সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

নতুন রূপে

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৫৩ এএম | 66 বার পড়া হয়েছে
নতুন রূপে

কিছু যোগাযোগ হঠাৎ থেমে যায়
আমরা ভাবি সম্পর্ক ভেঙে গেল।
আসলে তা নয়
যেখানে আমার নীরবতা জমে থাকে,
সেখানেই কারও সঙ্গে তার কথার নদী বইতে থাকে।
সব অনুভূতির উত্তর খুঁজে পাওয়া যায় না।
কিছু অনুভূতি থাকে
নিঃশব্দ দেবদারুর মতো
দেখা যায় না, তবু শেকড় ছড়িয়ে থাকে ভেতরে ভেতরে।
সূর্য ডুবলে আমরা দুঃখ পাই
কিন্তু পৃথিবীর অন্য পাশে তখন
আলোর হাহাকার লেগে যায়!
শেষ মানে শেষ নয়;
এটি কারও ভোরের দরজা।
মানুষও তেমনি
কারও জীবন অন্ধকারে ডুবিয়ে
তার নিজেরই আলো অন্য কোথাও বিলিয়ে আসে।
যে রাত আমাদের দীর্ঘ হয়,
তারই ভোর অন্য কারও জানালায় জ্বলে ওঠে।
আর আমরা শুধু শিখে নেই
অশেষ রাতের ভেতরেও
কেমন করে একটু আলো জমিয়ে
নিজেকে আবার নতুন সকাল বানাতে হয়।

জমজমের অলৌকিকতা: হাজেরা (আঃ)-এর দৌড় ও আল্লাহর কুদরত 🕋

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:২৪ এএম
জমজমের অলৌকিকতা: হাজেরা (আঃ)-এর দৌড় ও আল্লাহর কুদরত 🕋

আল্লাহ তা’আলা তাঁর প্রিয় নবী হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-কে এক কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি করলেন। তিনি আদেশ দিলেন, যেন ইব্রাহীম (আঃ) তাঁর প্রিয় স্ত্রী হযরত হাজেরা (আঃ) এবং ছোট শিশু হযরত ইসমাঈল (আঃ)-কে নিয়ে মক্কার জনবিহীন মরুপ্রান্তরে রেখে আসেন।
সেই সময় মক্কা ছিল সম্পূর্ণ নির্জন। সেখানে ছিল না কোনো মানুষ, না কোনো গাছ, আর না কোনো পানির উৎস। চারদিকে শুধু পাথর আর বালুর পাহাড়।
আল্লাহর হুকুমের প্রতি সম্পূর্ণ অনুগত হয়ে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) তাঁদের সেখানে রেখে ফিরে এলেন।
অসহায়ত্ব ও ভরসা
হযরত হাজেরা (আঃ)-এর কাছে ছিল মাত্র অল্প কিছু পানি আর সামান্য খাবার। কিছুদিন পর সেই সামান্য খাবার ও পানি সব শেষ হয়ে গেল। ছোট শিশু ইসমাঈল (আঃ) তৃষ্ণায় কাতর হয়ে কাঁদতে লাগলেন। সন্তানের এই কষ্ট দেখে মায়ের বুক ফেটে কান্না আসতে লাগলো, কিন্তু তিনি কিছুই করতে পারছিলেন না।
মায়ের হৃদয়ে তখন একটিই চিন্তা: কোথাও যদি একটু পানি পেতাম!
ভরসা শুধু আল্লাহ্‌র ওপর রেখে তিনি দৌড়ে গেলেন সাফা পাহাড়ে। চারদিকে তাকালেন, কিন্তু জনমানব বা পানির কোনো চিহ্ন নেই। এরপর তিনি মারওয়া পাহাড়ে গেলেন। সেখানেও নিঃশব্দ মরুভূমি ছাড়া কিছু পেলেন না।
সাতবার দৌড়
এইভাবে তিনি সাফা এবং মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে সাতবার দৌঁড়ালেন। প্রতিটি দৌঁড়ের সময় তাঁর মনে আশা ছিল—কোথাও হয়তো পানি বা কোনো পথিক পাবেন। তিনি ছিলেন ক্লান্ত, কিন্তু তাঁর হৃদয়ে ছিল আল্লাহর প্রতি অটল ভরসা।
যখন তিনি সপ্তমবার দৌঁড়ে শেষ করলেন, ঠিক তখনই তিনি দূর থেকে দেখলেন—তাঁর ছোট শিশু ইসমাঈল (আঃ) পায়ের গোড়ালি দিয়ে মাটি কাটছেন!
জমজমের উৎপত্তি: যখন তিনি চতুর্থবার মারওয়া পাহাড়ে পৌঁছান, তখন ইসমাইল (আ.)-এর পায়ের কাছে বা জিবরাইল (আ.)-এর ইশারায় মাটি ফেটে পানির ধারা বেরিয়ে আসে। এই অলৌকিক পানির ধারাকে রক্ষা করার জন্য হাজেরা (আ.) ‘জমজম’ (থেমে যাও) বলে চিৎকার করেন, এবং সেই থেকে এর নাম হয় ‘জমজম’।
আর সেই স্থান থেকেই হঠাৎ করে কূপের মতো পানি প্রবল বেগে বের হতে শুরু করলো।
হযরত হাজেরা (আঃ) দ্রুত দৌড়ে সেখানে গেলেন এবং চিৎকার করে বললেন: “জমজম! জমজম!” অর্থাৎ, “থেমে যাও! থেমে যাও!” কারণ, পানি এত দ্রুত বের হচ্ছিল যে, তা চারদিকে ছড়িয়ে যাচ্ছিল। তিনি দ্রুত হাতে বালু দিয়ে চারপাশ ঘিরে পানি জমিয়ে রাখলেন।
জমজমের বরকত
আর এইভাবে, আল্লাহর হুকুমে সৃষ্টি হলো জমজম কূপ—যা আজও পবিত্র মক্কায় প্রবহমান। এই অলৌকিক পানি পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র পানি হিসেবে গণ্য।
নবী করীম (সাঃ) এরশাদ করেছেন: “জমজমের পানি যে উদ্দেশ্যে পান করা হয়, আল্লাহ সেই উদ্দেশ্য পূরণ করেন।” (ইবনে মাযা)
সুবহানাল্লাহ! যে ভূমি একদিন ছিল নির্জন, আল্লাহ তাতে এমন বরকত দিয়েছেন যে, আজ তা পৃথিবীর হৃদয়ের স্থানে পরিণত হয়েছে। মক্কা মুকাররমা, যেখানে কোটি কোটি মানুষ হজ ও ওমরাহ করতে আসেন এবং জমজমের পানি পান করে নিজেদের নিয়ত পূর্ণ করেন।
আল্লাহর কুদরত: এই ঘটনা ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ রহমত ও কুদরত, যা প্রমাণ করে যে তিনি তাঁর অনুগত বান্দাদের কখনো একা ছাড়েন না। এই কূপটি আজও সচল এবং এর পানি অগণিত মানুষের জীবন বাঁচাচ্ছে ও বরকত দিচ্ছে।
শিক্ষা:
আল্লাহর নির্দেশে ত্যাগ স্বীকার এবং আল্লাহর ওপর অটল ভরসা রাখলে, আল্লাহ্‌ এমনভাবে সাহায্য করেন, যা মানব কল্পনাকে ছাড়িয়ে যায়। ধৈর্য, ত্যাগ এবং ইবাদতের মাধ্যমেই জীবনে আল্লাহর বরকত নেমে আসে।

হযরত ইউসুফ ( আঃ) কে কুয়োতে ফেলে দেওয়ার ঘটনা

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:২২ এএম
হযরত ইউসুফ ( আঃ) কে কুয়োতে ফেলে দেওয়ার ঘটনা

হযরত ইউসুফ (আঃ), যাঁর বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর, তিনি ছিলেন তাঁর পিতা নবী হযরত ইয়াকুব (আঃ)-এর অত্যন্ত আদরের কলিজার টুকরা। ভাইয়েরা এই কারণে তাঁকে হিংসা করত। একদিন তারা এক ষড়যন্ত্র করল।
কূপে নিক্ষেপ ও জিব্রাইলের (আঃ) রক্ষা
ভাইয়েরা পরিকল্পনা করল—ইউসুফকে দূরে কোথাও খেলার জন্য নিয়ে যাবে। পথে ইউসুফ (আঃ) তাদের গন্তব্য জিজ্ঞাসা করলেও উত্তর ছিল কেবল নীরবতা।
যখন তারা এক গভীর কুয়োর কাছে পৌঁছাল, তখন জালিম ভাইয়েরা ইউসুফকে জোর করে ধরে কুয়োর মধ্যে ফেলে দিল। ইউসুফ (আঃ) অসহায়ভাবে বললেন: “হে আল্লাহ! সবাই আমার সঙ্গ ছেড়ে দিয়েছে, তারপরেও তুমিই আমার রব!”
আল্লাহ তা’আলা তৎক্ষণাৎ হযরত জিব্রাইল (আঃ)-কে হুকুম দিলেন: “যাও, আমার নবীকে সাহায্য কর!”
ইউসুফ (আঃ) নিচে পড়ে যাওয়ার আগেই হযরত জিব্রাইল (আঃ) তাঁকে ধরে ফেললেন। জিব্রাইল (আঃ) বললেন: “ইউসুফ, ভয় পেও না, আমি আছি। একদিন এই ভাইয়েরা তোমার কাছে মাথা নত করবে।”
ভাইয়েরা ও মিথ্যা ছলনা
ইউসুফ (আঃ)-কে কূপে নিক্ষেপ করে ভাইয়েরা তাদের বাবা ইয়াকুব (আঃ)-এর কাছে গিয়ে মিথ্যা গল্প তৈরি করল। তারা রাতে কাঁদতে কাঁদতে পিতার কাছে এল এবং বললো: “হে পিতা! আমরা দৌড় প্রতিযোগিতা করছিলাম এবং ইউসুফকে আসবাবপত্রের কাছে বসিয়ে রেখেছিলাম। এমতাবস্থায় তাকে বাঘে খেয়ে ফেলেছে!”
তাদের কথা বিশ্বাস করানোর জন্য তারা বাড়িতে যাওয়ার পথে একটি ছাগল জবাই করে ইউসুফের কাপড়ে রক্ত মাখিয়ে আনল।
পবিত্র কোরআনে তাদের ছলনার কথা বর্ণিত হয়েছে: “তারা তার মিথ্যা রক্ত মাখানো জামা হাজির করল।”
ইয়াকুব (আঃ) তখন তাঁর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে বুঝলেন, এ তাদের ছলনা। তিনি বললেন: “কখনোই নয়! বরং তোমাদের মন তোমাদের জন্য একটা কথা তৈরী করে দিয়েছে। এখন সবর করাই শ্রেয়। তোমরা যা কিছু বললে তাতে আল্লাহই আমার একমাত্র সাহায্যস্থল।” (সূরা ইউসুফ, আয়াত: ১৬-১৮)
কুয়ো থেকে উদ্ধার ও মিশরের বাজারে
ভাইয়েরা ইউসুফ (আঃ)-কে কূপে ফেলে চলে যাওয়ার পর তিনি প্রায় তিন দিন একা সেই অন্ধকার কূপে রইলেন।
এরপর হঠাৎ সিরিয়া থেকে মিশরগামী একটি ব্যবসায়ী কাফেলা সেই কূপের পাশে যাত্রা বিরতি নিল। পিপাসা নিবারণের জন্য তারা কূপে বালতি ফেলল। বালতি তোলার পর দেখল—বালতিতে পানি নেই, পানির পরিবর্তে উঠে এসেছে সুন্দর এক বালক!
যিনি বালতি ফেলেছিলেন, তিনি অনিন্দ্য সুন্দর এই বালককে দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে বলে উঠলেন: “কী আনন্দের কথা! এ যে সুন্দর এক বালক!”
সেই যুগে মানুষ পণ্যের মতো বেচা-কেনা হতো। তাই তারা বালক ইউসুফ (আঃ)-কে দেখে মালিকবিহীন পণ্যদ্রব্য মনে করে লুকিয়ে ফেলল।
মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা
অন্ধকূপ থেকে উদ্ধার করে ব্যবসায়ী কাফেলা ইউসুফ (আঃ)-কে বিক্রির জন্য মিশরের বাজারে নিয়ে এলো। মানুষ কেনা-বেচার সেই হাটে এই অনিন্দ্য সুন্দর বালককে দেখে বিত্তশালী খরিদ্দাররা রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু করল।
কিন্তু আল্লাহ তাঁকে মর্যাদার স্থানে সমুন্নত করতে চেয়েছিলেন। সব খরিদ্দারকে ডিঙিয়ে মিশরের তৎকালীন অর্থ ও রাজস্বমন্ত্রী ক্বিৎফীর তাঁকে চড়ামূল্যে খরিদ করে নিলেন। ক্বিৎফীর ছিলেন নিঃসন্তান।
তিনি ইউসুফ (আঃ)-কে ক্রয় করে নিজের স্ত্রীর হাতে সমর্পণ করলেন এবং বললেন: “একে সম্মানজনকভাবে থাকার ব্যবস্থা কর। সম্ভবত, সে আমাদের কল্যাণে আসবে অথবা আমরা তাকে পুত্ররূপে গ্রহণ করে নেব।”
ইউসুফ (আঃ)-এর সুন্দর চেহারা ও নম্র-ভদ্র ব্যবহারে তাদের মধ্যে সন্তানের মমতা জেগে উঠেছিল। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে: “এভাবে আমরা ইউসুফকে সেদেশে প্রতিষ্ঠিত করলাম এবং এজন্যে যে তাকে আমরা বাক্যাদির পূর্ণ মর্ম অনুধাবনের পদ্ধতি বিষয়ে শিক্ষা দেই। আল্লাহ স্বীয় কর্মে সর্বদা বিজয়ী। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না।” (সূরা ইউসুফ, আয়াত: ২১)
শিক্ষা:
আল্লাহ্‌র পরীক্ষা কঠিন হতে পারে, কিন্তু তাঁর বান্দার প্রতি সাহায্য অলৌকিকভাবে আসে। বিদ্বেষ ও ছলনা কখনোই সফল হয় না; বরং আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাদেরকে শেষ পর্যন্ত মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেন।

ঈমান ও পরীক্ষা

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:২০ এএম
ঈমান ও পরীক্ষা

মদিনার এক যুবক ছিল, নাম তার আবদুল্লাহ। ছোটবেলা থেকেই সে নামাজ পড়ে, আল্লাহর প্রেমে বড় হয়ে উঠেছে। কিন্তু জীবনের এক সময় তার ঈমান কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হলো।
একদিন তার ব্যবসায় বড় ক্ষতি হলো। বন্ধুরা বলল,
“তুই আল্লাহর ওপর এত ভরসা করিস, তবু তো কিছুই ঠিক হচ্ছে না! আস, আমাদের মতো শর্টকাটে আয় কর, দুনিয়ায় সুখে থাক।”
আবদুল্লাহর মনে দ্বন্দ্ব তৈরি হলো। সে একা বসে কাঁদছিলো। তখন তার মা কাছে এসে বললেন,
“বাবা, আমি তোমাকে একটি সূরা শুনাতে চাই — সূরা আন-কাবুত।”
তিনি কুরআন খুলে পড়তে লাগলেন—
“মানুষ কি মনে করে যে, তারা শুধু ‘আমরা ঈমান এনেছি’ বললেই তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না?” (সূরা আন-কাবুত: আয়াত ২)
এই আয়াত শুনে আবদুল্লাহর হৃদয়ে আলো জ্বলে উঠল। সে বুঝল—আল্লাহ যাদের ভালোবাসেন, তাদেরকে পরীক্ষা করেন। যেমন একটি মাকড়সা তার দুর্বল জাল তৈরি করে, তেমনি মানুষ যদি আল্লাহর পরিবর্তে দুনিয়ার উপর ভরসা করে, তার ভরসাও ভেঙে যাবে।
আবদুল্লাহ ধৈর্য ধরল, হার মানল না। সে আবার সৎ পথে ব্যবসা শুরু করল। মাসের পর মাস কেটে গেল, অবশেষে আল্লাহ তাকে বরকত দিলেন।
একদিন এক বন্ধু এসে জিজ্ঞেস করল,
“তুই কীভাবে এত ধৈর্য ধরলি?”
আবদুল্লাহ মুচকি হেসে বলল,
“সূরা আন-কাবুত আমাকে শিখিয়েছে—সত্যিকার বিশ্বাস মানে পরীক্ষায় টিকে থাকা। মাকড়সার জাল যেমন দুর্বল, তেমনি দুনিয়ার ভরসাও অস্থায়ী। কিন্তু আল্লাহর ভরসা সর্বদা অটল।”
এই গল্প আমাদের শেখায় যে, ঈমান শুধু মুখে বলা নয়। বাস্তব পরীক্ষার মধ্য দিয়েই তা প্রমাণিত হয়। ধৈর্য, নির্ভরশীলতা, এবং আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রাখাই আমাদের জীবনের শক্তি।
শিক্ষা
সত্যিকারের ঈমান মানে পরীক্ষার সময় হার না মানা। দুনিয়ার ভরসা অস্থায়ী, কিন্তু আল্লাহর ওপর ভরসা স্থায়ী। ধৈর্য ধরো, চেষ্টা চালাও, আর আল্লাহর ওপর আস্থা রাখো।