সম্পাদকঃ রুবিনা শেখ
আত্মহত্যা
ছোট কারণ, বড় সিদ্ধান্ত
কেন মানুষ আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ছোটখাটো পারিবারিক ঝগড়া, প্রেমে ব্যর্থতা, কিংবা সামাজিক অপমানের মতো ঘটনাকে কেন্দ্র করে আত্মহত্যার প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে,
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি কেবল ব্যক্তিগত দুর্বলতার প্রতিফলন নয়, বরং সমাজের সহানুভূতি ও বোঝাপড়ার ঘাটতির প্রতিচ্ছবি।
মনোবিজ্ঞানীদের মতে, ছোট কারণ কখনোই আসল কারণ নয়। এর পেছনে জমে থাকা মানসিক চাপ, অব্যক্ত কষ্ট, একাকীত্ব, এবং ,কেউ বুঝবে না, এই ভয়ের মিশ্রণেই তৈরি হয় আত্মবিনাশের সিদ্ধান্ত। সমাজের চাপ, অনলাইন বিদ্রূপ, পারিবারিক অবহেলা—সব মিলিয়ে একজন মানুষ ধীরে ধীরে মানসিক অন্ধকারে ডুবে যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন বলেন,
আমরা সবাই এখন দ্রুত বিচার করি, কিন্তু শুনতে জানি না। একজন কিশোর বা তরুণ যদি সামান্য কারণে ভেঙে পড়ে, সেটা মানে সে অনেক দিন ধরেই নিজেকে অদৃশ্য মনে করছিল,
পরিবার ও সমাজের ভূমিকাই এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক—সবার জন্য দরকার মানসিক স্বাস্থ্যের শিক্ষা, খোলামেলা আলাপ, এবং সহানুভূতির চর্চা।
সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, একটা ছোট ভুল, একটুখানি কষ্ট, বা কোনো সম্পর্কের ভাঙন জীবনের শেষ নয়। কিন্তু আমাদের সমাজ এখনো কাউকে দুর্বল দেখলে তাকে সাহায্য না করে উপহাস করে,
জীবনকে ভালোবাসা, মানুষকে বোঝা এবং একে অপরের পাশে দাঁড়ানোই পারে এই আত্মবিনাশী প্রবণতা রোধ করতে। কারণ, প্রতিটি জীবনেরই মূল্য আছে
যা কোনো ছোট কারণেই শেষ হয়ে যাওয়ার নয়,
তবুও কেন জানিনা এই পথটাই
বেঁচে নেয়া ছাড়া অন্য উপায় থাকেনা ।













