শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

সালেহা সালমা

নিজেকে ভালো রাখো

সালেহা সালমা প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ১:০৮ পিএম | 30 বার পড়া হয়েছে
নিজেকে ভালো রাখো

নিজেকে ভালো রাখো-
কারণ সবাই পাশে থাকবে এমন নয়।
যাদের জন্য নিজের সবকিছু উজাড় করে দাও,
তারা একদিন বলে যেতে পারে-
“তুমি বদলে গেছো।”
নিজের জন্য বাঁচতে শেখো,
ভালোবাসো নিজেকে-
যেমনটা তুমি অন্যদের ভালোবাসো নিঃস্বার্থভাবে।
দিনের শেষে তোমার নিজের মনটাই
হোক তোমার সবচেয়ে বিশ্বস্ত আশ্রয়।
নিজেকে ভালো রাখা কোনো অহংকার নয়-
এটা হলো বেঁচে থাকার সবচেয়ে সুন্দর উপায়।

পরিবারের মাঝে দুশ্চিন্তা

ভূরুঙ্গামারী ৩২ বছরের ছমির ৪০ ইঞ্চি উচ্চতা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৫:৪৯ পিএম
ভূরুঙ্গামারী ৩২ বছরের ছমির ৪০ ইঞ্চি উচ্চতা

বয়স ৩২ ছুঁইছুঁই উচ্চতাও ৪০ ইঞ্চি দেখতে অবিকল শিশুর মতোই কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর আছর উদ্দিন ছমির। শুধু তাই নয়, শিশুসুলভ আচরণ নিয়ে সারাদিন খেলাধুলাও করছেন গ্রামের অন্য শিশুদের সঙ্গে।

উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামের চেয়ারম্যান পাড়ার আজিম উদ্দিন ও আছিয়া বেগম দম্পতির ছেলে আছর উদ্দিন ছমির। বর্তমানে তার দরিদ্র মা-বাবা দেখাশোনা করলেও আছর উদ্দিনের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত তার পরিবার।

উন্নত চিকিৎসায় জন্মগত ত্রুটির কারণে এমন রোগে আক্রান্ত এসব সন্তান কিছুটা ভালো হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এছাড়া অনেক রকম জন্মগত ত্রুটি মায়ের গর্ভকালীন উপযুক্ত পদক্ষেপ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা দিয়ে প্রতিকার করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাড়ির বাইরে ৪ থেকে ৭ বছর বয়সি শিশুদের সঙ্গে এক মনেই খেলাধুলা করছেন আছর উদ্দিন ছমির। এই শিশুদের দেখে বুঝার উপায় নেই সেখানে খেলা করছে ৩২ বছরের ছমির।

ছমিরের স্বজন ও সমবয়সীরা জানান, ভোটার আইডিতে বয়স কিছুটা কম হলেও তার বয়স আসলে ৩২ ছুঁইছুঁই। অথচ ৮ বছরের শিশুর মতোই তার দৈহিক আকৃতি ও মানসিক অবস্থা। এই দরিদ্র দম্পতির এক মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে আছর উদ্দিন ছমির দ্বিতীয় এবং ছেলের মধ্যে বড়।

বৃষ্টি এবং নারী

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৫:২৫ পিএম
বৃষ্টি এবং নারী

কেন বৃষ্টি ও নারী নিয়ে এত গান, এত কবিতা? বৃষ্টির ছোঁয়ায় মেয়েদের মন বেশি পুলকিত হয় কেন?
✓শুধু আবেগ নয় এই প্রশ্নের উত্তরে- রয়েছে মনস্তত্ত্ব, নারীবাদী চেতনা, প্রকৃতির প্রতীকী তাৎপর্য এবং গভীর আধ্যাত্মিক ভাবনা।
বৃষ্টির ছোঁয়ায় মেয়েরা পুলকিত হয় কেন? চলো, প্রথমে এই বিষয়টি আলোচনা করি-
🌧️ ১. নারী ও বৃষ্টির মিল (উর্বরতা, সৃষ্টিশীলতা, কোমলতা):
নারী ও প্রকৃতি -দুটিই সৃষ্টিশীল, উর্বর, এবং ধারণক্ষমতা সম্পন্ন। বৃষ্টি যেমন মাটিকে জাগিয়ে তোলে, তেমনি নারীর মনও স্নিগ্ধতা, করুণা ও সৃষ্টির সম্ভাবনায় ভরপুর।
নারীর হৃদয় কোমল সংবেদনশীল- আর বৃষ্টি সেই সংবেদনশীল অনুভবগুলিকে আলতো করে জাগিয়ে তোলে। এ যেন ভেতর থেকে এক ‘স্ত্রীপ্রকৃতি’র পুনর্জাগরণ। এ যেন এক অপার প্রেমের মাতামাতি- সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।
🌿 ২. আবেগ প্রকাশে নারীরা বেশি সপ্রতিভ, আর বৃষ্টি যেন সেই আবেগের ভাষা:
বৃষ্টি হলো এক চাপা কান্না, সুদূরে হারিয়ে যাওয়া কোন প্রেম, না বলা অনুভব… যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না, কেবল অনুভবে ধরা যায়। আর আবেগ, অনুভব, অনুভূতি প্রকাশে নারীরা অত্যন্ত প্রবণ ও স্পর্শকাতর। তাই বৃষ্টি এলে, সেই সব আবেগ- যা হয়তো হৃদয়ের কোণে এতদিন জমে ছিল, তা অবলিলায় বেরিয়ে এসে হৃদয় প্লাবিত করে তুলে।
🎶 ৩. নান্দনিকতা ও কল্পনাশক্তির ক্ষেত্রেও নারীরা বৃষ্টির মতো:
মেয়েদের কল্পনাশক্তি, রোমান্টিকতা ও সৌন্দর্যবোধ প্রাকৃতিক নিয়ামক গুলোর (বৃষ্টি, ফুল, আকাশ, নদী, হাওয়া, খোলা প্রান্তর) স্পর্শে এসে উদ্বেলিত হয়ে উঠে এবং পাখা মেলে দিতে চায় নিরোদ্দেশের পথে।
বৃষ্টি মানে শুধু জলের ফোঁটা নয়; গান, নাচ, কল্পনা, স্মৃতি, অপেক্ষা- সব মিলিয়ে এক মায়াবী আবহের পরশ।
অনেক নারী বলেন, “বৃষ্টিতে ভিজলে, আমি যেন পুরোনো আমিকে খুঁজে পাই।”
এই নিজেকে ফিরে পাওয়ার যে অনুভূতি, তা এক অপার আনন্দের উৎস হয়ে হৃদয়ে নেচে উঠে।
💖 ৪. প্রেম ও বৃষ্টির আধ্যাত্মিক যোগ- নারীর হৃদয়ে গভীরতর প্রভাব ফেলে:
বৃষ্টি আদি থেকেই প্রেমের প্রতীক এবং প্রেম জাগানিয়া এক শক্তি। যে শক্তি নারীর হৃদয়বিণায় প্রেমের সুর তোলার অছিলা খোঁজে চলে অহর্নিশ।
তাছাড়া নারী সবকিছুকে যেমন হৃদয় দিয়ে ভালোবাসতে জানে, তেমনি বৃষ্টিকে তারা অনুভব করে আত্মার গভীর স্তর থেকে।
যখন আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি নামে, তখন নারীদের মনে এই রুপ অনুভূতি জেগে উঠে যে,
“এই আকাশ, এই মাটি, এই মুহূর্ত- সব কিছু যেন আমাকে জড়িয়ে ধরছে।”
এ যেন এক ধরনের অন্তরাত্মার আলিঙ্গন।
….এ যেন নাচুনে বুড়ির ঢোলের বাড়ি!!
🔮 ৫. নারীর ভেতরে এক ‘প্রাকৃতিক ছন্দ’ আছে, যা বৃষ্টির ছন্দে সাড়া দেয়:
নারীর দেহ ও মন চলাফেরা করে এক বিশেষ ধরণের চক্রের মধ্য দিয়ে- যা প্রকৃতির ঋতুচক্রের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। বৃষ্টি সেই প্রাকৃতিক ছন্দেরই একটি অংশ। তাই নারীরা কখনও বুঝে, কখনও না বুঝেই বৃষ্টির অবারিত সেই ছন্দে একাত্ম হয়ে পুলকিত হয়ে উঠে।
✨ সংক্ষেপে বললে:
বৃষ্টির স্পর্শে মেয়েরা পুলকিত হন, কারণ তারা নিজের ভেতরের সেই আলো, জল, কান্না ও ভালোবাসার গভীর স্তরগুলো স্পর্শ করতে পারেন- যা হয়তো অন্য সময়ে চাপা পড়ে থাকে।
“বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা যেন নারীর হৃদয়ে অঙ্কিত এক কবিতা, যা কেবল অনুভব করা যায়- বোঝানো যায় না।”
——
বৃষ্টি প্রসঙ্গে আরো কিছু আধ্যাত্মিক কথাঃ
✓প্রাচীন ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক ভাবনায়, বৃষ্টি পাপ ধুয়েমুছে, মাটি ও মানুষ- উভয়কে শুদ্ধ করে। যেমন ইসলামে বৃষ্টির পানি পবিত্র, হিন্দু দর্শনে গঙ্গাজলের মতোই তা জীবন দানকারী।
আধ্যাত্মিকভাবে, বৃষ্টি আমাদের অন্তর্গত ক্লান্তি, গ্লানি ও কষ্ট ধুয়ে দিয়ে এক নতুন জীবনবোধের জন্ম দিয়ে থাকে।
✓মেঘ জমে যেমন আকাশ অন্ধকার হয়, তেমনি মানুষের মনেও ক্লান্তির মেঘ জমে।
আর বৃষ্টি? সেই মেঘভরা অন্তরকে স্বস্তি, কান্না বা আনন্দের রূপে প্রকাশিত করে। অনেকেই বলে, “আমি কান্না চাপা দিতে বৃষ্টিতে বের হই” -কারণ বৃষ্টি মানে একটা নির্ভরযোগ্য আবরণ, যেখানে মানুষ নিজের আবেগকে ভয় ছাড়াই ঢেলে দিতে পারে।
✓বৃষ্টি হলো সৃষ্টি ও প্রেমের প্রতীক।
সব বীজ ঘুমিয়ে থাকে বৃষ্টি না আসা পর্যন্ত।
আধ্যাত্মিকভাবে, এই বীজ হলো আমাদের গভীর সম্ভাবনা। বৃষ্টি আসলে সৃষ্টির রহস্যে ঘেরা এক মহাজাগতিক আলিঙ্গন।
আর প্রেম? প্রেমও তো তেমনই- না দেখা এক আকাঙ্ক্ষা, যা ছুঁয়ে গেলে হৃদয় অঙ্কুরিত হয়ে জেগে উঠে।
তাই প্রেমিকেরা বৃষ্টিতে একসাথে ভিজতে চায়- এ যেন আবেগীয় এক আত্মিক মিলন।♥️
✓বৃষ্টি পড়লেই আধুনিক ব্যস্ততা স্তব্ধ হয়ে হঠাৎ করেই সময় থমকে যায় এবং আমরা নিজের সঙ্গে সচেতন ভাবে দেখা করি। এই ‘দেখা’ অনেকটা ধ্যানের মতো, যেখানে শব্দ নেই, কেবল অনুভব আছে। আধ্যাত্মিকভাবে, এই মুহূর্তটি হচ্ছে ‘বর্তমান’ ও ‘অমরতার’ স্পর্শ।
বৃষ্টি ঈশ্বরের কান্নাও হতে পারে। বিভিন্ন কবিতায় বা আধ্যাত্মিক ভাবনায় বলা হয়,
“আকাশ কাঁদে, পৃথিবী শান্ত হয়”-
এ যেন সৃষ্টিকর্তার হৃদয় নিঃসৃত করুণা, যা বাস্তবতার আঘাতে কঠিন হয়ে যাওয়া আমাদের মনকে গলিয়ে দেয়। এই কান্না মানবতার প্রতি এক নিরব আশীর্বাদ।
🌿 তাহলে, কেন মানুষ বৃষ্টি ও নারী নিয়ে এত গান, কবিতা রচনা করে?
কারণ বৃষ্টির আবহ এবং নারীর চিরায়ত রূপ আমাদের এমন এক অনুভূতির দরজা খুলে দেয়, যেখানে ভালোবাসা, শূন্যতা, তৃষ্ণা, অপেক্ষা আর পরিপূর্ণতা সব একসাথে বিরাজ করে।
আমরা যখন বৃষ্টি দেখি কিংবা নারীর অবারিত নান্দনিক রূপ-
পক্ষান্তরে আমরা আসলে নিজেকেই দেখি আর নিজের না বলা কথা শুনি।
তাই ‘নারী ও বৃষ্টি, শব্দ দুটি সেই অনুসঙ্গ, যা মূলতঃ আমাদের আত্মার ক্ষণিক পুনর্জাগরণ ঘটিয়ে থাকে।
✨ শেষ কথাঃ
“নারী কিংবা বৃষ্টি’ মূলতঃ প্রকৃতির নয়, আত্মার ভাষা। যা বাইরে থেকে নয়, আমাদের ভিজিয়ে দেয়- ভেতর থেকে।”🥰

নিজেকে ভালো রাখার জন্য কিছু দরজা বন্ধ রাখাই শ্রেয়

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৫:২৪ পিএম
নিজেকে ভালো রাখার জন্য কিছু দরজা বন্ধ রাখাই শ্রেয়

নিজেকে ভালো রাখার জন্য কিছু দরজা বন্ধ রাখাই শ্রেয় I
সবাইকে ধরে রাখতে হয় না।
সব সময় সদয় থাকলে, মানুষ সেটা অধিকার ভাবতে শুরু করে।
একটা সময় বুঝেছি—নিজের মনের জানালা সব সময় খোলা রাখলে, ধুলা-বালি ঢুকবেই।
তাই এখন দরজা জানালা বুঝে খুলি। সম্পর্ক বুঝে রাখি।
আগে ভাবতাম, সম্পর্ক মানেই নিরন্তর খোঁজ নেওয়া, সময় দেওয়া, আপস করা।
এখন বুঝি—মানুষের কিছু আচরণ নিজের সম্মানের সাথে যায় না।
কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করি:
এক দিদি ছিল, প্রায়ই টাকা ধার নিত।
ফেরত দিতে ভুলে যেত, মনে করিয়ে দিলে বলত—“আরে না, দিয়ে দিয়েছি তো!”
কিন্তু মাসের পর মাস কেটে যেত, টাকাও আসত না, দৃষ্টিও বদলাত।
অদ্ভুত ব্যাপার, সে প্রায়ই আমার বাসায় আসত, খেত-দিতাম, গল্প করতাম।
কিন্তু আমি একবার ওর বাসায় গেলাম , প্লাস্টিকের গ্লাসে পানি দিয়ে বলেছিল, ‘কাজ আছে, পরে দেখা হবে।’
সেদিনই বুঝেছিলাম—মানবিকতা একতরফা হলে, সেটা বোকামি হয়ে দাঁড়ায়।”
এক বন্ধু ছিল, শুধু নিজের সুবিধামতো যোগাযোগ রাখত।
ওর প্রেমে ঝামেলা, তখন আমি therapist!
ওর বাড়ির সমস্যা, আমি lawyer!
কিন্তু আমি যখন একটু মন খারাপ করে বলি, “আজকে খারাপ লাগছে”—সে reply করে, “আমি একটু busy”।
আজও ইনস্টায় দেখে, ক্যাফেতে বসে latte খাচ্ছে।
আমি আর বিরক্ত হই না, কারণ বুঝে গেছি—কারো কাছে তুমি প্রয়োজন, কারো কাছে তুমি মানুষ। আমি দ্বিতীয় দলে থাকতে চাই।
এক আত্মীয়, সবসময় ছুটি পেলেই আমার বাসায় আসত,
বাচ্চারা খেলত, আমি রান্না করতাম, গল্প করতাম, ওরা খুশি হতো।
একবার হঠাৎ আমার বাসায় গ্যাস নেই, ভেবেছিলাম, ওদের বাসায় খেয়ে আসব।
গিয়ে দেখি, ও বলছে “আমরা একটু বাইরে যাচ্ছি, আরেকদিন এসো।”
তখনই বুঝলাম—সব ‘আপনজন’ আসলে আপন না, অনেকে শুধু সুবিধাজনক জায়গা খোঁজে।
সেই দিন থেকে আমি শুধু দূর থেকেই সালাম দেই, ঘর পর্যন্ত আর ঢুকি না।
এক কলিগ, আমার থেকে বারবার ফাইল তৈরিতে সাহায্য নিয়েছে।
নিজের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফোন করে ধরিয়ে রাখত,
আর আমার কাজের সময়? বলত, “তুই তো পারিস! তোর জন্য এটা কি এমন কঠিন?”
কিন্তু অফিসে প্রমোশনের প্রশ্নে একবার আমাকে বাদ দিয়ে নিজের নাম প্রস্তাব করেছিল।
সেই দিনই বুঝেছিলাম—যাদের কাছে তুমি ‘পারফেক্ট মেশিন’, তারা কখনও তোমাকে মানুষ ভাবে না।
সেই সম্পর্কের তার কেটে দিয়েছি, শান্তিতে আছি।
এক বান্ধবী, সব সময় আমার কাছ থেকে সাজগোজ, শপিং, ছবি তোলা—সব কিছুতেই সাহায্য নিত।
সে একবারও আমার কাজের বিষয়ে জিজ্ঞেস করেনি।
আমার একটি প্রজেক্টে সাহায্য চাইলে বলেছিল, “এই সময় আমার শরীর ভালো না।”
অথচ আমি তাকে ইনস্টায় দেখলাম ব্রাইডাল ট্রায়ালে ব্যস্ত।
সেদিন বুঝলাম—কিছু মানুষ তোমার উদারতাকে ব্যবহার করে, যতক্ষণ না তুমি সীমারেখা টানো।
আমি সেটা করেছি, সময় মতো।
কিছু সম্পর্ক, যেগুলোর ভার কেবল একপাশে পড়ে থাকে:
এক পরিচিত আপু ছিলেন, সব সময় ফোন দিতেন শুধুই নিজের দুঃখ শোনাতে।
একদিন যখন আমিই ভেঙে পড়েছিলাম, আর তাকে বলতে চেয়েছিলাম, তখন তিনি বলেছিলেন, “আরে এসব বিষয় আমি বুঝি না, পরে কথা বলি।”
আমি বুঝে গেছি, উনি আমার দুঃখের জন্য না, নিজের আরাম খোঁজার জন্য যোগাযোগ রাখেন।
এক বন্ধুর জন্মদিনে আমি কেক নিয়ে গেলাম, অথচ আমার জন্মদিনে সে একবারও ফোন দেয়নি। বলেছিল, ওই দিন নেটওয়ার্ক ছিল না। আমি মনে মনে বলেছি—বন্ধুত্ব যদি নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভর করে, তাহলে সেটা রাখারও দরকার নেই।
একবার এক আত্মীয়ের বাসায় দাওয়াতে গিয়েছিলাম।
চোখে মুখে হাসি, কিন্তু কথার ভেতরে ছিল কাঁটা।
একটা মন্তব্য—“তুমি তো কিছু করো না, বাসাতেই থাকো বেশি”—সেই একটা বাক্য আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছিল, সব দাওয়াত সম্মান নয়, কিছু দাওয়াত শুধুই ফর্মালিটি।সেই থেকে আমি ‘না’ বলতে শিখেছি।
✅ কী করা উচিত:
• নিজের ইচ্ছার বাইরে কাউকে খুশি করতে যেও না।
সম্মান তখনই থাকে, যখন তা আত্মসম্মান নষ্ট না করে।
• সময়মতো দূরত্ব তৈরি করো।
একবারের অপমান সহ্য করলে, মানুষ দ্বিতীয়বার সেটা অভ্যাস করে ফেলে।
• যারা কেবল নিজের প্রয়োজনে খোঁজ নেয়, তাদের জন্য আলাদা বাউন্ডারি রাখো।
ওদের কথা শুনো, হাসো, কিন্তু মন খুলে দিও না।
• ‘না’ বলাটা শিখে ফেলো—এটা আত্মরক্ষা।
‘না’ বললে অনেকে দূরে সরে যাবে, কিন্তু ওদের না যাওয়াটাই বিপদ।
❌ কী করা উচিত নয়:
• বেশি ভদ্র হতে গিয়ে নিজেকে ছোট করো না।
“ভদ্র” হবার চেষ্টায় অনেকেই নিজের অনুভূতির কবর দিয়ে ফেলে।
• যারা একবার আঘাত করেছে, তাদের বারবার সুযোগ দিও না।
‘দ্বিতীয় সুযোগ’ মানে অনেক সময় ‘দ্বিতীয়বার কষ্ট’।
• ভুল মানুষদেরকে ঠিক করার দায়িত্ব নিও না।
তুমি কাউন্সেলর নও, থেরাপিস্ট নও—তুমি একজন মানুষ, যার নিজের অনুভূতির যত্ন নেওয়াও জরুরি।
• নিজের অবস্থান বোঝাতে গিয়ে চোখে জল এনো না।
যে বোঝে না, সে কান্না দেখেও ব্যস্ত থাকবে অন্য কাজে।
আজ আমি কেমন?
• নিজের জায়গা বোঝাতে শিখেছি।
• ভালোবাসা দিতে আগে ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্যতা দেখি।
• অপরাধবোধ ছাড়াই ব্লক করি, মিউট করি, দূরে যাই—কারণ সেটা আমার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য দরকারি।
🔚 সব সম্পর্ক পবিত্র নয়,
সব সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ নয়,
সব সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হওয়াও জরুরি নয়।
তোমার জীবনের প্রতিটা মানুষ যদি তোমার স্পেস, সম্মান আর সংবেদনশীলতা বুঝতে না পারে—তবে সেই সম্পর্ক শুধু নামমাত্র একটা বোঝা।
জীবন ছোট, সময় অল্প। সব জায়গায় খুশি ছড়াতে গিয়ে নিজেকে ধ্বংস কোরো না।
নিজেকে ভালোবাসো, নিজের মনকে গুরুত্ব দাও।
কিছু দরজা বন্ধ রাখো—সেটা তোমার শান্তির জন্য।