বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২
বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২

বিজিবি-বিএসএফ চুক্তি

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৫২ পিএম | 87 বার পড়া হয়েছে
বিজিবি-বিএসএফ চুক্তি

বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৪ দিনব্যাপী (১৭-২০ ফেব্রুয়ারি) ৫৫তম সীমান্ত সম্মেলন ভারতের নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের সম্মেলনে সীমান্তে নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো, হত্যা, আহত বা মারধরের ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যৌথ টহল বৃদ্ধি, উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী উপকৃত হবে এমন তাৎক্ষণিক ও আগাম গোয়েন্দা তথ্য একে অপরের মধ্যে আদান-প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

পাশাপাশি সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো স্থাপনা, কাঁটাতারের বেড়া, প্রতিরক্ষায় ব্যবহৃত হয় এমন কোনো স্থাপনা বা বাংকার নির্মাণের ক্ষেত্রে উভয় দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ পরিদর্শক দলের পরিদর্শন এবং যৌথ আলোচনার দলিল (জেআরডি) এর ভিত্তিতে নির্মাণের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়।

ভারতের নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত ৫৫তম বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনের পর যৌথ প্রেস বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন।

অপরদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী দলজিৎ সিং চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।

সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিহতের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং সীমান্ত হত্যার ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএসএফ মহাপরিচালকের প্রতি জোর আহ্বান জানান।

সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে যে কোনো স্থায়ী স্থাপনা এবং কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের ক্ষেত্রে উভয় দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ পরিদর্শকদলের পরিদর্শন ও যৌথ আলোচনার দলিল (জেআরডি) এর ভিত্তিতে নির্মাণের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়।

আঙ্গরপোতা-দহগ্রাম সীমান্তের শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের বিষয়টি তুলে ধরে সীমান্তে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করার বিষয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বিএসএফ মহাপরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এছাড়া সীমান্তবর্তী নদীর ভাঙন রোধে তীরবর্তী বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার কাজ এবং পূর্বাভাস না দিয়ে বাংলাদেশের উজানে বাঁধ খুলে পানি ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশে সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত বন্যার ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবগত করার জন্য বিএসএফকে অনুরোধ জানানো হয়।

এছাড়া ভারত থেকে বাংলাদেশে মাদক ও অস্ত্র পাচার রোধ, স্বর্ণসহ অন্যান্য দ্রব্যাদির চোরাচালান রোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ এবং সীমান্তে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মতো অপরাধ দমনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়। সীমান্তে শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বিজিবি মহাপরিচালক।

বিএসএফ মহাপরিচালক মানুষের জীবন ও মানবাধিকার চেতনার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান রেখে সীমান্তে হত্যা নিরসনে বিএসএফ কর্তৃক ‘অ-প্রাণঘাতী’ নীতি অনুসরণের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি মাদক পাচার ও চোরাচালান রোধসহ সীমান্তে শান্তির জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে এমন যে কোনো ধরনের কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।

এবারের সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ-

১. সীমান্তে নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো/হত্যা/আহত/মারধরের ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যৌথ টহল বৃদ্ধি, উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী উপকৃত হবে এমন তাৎক্ষণিক ও আগাম গোয়েন্দা তথ্য একে অপরের মধ্যে আদান-প্রদান, সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণের মধ্যে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ এবং বিভিন্ন ধরনের আর্থ-সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ এবং সীমান্তে যে কোনো হত্যা সংঘটিত হলে তার যথাযথ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে।

২. আলোচনায় সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোন স্থাপনা, কাঁটাতারের বেড়া, প্রতিরক্ষায় ব্যবহৃত হয় এমন কোনো স্থাপনা বা বাংকার নির্মাণের ক্ষেত্রে উভয় দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ পরিদর্শক দলের পরিদর্শন এবং যৌথ আলোচনার দলিল (জেআরডি) এর ভিত্তিতে নির্মাণের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বন্ধ থাকা অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজগুলোর ব্যাপারে যথোপযুক্ত পর্যায়ে জয়েন্ট ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে দ্রুত সমাধানের ব্যাপারে আলোচনা হয়।

৩. বিভিন্ন ধরনের আন্ত:সীমান্ত অপরাধ দমন বিশেষ করে ফেনসিডিল, ইয়াবা ও গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ও গবাদিপশু পাচার রোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মানব পাচার, স্বর্ণ, অস্ত্র, জাল মুদ্রার নোট প্রভৃতি চোরাচালান রোধ এবং এসব অপরাধের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদান করতে উভয়পক্ষই সম্মত হয়েছে।

৪. আন্তর্জাতিক সীমানা আইন লঙ্ঘন করে উভয় দেশের নাগরিক ও বাহিনীর সদস্যদের অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের ফলে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝি ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সীমান্তে উভয় বাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি দুই দেশের সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করা থেকে বিরত রাখতে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে।

৫. মানবপাচার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ বিশেষ করে মানবপাচারের মত অমানবিক কার্ক্রমের সাথে জড়িত উভয় দেশের অপরাধী বা দালালচক্রের কার্যক্রম প্রতিরোধে পরস্পরকে সহায়তা এবং মানবপাচারের শিকার ব্যক্তিদেরকে সংশ্লিষ্ট দেশের প্রচলিত দেশের আইন অনুযায়ী উদ্ধার ও পুনর্বাসনে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছেন।

৬. এছাড়া আগরতলা থেকে আখাউড়ার দিকে প্রবাহিত সীমান্তবর্তী ৪টি খালের বর্জ্য পানি অপসারণে উপযুক্ত পানি শোধনাগার স্থাপন; জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর সাথে রহিমপুর খালের মুখ উন্মুক্তকরণ; আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সম্ভাব্য অবস্থান ও তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।

৭. উভয়পক্ষ ‘সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সিবিএমপি) এর আওতায় পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির জন্য গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে উভয় বাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতার প্রশংসা করেন। উভয়পক্ষ আগামী দিনে যৌথ খেলাধুলা ও জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনিসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে সম্মত হয়েছে।

সতর্ক করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

ভুরুঙ্গামারী ইউএনও’র পরিচয়ে প্রতারণা

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৩ পিএম
ভুরুঙ্গামারী ইউএনও’র পরিচয়ে প্রতারণা

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বা তাঁর স্ত্রীর পরিচয়ে ফোন করে টাকা দাবি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন ইউএনও।

বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে ইউএনও তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে লিখেন, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, ইউএনও অথবা ইউএনও’র সহধর্মিণীর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন নম্বর থেকে কল করে অর্থ চাওয়া হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ প্রতারণা। ইউএনও বা তাঁর স্ত্রী কখনোই কারো কাছে টাকা চাইবেন না। কেউ এ ধরনের ফোন পেলে কোনো অবস্থাতেই কাউকে টাকা দেবেন না। সবাইকে এই বিষয়ে সচেতন থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে কেউ ব্যক্তিগতভাবে অর্থ দাবি করলে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন বা থানাকে অবহিত করতে হবে। এই ধরনের প্রতারণা রোধে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

রুবিনা শেখ

সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের দাবি

রুবিনা শেখ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩০ পিএম
সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের দাবি

৭ কর্মদিবসের মধ্যে( BUAMC) কাউন্সিল গঠনের স্টেকহোল্ডারদের সাথে পর্যালোচনা সভা করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে ( BUAMC) কাউন্সিলের ব্যাপারে স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে মিটিং এর তারিখ দেওয়ার লক্ষ্যে সকাল ১০ ঘটিকায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আল্টিমেটাম ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।

স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠনের দাবিতে সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষার্থীরা টানা ৩৮ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই ন্যায্য দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন দেশের সকল ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী সংগঠনসমূহ। আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করায় মিরপুর-১৩ নম্বরে অবস্থিত সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসটিতে গত ৩৮ দিন ধরে অচলাবস্থা বিরাজ করছে।

বৃহস্পতিবার ৭ আগস্ট, রাজধানীর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেন তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী—সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ, রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিক্যাল কলেজ, লক্ষ্মীপুর, এবং হামদর্দ ইউনানি মেডিক্যাল কলেজ, বগুড়া।

আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে আলাদা কাউন্সিল ছাড়া এ চিকিৎসা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। বারবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অথচ ১৯৯৬ সালের নীতিমালায় স্পষ্টভাবে ইগউঈ-এর আদলে একটি পৃথক কাউন্সিল গঠনের কথা বলা হয়েছিল।

গত ৩১ জুলাই, স্বাস্থ্য সচিব স্যারের সভাপতিত্বে কাউন্সিল নিয়ে মিটিংটা সম্পূর্ণ হয়, বাকি প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে এই সিস্টেমকে যেন অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থা থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া হয়, তার স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার দাবিতে আজ সকল শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করা হয়।

এইসময় শেষ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, “১৯৯৬ সালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নীতিমালায় বলা হয়, অস্থায়ীভাবে রেজিস্ট্রেশন প্রদানের পাশাপাশি একটি স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠন করা হবে। কিন্তু ২৯ বছর পেরিয়ে গেলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে চিকিৎসকদের আইনি জটিলতা, উচ্চশিক্ষায় বাধা, নিয়োগ-সংক্রান্ত সমস্যা ও পেশাগত নিরাপত্তার ঘাটতির মতো গুরুতর সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।”

এদিকে, সরকারিভাবে ৩৬ তম ব্যাচে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হলেও আন্দোলনের কারণে ১৩ জুলাই পর্যন্ত কেউ ভর্তি হতে পারেনি। উল্লেখ্য, প্রতি বছর ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক বিভাগে যথাক্রমে ২৫ জন করে মোট ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হন। কিন্তু চলমান অচলাবস্থার কারণে এই বছর ভর্তি কার্যক্রম প্রায় ব্যর্থ হতে চলেছে। শিক্ষার মৌলিক অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।

গত ১৩ জুলাই শেষ দিন হলেও আন্দোলনের প্রেক্ষিতে হয়তো এবারও কেউ ভর্তি হতে পারবে না।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠন না হওয়া পর্যন্ত তারা কাউকে ভর্তির সুযোগ দিতে প্রস্তুত নন। তাদের দাবি—বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চিকিৎসক-শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য এই কাউন্সিল জরুরি। তাই প্রধান উপদেষ্টার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।

পরিশেষে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা স্পষ্ট করে জানান-যদি নতুন ভর্তি সময়সূচি ঘোষণা করা হয়, তবুও তারা ক্যাম্পাসে অবস্থান করে তা প্রতিহত করার কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন।

তৌহিদুর রহমান শেরপুর

ঝিনাইগাতীতে পুকুরে উল্টে গেল বাস: আহত ২০, নিখোঁজ ১

তৌহিদুর রহমান শেরপুর প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫, ৪:২৬ পিএম
ঝিনাইগাতীতে পুকুরে উল্টে গেল বাস: আহত ২০, নিখোঁজ ১

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে উল্টে পড়ে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন এবং এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার খৈলকুড়া এলাকায় শেরপুর-ঝিনাইগাতী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার সময় ‘আকাশ বিকাশ’ পরিবহনের ওই বাসটিতে প্রায় ৩০-৩৫ জন যাত্রী ছিল। চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি রাস্তার পাশে একটি বড় পুকুরে পড়ে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমিন এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন মাস্টার আব্দুল মান্নান। তারা উদ্ধার কার্যক্রম তদারকি করেন।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চরম আতঙ্ক ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

error: Content is protected !!