সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২
সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২

ডিমলায় ঝুঁকিপূর্ণ কাঁঠের সাঁকো দশ গ্রামের মানুষের একমাত্র মাত্র ভরসা

মোঃ আমিনুর রহমান দুলাল, ডিমলা প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:৪৯ পিএম | 104 বার পড়া হয়েছে
ডিমলায় ঝুঁকিপূর্ণ কাঁঠের সাঁকো দশ গ্রামের মানুষের একমাত্র মাত্র ভরসা

নীলফামারীর ডিমলায় পারাপারের জন্য দশ গ্রামের লোকজনের জন্য কাঠের সাঁকোই এক মাত্র ভরসা। গত ৮ বছর ধরে একটি ব্রিজ তৈরির স্বপ্ন দেখছেন এলাকাবাসি। নিজেদের উদ্যেগে বাঁশ ও কাঠের সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন পারাপার করছেন হাজারো মানুষ ও কোমলমতিসহ স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ঝারসিংহেশ্বর ও খগারচর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, তিস্তা নদীবেষ্টিত বাঁধের রাস্তার পাশে প্রায় আড়াই হাজারেরও বেশি পরিবার বসবাস করে আসছে। এলাকাবাসি নিজেরাই চাঁদা তুলে বাঁশ, কাঠ সংগ্রহ করে পর্যায়ক্রমে বাঁশ ও কাঠের সাঁকো (পুল) নির্মাণ করে ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার হচ্ছেন। এ অবস্থা চলছে তাদের প্রায় ১০ বছর। তারা একাধিকবার জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাস পেয়েছেন ব্রিজ নির্মাণের। কিন্তু এলাকাবাসি জানিয়েছেন সেই আশ্বাস পূরণ হয়নি আজও। হরহামেশাই ঘটছে দূর্ঘটনা। এলাকাবাসি অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে আমাদের দুর্গতির কথা। বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও পাননি কোন প্রতিকার।

জানা গেছে, ওই এলাকার সকলেই প্রায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারে বসবাস করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত । গ্রামের শতকরা ৯৫ ভাগ লোক কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করে। আর্থ সামাজিক উন্নয়নে এলাকার যোগাযোগ ব্যাবস্থায় ব্রীজটি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। বিগত ২০১৬ সালে তিস্তা নদীর আকস্মিক বন্যায় আয়শা মেম্বারের বাড়ি হতে খাড়াপাড়া যাতায়াতের সড়কটি ভেঙ্গে গিয়ে জনদুর্ভাগ্যে পড়ে ওই এলাকার মানুষজন। তারপর থেকে নানা ফসল উৎপাদন করলেও যাতায়াত ও পরিবহনের প্রতিকূলতার কারণে ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না এই এলাকার কৃষকেরা। এতে কৃষকদের বছরের পর বছর মানবেতর জীবনযাপন করছে অপরদিকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত
হচ্ছে।

জানা গেছে, বিগত বছরের নির্বাচনগুলোতে প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হলেও আজ পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে এগিয়ে আসেননি কোন জনপ্রতিনিধি। উপজেলা সদর, উপজেলা হাসপাতাল, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ইউনিয়ন পরিষদ,হাট-বাজারসহ জেলার সংযোগের এক মাত্র চলাচলের সড়কের পথ এই ব্রীজটি । এই ব্রীজ নির্মাণ করা হলে এলাকার মানুষ এটি ব্যবহার করে খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন যেকোনো জায়গায়। চলবে যানবাহন,ঘটাবে আর্থসামাজিক উন্নয়ন। নিশ্চিত হবে ওই এলাকার উৎপাদিত কৃষি পণ্যের বাজারদর।

এলাকার স্থানীয় ব্যক্তি আলী আজগর বলেন, প্রতিদিন ওই সড়ক দিয়ে পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ২, ৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডের আশ্রয়ন প্রকল্পের গ্রাম, খাড়াপাড়া ও ঝাড়সিংহেশ্বর গ্রামসহ আশপাশের এলাকার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে হাজারো মানুষজন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। বর্ষা মৌসুমে তিস্তার বন্যায় এই অঞ্চলে পলি পরে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায় কয়েক গুণ। ধান, গম, ভুট্টা, মরিচ, বাদাম, মিষ্টি আলু, গাজর, পেঁয়াজ, রসুন প্রভৃতি কৃষিপন্য উজাড় করে দেয় প্রকৃতি। সড়কে একটি ব্রিজের অভাবে বাজার মূল্য থেকে বঞ্চিত তারা। আরো জানান, বাজার মূল্য থেকে বঞ্চিত হন তা নয়, বর্ষা মৌসুমে শিশুদের এই ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের পুলের ওপর দিয়ে স্কুলে পাঠাতে ভয় হয়। তারা পানিতে পড়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

একই এলাকার পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া শিক্ষার্থী ইমন ও সাব্বিরসহ আরো একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, বিশেষ করে বর্ষা মাসে বন্যার সময় আমাদের বিদ্যালয় যেতে অনেক সমস্যা হয়। আমরা অনেক ঝুকি নিয়ে সাঁকো পাড় হয়ে বিদ্যালয়ে যাই। সড়কের ওই ভাঙ্গা জায়গায় একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবী জানাচ্ছি।

ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা পরান আলী বলেন, শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে কোন রকম এই গভিরখালটি পারাপার হলেও বর্ষাকালে জলে ভরে থাকায় বন্যার স্রোতে কাঠের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। অনেক দুর্ঘটনাও ঘটে এখানে।

স্থানীয় বাসিন্দা আয়নাল হক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত বছর আমার ছেলে সাঁকো থেকে পড়ে আহত হয়। আমরা অনেক কষ্ট করে যাতায়াত করি। কৃষকদের যত মালামাল এই ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হয়।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দুঃখ-কষ্টের কথা কেউ শোনে না। বর্ষার সময় সাঁকোটি পাড় হওয়া অনেক কষ্টকর। ওই সময় এই খাল পানিতে টই টম্বুর হয়ে থাকে। থাকে অনেক স্রোত। তখন সাঁকোটি নড়বড়ে হয়ে যায়। আমাদের কষ্ট কেউ বুঝে না। ৯ বছর থেকে শুনছি এখানে একটি ব্রীজ হবে। এখনো হলো না! আর হবে কি না, সেটাও জানি না!

স্থানীয় বাসিন্দ মিজানুর রহমান বলেন, এখানে আমরা অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আমরা নিরুপায়, বৃহৎ একটি এলাকা আজ অবরুদ্ধ। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। সার্বিক উন্নয়ন থেকে আমরা বঞ্চিত। আমরা এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, তিস্তা বেষ্টিতে নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত এই এলাকার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, দরিদ্র কৃষক ও হাজারো পথচারীর চলাচলের সুবিধার্থে এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনুরোধ করেও লাভ হয়নি।

ডিমলা উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সফিউল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আগামীতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্রীজটি নির্মাণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মিয়া বলেন, আয়শা মেম্বারের বাড়ি থেকে খাড়াপাড়া সড়কের খালের উপর ব্রিজ নির্মাণের বিষয়ে আমরা অবগত আছি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনা করে একটা ব্রীজ নির্মাণের ব্যাপারে খুব শিগগিরই উদ্যোগ নেয়া হবে।

লালমনিরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড-এর এডহক কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

চয়ন কুমার রায় লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫, ২:০০ এএম
লালমনিরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড-এর এডহক কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

লালমনিরহাটে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ লালমনিরহাট জেলা কমান্ড-এর এডহক কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন লালমনিরহাট জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ।

রোববার (৩ আগস্ট) দুপুর ১২টায় লালমনিরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ লালমনিরহাট জেলা কমান্ডের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন বলা হয় কিছু কুচক্রী মুক্তিযোদ্ধা যারা ৫৫বছর মুক্তিযুদ্ধের নাম ভাঙ্গিয়ে অনিয়ম দুর্নীতি করে বাড়ি-ঘর করে আজ তারা কোটিপতি। মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দলের ফিরোজুর রহমান নান্নু ও জাতীয় পার্টির হাবিবুল হক বসুনিয়া অর্থ ও স্বার্থের কাছে নিজেদের বিক্রি করে দিয়ে আজ বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই দুই ব্যক্তি জেলার ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে একের পর এক বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছেন। এই ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আনার দাবি জানান। বর্তমানে জেলার কমিটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এই কুচক্রী মহল ঢাকা হতে একটি অবৈধ কমিটি নিয়ে এসেছে তারা সকলেই আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দলের নেতা ও কর্মী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মোঃ শহিদুল্লাহ্ প্রধান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান, আব্দুস সামাদ মিঞা, মতিয়ার রহমান, নুরুল ইসলাম প্রামাণিক, মোঃ হোসেন আলী, এন্তাজুর রহমান প্রমুখ। এ সময় লালমনিরহাট জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমিটিগুলো ভেঙ্গে দেওয়া হয় এবং বর্তমানে যারা উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন তারাই মুক্তিযোদ্ধা কমিটির দায়িত্ব পালন করতেছেন। বর্তমানে লালমনিরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্বে রয়েছেন মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়।

জুলাই-আগষ্ট/২০২৪ইং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার মাফিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরবর্তী প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে বর্তমান আওয়ামী লীগের সকল প্রকার রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা চলমান থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের কতিপয় মুক্তিযোদ্ধা পলাতক শেখ হাসিনার দোসর নাশকতা করার লক্ষ্যে অত্র জেলার মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের বিশৃঙ্খলা ও ঐক্য বিনষ্টে অপতৎপরতা চালাইতেছে এই মর্মে অদ্যকার সংবাদ সম্মেলন।

যারা এই অবস্থায় বিগত সময়ের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সরকারের দোসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেছিল এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে যারা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পিটিয়ে ছুরিকাঘাত করে মানুষের উপর হামলা করেছিল।

মুক্তিযোদ্ধারা আরও বলেন, যারা ফ্যাসিস্টদের সহযোগী ছিল তারা স্বাধীনতাগামী যারা গণঅভ্যুত্থানে সহযোগিতা করেছিল সে সব মুক্তিযোদ্ধাদের পাশ কাটিয়ে তারা আজ বিএনপি সেজে কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলকে ভুল বুঝিয়ে যারা আওয়ামী পরিবারের সহযোগী সদস্যগণ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল কমিটি গঠন করে এনেছেন। এই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলকে আমরা মানতে রাজি নই। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট আমরা আহ্বান জানাচ্ছি অনতিবিলম্বে এই আহবায়ক কমিটি বাতিল ঘোষণা করা হোক।

এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সংবাদ সম্মেলনে লালমনিরহাটে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নওগাঁ জেলা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত নির্বচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম
নওগাঁ জেলা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত নির্বচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

নওগাঁ জেলা শাখা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে।  এবারের নির্বাচন শুধুমাত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক পদে তিনটিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

রবিবার (৩ আগষ্ট) রাতে তফসিল ঘোষণা করেন নওগাঁ জেলা বিএনপির নির্বাচন প্রধান সমন্বয়ক নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি মো. রেজাউল করিম বাদশা।

নির্বাচনী তফসিলে জানানো হয়, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ৪ আগষ্ট, মনোনয়ন ফরম বিক্রি হবে ৪ আগষ্ট সকাল ১১টা থেকে দুপুর  ১টা।

জমা নেওয়া হবে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৩টা। মনোনয়ন ফরম যাচাই বাছাই হবে ৪ আগষ্ট বিকাল ৩ টা থেকে ৪টায়।

মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৪ আগষ্ট বিকেল ৪টা থেকে বিকাল ৫টা। প্রতীক বরাদ্দ সন্ধ্যা ৬টায়। ভোট গ্রহণের তারিখ ১১ আগষ্ট বেলা ২টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

তফসিলে আরও উল্লেখ করা হয়, একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী একটি পদে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন।

বিষয়টি ঢাকাপ্রকাশকে নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এসএম রেজাউল ইসলাম রেজু। তিনি জানান, কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছেন। তফসিল অনুযায়ী সবকিছু হবে।

প্রায় ১৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ কাউন্সিল। তাই কাউন্সিলকে ঘিরে রয়েছে ব্যাপক উদ্দীপনা। এরমধ্যে কাউন্সিলকে সফল করতে গঠন করা হয়েছে উপ-কমিটি। কাউন্সিলে ১৪১৪ জন কাউন্সিলর ভোট দেবেন ও বিভিন্ন ইউনিট এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১০০০ ডেলিগেট উপস্থিত থাকবেন।

কাউন্সিলে আমন্ত্রণ জানানো হবে- বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অন্তত ১০০ জন অতিথিকে।

এর আগে, ২০১০ সালে শহরের নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠে  দলের কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন সামসুজ্জোহা খান, সাধারণ সম্পাদক হন জাহিদুল ইসলাম ধলু।

সর্বশেষ ২০২২ সালে আহ্বায়ক কমিটি গঠন হয়। সেখানে আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু ও বায়েজিদ হোসেন পলাশকে সদস্য সচিব হিসেবে ৩১ সদস্য অনুমদিত হয় ।

এবারের কাউন্সিলকে ঘিরে লাখো নেতাকর্মীর সমাগম হবে বলে ধারণা আয়োজকদের।

গাইবান্ধায় ‘নৈতিকতার দেয়াল’ ও ‘ভালো কাজের খাতা’ উদ্বোধন

মোঃ মিঠু মিয়া গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১০:১৯ পিএম
গাইবান্ধায় ‘নৈতিকতার দেয়াল’ ও ‘ভালো কাজের খাতা’ উদ্বোধন

গাইবান্ধা জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা উন্নয়নের মাধ্যমে আগামী দিনের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, গাইবান্ধার উদ্যোগে ‘নীতিবান শিশু, সুখী বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে আজ শনিবার (৩ আগস্ট ২০২৫) গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ‘নৈতিকতার দেয়াল’ স্থাপন এবং ‘ভালো কাজের খাতা’ বিতরণের শুভ উদ্বোধন করেন গাইবান্ধা জেলার মান্যবর জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জনাব আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিশুকালেই নৈতিক শিক্ষা দেওয়া হলে ভবিষ্যতে তারা সৎ, মানবিক ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। ‘নৈতিকতার দেয়াল’-এ শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ভালো কাজের অঙ্গীকার ও চর্চার সুযোগ পাবে, আর ‘ভালো কাজের খাতা’ হবে আত্মমূল্যায়নের একটি কার্যকরী হাতিয়ার।

এই কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণ, সম্মান, দায়িত্ববোধ ও মানবিক গুণাবলির চর্চা উৎসাহিত করা হবে। জেলা প্রশাসনের এই ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছে

error: Content is protected !!