রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

আমাদের ফেসবুক পেইজ লাইক দিন সবাই

আমাদের সাথে ই থাকুন সবাই, সব সময়

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:০৪ পিএম | 945 বার পড়া হয়েছে
আমাদের সাথে ই থাকুন সবাই, সব সময়

আসসালামু আলাইকুম।

আমাদের ফেসবুক পেইজ লাইক দিন সবাই:

https://www.facebook.com/uzzalbangladeshtv

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন সবাই:

https://www.youtube.com/@uzzalbangladeshtv

এবং আমাদের What’s app চ্যানেল ফলো করুন সবাই:

https://whatsapp.com/channel/0029VajNJtv4dTnLrUxxfB3S

আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন সবাই:

www.uzzalbangladesh.com

আমাদের যেকোনো প্রকারের ভিডিও দিন:
0️⃣1️⃣7️⃣4️⃣0️⃣6️⃣1️⃣2️⃣4️⃣0️⃣5️⃣- what’s app no

আমাদের ই মেইল অ্যাড্রেস: dhakamail30@gmail.com

আমাদের সাথে ই থাকুন সবাই, সব সময়। ধন্যবাদ।

মোঃ আব্দুল আজিজ ব্যবস্থাপনার সম্পাদক

ভাঙ্গুড়া পৌর ছাত্রদলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

মোঃ আব্দুল আজিজ ব্যবস্থাপনার সম্পাদক প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৪৩ এএম
ভাঙ্গুড়া পৌর ছাত্রদলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা, দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে পৌরসভার উত্তর সারুটিয়া বালুর মাঠে ভাঙ্গুড়া পৌর ছাত্রদলের আয়োজনে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

ভাঙ্গুড়া পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাসেল রানা পিন্টু’র সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহব্বায়ক মোঃ শাহিনুর রহমান শাহিনের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখেন, ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আয়নুল হক, ভাঙ্গুড়া পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম স্বপন, পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, চাটমোহর উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক নির্বাচিত সভাপতি মহসিন আলী, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক হুমায়ূন আহমেদ মুন।

দোয়া মাহফিলে ভাঙ্গুড়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান শাহীন বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। দীর্ঘ সময় স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। আজকের এই দোয়া মাহফিলে বিপুল মানুষের উপস্থিতি তাঁর প্রতি মানুষের ভালোবাসার প্রকাশ। বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া করার জন্য সবার কাছে তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন।

এসময় ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর তোফাজ্জল হোসেন বাবলু, ভাঙ্গুড়া পৌর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সম্মানিত সদস্য রেজাউল করিম রোমিও,মন্ডতোষ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মোঃ আকরাম আলী মাষ্টার, ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অনিক আহমেদ, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম সরকার, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্বাস আলী, ভাঙ্গুড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রোকুনুজ্জামান রাজিব, পৌর ছাত্রদল নেতা সামিউল ইসলাম তাজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় বিশেষ মোনাজাত করে দোয়া মাহফিল শেষ হয়।

সুলেখা আক্তার শান্তা

ভাঙনের পর গাঁথন

সুলেখা আক্তার শান্তা প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৩০ এএম
ভাঙনের পর গাঁথন

ইমরান ঘুমিয়ে ছিল। হঠাৎ করেই চিৎকার-চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙে যায় তার। চোখ কচলাতে কচলাতে বাইরে এসে দেখে, তার বড় ভাই জামাল, স্ত্রী শেফালীকে মারছে। ভাইয়া, ভাবিকে মারেন কেন? জামাল রাগ শরীর নিয়ে বলে, আমার কথা শোনে না। শুনে না বলেই কি গায়ে হাত তুলবেন?
শেফালী কাঁদতে কাঁদতে বলে, কী কথা শুনি না আমি? যে স্বামী গায়ে হাত তোলে, তার কথা শোনার দরকার কী? আমি আর পারছি না। রান্না ঝাড়ু মারি, আমি আর রান্না করতে পারব না। গাটা আর চলছে না। আমি শেষ। ইমরান এগিয়ে এসে বলল, ঠিক আছে ভাবি, এবার থামেন। ভাইরে আমি বলছি। তুমি ভালো করে বোঝাও তোমার ভাইরে। আচ্ছা যেটা বলার আমি বলছি।
শেফালী বলল, তোমার ভাইরে ভালো করে বলো। এরপর আমারে কিছু বললে আমি চলে যাব বাপের বাড়ি। জামাল কাঁধ ঝাঁকিয়ে বলল, আমিও চাই তুই বাপের বাড়ি চলে যা। তুই থাকলেই শুধু ঝামেলা। শেফালী চোখ সরিয়ে বলল, ঠিক আছে, আমি চলে যাই। ইরমান একটু নরম হয়ে বলল, ভাবি, তোমারে বললাম, তুমি থামো। ভাই যাই বলুক, তার জন্য তুমি চলে যাবে? শেফালী চুপ, চোখে অশ্রু। ইমরান ঘরের কোণে দাঁড়িয়ে আছে। শেফালী তাকে জিজ্ঞেস করে, তোমার ভাই কী বলে, তুমি শোনো না? তোমাদের এই ক্যাচাল দেইখা আমার নিজের বিয়ের ইচ্ছাটাই মরে গেছে। জামাল মুখ নিচু করে থাকে। কিছু বলে না।
শেফালী চোখের পানি আঁচলে মুছে, ধীরে বলে ইমরানকে, দেবর, আমি তোমার জন্য ভালো মেয়ে দেখে দেব। তবে একটা কথা মনে রাখবা। তোমার ভাবির মতো আর যেন কাউকে চোখের পানি ফেলতে না হয়। ইমরান মাথা তোলে, চোখে দৃঢ়তা। ভাবি, আমি একটা কথা বলি, আমি আমার স্ত্রীকে কখনও মারব না। আমি তাকে সুখেই রাখব। শেফালী একটু হেসে দেয়। তা জানি। তুই আলাদা। তোমার ভিতরটা ভালো।
ইমরানের বিয়ের পর, জীবন যেন নতুন আলোয় রঙিন হয়ে উঠলো ইমরানের কাছে। লিজা তার কাছে শুধু স্ত্রী নয়, যেন এক হৃদয়বন্ধু, এক নিঃশর্ত ভালোবাসার প্রতীক। ইমরান প্রতিদিন নিজের ভিতর থেকে এই প্রার্থনাই করে, লিজার যেন কখনও কোনো অভিযোগ না থাকে তার প্রতি। আমি চাই তার সব ইচ্ছা পূরণ করতে।
এক সন্ধ্যাবেলায়, চা হাতে বারান্দায় বসে লিজা হেসে বলল, তুমি তো আমার সব কথা শোনো? সব চাওয়া পূরণ করো। ইমরান জবাবে বলে, না শোনার কোনো কারণ নেই। এক মেয়ে যখন স্বামীর ঘরে আসে, তার বুকভরা আশা থাকে। আর সেই আশা পূরণ করা স্বামীর কর্তব্য। লিজার চোখে তৃপ্তি। সে বলে, তাহলে তো তুমি আমায় সত্যিই ভালোবাসো। বলো, তুমি কি আমার কথা শুনবে?
হ্যাঁ শুনব, উত্তর ইমরানের।
তবে একটা কথা বলি, তুমি বিদেশে যাবে।
চমকে ওঠে ইমরান। বিদেশ!
আমি চাই তুমি বিদেশ যাবে।
বিদেশ? ধীরে বলে সে, তুমি চাইলে যাব। কিন্তু জানো তো, তোমাকে রেখে আমার কোনো কিছু ভালো লাগে না।
লিজা বলে, আমি চাই তুমি যাও। আমার স্বপ্ন, আমার ভবিষ্যৎ সব তোমার ওপর ভরসা করেই সাজানো।
ইমরান একটু থেমে বলল, তোমার স্বপ্ন যদি বিদেশে যাওয়ার সঙ্গে জড়িত হয়, তাহলে আমি সেই পথেই হাঁটব।
ইমরান পাড়ি দেয় বিদেশে। নতুন দেশের আকাশে, সে ভবিষ্যতের সন্ধানে ছুটে চলে। তার মনের গোপনে একটাই ভাবনা, লিজাকে খুশি করা। বেতন হাতে পেলেই লিজার কথা ভাবে। বিদেশি মুদ্রার প্রতিটি টাকাই যেন তার ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি। পাঠিয়ে দেয় লিজার কাছে, নাও, তুমি যেভাবে খুশি, খরচ করো।
লিজা টাকা পেয়ে আনন্দে উচ্ছ্বসিত। মার্কেট করে, বন্ধুর সঙ্গে রেস্টুরেন্টে খায়। ফোনে ইমরান বলে, তোমার মনের আশা পূরণ করতে পারি আমি?
লিজা মিষ্টি হাসি দিয়ে বলে, হ্যাঁ, তুমি পারো। আমার কথাগুলো শুনো বলেই তো তোমায় ভালো লাগে। তবে বেশি ফোন কোরো না, বলে, লিজা। ইমরান হেসে ফেলে, কথা না বললে বউয়ের সঙ্গে, তাহলে কার সঙ্গে বলবো? ফোন করে বেশি টাকা খরচ করার দরকার নেই। টাকা যদি খরচ না করি তোমার জন্য, তাহলে কার জন্য করব?
বহু বছর ধরে প্রবাসে দিন কাটাচ্ছে ইমরানের। ক্লান্তি, একাকিত্ব, আর স্মৃতির ঘোরে সে বারবার দেশে ফিরতে চায়। এখন সে আর থাকতে চায় না বিদেশের নিঃস্ব শূন্যতায়, সে দেশে ফিরতে চায়।
ফোনে লিজাকে জানায়, আমি এবার দেশে ফিরতে চাই। মনটা আর থাকতে চায় না।
লিজা হেসে বলে, দেশে আসবা? কী করতে? ওইখানে তো ভালোই আছো। দেশে এসে তো কিচ্ছু করতে পারবা না। ইমরান থেমে যায় একটু। তারপর বলে, আমি দেশে এসে একটা ব্যবসা শুরু করতে চাই। তোমার সঙ্গে জীবনের বাকিটা সময় কাটাতে চাই। লিজার উত্তর তির্যক, তুমি ব্যবসা করবা? দেশে এসে ব্যর্থ হবে। থাকো ওইখানেই। ইমরানের বুকের ভেতর যেন কিছুটা বয়ে বেড়ায়। সে বাস্তব বুঝতে পারলো। ইমরান দিনশেষে শুধু টাকা পাঠায় না, সে পাঠায় নিজের শ্রম, স্বপ্ন আর আশা। ভাবছিল, ফিরবে দেশে, পাশে থাকবে প্রিয়জন। কিন্তু লিজার কথা যেন প্রতিদিন একটু একটু করে আশাকে ঝাপসা করে দেয়। তুমি ওইখানে ভালোই আছো। যখন দরকার হবে তখন বলব আসতে, লিজার কথায় যেন শুধু নির্দেশ, কোনো উষ্ণতা নেই।
ইমরানের জমানো টাকা দিয়ে লিজা জমি কিনে নিজের নামে। ইমরান জিজ্ঞেস করে, টাকাটা দিয়ে তুমি জমি কিনছো, ভালো কথা। কিন্তু তুমি তো আমার নামেও দিতে পারতে। লিজা রেগে যায়। জমি আমার নামে যে কথা তোমার নামেও সেই একই কথা! তুমি চিন্তা কোরো না, জমি কোথাও যাবে না। তবুও, কোথায় যেন একটা দাগ পড়ে যায় হৃদয়ের পাতায়। জমি আর বিশ্বাস দুটোই যেন এখন প্রশ্নের মুখে।
লিজার কথায় ভেতরে ভেতরে চুপসে যায় ইমরান। এত বছর বিদেশে থেকে যা অর্জন করেছে, সে সবই তো পাঠিয়েছে লিজার কাছে। বাড়ি, জমি, সঞ্চয় সবই তার শ্রম আর ঘাম দিয়ে গড়া। ইমরান কাঁপা গলায় বলে সে। তোমার নামে নিছো, নাও। বিদেশ থেইকা টাকা-পয়সা যা কামাইলাম, সবই তো তোমার কাছে। তোমার ইচ্ছা, তুমি যেটা ভালো বোঝো, সেটাই করো।
লিজা একটু থেমে বলে, শোনো, একটা কথা জানাই, তোমার টাকা-পয়সা আমার দ্বারা নষ্ট হবে না। এই আশ্বাস যেন ইমরানের বিষণ্নতায় এক বিন্দু শান্তি দেয়। কিন্তু জমি শুধু এক টুকরো মাটি নয়, সেটাতে ছিল তার ফিরে আসার স্বপ্ন, একসাথে থাকার আশা।
ইমরান ফোন করে, বারবার। কিন্তু লিজার সাড়া নেই। পরিচিত জনেরা নানা কথা বলে, কখনো সতর্কতা, কখনো কুৎসা। তোমার বউ তো এখন অন্য পুরুষের সঙ্গে ঘোরাফেরা করে। মনটা ধীরে ধীরে ভারী হয় ইমরানের। দূরদেশে রোজরাত তার মনে শুধু লিজা, আর সেই ছোট্ট সংসারের স্বপ্ন। কিন্তু লিজা কোথায় গেছে তার খবর ইমরান জানে না। একদিন খবর আসে লিজা অন্য একজনকে বিয়ে করেছে, সংসার করছে। ইমরান থমকে যায়। নিঃশব্দে ফাটে তার বুকের ভিতর আগুন। হায় হায়… এ কী সর্বনাশ হলো আমার! কাঁপা কণ্ঠে বলে সে। আমার বউ চলে গেল, আমার টাকা গেল, আমার জমিও গেল। যার জন্য এত বছর বিদেশে গলা শুকিয়ে কাজ করলাম, সেই আমারে ধোঁকা দিলো! হায়রে বিশ্বাস—কতটা নষ্ট, কতটা নিষ্ঠুর!
ভাই জামালের চোখে শুধু ভাইয়ের ভবিষ্যৎ নয়, আছে অভিজ্ঞতার আলো। সে ইমরানকে দেশে নিয়ে আসে, এবং নিজের হাতেই ছোট ভাইয়ের বিয়ে ঠিক করে দেয়।
শোন ইমরান, জামাল বলে, একজনের কাছে তো সব কিছু দিয়েছিলি টাকা, জমি, মন। এবার একটু হিসাব করে চল। নিজের ক্ষমতা নিজের কাছে রাখ। ইমরান হালকা হেসে বলে, ভাইয়া, সেই ভুল আর করব না। যা বোঝার দরকার ছিল, বুঝে গেছি। এবার অন্তরে হিসাবের খাতা খুলেছি।
বউ আসমা, শান্তশিষ্ট কিন্তু গভীর। সে স্বামী ইমরানকে বলে, শোনো? আমি সব চাই না। একটা মানুষ যতটুকু দিলে সে ভালো থাকতে পারে, ততটুকু আমাকে দিও। আমি বিশ্বাসের মূল্য বুঝি, মোহের নয়।
এই কথাগুলো যেন ইমরানের ভেতরে নতুন বিশ্বাসের বীজ বপন করে। এখন সে শুধু সম্পর্ক রাখে না, সম্পর্ক বুঝে চলতে শিখছে।
ইমরানের চোখে দুঃসহ ইতিহাসের ছায়া এখনো ঘোরে। আমার কাছে আর কিছু নাই, কাঁপা কণ্ঠে বলে সে, যেটা রোজগার করেছিলাম, সব গলে গেছে বিশ্বাসের আগুনে।
আরও একবার বিদেশের পথে পা বাড়ায় সে। তবে এবার আর আগের মতো না। বউয়ের কাছে আগের মতো টাকা পাঠায় না। পাঠালেও, প্রয়োজনের চেয়ে কম। আসমা ব্যথিত কণ্ঠে বলল, এই কিপটামি আমার ভালো লাগছে না। এইভাবে সংসার হয় না। তুমি ঠিক করো, শান্তিতে সংসার করবে কিনা? না আমাকে সাইড করে দেবে! ইমরান মাথা খারাপ হয়ে যায়, যেন আত্মদহন থেকে এক ধোঁয়া বেরিয়ে আসে, “হায় হায়… সর্বনাশ তো! একবার বউ চলে গেছে টাকা-পয়সার ভারে। এবার বউ যাবে কিপটামির কারণে।
দেশে ফিরে এসেছে ইমরান। ক্লান্ত হৃদয়ে একটাই চাওয়া আসমার, আমি একটা সুন্দর জীবন যাপন করতে চাই। আর টাকার লেনদেন নয়, একটু সুখের নিঃশ্বাস নিতে চাই। আসমা তাকিয়ে ইমরানের দিকে মৃদু হাসিতে বলে, তুমি হতাশ হয়ো না ইমরান। সব মানুষ একরকম হয় না। একজন চলে গেছে, তার মানে এই না যে সবাই একরকম। তোমার পাশে আছি তোমার পাশে থাকব। আসমার চোখে ছিল আশার দীপ্তি, আর ইমরানের চোখে ছিল যন্ত্রণার ছায়া। ইমরান বুঝে যায়, ভালোবাসা আর আস্থার জায়গায় যদি সঠিক মানুষ থাকে, তবে জীবনে সুখ আসে। তাদের জীবনে আসে একটি সন্তান। আর দুজনের মিলিত হৃদয়ে গড়ে ওঠে এক সংসার, যেটা শুধু ইট, কাঠ নয়, আত্মার স্থাপত্য।

মো : রাজিকুল ইসলাম, ​সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

সিংড়ায় প্রফেসর সাইদুর রহমানের পক্ষে জামায়াতের উঠান বৈঠক

মো : রাজিকুল ইসলাম, ​সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৫৮ এএম
সিংড়ায় প্রফেসর সাইদুর রহমানের পক্ষে জামায়াতের উঠান বৈঠক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থীর উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিংড়া উপজেলার ১২ নং রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের ভোগা গ্রামে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

​১২ নং রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত এই উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী প্রফেসর সাইদুর রহমান। ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর হাবিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে এবং ইউনিয়ন যুব জামায়াতের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভাটি পরিচালিত হয়।
​অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য আফছার আলী, উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আ ব ম আমান উল্লাহ, উপজেলা সেক্রেটারী অধ্যাপক এনতাজ আলী সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

​সভায় বক্তারা আগামী নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ন্যায় এবং ইনসাফ এর প্রতীক দাঁড়িপাল্লাকে বিজয়ী করার মধ্য দিয়ে দুর্নীতি চান্দাবাজ ও বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এছাড়াও এলাকার বিভিন্ন সমস্যা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন এবং আসন্ন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী প্রফেসর সাইদুর রহমানের পক্ষে সাধারণ মানুষের কাছে সমর্থন ও দোয়া কামনা করেন।