সোমবার, ২ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
সোমবার, ২ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

একটি জাতির না বলা কান্না

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ২:১১ পিএম | 138 বার পড়া হয়েছে
একটি জাতির না বলা কান্না

তিনি ছিলেন এক সুশৃঙ্খল সেনানায়ক, এক সাহসী মুক্তিযোদ্ধা, এক দূরদর্শী রাষ্ট্রপতি। যিনি যু*দ্ধ করেছিলেন অ*স্ত্র হাতে, আর শান্তি এনেছিলেন কলম হাতে। যিনি ১৯৭১ সালে রেডিওতে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তুলেছিলেন, আজ ইতিহাসের পাতায় তাঁর নামটি মুছে ফেলার চক্রান্ত চলে!
১৯৮১ সালের ২৯ মে, রাষ্ট্রপতি হিসেবে নয়, জনগণের নেতা হিসেবে তিনি পা রাখলেন চট্টগ্রামের মাটিতে। তাঁর নিজের গো*য়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই তাঁকে আগেই সতর্ক করেছিল, সেখানে ষ*ড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেছিলেন, নিজের ওপর, নিজের সহযোদ্ধাদের ওপর, নিজের দেশের ওপর।
তিনি প্রটোকল নেননি, কারণ তাঁর বিশ্বাস ছিল, যদি একজন নেতা নিজের জনগণের মধ্যে নিরাপদ না থাকেন, তবে সে নেতৃত্বের কোনো মূল্য নেই। এই বিশ্বাসই তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল সেই অন্ধকার রাতের দিকে, যেখানে অপেক্ষা করছিল বিশ্বাসঘাত*কতা, ষ*ড়যন্ত্র আর মৃত্যু।
জেনারেল আবুল মনজুর, যিনি ছিলেন তাঁরই নিযুক্ত, তাঁরই আস্থাভাজন, তাঁরই কাঁধে রাষ্ট্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেই মনজুরই এক ভয়ঙ্কর চক্রে জড়িয়ে ষ*ড়যন্ত্র করেন। যে চক্রে নেতৃত্ব দিয়েছিল এক উচ্চাকাঙ্ক্ষী নারী, যার হাতে গ*ণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন জিয়া নিজেই। তিনি বোঝেননি, যাদের তিনি জীবন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, তারাই একদিন তাঁর জীবন কেড়ে নেবে।
সেই রাতেই বজ্রঝড়ের মধ্যে তিনি শেষবারের মতো ফোন করেন তাঁর স্ত্রী, প্রিয়তমা বেগম খা*লেদা জি*য়াকে, যিনি আজ “গ*ণত*ন্ত্রের মা” হিসেবে পরিচিত। তিনি শুধু বলেছিলেন,
“আল্লাহ চায় তো সকালে চলে আসব।”
কিন্তু ভাগ্য তখনই হয়ত লিখে রেখেছিল তাঁর বিদায়ের প্রতিটি লাইন। সেটিই ছিল তাঁর জীবনের শেষ ফোনকল, শেষ বার্তা, একজন স্বামীর, একজন বাবার, একজন রাষ্ট্রপতির।
রাত আড়াইটায়, চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে হা*মলা হয়। রকেট ল*ঞ্চার, এস*এমজি, গ্রে*নেড, সবকিছু দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রেসিডেন্টের ঘুম ভাঙে বিস্ফো*রণের শব্দে। একে একে তাঁর নিরাপত্তা কর্মকর্তারা প্রাণ দেন। শেষ পর্যন্ত জি*য়াকে লক্ষ্য করে চালানো হয় একের পর এক গু*লি। হ*ত্যাকারী লে. কর্নেল মতিউর রহমান দুটি ম্যাগাজিন খালি করে দেয়, শরীর আর মুখ একেবারে গু*লিতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। একজন রাষ্ট্রপতির দেহ নয়, বাংলাদেশের আত্মাকেই যেন গু*লি করে ছিন্নভিন্ন করা হয়েছিল।

লালমনিরহাটে জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর আসবাবপত্র পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা

চয়ন কুমার রায় লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ১০:৪২ পিএম
লালমনিরহাটে জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর আসবাবপত্র পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা

লালমনিরহাট শহরে জাতীয় পার্টির (জাপা) জেলা কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বিডিআর রোড আলোরুপা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৪-৫টি মোটরসাইকেলে করে আসা ১২-১৩ জন হেলমেট পরা দুর্বৃত্ত তালা ভেঙে কার্যালয়ে প্রবেশ করে। তারা ভেতরের চেয়ার, টেবিল, সোফা, আলমারি ও নেতাদের ছবিসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে সেগুলো রাস্তায় এনে আগুন ধরিয়ে দেয়। লুট করা হয় পারি্টি অফিসের টেলিভিশনসহ দামি আসবাবপত্র।
দুর্বৃত্তরা চলে গেলে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিছুক্ষণ পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। এর সেখানে চলে আসে সেনাবাহিনীর একটি দল। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

প্রত্যক্ষদর্শী কাওসার রানা বলেন, “ওদের মাথায় হেলমেট ছিল। অনেকের হাতে লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্রও ছিল। কাউকে চেনা যায়নি।”

জাতীয় পার্টির লালমনিরহাট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান লিমন বলেন, “এটি একটি পরিকল্পিত হামলা। আমাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি এবং রবিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, শনিবার দুপুরে পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের রংপুরের বাসভবনে হামলার প্রতিবাদে লালমনিরহাটে বিক্ষোভ মিছিল হয়। এরপর সন্ধ্যায় দলের স্থানীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা শেষে অফিসটি তালা দেওয়া হয়েছিল।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার্স ইরচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নূরনবী বলেন, “সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায়। দুর্বৃত্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।”

দুবাইয়ে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালিত

মোহাম্মদ ওসমান চৌধুরী আরব আমিরাত প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ১০:৩৯ পিএম
দুবাইয়ে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালিত

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শাখা। এই উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার (৩১ মে) রাতে দুবাইয়ের মৌরি হোটেলে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাত বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন দুবাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী আবুল মনসুর।

দুবাই বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিসের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএই বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সিরাজুল ইসলাম নওয়াব, দুবাই বিএনপির সহ সভাপতি জানে আলম জনি, দুবাই যুবদল সভাপতি ইউনুছ বাচ্চু।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- হিরো করিম, লায়ন ওসমান চৌধুরী, আবদুস সাত্তার, ইয়াছিন আরাফাত, আনোয়ার হোসেন, আলাউদ্দিন, আবদুল্লাহ আব্বাস, আবদুল মন্নান ও মোহাম্মদ ইমাম প্রমুখ।

পরে শহীদ জিয়ার আত্মার মাগফিরাত ও দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়।

বগুড়া গাবতলী বাগবাড়ীতে শহীদ জিয়ার শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা বিএনপির আলোচনাসভা ও দোয়া মহফিল

আহসান হাবিব শিবলু, গাবতলী, বগুড়াঃ- প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ১০:৩১ পিএম
বগুড়া গাবতলী বাগবাড়ীতে শহীদ জিয়ার শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা বিএনপির আলোচনাসভা ও দোয়া মহফিল

(৩০ মে শুক্রবার) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে শুক্রবার (৩০ মে) বগুড়া গাবতলীর বাগবাড়ীতে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গদলের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিলটন।প্রধান বক্তা ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক নতুন।
উপজেলা বিএনপি সহ-সভাপতি প্রভাষক আশরাফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্যে রাখেন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এম আর হাসান পলাশ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মমিনুল হক মমিন, শাহাদত হোসেন খান সাগর। প্রচার সম্পাদক এম আর ইসলাম রিপনের পরিচালনায়, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুঞ্জুর মোরশেদ, সুরাইয়া জেরিন রনি, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান সুজন, আঃ গফুর টুকু, আক্তারুজ্জামান লিটন, মোর্শেদ লেমন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এম আর ইসলাম রাখু, আবু তাহের খন্দকার, নশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জোবাইদুর রহমান গামা, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান ফারুক, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আরিফুর রহমান মজনু, যুগ্ম আহবায়ক রুহুল হাসান রুহিন, মিনহাজুল, মশিউর রহমান সুমন, সদস্য জনি, আ: হালিম, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সোহেল রানা, উপজেলা তাতীদলের সভাপতি রাশেদুর রহমান রাঙ্গা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান হিরু, সদস্য সচিব সুজা উদ্দিন সুজা, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক পবন সরকার, পৌর জিয়া পরিষদের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম ভুট্টো, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি (ভার:) নাজমুল হাসান ডিটল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আরাফাত রহমান, ইলিয়াস মাহমুদ উজ্জল, সম্রাট বাদল, দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ ঠান্ডু, সহ-দপ্তর সম্পাদক রুহুল আমিন, উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাঙ্গা, সহ-সভাপতি তৌকির, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাহাত রহমান তাসকিন প্রমুখ। শেষে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

error: Content is protected !!