রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

রাণীনগরে হাজার হাজার পথচারীর গলার কাঁটা সরু রেলগেট

মোঃ আব্দুল মালেক, রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:৩৭ পিএম | 151 বার পড়া হয়েছে
রাণীনগরে হাজার হাজার পথচারীর গলার কাঁটা সরু রেলগেট

মোঃ আব্দুল মালেক, রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে রেলগেট ও রেলস্টেশন মোড় নামক দুটি স্থান। বিশেষ করে নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়ক ও রাণীনগর-আবাদপুকুর-কালীগঞ্জ সড়ক দুটি প্রশস্তকরণ হওয়ার কারণে দুটি সড়ক দিয়ে ছোট-বড় যানবাহনের চলাচল কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন ট্রেন চলাচলের সময় রেলগেট বন্ধ করা হলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আর সেই যানজটের কবলে পড়ে প্রতিদিনই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কয়েকটি জেলার পথচারীদের।

উত্তরবঙ্গের নওগাঁ, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারীসহ বগুড়ার কিছু অঞ্চলের মানুষ বর্তমানে নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ফলে এই মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিনই কয়েক হাজার ছোট-বড় যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহন চলাচল করে। এছাড়া প্রতিদিনই উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহীর সঙ্গে যোগাযোগকারী যাত্রীবাহী ও মালবাহী ছোট-বড় ৩০টি ট্রেন চলাচল করে। ফলে সরু রেলগেইটের কারণে দিনের সিংহ ভাগ সময়ই ট্রেন চলাচলে যানজটের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে ঈদের সময় চারদিক দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে এবং ট্রেন চলাচলের সময় সরু রেলগেইট বন্ধ থাকার কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। এতে করে যানজটের শিকার হয়ে প্রতিদিনই হাজার হাজার পথচারীদের শত শত কর্মঘন্টা নষ্ট হচ্ছে। অনেক সময় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে স্থানীয়রা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করে। দ্রুতই সড়কের মতো রেলগেইট ও রেলস্টেশন মোড়ে আধুনিকতার ছোঁয়ার মাধ্যমে প্রশস্তকরণ বর্তমানে সময়ের দাবী।

উপজেলার আবাদপুকুর এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, অফিসিয়াল বিভিন্ন কাজ করতে উপজেলা পরিষদে যেতে কিংবা জরুরী কোন রোগীকে উপজেলা এবং জেলা সদর হাসপাতালে নিতে হলে রেলগেইট পার হতে হয়। ফলে রেলগেইটে এসে যানজটে আটকে পড়ার কারণে অনেক রোগীকে মৃত্যুবরণও করতে হয়েছে। যাতায়াতের অধিকাংশ সময়ই সরু রেলগেইটে এসে যানজটের কবলে পড়তে হয়। আর ঈদের সময় এসে যানবাহনের চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘন্টায় ঘন্টায় যানজটের শিকার হতে হচ্ছে। রেলগেইটের দুই পাশের মহাসড়ক ও সড়কে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও সরু রেলগেইটের কারণে তার কোন সুফল মিলছে না।

উপজেলা সদরের অটোভ্যান চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, সরু রেলগেইট বর্তমানে আমাদের গলার কাঁটাতে পরিণত হয়েছে। যখন ট্রেনের কারণে গেইট বন্ধ থাকে তখন দুই পাশে প্রায় কিলোমিটার সড়ক জুড়ে যানবাহনের জট লেগে যায়। বিশেষ করে সরু রেলগেইটের পাশ দিয়ে একজন মানুষ কিংবা সাইকেল ও মোটরসাইকেল চলাচলের কোন ব্যবস্থা না থাকায় যানজট আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এমন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে দ্রুতই রেলগেইট সংলগ্ন এলাকা থেকে পরিত্যক্ত ভবন ও দোকানগুলো ভেঙ্গে রেলগেইটের সড়ক ও মোড় বড় করার কোন বিকল্প নেই।

রাণীনগর রেলস্টেশনের সহকারি মাস্টার আতিকুল ইসলাম বলেন, রাণীনগরের উপর দিয়ে দিনের বেলায় ব্রডগেজ ও মিটারগেজ মিলে ১৬টি ট্রেন আর রাতের বেলায় ১৪টি ট্রেন চলাচল করে। এছাড়া মালবাহী বিভিন্ন ট্রেনতো আছেই। বিশেষ করে দিনের বেলায় ট্রেন চলাচলের সময় ছোট্ট রেলগেইটটি অধিকাংশ সময়ই বন্ধ রাখতে হয়। এতে করে গেইট পার হওয়ার সময় ব্যস্ততম দুটি সড়ক ও মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। এই বিষয়টি আমরাও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েছি।

সান্তাহার রেলওয়ে বিভাগের উর্দ্ধতন উপ-সহকারি প্রকৌশলী আব্দুর রহমান মুঠোফোনে জানান, রাণীনগরের রেলস্টেশন ও রেলগেইটসহ আরো কয়েকটি রেলগেইট আধুনিকায়ন করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত ভাবে আবেদন প্রেরণ করেছি। অনুমোদনের পর সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় কাজ শুরু করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাকিবুল হাসান জানান, দুটি ব্যস্ততম সড়কের মাঝে সরু রেলষ্টেশন ও রেলগেট মোড় এই দুটি কারণে উপজেলাবাসীর দ্রুত চলাচলে প্রতিনিয়তই বিঘ্ন ঘটছে। অধিকাংশ সময় উপজেলার পশ্চিম প্রান্ত থেকে পূর্বপ্রান্তে যেতে রেলগেট এলাকায় এসে দীর্ঘ সময় ধরে যানজটের শিকার হতে হয়। এই দুটি মোড়কে প্রশস্তকরণ করে কিভাবে যানজট মুক্ত করা যায় সেই বিষয়ে রেল বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্রুতই যোগাযোগ করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

নওগাঁ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রাশেদুল হক রাসেল জানান, রাণীনগরের ওই দুটি মোড় প্রশস্তকরণের মাধ্যমে আধুনিকায়ন করা খুবই জরুরী। প্রতিদিনই কেউ না কেউ যানজট নিয়ে ফোন করে। এছাড়া এক দিক থেকে অপর দিকের রাস্তার কোন অংশ দেখতে না পাওয়ার কারণে মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। এমন সমস্যা থেকে উত্তোরণের জন্য স্থানীয় প্রশাসন রেল বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে জায়গাটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে আমরা রেলগেইট প্রশস্তকরণ কাজ শুরু করার প্রকল্প গ্রহণ করবো।

দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

মো: মেহেদী হাসান ফুয়াদ দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫৫ পিএম
দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

২ আগষ্ট শনিবার বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর নব নির্বাচিত কার্য্যকরী কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নব- নির্বাচিত সভাপতি- মোঃ আব্দুস সাত্তার, সহ সভাপতি- মোঃ শরিফুল ইসলাম সেলি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিসুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক, আবুল কালাম (১), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ এনামুল হক, অর্থ সম্পাদক- আবুস সালাম ও কার্র্য্যনির্বাহী পরিষোধের সদস্য মোঃ কমর আলী শেখ ও মোঃ বিশালকে ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র অনুর্যায়ী শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশান দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি রবিউল আউয়াল খোকা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার হবিবর রহমান। উল্লেখ্য, বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ২ জুলাই ‘২০২৫। নির্বাচনে উপরোক্ত ৮জন প্রার্থী বিজয়ী হন।

দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

বগুড়া থেকে মোঃ হাফিজুর রহমান প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫১ পিএম
দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

গাবতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গাবতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জনাব ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ জানিয়েছেন —
আমাদের দেশ চলে মানুষের ঘাম আর পরিশ্রমের করের টাকায়। প্রতিটি রাস্তা, স্কুল, হাসপাতাল, সরকারি সেবা ও অবকাঠামো জনগণের টাকায় গড়ে উঠেছে।
কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট শাসন আর আজকের কর্তৃত্ববাদী মনোভাব দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকারকে অবমূল্যায়ন করেছে — মানুষের ভোটাধিকার হরণ হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত হয়েছে, গণতন্ত্রকে পদদলিত করা হয়েছে। স্বজনপ্রীতি, লুটপাট আর দুর্নীতি সাধারণ মানুষের জীবনকে জিম্মি করে রেখেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিশ্বাস করে—গণতন্ত্র মানে শুধু ভোট নয়, মানুষের কথা শোনা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
আমাদের আপোষহীন নেত্রী, তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষায় আজও আপোষহীনভাবে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। বিএনপি জনগণের অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে সবসময়ই জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপি সরকারের সময় দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের পথে ছিল, গণতন্ত্র ও মানুষের কথা বলার অধিকার সুরক্ষিত ছিল — যা আজ হরণ হয়েছে।
আগামী নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জনগণকে আহ্বান জানাই—আপনাদের শক্তি ও অধিকারকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিজয়ের প্রতীক ধানের শীষে ভোট দিন, আপনার আস্থা ও বিশ্বাস প্রকাশ করুন।
বিএনপি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পক্ষে। দেশের প্রতিটি টাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করাই আমাদের অঙ্গীকার। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকাটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত শক্তি।
আমরা বিশ্বাস করি—ধানের শীষে জনগণের এই আস্থা গণতন্ত্র, উন্নয়ন আর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হয়ে উঠবে।

মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

Masud Parves প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৪৯ পিএম
মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

মধ্যবয়সী নারীকে বাইরে থেকে দেখে কেউ বুঝতে পারে না, তার ভেতর কতটা জীবন বয়ে চলে। তার মুখে হয়তো একরাশ শান্তি, চোখে একটুখানি ক্লান্তি—কিন্তু এই চেহারার ভেতরে আছে এক গভীর নদী, যেটা ধীরে ধীরে বয়ে যায়। এই নদী যেন নীরব, তবে থেমে নেই। প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা, ভালোবাসা, হারানো-বিলুপ্ত কিছু স্মৃতি—সব মিলে তার কামনা তৈরি হয় এক নতুন রূপে, এক অনন্য ভাষায়।
এই বয়সে সে আর কারো মন জেতার জন্য হাসে না। সে নিজেকে লুকিয়ে রাখে না, সাজিয়ে তোলে না কেবল কারো নজর কাড়ার জন্য। বরং সে নিজেকে ভালোবাসে গভীরভাবে। জানে—তার শরীর ঠিক যেমন, তেমনটাই সুন্দর। তার যৌনতা এখন আর দেহের খেলায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা হয়ে উঠেছে বোঝাপড়ার, সম্মান আর সংবেদনের জায়গা।
তরুণ বয়সের কামনা হঠাৎ জ্বলে ওঠে, হঠাৎ নিভেও যায়। সেখানে থাকে আবেগের ঝড়, না বুঝে ফেলার এক উন্মাদনা। কিন্তু মধ্যবয়সী নারীর কামনা অনেক বেশি ধৈর্যের, অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের। সে জানে, কীভাবে তার শরীরের প্রতিটি প্রতিক্রিয়া বোঝে নিতে হয়। সে জানে, কখন আগলে রাখতে হয় নিজেকে, আর কখন খুলে দিতে হয় সমস্ত দরজা।
এই নারী কাউকে ছুঁতে চায়—কিন্তু ছোঁয়াটার আগে সে বোঝে নেয় সেই মানুষটার ভেতরটা। সে শুধু শরীর খোঁজে না—সে এমন একজন সঙ্গী খোঁজে, যার স্পর্শে থাকে শ্রদ্ধা, যার চোখে থাকে নিরাপত্তা। সে জানে কার পাশে ঘুমালে শান্তি নামে, আর কার পাশে থাকলে ভালোবাসা শুকিয়ে যায়।
তার কামনা আর শিশুর মতো নিষ্পাপ নয়। বরং তাতে এক ধরনের প্রাপ্তবয়স্ক মমতা থাকে, থাকে বোঝাপড়া। সে জানে কখন চাওয়া, কখন না বলা। সে জানে, ‘না’ বলাটাও নিজের প্রতি এক রকম ভালোবাসা। তার ভালোবাসা এখন আর পাগলামি নয়—তা গভীর, সযত্নে বাছাই করা, বোধসম্পন্ন।
সমাজ হয়তো ভাবে এই বয়সের নারী নিঃসাড়, নিঃস্পৃহ। কিন্তু তারা জানে না, তার ভেতরটায় প্রতিদিন ঢেউ খেলে যায়। তার চোখে জমে থাকা পুরনো গল্পের আলো ঝিলমিল করে, তার হাসিতে মিশে থাকে না বলা ভালোবাসার রেশ। এই নারী চাইলেই কারো জীবনে নীরবে ঢুকে যেতে পারে, আবার কাউকে বিদায়ও জানাতে পারে নিঃশব্দে—এক বিন্দু তিক্ততা ছাড়াই।
তার যৌনতা আজ আর কারো কাছ থেকে অনুমতি চায় না। সে নিজের শরীর, নিজের কামনা, নিজের মনের দায়িত্ব নিজেই নেয়। সে জানে—কে তার জলের গভীরে স্নান করার যোগ্য, আর কে কেবল পাথর ছুড়ে জল ঘোলা করতে চায়।
মধ্যবয়স মানে ক্ষয় নয়, সেটি এক নবজন্ম। একজন নারী এই বয়সে এসে হয়তো সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল হয়—যেন সন্ধ্যার আলোয় জ্বলে ওঠা দীপ, যা সারা দিনের ক্লান্তিকে শান্ত করে। তার কামনা আগুন নয়—তা আলো। তা জ্বলিয়ে দেয় না, তা গায়ে মেখে থাকে।
এক নদী, যে জানে কখন কার দিকে পথ খুলে দিতে হয়, আর কখন নিজেকে আগলে রাখতে হয়।
যে জানে, ভালোবাসা মানে কারো হাত ধরা নয়—বরং কারো হাতে নিজের হাত রাখার মতো আত্মবিশ্বাস অর্জন করা।

error: Content is protected !!