ক্রিকেটারকে চড় মারার কারণে বরখাস্ত হলেন হাথুরুসিংহে
ফারুক আহমেদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হওয়া পর থেকেই গুঞ্জন শুরু হয় কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ছাটাই হবেন। কিন্তু পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ অসম্ভব ভালো ফলাফল করায় তা বিলম্বিত হলো। যারা বাংলাদেশের কোচ হয়েছেন, এখন পর্যন্ত তাদের কারোরই বিদায়টা ভালো হয় না। একই অবস্থা দেখা গেল চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বেলায়।
প্রথম মেয়াদে একটি ই-মেইল লিখেই চাকরি ছেড়ে গিয়েছিলেন। সেই হাথুরুকে বলতে গেলে হাতেপায়ে ধরে দ্বিতীয় মেয়াদে কোচ বানিয়ে নিয়ে আসেন বিসিবির সাবেক প্রধান নাজমুল হাসান পাপন।
ভারত সফর শেষে রোববার রাতে দলের সঙ্গে ঢাকায় ফেরেন হাথুরু। তবে ঢাকায় আর থাকা হচ্ছে না তার। মঙ্গলবার পেয়েছেন বরখাস্ত হওয়ার খবর। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত হাথুরুর সঙ্গে চুক্তি ছিল বিসিবির। তবে আগেভাগেই তাকে বিদায় করা হচ্ছে। ২০১৪ সালের মে মাসে প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন হাথুরু। ছিলেন ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ হাথুরুকে বরখাস্ত করার পেছনে অসদাচরণের বিষয়টি সামনে এনেছেন। সংবাদ সম্মেলনে ফারুক বলেন, দুই তিনটি ঘটনা ঘটেছে, যেগুলি আসলে একজন সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে আমার জন্য খুব পীড়াদায়ক ছিল। পাশাপাশি এটা দলের জন্যও খুব একটা ভালো উদাহরণ ছিল না। সেগুলি বিবেচনা করে আজকে আমরা তাকে একটা কারণ দর্শাও নোটিশ এবং দায়িত্ব থেকে অব্যহতির চিঠি দিয়েছি।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলার সময়ে ক্রিকেটার নাসুম আহমেদকে চড় মারা বা শারীরিক লাঞ্ছিত করার যে অভিযোগ হাথুরুর বিরুদ্ধে, সেটার প্রমাণ তারা পেয়েছেন।
এ বিষয়ে ফারুক বলেন, আমরা মানুষ। হিট অব দ্য মোমেন্টে অনেক কিছু হতেই পারে। তবে একজন জাতীয় দলের ক্রিকেটারকে আপনি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করতে পারেন না। সে কারণে যে শাস্তি পেতে হয়, সেটাই হচ্ছে (ছাঁটাই)। এটা আরও আগে হওয়া উচিত ছিল। এখন হয়েছে, আমি খুশি।
বিসিবি সভাপতি বললেন, একজন সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে আমার খারাপ লেগেছে। জাতীয় দলের ক্রিকেটার দেশের গৌরব, ১৮ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। ওই নামটা আর না নিই, ওটা ছিল কোচের অসদাচরণ। ভিকটিম, প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেছি। প্রত্যক্ষদর্শীরও রিপোর্ট ছিল। তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে আমি অনেক কাজ করেছি।