শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২
শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২

উখিয়ার দু’ কলেজের এইচ.এস.সির ফলাফল বিপর্যয় হওয়ার আসল কারণ কি হতে পারে

কামরুন তানিয়া ( উখিয়া প্রতিনিধি) প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:৫৫ পিএম | 78 বার পড়া হয়েছে
উখিয়ার দু’ কলেজের এইচ.এস.সির ফলাফল বিপর্যয় হওয়ার আসল কারণ কি হতে পারে

 

গতকাল (১৬/১০/২৫ইং) এইচ.এস.সি পরীক্ষার ফলাফলে উখিয়া কলেজ ও উখিয়া মহিলা কলেজে যে বিপর্যয়কর চিত্র দেখা গেছে, তা নিয়ে স্থানীয় সমাজে তীব্র আলোচনা শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। অনেকেই এর জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক এনজিও চাকরিকে দায়ী করছেন।পাশাপাশি বর্মান সময়ে সাড়া জাগানো রাজনৈতিক অঙ্গনকেও। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে— এসবই কি একমাত্র কারণ?সেই ক্ষেত্রে আমি একজন উখিয়ার বাসিন্দা পাশাপাশি একজন নারী অভিভাবক হয়ে আমার
ব্যক্তিগত মতামত হলো— না,এসবই মূল কারণ নয় শুধু এর চেয়ে আরও অনেক বেশি বিষয় ওতপ্রোতভাবে জড়িত যা
বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এইচ.এস.সি পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের চাকরির সুযোগ খুবই সীমিত। বরং দেখা যাচ্ছে, উখিয়া উপজেলার অনার্স, মাস্টার্স এমনকি বিভিন্ন টেকনিকেল পার্সন ও অসংখ্য তরুণ-তরুণী এখনো বেকার অবস্থায় রয়েছেন। সেই প্রেক্ষাপটে এইচ.এস.সি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের চাকরির সংখ্যা যে অত্যন্ত নগণ্য, তা সহজেই অনুমান করা যায়।
কাজেই এসব দিক বিবেচনা করে
দেখা যায় যেখানে ২০২৫ সালের এইচ.এস.সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রকৃতপক্ষে কতজন রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক এনজিওতে কর্মরত ছিলেন?

তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে

ফলাফল বিপর্যয়ের পেছনে একাধিক সামাজিক, পারিপার্শিক, প্রযুক্তিগত, শিক্ষাগত কারণ রয়েছে।যেগুলো আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিৎ বলে মনে করেন সচেতন মহল।

১:- শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসক্তি।
বিশেষ করে টিকটক, ফেসবুকের মধ্যে ডুবে সময় কাটানো, চায়ের দোকানে আড্ডা, অনলাইন গেমিংয়ে অযথা সময় নষ্ট করে পড়ালেখা থেকে দূরে সরে যাওয়া অন্যতম কারণ।

২:- অভিভাবকদের না মানা,শ্রদ্ধা ভক্তি কমে যাওয়া। অভিভাবকদের পর্যাপ্ত নজরদারির অভাব।
অনেক অভিভাবক সন্তানদের পড়ালেখার অগ্রগতি নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করেন না।ছেলে মেয়ের খায়েস পুরণে তৎপরতা, কিসের জন্য তাদের এই আবদার তা তদারকি না করা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত পাঠদানে যোগদান করছে কিনা তা তদারকি করা।

৩:- একাডেমিক পরিবেশ ও সুপারভিশনের দুর্বলতা
বেশ কিছু কলেজে নিয়মিত ক্লাস নেওয়া হয় না, শিক্ষক উপস্থিতিও অনেক ক্ষেত্রে অনিয়মিত। শিক্ষকরা শিক্ষতার পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গনে সংযুক্ত থাকায় ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের হক আদায়ে বিরত থাকাটাও অন্যতম কারণ।

৪:- বিগত আমলে যে অটো পাশ দেওয়া হয়েছিলো সেই মনোভাব পোষণ করে পড়াশোনা থেকে বিরত থাকাটাও অন্যতম কারণ।

৫:- দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষকের ঘাটতি।তৎকালীন সময়ের শিক্ষকরা এতোটা আপডেট না হওয়াটাও একটা বিশেষ কারণ।

৬:- শিক্ষার্থীদের রাজনীতিতে অতিরিক্ত সম্পৃক্ততা
শিক্ষার চেয়ে মিছিল-মিটিং ও সংগঠনকেন্দ্রিক ব্যস্ততা। রাজনৈতিক দলকে ইসু করে পড়াশোনায় ফাঁকি দিয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিকে প্রশ্নের সম্মুখীন করাটাও অজুহান।

৭:-মাদকাসক্ত, পরকীয়া —–বর্তমান সময়ে পারিবারিক ভাবে, একক ভাবে নেশায় আসক্ততাও এর অন্যতম কারণ।পাশাপাশি পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে থাকাটাও একটা কারণ।

৮:- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরী আছে, তবে এটার উপযুক্ত ব্যবহারের অভাবে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান চর্চার পরিবর্তে বাইরে সময় নষ্ট করছে। পার্শ্ববর্তী দোকানে গল্প গুজব করে সময় কাটাচ্ছে এবং এতে নৈতিক অবক্ষয় ও ঘটছে।

৯:- অল্প শিক্ষায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীতে চাকরি পাওয়ার আসক্তিতে পড়াশোনায় অমনোযোগী ছাত্র-ছাত্রী।

১০:-পিতা মাতার প্রতি অবাধ্যতা এবং উচ্চ বিলাসীতা অল্প বিদ্যায়।

১১:- ছাত্র রাজনীতির এবং ছাত্র আন্দোলনের অজুহাতে পরীক্ষায় পাশ করার করার মন মানসিকতা তৈরিতেও প্রভাব বিস্তার করে।

১২:– ছাত্র রাজনীতি—পড়াশোনার ক্ষতির ক্ষেত্রে অন্যতম কারণ।

১৩:- পণ্য গ্রাফিক্স — অল্প বয়সে হাতে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিভিন্ন পণ্য গ্রাফিক্সে বিশেষ করে প্রেমরিলেটেড পণ্য গ্রাফিক্স, সেক্সসুয়েল রোমান্টিক বিভিন্ন সিনেমা,গান ইত্যাদিতে সময় কাটানোটাও অন্যতম কারণ।

১৪:- টিকটক এটাও অন্যতম কারণ।

উপরোক্ত চিত্র পরিদর্শনের

আলোকে সমাধান কোথায় বা কেমনে হবে এর উত্তরণ?

এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল এতোটা বিপর্যয় হওয়ার কারণ তরান্বিত করতে গেলে দেখা যায় যে,ফলাফল বিপর্যয়ের দায় একক কোনো কারণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া সমাধান নয়। আমাদের প্রয়োজন সমন্বিত বিশ্লেষণ ও উদ্যোগ দরকার।
অভিভাবক, শিক্ষক, প্রশাসন এবং সমাজের সচেতন নাগরিক— সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে শিক্ষার পরিবেশ পুনর্গঠনের জন্য।অভিভাবকদের আরও বেশি নজরদারি হতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বর্তমান প্রযুক্তির ব্যবহার বহুবিধ ভাবে বৃদ্ধি করতে হবে।বয়সে বড় ছোটদের মধ্যে শ্রদ্ধা, সম্মান, স্নেহময় অবস্থা বেদে আচরণবিধি, শাসন ব্যবস্থা বলবৎ রাখতে হবে। তবেই আগামী প্রজন্ম আবারও ভালো ফলাফল দিক দিয়ে উখিয়ার শিক্ষার গৌরব ফিরিয়ে আনতে পারবে বলে আমার ব্যক্তিগত মতামত।

ফ্যাসিস্ট লীগের দোসর হাসমত আলী পি ডি বির বিতরণ বিভাগে এখনো বহাল তবিয়তে

সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার চট্টগ্রাম ঃ প্রকাশিত: শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৫৯ পিএম
ফ্যাসিস্ট লীগের দোসর হাসমত আলী পি ডি বির বিতরণ বিভাগে এখনো বহাল তবিয়তে

 

চট্টগ্রাম পি ডিভির বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ নিউমুরিন এর হাসমত আলীর আমল নামা, সরকারি অফিসার কলোনির মধ্যে মেয়ে নিয়ে কেলেঙ্কারির অভিযোগ, ফ্যাসিস্ট,লীগের
আসমত আলী এখনো বহাল তবিয়তে এ নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই কারো, জনমনে একটাই প্রশ্ন, একজন শ্রমিক লীগের নেতা হয়ে ও কিভাবে নিউমুরিং বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগে চাকরি করে ও নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মিছিল মিটিংয়ে অর্থ প্রধান কারী ও গোপনে শ্রমিক লীগের নেতাদের সাথে যোগাযোগ করা থেকে শুরু করে এমন কোন অপকর্ম নাই সে জড়িত নয়, এভাবে তাকলে পিডিবি নিউমুরিং অফিস আওয়ামী দোসর দালালদের হাতে চলে যাওয়ার আশংকা রয়েছে বলে জানান, কিছু কর্মকর্তাগন, কয়েক জন অফিস কর্মকর্তার সাথে মোটোফোনে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা বলেন হাসমত আলী এমন কিছু করতে চান তিনি মনে করেন এখনো আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে, সে কাউকে পরোয়া না করার ও অভিযোগ রয়েছে, এমনকি নারী কেলেঙ্কারির পরে ও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্তা গ্রহণ করা হয়নি, এ বিষয় নিয়ে পি ডিবির সিনিয়র একজন সহকারী পরিচালক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন তার সাথে বড় বড় নেতাদের সাথে যোগাযোগ তাকার কারণে তার বিরুদ্ধে কোন বিচার ব্যাবস্তা করতে গেলে বাধার শিকার বা হুমকির মধ্যে পড়তে হয়, একজন সিনিয়র সহকারী ইঞ্জিনিয়ার বলেন তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্তা নেওয়া দুরের কথা, তার বিরুদ্ধে কথা বললে ও বিভিন্ন না অজানা মহল থেকে হুমকি দমকি দেওয়া হয় বলে ও অভিযোগ করেন, পিডিবিতে কর্মরত কিছু কিছু সাধারণ কর্মচারী বলেন আমরা তার বিরুদ্ধে কয়েক বার চিঠির মাধ্যমে অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু তাতে কিছুই হয়নি তারা আরও বলেন পিডিবির অফিসার কলোনির মধ্যে নারী কেলেঙ্কারির পরে ও তার বিরুদ্ধে কোন বিচার বা কোন ধরনের ব্যাবস্তা গ্রহণ করা হয়নি কেন, তা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে ,এখন থানা প্রশাসন পারে তাকে, আইনের আওতায় আনতে, না হলে তার বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ জমা পড়লে ও যেন দেখার কেউ নেই, এ নিয়ে ই পি জেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাহেবের সাথে মোটোফোনে যোগাযোগ করা হলে উনাকে লাইনে পাওয়া যায় নি,,সাধারণ মানুষ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন অতি দ্রুত এই আওয়ামী দোসর দালালদের আইনের আওতায় আনতে না পারলে দেশের বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলে জানান।

এয়ারপোর্ট কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে স্তব্ধ বিমানবন্দর কার্যক্রম

রুবিনা শেখ প্রকাশিত: শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩৪ পিএম
এয়ারপোর্ট কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে স্তব্ধ বিমানবন্দর কার্যক্রম

 

রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুরো বিমানবন্দর এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় চরম আতঙ্ক ও অচলাবস্থা। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে গেট নম্বর ৮ এলাকার একটি আমদানিকৃত পণ্যের স্টোরেজে হঠাৎই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের গুদাম ও পার্শ্ববর্তী স্থাপনায়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রায় ৩৬টি ইউনিট, পাশাপাশি বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর বিশেষ টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে একযোগে কাজ করে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লাগে বলে জানান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় কোনো প্রাণহানির খবর না পাওয়া গেলেও, ব্যাপক পরিমাণ পণ্যের ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কর্মকর্তারা।
অগ্নিকাণ্ডের কারণে সাময়িকভাবে বিমানবন্দরের সব ধরনের ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অন্তত চারটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এতে বিমান চলাচল ও পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় বিপর্যয় দেখা দেয়।
প্রাথমিক ধারণা
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কার্গো ভিলেজের কোনো বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনার সঠিক কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
এক ফায়ার অফিসার জানান, স্টোরেজ এলাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় নিয়ন্ত্রণে সময় লেগেছে। এখানে আমদানিকৃত দাহ্য পদার্থ ছিল, যা আগুনকে আরও তীব্র করেছে।
ভবিষ্যৎ ঝুঁকি ও ব্যবস্থা
বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় এত বড় অগ্নিকাণ্ড দেশীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার বড় ঘাটতি প্রকাশ করেছে। আগুন নেভানোর পরও এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে যাতে পুনরায় দাহ্য পদার্থ থেকে কোনো অগ্নিস্ফুলিঙ্গ না দেখা দেয়।

এ ঘটনায় বিমানবন্দর কার্গো ব্যবস্থাপনা ও অগ্নি নিরাপত্তা নীতিমালা পুনর্মূল্যায়নের দাবি উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এই ঘটনার পরও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বিমান চলাচল স্বাভাবিকের পথে
সন্ধ্যার পর থেকে ধীরে ধীরে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত স্টোরেজ এলাকায় প্রবেশ সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক বলেন, আমরা আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এনেছি। ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ঘিরে রাখা হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।

পড়বো, শিখবো, লিখবো, দেশ ও জাতিকে বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব দিবো’— চট্টগ্রাম_রিপোর্টার্স_ইউনিটির সভায় সাংবাদিক নেতারা

সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার চট্টগ্রামঃ প্রকাশিত: শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:২৯ পিএম
পড়বো, শিখবো, লিখবো, দেশ ও জাতিকে বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব দিবো’— চট্টগ্রাম_রিপোর্টার্স_ইউনিটির সভায় সাংবাদিক নেতারা

 

‘পড়বো, শিখবো, লিখবো, দেশ ও জাতিকে বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব দিবো’— এই অনুপ্রেরণামূলক স্লোগানকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটির উদ্যোগে আজ এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চট্টগ্রামের চেরাগী পাহাড়স্থ লুসাই ভবনের তৃতীয় তলায় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আলী আহমেদ শাহীন এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আলমগীর নূর । সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক কিরণ শর্মা, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক কামরুল হুদা।বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক এস এম পিন্টু, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম।এতে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক হারাধন চৌধুরী, পারভীন আক্তার, এম.নজরুল ইসলাম খান।সংগঠনের সিনিয়র সাংবাদিক, নবীন সদস্য এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, সাংবাদিকতা শুধুমাত্র খবর প্রকাশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি একটি বুদ্ধিবৃত্তিক পেশা। একজন সাংবাদিক যত বেশি পড়বে ও শিখবে, তত বেশি বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা ও লেখার মাধ্যমে সমাজ ও জাতিকে নেতৃত্ব দিতে পারবে।

তাঁরা আরও বলেন, বর্তমান সময়ে তথ্যের স্রোতের মধ্যে সত্য ও যুক্তিনির্ভর সংবাদ উপস্থাপন করা সাংবাদিকদের নৈতিক দায়িত্ব। এজন্য নিয়মিত পাঠ, গবেষণা ও বিশ্লেষণধর্মী লেখার বিকল্প নেই।

সভায় নবীন সাংবাদিকদের মধ্যে পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি, নৈতিক মূল্যবোধ চর্চা ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ লেখায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি আগামী মাসে তরুণ সাংবাদিকদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভা শেষে বক্তারা বলেন, সাংবাদিক সমাজ যদি নিজেদের জ্ঞানচর্চা ও চিন্তার পরিসর বাড়াতে পারে, তবে তারা জাতিকে প্রকৃত অর্থে বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব দিতে পারবে।