মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

এতিম অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থী মতিউরের স্বপ্ন ডাক্তার হতে চাই

সিরাজুল ইসলাম প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:৫৬ পিএম | 91 বার পড়া হয়েছে
এতিম অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থী মতিউরের স্বপ্ন ডাক্তার হতে চাই

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: কথায় আছে যার মা নেই তার দুনিয়ায় কেউ নেই শুধু মাত্র সৃষ্টিকর্তা ছাড়া। এযেন গবরে পদ্মফুল, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা এতিম মতিউর (১৯), তিনি জানান জন্মের পর আমার মা মারা যায়, বাবা ইসহাক আলী অন্য জায়গায় দ্বিতীয় বিয়ে করেন,বাবার আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায়, মানুষের জমিতে ভাংগা একটা ঝুপড়ি কুড়ে ঘরে আমি একা থাকি, মেধা তালিকায় ২০১৬সালে আমি গর্ভভবানী পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে পিএসি পরীক্ষায় জিপিএ -৫পাই, ২০২২সালে, ভাতুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ -৫এবং হরিপুর মসলিম উদ্দিন সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় – ৫ পেয়ে উত্বৃীন হই। তিনি আরো জানান শিক্ষা জীবনে কোচিং প্রাইভেট আমার কপালে জুটেনি রাত ১২ টা ১টা পর্যন্ত পড়ালেখা করি। কখনো খাই আবার কখনো না খেয়ে থাকি , তিনটা বাচ্চা প্রাইভেট পড়াই আবার কখনো মানুষের ক্ষেতে দিনমুজুরের কাজ করি। এতে আমার বই কেনার টাকা কিছুটা হয়। তা দিয়েই জীবন যুদ্ধে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলছি পবিএ ঈদুল ফিতরের একটা ছেড়া প্যান্ট একটা ছেড়া শার্ট ছাড়া কিছুই নেই এভাবেই আমার ঈদ কেটেছে। এ যাবত আমি কয়েকটি মেডিকেল কলেজে পরীক্ষা দিয়েছি, একটুর জন্য হয়নি, সামনে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার পরীক্ষা আছে, এই সামন্য উপার্জনে পড়ালেখা এবং নিজের ভোরন পোষণ মিটাতে আমার পক্ষে খুব কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে। আমি চাই ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মহোদয় আমার পাশে দ্বারান আমাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন , আমি ভবিষ্যতে একজন ভালো ডাক্তার হয়ে জনস্বার্থে, দেশের স্বার্থে নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রাখতে পারি।

“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

টঙ্গী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০৪ পিএম
“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

২০১৫ সালে ইতালি পাঠানোর নামে বাংলাদেশ থেকে ৪২ জনের পাসপোর্ট ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয় ইব্রাহিম শেখ নামের এক প্রতারক। প্রতারণার সেই অঙ্ক তখনই দাঁড়িয়েছিল প্রায় দুই কোটি তিন লাখ টাকায়। এরপর থেকেই ইব্রাহিম যেন হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক চোরাকারবারির ‘প্রতীক’।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালে অবৈধ পথে দালালের মাধ্যমে হংকং পাড়ি জমান তিনি। হংকংয়ে পৌঁছেই সেখানে গড়ে তোলেন একাধিক প্রতারণার নেটওয়ার্ক। ইউরোপ পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ, নকল আইফোন ও সোনা বিক্রি, এমনকি বাংলাদেশ থেকে নকল পণ্য পাচার—সবই চলতে থাকে একই ছকের ভেতরে।

স্থানীয় সূত্র বলছে, হংকং-এ অবস্থানকালে ইব্রাহিম একাধিক বিয়ে করেছেন পরিচয় গোপন করে। তার প্রতিটি প্রতারণার পেছনে ছিল সুপরিকল্পিত জালিয়াতি।

সম্প্রতি গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে, হংকং থেকে বাংলাদেশে ফিরেও থেমে থাকেননি এই ‘ন্যাশনাল প্রতারক’। আনুমানিক ১২৩ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে এনে লুকিয়ে রেখেছেন একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এমনকি মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতারণা, মাদক, চোরাচালান—সবকিছুতে সম্পৃক্ত এই ইব্রাহিম এখন দেশের ভেতরেই অবস্থান করছেন ছদ্মবেশে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এতদিন ধরেই তার অপকর্ম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলো? প্রতারিত পরিবারগুলো চাইছেন দ্রুত এই চক্রের মূলহোতা ইব্রাহিমকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হোক।

কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

মো:স্বাধীন খান বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০১ পিএম
কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

বগুড়ার কাহালুতে জমির ড্রেনের পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে কর্নিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর। তাঁর পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ বলে জানিয়েছেন কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিতাই চন্দ্র সরকার।

কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

রুহুল আমিন, রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ১:৫৪ পিএম
কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

কুড়িগ্রাম সদরের হরিম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকার বেতারাঘাতে এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গত ৪ আগস্ট ২০২৫ ইং দুপুরে বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, বিদ্যালয়ের ৫ ম শ্রেনীর ক্লাসে হাসিনা খাতুন নামের এক শিক্ষিকা বেতারাঘাত করেন। এ সময় হাতে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে রাকিবুল হাসান রাকিবকে বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাটিয়ে দেয়া হয়। এর পর বাড়িতে হাত ফুলে গিয়ে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে তাকে সন্ধ্যায় তার অভিভাবক কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। রাকিব বলেন, হাসিনা আপা বড় বড় তিনটি প্রশ্ন লেখতে বলেন। আমি একটু পড়ে লেখতে চাইলেই বেত দিয়ে আমাকে খুব জোড়ে মারেন।এখন আমার হাতে অনেক ব্যাথা হচ্ছে। রাকিবের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, আমার ছেলেকে পড়া-লেখা শিখানোর জন্য স্কুলে দিয়েছি। শিক্ষকের মার খেয়ে হাসপাতালে আসার জন্য নয়। আমি এর বিচার চাই। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বলেন,ঘটনার সময় আমি স্কুলের বাহিরে ছিলাম। শুনেছি হাসিনা বেত দিয়ে মেরেছে এতেই রাকিব ব্যাথা পায়। হাসিনা বেগম বলেন, আমি তাকে পড়ার জন্য মারিনি,মেরেছি নির্দাশিকা লাঠি দিয়ে দুষ্টুমি করার জন্য। উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলহাজ্ব বুলবুল হোসেন বলেন,আমি আমার অফিসের এক স্টাফ এর নিকট বিষয়টি শুনলাম। প্রধান শিক্ষিকাকে ফোনে পাইনি। কাল ছুটি আছে অফিস খুললেই জেনে ব্যবস্তা নিবো।

error: Content is protected !!