ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৪:৫৯ পিএম
ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-মাইক্রো-প্রাইভেটকারের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১ আহত হয়েছেন অন্তত চারজন

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জের ষোলঘর এলাকায় বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের ত্রিমুখী সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত চারজন।

মুন্সীগঞ্জের ষোলঘর এলাকায় বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের ত্রিমুখী সংঘর্ষ

শুক্রবার (২০ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকামুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত চালক শেখ ইবনে হিরো (৩৬) গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী ঘোনাপড়া গ্রামের সরুজ শেখের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকামুখী একটি প্রাইভেটকারের চাকা নষ্ট হয়ে গেলে চালক ও যাত্রীরা তা মেরামতের চেষ্টা করছিলেন। এ সময় পেছন দিক থেকে দ্রুতগতির একটি হাইস মাইক্রোবাস এসে প্রাইভেটকারটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এরপর বিএম পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস মাইক্রোবাসটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনটি যানবাহনই দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় পাঁচজনকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন সরিয়ে নেওয়ার পর এক্সপ্রেসওয়ের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এদিকে দুর্ঘটনা কবলিত যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোটিক জব্দ করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পর পালিয়েছে অভিযুক্ত বাস চালক ও হেলপার।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী জানান, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে একটি যান সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আরও দুটি যান সারানোর চেষ্টা চলছে। আড়াই ঘন্টা ধরে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।

আহত হয়েছেন অন্তত চারজন

ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-মাইক্রো-প্রাইভেটকারের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১

অপি মুন্সী : শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৪:৫৯ পিএম
ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-মাইক্রো-প্রাইভেটকারের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জের ষোলঘর এলাকায় বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের ত্রিমুখী সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত চারজন।

মুন্সীগঞ্জের ষোলঘর এলাকায় বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের ত্রিমুখী সংঘর্ষ শুক্রবার (২০ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকামুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত চালক শেখ ইবনে হিরো (৩৬) গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী ঘোনাপড়া গ্রামের সরুজ শেখের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকামুখী একটি প্রাইভেটকারের চাকা নষ্ট হয়ে গেলে চালক ও যাত্রীরা তা মেরামতের চেষ্টা করছিলেন। এ সময় পেছন দিক থেকে দ্রুতগতির একটি হাইস মাইক্রোবাস এসে প্রাইভেটকারটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এরপর বিএম পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস মাইক্রোবাসটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনটি যানবাহনই দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

পরকীয়া পাপের পথ! ঝিনাইগাতীর গৃহবধূর করুণ পরিণতি

তৌহিদুর রহমান ( শেরপুর) সংবাদদাতাঃ   প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৪:০৪ পিএম
পরকীয়া পাপের পথ! ঝিনাইগাতীর গৃহবধূর করুণ পরিণতি

পরকীয়ায় জড়িয়ে একুল ওকুল দু কুল হারালেন আইরিন নামে এক গৃহবধূ। ওই গৃহবধূ ঝিনাইগাতী উপজেলার দড়িকালিনগর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে সুমন মিয়ার স্ত্রী ও পার্শ্ববর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী গ্রামের আমজাদ মিয়ার কন্যা। জানা গেছে গত ৩ বছর পুর্বে আইরিনের বিয়ে হয় সুমন মিয়ার সাথে। সুমন মিয়া ও আইরিনের ঘর সংসার চলাকালে গত ৩ মাস ধরে আরাফাত নামে এক ছেলের সঙ্গে ফেসবুকে সম্পর্ক গড়ে তুলে আইরিন । বিষয়টি এলাকাবাসীর জানাজানি হয়ে গেলে সুমন ও আইরিনের সংসারে দেখা দেয় অশান্তি। এদিকে আরাফাতের সাথে আইরিনের মোবাইলে ও মেসেঞ্জারে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত ছিল। এক পর্যায়ে গত ১৬ জুন সোমবার আরাফাতের সাথে অজানার উদ্যেশ্যে পারি জমাতে আইরিন স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে ঝিনাইগাতী বাজারে আরাফাতে কাছে আসে। কিন্তু আরাফাত আইরিনের সাথে দেখা না করে গা- ঢাকা দেয়। এতে বিপাকে পরে আইরিন। আরাফাতকে খুঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ঝিনাইগাতী বাজারে আইরিনের সাথে দেখা মেলে আইরিনের তাওই শশুর লাল মিয়ার সাথে। পরে বিস্তারিত জেনে লাল মিয়া আইরিনকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। এসময় লাল মিয়া বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আইরিনের জবানবন্দি নেয়। আইরিন পুলিশ কে আরাফাতের সাথে সম্পর্কের কথা জানিয়ে তার স্বামী সুমন মিয়ার ঘর সংসার করবেন না বলে জানান। পরে পুলিশের সহায়তায় আইরিনকে তার বাবা আমজাদ মিয়ার হাতে তৃলে দেয়। এঘটনাকে কেন্দ্র করে সুমন মিয়াও আর আইরিনকে ঘরে তুলতে চাইছেন না। অপরদিকে আরাফাতের সন্ধ্যানও মিলছে না। ফলে পরকীয়া জড়িয়ে একুল ওকুল দু কুলই হারালেন গৃহবধূ আইরিন। ঘটনাটি এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।