স্মৃতিধন্য শাহজাদপুরে দীর্ঘ আট বছরের প্রতীক্ষার পর শুরু হচ্ছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ
অবশেষে স্বপ্ন পূরণ—রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের অনুমোদন


রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস হবে নদীর মোহনায়, অর্থাৎ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ইতিহাস ঘেরা এক জায়গায়। সেই অনুযায়ী আমি নিচে একটি কল্পিত এবং আধুনিক ডিজাইনের বিবরণ দিলাম, যা ৫১৯ কোটি টাকার বাজেটের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য ও বাংলাদেশি প্রেক্ষাপটে আধুনিক হতে পারে:
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্পিত স্থায়ী ক্যাম্পাস ডিজাইন (২০২৫–২০২৯)
প্রাকৃতিক ও স্থাপত্যগত পরিকল্পনা:
লোকেশন: যমুনা নদীর মোহনায়—পানি ও সবুজে ঘেরা পরিবেশ।
ডিজাইন থিম: “শান্তিনিকেতনের ছায়ায়, বাংলার আধুনিক বর্ণনায়”
মূল স্থাপনা ও ফিচারসমূহ:
প্রধান ভবন (Administrative & Academic Block):
রবীন্দ্রনাথের লেখা ও কাব্যের অনুপ্রেরণায় বাউন্ডারি ছাড়া খোলা জায়গা।
ছায়াঘেরা লবনদৃশ্যের মতো প্রবেশপথ, পাথর ও কাচের সংমিশ্রণে।
ছাদে সৌরপ্যানেল ও বৃষ্টির পানি সংগ্রহের ব্যবস্থা।
উন্মুক্ত অডিটোরিয়াম:
খোলা আকাশের নিচে, নদীর পাড়ে, ৫০০ আসনের একটি আধুনিক মঞ্চ।
রবীন্দ্র সংগীত, নাট্যচর্চা ও সেমিনারের জন্য আদর্শ।
গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র:
ডিজিটাল আর্কাইভ সহ রবীন্দ্রনাথের রচনার ওপর বিশেষ সেকশন।
নদীর দিকে খোলা জানালায় প্রাকৃতিক আলো ও দৃশ্য।
স্টুডেন্ট হল ও আবাসন:
নদীর ধার ঘেঁষে স্থাপিত ৮ তলা দুটি ভবন (নারী ও পুরুষ পৃথক)।
প্রতিটি ফ্লোরে কমনরুম ও পাঠাগার।
সবুজ পরিবেশ ও খোলা প্রাঙ্গণ:
“চতুষ্কোণ বটতলা”—একটি কেন্দ্রীয় ছায়াময় বসার স্থান।
নদীর দিকে ওয়াকওয়ে ও কবিতা-পাথর বসানো—যেখানে রবীন্দ্র কবিতা খোদাই করা।
জলাভূমি সংরক্ষণ ও নৌ-পথ সংযোগ:
নদীপথে যাতায়াতের জন্য ছোট ঘাট ও নৌকা সার্ভিস।
জলজ উদ্ভিদের রিসার্চের জন্য ইকো-জোন।
এই ডিজাইনটির একটি ভিজ্যুয়াল চিত্র ।আশা করছি এমন ডিজাইন ডিজাইনেই তৈরি করা হবে। ইন-শা-আল্লাহ ।