সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২
সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২

রূপগঞ্জে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে ১৫ হাজার পরিবার

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:১৭ পিএম | 67 বার পড়া হয়েছে
রূপগঞ্জে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে ১৫ হাজার পরিবার

টানা কয়েক দিনের বর্ষণে রূপগঞ্জের ৩০ গ্রামের অন্তত ১৫ হাজার পরিবার এখন পানিবন্দি। তাদের দুর্ভোগ চরমে। ভেসে গেছে মাছের খামার। গত কয়েক দিনের অতি বৃষ্টিতে ও অপরিকল্পিতভাবে সেচ প্রকল্প নির্মাণ এবং পানি নিষ্কাশনের খালগুলো বেদখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কোন কোন রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে ও মাঠে এবং রূপগঞ্জ থানার সামনের সড়কে হাঁটু সমান পানি। নির্মাণাধীন ডেমরা-রূপগঞ্জ-কালীগঞ্জ সড়কের বেহাল দশায় জনদুর্ভোগ চরমে। উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে মানুষ। আকাশে মেঘ জমলেই নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী সেচ প্রকল্পের ভেতরে বসবাসকারীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়।
১৯৮৪ সালে ৯০ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী অগ্রণী সেচ প্রকল্প-১ ও পরে ১৯৯৩ সালে ১০১ কোটি টাকা ব্যয়ে শীতলক্ষ্যার পূর্বপারের পাঁচ হাজার হেক্টর জমি ঘিরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। সেচ প্রকল্প নির্মাণ হওয়ার কয়েক বছর পরেই এখানে শুরু হয় জলাবদ্ধতা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার তারাবো পৌরসভার গন্ধর্বপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভবনের নিচ তলার সকল শ্রেণিকক্ষ ও মাঠে হাঁটু সমান পানি। তাতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একেবারেই কম। এছাড়া গোলাকান্দাইল, মধ্যপাড়া, তারাবো, বৌবাজার, বরপা, ভুলতা, দক্ষিণপাড়া, খালপাড়, নাগেরবাগ, মদিনানগর, বাকমোর্চা, তারাবো পৌরসভার তেঁতলাবো, ইসলামবাগ, নতুন বাজার, কান্দাপাড়া, বলাইখা, বিজয়নগর, পশ্চিম কান্দাপাড়া, উত্তর মাসাবো, যাত্রামুড়া, রূপসী ও ভুলতা ইউনিয়নের মাঝিপাড়া, সোনাবো, পাঁচাইখা, ইসলামপুরসহ আশপাশের এলাকায় এখন জলাবদ্ধতা। বাড়ির উঠানে পানি। অনেকের ঘরেই হাঁটু থেকে কোমরপানি। রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। জমির ফসল হলদে হয়ে মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। গবাদিপশু অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় কেউ কেউ আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। আবার কেউ কেউ বাঁশের মাচার ওপর বসবাস করছে। কয়েকটি শিল্পকারখানায়ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো স্থানে টিউবওয়েল পানিতে তলিয়ে গেছে। সেই সব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। দেখা দিয়েছে খাবারের সংকট। কোন কোন রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে। রূপগঞ্জ থানার সামনের সড়কে হাঁটু সমান পানি। নির্মাণাধীন ডেমরা-রূপগঞ্জ-কালীগঞ্জ সড়কের বেহাল দশায় জনদুর্ভোগ বেড়েই চলছে। এ সড়কের নির্মাণ কাজ কবে শেষ হবে তা কেউ বলতে পারছে না। তাছাড়া শিল্পকারখানার নির্গত কেমিক্যাল ও দুর্গন্ধযুক্ত কালো পানিতে দূষণ হয়ে রোগাক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের দুর্ভোগ অবর্ণনীয়।
এদিকে চোরাবো-সমু মার্কেট সড়ক ডুবে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি বেশি হওয়ায় বালু ও শীতলক্ষ্যাসহ নদ নদীর পানীও বেড়েছে। তারাবো পৌরসভার নিন্মাঞ্চলের বসতঘরে হাঁটু সমান পানি। টানা ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নিন্মাঞ্চলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা স্থায়ীরূপ নিয়েছে। কোন কোন স্থানে অব্যাহত বৃষ্টিতে সেতুর সংযোগ সড়ক ডুবে গেছে।
দেবৈই গ্রামের রানা মন্ডল বলেন, সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় অতিকষ্টে চলছে নিম্ন আয়ের মানুষের সংসার। দেখা দিয়েছে খাবারের সংকট। শিল্পকারখানার নির্গত বর্জ্যে পানি নিষ্কাশন খালগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। শিল্পকারখানার নির্গত পানি কুচকুচে কালো রং ধারণ করেছে। এই পানিতে হাঁটাচলা করতে গিয়ে মানুষ চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পানির কীট-পতঙ্গসহ মাছ মরে যাচ্ছে। আশপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
বরপা শান্তিনগর গ্রামের রওশন আলী বলেন, ১০-১২ বছর ধরে এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই এখানে হাঁটু সমান পানি হয়। পানির সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদের বাঁচতে হচ্ছে। কায়েতপাড়ার কামশাইর গ্রামের আমেনা খাতুন বলেন, তার ঘরে হাঁটুপানি। চুলায় আগুন জ্বালাতে পারেন না। ঘরে খাবার নেই। বিশুদ্ধ পানি নেই। শুকনো খাবার খেয়ে বাঁচতে হচ্ছে। অনেকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন।
গোলাকান্দাইল এলাকার যুবদল নেতা রাজিব ভুঁইয়া বলেন, রূপগঞ্জ শিল্পাঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সে কারণে জমির দাম বেশি। তুলনামূলকভাবে নিচু জমির দাম কম। তাই অনেকেই নিচু অঞ্চলে কম দামে জমি কিনে ঘরবাড়ি নির্মাণ করছেন। আর সে কারণেই নির্মিত ঘরবাড়িতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
মুড়াপাড়া দড়িকান্দী এলাকার বিএনপি নেতা মজিদ ভুঁইয়া বলেন, দড়িকান্দী, গঙ্গানগর, কুলীনপাড়া, সরকারপাড়া এলাকার নিন্মাঞ্চলের ঘর বাড়িতে পানি উঠেছে। তলিয়ে গেছে কৃষকদের ফসলি জমি। বানিয়াদী এলাকার যুবদল নেতা কামাল হোসেন বলেন, স্থানীয় শিল্প কারখানা অপরিকল্পিভাবে স্থানে স্থানে বাঁধ নির্মাণ করায় ও বর্জ্য ফেলে পানি নি:ষ্কাশনের খাল বন্ধ করে দেওয়ায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতা স্থায়ী রূপ নিয়েছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার আফরোজা সুলতানা বলেন, শতাধিক বিঘা জমির শাক-সবজি ও ১৫/২০ বিঘা জমির রোপা আমনের বীজতলার ক্ষতি হয়েছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা প্রকোশলী মেহমুদ মোর্শেদ উল আল-আমিন, অতি বর্ষণে ও পাহাড়ী ঢলে পানি বেড়ে যাওয়ায় চলাচলে কিছুটা বিঘœ ঘটছে। রাস্তা ঘাটের ক্ষতি হয়েছে। তবে পানি নি:ষ্কাশনের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ রকিবুল আলম রাজিব বলেন, নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী সেচ প্রকল্প বøক-১ এর চারটি পাম্প ও অগ্রণী সেচ প্রকল্পে তিনটি সেচ পাম্প দিয়ে সার্বক্ষণিক পানি নি:ষ্কাশন করা হচ্ছে। তবে ভারী বৃষ্টিপাত না হলে পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাবে। বেদখল খাল উদ্ধার, ভরাট হয়ে যওয়া সেচ খাল সংস্কার করা হলে, শিল্প-কারখানার বর্জ্য পরিশোধন করে নির্গত করা হলে ও গণমানুষ সচেতন হলেই জলবদ্ধতা নিরসন সহজ হবে।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও তারাবো পৌরসভা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার ভেতরে পানি নি:ষ্কাশনের জন্য ৩১ কিলোমিটার খাল খনন করা হয়েছে। এ খাল দিয়ে যাত্রামুড়ার পাম্পহাউজের ৩টি ও রূপসী পাম্পহাউজের ৪টি পাম্প দিয়ে দিনরাত পানি নি:ষ্কাশন করা হচ্ছে। রূপগঞ্জের তিনটি সেচ প্রকল্পসহ বিভিন্ন জায়গার সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ চলছে। আগামী ২/৩ দিনের মধ্যেই ফল পাওয়া যাবে তবে এক মাসের মধ্যে জলবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

লালমনিরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড-এর এডহক কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

চয়ন কুমার রায় লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫, ২:০০ এএম
লালমনিরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড-এর এডহক কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

লালমনিরহাটে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ লালমনিরহাট জেলা কমান্ড-এর এডহক কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন লালমনিরহাট জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ।

রোববার (৩ আগস্ট) দুপুর ১২টায় লালমনিরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ লালমনিরহাট জেলা কমান্ডের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন বলা হয় কিছু কুচক্রী মুক্তিযোদ্ধা যারা ৫৫বছর মুক্তিযুদ্ধের নাম ভাঙ্গিয়ে অনিয়ম দুর্নীতি করে বাড়ি-ঘর করে আজ তারা কোটিপতি। মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দলের ফিরোজুর রহমান নান্নু ও জাতীয় পার্টির হাবিবুল হক বসুনিয়া অর্থ ও স্বার্থের কাছে নিজেদের বিক্রি করে দিয়ে আজ বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই দুই ব্যক্তি জেলার ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে একের পর এক বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছেন। এই ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আনার দাবি জানান। বর্তমানে জেলার কমিটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এই কুচক্রী মহল ঢাকা হতে একটি অবৈধ কমিটি নিয়ে এসেছে তারা সকলেই আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দলের নেতা ও কর্মী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মোঃ শহিদুল্লাহ্ প্রধান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান, আব্দুস সামাদ মিঞা, মতিয়ার রহমান, নুরুল ইসলাম প্রামাণিক, মোঃ হোসেন আলী, এন্তাজুর রহমান প্রমুখ। এ সময় লালমনিরহাট জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমিটিগুলো ভেঙ্গে দেওয়া হয় এবং বর্তমানে যারা উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন তারাই মুক্তিযোদ্ধা কমিটির দায়িত্ব পালন করতেছেন। বর্তমানে লালমনিরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্বে রয়েছেন মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়।

জুলাই-আগষ্ট/২০২৪ইং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার মাফিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরবর্তী প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে বর্তমান আওয়ামী লীগের সকল প্রকার রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা চলমান থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের কতিপয় মুক্তিযোদ্ধা পলাতক শেখ হাসিনার দোসর নাশকতা করার লক্ষ্যে অত্র জেলার মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের বিশৃঙ্খলা ও ঐক্য বিনষ্টে অপতৎপরতা চালাইতেছে এই মর্মে অদ্যকার সংবাদ সম্মেলন।

যারা এই অবস্থায় বিগত সময়ের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সরকারের দোসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেছিল এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে যারা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পিটিয়ে ছুরিকাঘাত করে মানুষের উপর হামলা করেছিল।

মুক্তিযোদ্ধারা আরও বলেন, যারা ফ্যাসিস্টদের সহযোগী ছিল তারা স্বাধীনতাগামী যারা গণঅভ্যুত্থানে সহযোগিতা করেছিল সে সব মুক্তিযোদ্ধাদের পাশ কাটিয়ে তারা আজ বিএনপি সেজে কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলকে ভুল বুঝিয়ে যারা আওয়ামী পরিবারের সহযোগী সদস্যগণ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল কমিটি গঠন করে এনেছেন। এই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলকে আমরা মানতে রাজি নই। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট আমরা আহ্বান জানাচ্ছি অনতিবিলম্বে এই আহবায়ক কমিটি বাতিল ঘোষণা করা হোক।

এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সংবাদ সম্মেলনে লালমনিরহাটে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নওগাঁ জেলা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত নির্বচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম
নওগাঁ জেলা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত নির্বচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

নওগাঁ জেলা শাখা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে।  এবারের নির্বাচন শুধুমাত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক পদে তিনটিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

রবিবার (৩ আগষ্ট) রাতে তফসিল ঘোষণা করেন নওগাঁ জেলা বিএনপির নির্বাচন প্রধান সমন্বয়ক নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি মো. রেজাউল করিম বাদশা।

নির্বাচনী তফসিলে জানানো হয়, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ৪ আগষ্ট, মনোনয়ন ফরম বিক্রি হবে ৪ আগষ্ট সকাল ১১টা থেকে দুপুর  ১টা।

জমা নেওয়া হবে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৩টা। মনোনয়ন ফরম যাচাই বাছাই হবে ৪ আগষ্ট বিকাল ৩ টা থেকে ৪টায়।

মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৪ আগষ্ট বিকেল ৪টা থেকে বিকাল ৫টা। প্রতীক বরাদ্দ সন্ধ্যা ৬টায়। ভোট গ্রহণের তারিখ ১১ আগষ্ট বেলা ২টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

তফসিলে আরও উল্লেখ করা হয়, একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী একটি পদে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন।

বিষয়টি ঢাকাপ্রকাশকে নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এসএম রেজাউল ইসলাম রেজু। তিনি জানান, কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছেন। তফসিল অনুযায়ী সবকিছু হবে।

প্রায় ১৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ কাউন্সিল। তাই কাউন্সিলকে ঘিরে রয়েছে ব্যাপক উদ্দীপনা। এরমধ্যে কাউন্সিলকে সফল করতে গঠন করা হয়েছে উপ-কমিটি। কাউন্সিলে ১৪১৪ জন কাউন্সিলর ভোট দেবেন ও বিভিন্ন ইউনিট এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১০০০ ডেলিগেট উপস্থিত থাকবেন।

কাউন্সিলে আমন্ত্রণ জানানো হবে- বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অন্তত ১০০ জন অতিথিকে।

এর আগে, ২০১০ সালে শহরের নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠে  দলের কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন সামসুজ্জোহা খান, সাধারণ সম্পাদক হন জাহিদুল ইসলাম ধলু।

সর্বশেষ ২০২২ সালে আহ্বায়ক কমিটি গঠন হয়। সেখানে আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু ও বায়েজিদ হোসেন পলাশকে সদস্য সচিব হিসেবে ৩১ সদস্য অনুমদিত হয় ।

এবারের কাউন্সিলকে ঘিরে লাখো নেতাকর্মীর সমাগম হবে বলে ধারণা আয়োজকদের।

গাইবান্ধায় ‘নৈতিকতার দেয়াল’ ও ‘ভালো কাজের খাতা’ উদ্বোধন

মোঃ মিঠু মিয়া গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১০:১৯ পিএম
গাইবান্ধায় ‘নৈতিকতার দেয়াল’ ও ‘ভালো কাজের খাতা’ উদ্বোধন

গাইবান্ধা জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা উন্নয়নের মাধ্যমে আগামী দিনের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, গাইবান্ধার উদ্যোগে ‘নীতিবান শিশু, সুখী বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে আজ শনিবার (৩ আগস্ট ২০২৫) গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ‘নৈতিকতার দেয়াল’ স্থাপন এবং ‘ভালো কাজের খাতা’ বিতরণের শুভ উদ্বোধন করেন গাইবান্ধা জেলার মান্যবর জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জনাব আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিশুকালেই নৈতিক শিক্ষা দেওয়া হলে ভবিষ্যতে তারা সৎ, মানবিক ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। ‘নৈতিকতার দেয়াল’-এ শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ভালো কাজের অঙ্গীকার ও চর্চার সুযোগ পাবে, আর ‘ভালো কাজের খাতা’ হবে আত্মমূল্যায়নের একটি কার্যকরী হাতিয়ার।

এই কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণ, সম্মান, দায়িত্ববোধ ও মানবিক গুণাবলির চর্চা উৎসাহিত করা হবে। জেলা প্রশাসনের এই ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছে

error: Content is protected !!