শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

স্ত্রী কতটুকু সম্পত্তি পাবে

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫, ৪:৪৬ পিএম | 217 বার পড়া হয়েছে
স্ত্রী কতটুকু সম্পত্তি পাবে

স্বামী আগে মারা গেলে স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন সম্পত্তির অংশ থেকে নানাভাবে বঞ্চিত করে। আবার দেখা যায়, স্ত্রী তার স্বামীর মোট সম্পত্তির অংশ থেকে সঠিক পরিমাণ অংশ পান না। স্বামীর মৃত্যুর পর বা অন্যত্র বিয়ে হলে স্ত্রী কি মৃত স্বামীর সম্পদ পাবে?

আমাদের দেশে মুসলিম আইনে কোরআন, সুন্নাহ ও ইজমার ওপর ভিত্তি করে মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পত্তি তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টন করা হয়ে থাকে। এভাবে বণ্টন করাকে ফারায়েজ বলা হয়। এই সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের সুরা নিসাতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে। তাই এই বিষয়ে জানা উচিত। এতে কোনো মুসলমান পুরুষ বা নারী উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী তার ভাগে কতটুকু সম্পত্তি পাবেন সেই সম্পর্কে জানতে পারবে

পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘মা-বাবা ও নিকটতর আত্মীয়দের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে পুরুষের অংশ আছে এবং মা-বাবা ও নিকটতর আত্মীয়দের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে নারীরও অংশ আছে। তা অল্পই হোক বা বেশি, এক নির্ধারিত অংশ। (সুরা নিসা, আয়াত : ৭)

ইসলামি আইনে স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী তার সম্পদ থেকে মোহর (যদি অনাদায়ী থাকে) ও মিরাস বা পরিত্যাক্ত সম্পদের নির্ধারিত অংশ পাওয়ার হকদার হয়। বিয়ের সময় ধার্যকৃত মোহর পরিশোধ করা না হয়ে থাকলে স্বামীর মৃত্যুর পর তার রেখে যাওয়া সম্পদ বণ্টনের আগেই তা থেকে স্ত্রীর মোহর পরিশোধ করতে হবে। এ ছাড়া স্বামীর অন্যান্য ঋণ থাকলে সেগুলো আদায় করতে হবে। মোহর ও ঋণ পরিশোধের পর অবশিষ্ট সম্পদ নির্দিষ্ট হারে বণ্টন করতে হবে।

মৃত ব্যক্তির সন্তান-সন্ততি থাকলে তার স্ত্রী তার রেখে যাওয়া সম্পদের আট ভাগের এক ভাগ পাবে। আর সন্তানা-সন্ততি না থাকলে স্ত্রী পাবে চার ভাগের এক ভাগ। কোরআনে আল্লাহ বলেন, স্ত্রীদের জন্য তোমরা যা রেখে গিয়েছ তা থেকে চার ভাগের একভাগ, যদি তোমাদের কোন সন্তান না থাকে। আর যদি তোমাদের সন্তান থাকে তাহলে তাদের জন্য আট ভাগের এক ভাগ, তোমরা যা রেখে গিয়েছে তা থেকে। তোমরা যে অসিয়ত করেছ তা পালন অথবা ঋণ পরিশোধের পর। (সুরা নিসা: ১২)

আবার যদি এমন দেখা যায় যে, ওই মৃত ব্যক্তির একাধিক স্ত্রী থাকে এবং কোনো সন্তান না থাকে, তাহলে ওই মৃত ব্যক্তির একাধিক স্ত্রী তাদের মৃত স্বামীর মোট সম্পত্তির অংশ থেকে ১/৪ অংশ তাদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে নেবেন।

অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির একাধিক স্ত্রী থাকার মানে যে একাধিক স্ত্রী মৃত স্বামীর সম্পত্তির অংশ বেশি পাবেন বিষয়টি এমন নয়। এই উত্তরাধিকার সম্পত্তির অংশ নিয়ে কোনো মৃত ব্যক্তির স্ত্রীকে বঞ্চিত করা হলে ওই স্ত্রী পারিবারিক আদালতে গিয়ে একজন বিজ্ঞ আইনজীবী মাধ্যমে মামলা করতে পারবে এবং তিনি তার প্রতিকার নিশ্চিত করতে পারবে।

কারো কারো ধারণা যে,স্বামীর মিরাস পাওয়ার জন্য তার মৃত্যুর পর অন্য কারো সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ না হওয়া শর্ত। অন্য কারো সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলে স্ত্রী মিরাস পাবে না। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। স্বামীর মৃত্যুর সময় স্ত্রী জীবিত ও তার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ থাকলেই মিরাসের হকদার হয়ে যায়। পরবর্তীতে কারো সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হোক বা না হোক, মিরাসের সম্পত্তি থেকে কিছুতেই তাকে বঞ্চিত করা যাবে না।

স্বামীর মৃত্যুর পর বিয়ে করার কারণে অন্য ওয়ারিসরা যদি স্ত্রীকে তার প্রাপ্য সম্পদ না দেয়, তাহলে এটা অন্যায় আত্মসাৎ, আল্লাহর নির্দেশের লঙ্ঘন ও কবিরা গুনাহ গণ্য হবে।

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।