সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সেনাপ্রধানের সাথে কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি মি. পল থোপিল এর সৌজন্য সাক্ষাৎ

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বুধবার, ৭ মে, ২০২৫, ৪:২৯ পিএম | 178 বার পড়া হয়েছে
সেনাপ্রধানের সাথে কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি মি. পল থোপিল এর সৌজন্য সাক্ষাৎ

কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি মি. পল থোপিল এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আজ সেনাসদরে সেনাপ্রধান এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে, পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি তাঁরা দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা জোরদারে কারিগরি সহায়তা এবং প্রযুক্তি আদান-প্রদান সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার মান্যবর হাইকমিশনার অজিত সিং উপস্থিত ছিলেন।

Canada’s Indo-Pacific Trade Representative Mr. Paul Thoppil’s Courtesy Call on with the Chief of Army Staff

Dhaka, 7 May 2025 (Wednesday): A delegation led by Mr. Paul Thoppil, Indo-Pacific Trade Representative of Canada, paid a courtesy call on to the Chief of Army Staff at the Army Headquarters today. In addition to exchange of mutual greetings, they expressed their desire to enhance military cooperation including military technical support and exchange of technology.

The meeting was also attended by H.E. Ajit Singh, High Commissioner of Canada in Bangladesh.

 

সিরাজুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

হরিপুরে প্রান্তিক কৃষাণীদের মাঝে জিংক ধান বিতরণ

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
[shared_counts] অ- অ+
হরিপুরে প্রান্তিক কৃষাণীদের মাঝে জিংক ধান বিতরণ

হারভেস্ট প্লাস রিয়্যাক্টস ইন প্রজেক্ট ও আরডিআরএস বাংলাদেশের আয়োজনে আজ( ৮ডিসেম্বর ) সোমবার ২০২৫ ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার কাঁঠালডাংগী বাজার ভাতুড়িয়া ফেডারেশনে ১২০জন কৃষাণীদের মাঝে প্রশিক্ষণ ও জিংক ধানের বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উক্ত হারভেস্ট প্লাস ও আরডিআরএস বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন রিঅ্যাক্টস ইন প্রজেক্টের আওতায় আজকের এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে মানবদেহে জিংকের গুরুত্ব, জিংকের প্রয়োজনীয়তা ও অভাবজনিত লক্ষণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও ব্রি ধান৭৪ ও ব্রি ধান১০২ জাতের ধানে জিংক এর পরিমাণ ও জিংক ধান উৎপাদন কৌশল, বীজ সংরক্ষণ পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়ে বক্তারা আলোচনা করেন।


হারভেস্ট প্লাস রিয়্যাক্ট ইন প্রক্লপে ও আরডিআরএস বাংলাদেশ রিঅ্যাক্টস- ইন প্রজেক্টের আওতায় আজ মোট ১২০ জন কিষানীকে প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণ শেষে প্রতি জনকে ৪ কেজি হারে জিংক সমৃদ্ধ বিধান ৭৪ এর বীজ বিতরণ করা হয়েছে। কৃষক প্রশিক্ষণ ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ফেডারেশন সভাপতি জনাব,মো:মোবারক হোসেন, উপসহকারী কৃষি অফিসার দূর্গা চরণ রায়, আরডিআরএস এর কৃষি কর্মকরতা আব্দুল্লাহ আল-বাকী কমিউনিটি মবিলাইজার রবীনাথ রায়, এবং কমিউনিটি ফ্যাসিলিলিটেটর সহ স্হানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

আশরাফুজ্জামান সরকার, গাইবান্ধাঃ-

পলাশবাড়ীতে গ্রীন ফিল্ড স্কুলের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে ওয়ারিশদের সংবাদ সম্মেলন

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩:১৬ পিএম
[shared_counts] অ- অ+
পলাশবাড়ীতে গ্রীন ফিল্ড স্কুলের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে ওয়ারিশদের সংবাদ সম্মেলন

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে পৈত্রিক জমি দখল করে স্কুল প্রতিষ্ঠার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওয়ারিশরা। ৭ ডিসেম্বর রবিবার রাত সাড়ে এগারোটায় পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগী আনছার আলী প্রধানসহ পরিবার সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করেন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তাঁর ছেলে আফিরুল প্রধান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অভিযুক্ত জনাব নুরুন্নবী প্রধান সবুজ হলেন আনছার আলী প্রধানের জ্যাঠাতো ভাই। তিনি একজন মার্কিন প্রবাসী ও পলাশবাড়ীর গ্রীন ফিল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। সামাজিক মর্যাদা ও আর্থিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ওয়ারিশরা।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, নিজেদের অংশের জমি ফেরত পেতে বহুবার দাবি জানানো হলেও নুরুন্নবী প্রধান সবুজ তালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করেছেন। সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তাঁরা গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্বত্ব ঘোষণাসহ ল্যান্ড সার্ভে মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মামলার আদেশের পরও বিরোধীয় তফসিলভুক্ত জমিতে স্কুল প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষা বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। উক্ত তফশিলভুক্ত জমিটি গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানার নুরপুর মৌজা, জেএল-৪২, সিএস খতিয়ান নং-১০, দাগ নং-৪০৮-এর মোট ৪৬ শতক জমি।

তাঁরা বলেন, “পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত আমাদের ন্যায্য সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছি। তাই সবার কাছে সত্যটি তুলে ধরতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন।”

সংবাদ সম্মেলনে পলাশবাড়ীর সুধী সমাজ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে সমস্যাটির ন্যায়সংগত সমাধানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ভুক্তভোগীরা।

এ সময় অন্যান্য ওয়ারিশদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শান্তনা বেগম, দুলাল প্রধান, বেলাল প্রধান, কাদের প্রধান ও সজিব প্রধান।

খলিফার কাঁধে আটার বস্তা

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩:১০ পিএম
[shared_counts] অ- অ+
খলিফার কাঁধে আটার বস্তা

ইসলামের ইতিহাসে হযরত উমর (রা.)-এর নাম আসলেই যে ছবিটি চোখের সামনে ভেসে ওঠে, তা হলো ন্যায়বিচার আর দায়িত্ববোধের এক জ্বলন্ত প্রতিমূর্তি। তিনি ছিলেন খলিফা, কিন্তু নিজেকে কখনো “রাজা” ভাবেননি। তিনি ভাবতেন নিজেকে প্রজার “দায়িত্বপ্রাপ্ত রাখাল” হিসেবে। আর সেই দায়িত্ববোধই তাঁকে রাতের অন্ধকারে মদিনার রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে বাধ্য করত।
একবার মদিনায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিল। শস্যের দাম আকাশছোঁয়া। গরিব-দুঃখী মানুষের ঘরে চুলা জ্বলছে না। খলিফা উমর (রা.) দিনে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন, আর রাতে গোপনে বেরিয়ে পড়েন—শুধু দেখার জন্য তাঁর প্রজারা কেমন আছে।
এক রাতে, গভীর রাত। চাঁদের আলোয় মদিনার পথ ধূসর। উমর (রা.) আর তাঁর সঙ্গী (কেউ কেউ বলেন আসলাম, কেউ বলেন আবদুর রহমান ইবন আউফ রা.) শহরের বাইরে একটি উপত্যকার দিকে যাচ্ছিলেন। দূর থেকে শোনা যাচ্ছে বাচ্চাদের কান্না। কাছে গিয়ে দেখেন, একটি ছোট্ট তাঁবু। ভিতরে এক মহিলা আর তার কয়েকটি বাচ্চা। বাচ্চারা পেটে হাত দিয়ে কাঁদছে, “মা, খাবার! খাবার!”
মা বারবার বলছে, “ঘুমাও বাবা, এখনই রান্না হয়ে যাবে।”
কিন্তু হাঁড়িতে কিছুই নেই—শুধু পানি আর কয়েকটা পাথর। পাথর গরম করে সে বাচ্চাদের মিথ্যে আশ্বাস দিচ্ছে যে, খিচুড়ি হচ্ছে।
উমর (রা.) দূর থেকে পুরো দৃশ্য দেখলেন। তাঁর চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে। সঙ্গীকে বললেন, “চলো, একটু দাঁড়াও।” তারপর তিনি নিজেই এগিয়ে গিয়ে মহিলাকে জিজ্ঞেস করলেন,
“তোমার বাচ্চারা কেন কাঁদছে?”
মহিলা চিনতে পারেননি যে খলিফা এসেছেন। রাগে-দুঃখে বললেন,
“আমার স্বামী মারা গেছে। খাবার নেই। উমর কোথায়? সে কি জানে না তার প্রজারা না খেয়ে মরছে? আল্লাহ তার হিসাব নেবেন!”
এ কথা শুনে উমর (রা.) আর দাঁড়াতে পারলেন না। তিনি সঙ্গীকে বললেন, “চলো, তাড়াতাড়ি।”
দুজনে দৌড়ে মদিনায় ফিরলেন। বায়তুল মালের গুদামে গিয়ে উমর (রা.) নিজের হাতে এক বস্তা আটা, এক বোয়াম ঘি, খেজুর, মাংস—যা পাওয়া গেল সব তুলে নিলেন। তারপর নিজের কাঁধে বস্তা তুলে নিলেন।
সঙ্গী বললেন, “আমিরুল মুমিনিন! আমাকে দিন, আমি বয়ে নিয়ে যাব। আপনি খলিফা।”
উমর (রা.) গম্ভীর কণ্ঠে বললেন,
“তুমি আমার এই বোঝা বইতে পারো, কিন্তু কিয়ামতের দিন যখন আল্লাহ জিজ্ঞেস করবেন, ‘আমার বান্দারা না খেয়ে কাঁদছিল, তুমি কী করেছিলে?’—তখন আমার গুনাহর বোঝা কে বইবে?”
সঙ্গী আর কথা বাড়ালেন না। দুজনে মিলে জিনিসপত্র নিয়ে আবার সেই তাঁবুতে পৌঁছালেন। উমর (রা.) নিজে হাঁড়ি চড়ালেন, আগুন জ্বালালেন, নিজের হাতে রুটি বানালেন, মাংস রান্না করলেন, খিচুড়ি তৈরি করলেন। বাচ্চাদের হাতে তুলে দিলেন।
কিছুক্ষণ আগেও যে বাচ্চারা কাঁদছিল, এখন তাদের মুখে হাসি। পেট ভরে খেয়ে তারা খেলা শুরু করল। মায়ের চোখেও আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতার পানি।
কিন্তু উমর (রা.) হাসছিলেন না। তিনি চুপ করে বসে আছেন, চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। সঙ্গী জিজ্ঞেস করলেন, “আমিরুল মুমিনিন, বাচ্চারা তো হাসছে, আপনি কাঁদছেন কেন?”
উমর (রা.) ধরা গলায় বললেন,
“আজ যদি আমি এদের কান্না না শুনতাম… যদি এই রাতে ঘুমিয়ে থাকতাম… তাহলে কিয়ামতের দিন আল্লাহ যখন জিজ্ঞেস করতেন, ‘আমার এই ক্ষুধার্ত বান্দী আর তার সন্তানদের জন্য তুমি কী করেছিলে?’—আমি কী জবাব দিতাম?”
তারপর তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন,
“ইয়া আল্লাহ! তুমি জানো, আমি চেষ্টা করেছি। যদি কোথাও কোনো প্রজা না খেয়ে থেকে থাকে, তবে তার গুনাহ আমার ঘাড়ে নিও না।”
সেই রাতে খলিফা বাড়ি ফিরলেন অনেক রাতে। কিন্তু তাঁর মন শান্তি পেয়েছিল। কারণ তিনি জানতেন—নেতা মানে ক্ষমতার মালিক নয়, নেতা মানে দায়িত্বের বোঝা কাঁধে নেওয়া মানুষ।
এই গল্প শুধু উমর (রা.)-এর নয়, এ গল্প প্রতিটি শাসকের জন্য, প্রতিটি দায়িত্বশীল মানুষের জন্য। যারা ক্ষমতায় থেকেও নিজেকে “খাদেম” মনে করে, তারাই ইতিহাসে অমর হয়ে থাকে।
রাদিয়াল্লাহু আনহু।