বস্তুনিষ্ঠতায় পূর্ণ সাংবাদিকতা সব সময় জনগণের সেবা করবে
গণমাধ্যম একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অপরিহার্য স্তম্ভ


আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের এই দিনে—আসুন, আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সেইসাথে সত্যের পথে ও নৈতিকতার সাথে লড়াই করে যাওয়া সকল সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি।
গণমাধ্যম একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অপরিহার্য স্তম্ভ। তাই রাষ্ট্রের উচিৎ সাংবাদিক ও তাঁদের কাজকে আক্রমণ, আঘাত কিংবা সেন্সরের মাধ্যমে দমন না করে; বরং সুরক্ষা প্রদান ও সম্মান করা। কিন্তু আমরা দুঃখের সাথে লক্ষ্য করেছি, বাংলাদেশে সদ্য অপসারিত স্বৈরশাসকের পৃষ্ঠপোষকতায় কীভাবে ধারাবাহিকভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে।
সেই অন্ধকার সময়গুলোতে, দৃঢ় সাহস ও অঙ্গীকারের মাধ্যমে বাংলাদেশের অনেক সাংবাদিক রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ঘটে যাওয়া গভীর দুর্নীতি, ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক ব্যর্থতার মতো বিষয়গুলোতে আলোকপাত করেছেন। এদের অনেকে ছিলেন মূলধারার মিডিয়ায়, কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, কেউ ছিলেন দেশে, কেউ প্রবাসে—তবে সবাই এক সুরে সত্যের পক্ষে অবিচল থেকেছেন। তাঁরা লড়েছেন একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য, মত প্রকাশের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি সাংবাদিকতার সর্বোচ্চ নৈতিকতা ও সততার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ এক নবীন ধারা থেকে অনুপ্রেরিত। আমরা নিঃসঙ্কোচ ও পক্ষপাতহীন সাংবাদিকতাকে শ্রদ্ধা করি—এমনকি যদি সেটা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে না মেলে তখনও। আমাদের বিশ্বাস, একটি স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যমই পারে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে কিংবা দুর্বল করে দিতে। নৈতিকতা ও বস্তুনিষ্ঠতায় পূর্ণ সাংবাদিকতা সব সময় জনগণের সেবা করবে, রাজনীতির নয়।
একটি দৃঢ়, টেকসই গণতন্ত্র গড়ে তুলতে হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নৈতিকতা রক্ষা করতেই হবে। আসুন, সব মতপার্থক্য পাশ কাটিয়ে আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলি, যেখানে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার গণমাধ্যমসহ সকলের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করে।
—
তারেক রহমান
মে ৩, ২০২৫, বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বার্তায়।