সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২
সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২

২১ বছরেও শেষ হয়নি বালু নদীর সেতু নির্মাণ কাজ

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪, ১:৩৩ পিএম | 111 বার পড়া হয়েছে
২১ বছরেও শেষ হয়নি বালু নদীর সেতু নির্মাণ কাজ

ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সিমানাবর্তী রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া-নগরপাড়া এলাকার বালু নদীর সেতুর নির্মাণ কাজ ২১ বছরেও শেষ হয়নি। বহু প্রতীক্ষিত ও প্রত্যাশিত বালু ব্রিজ নামে পরিচিত এ সেতু ২০০৩সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তখন ৭৫ দশমিক ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যরে এ সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৫কোটি ৮০ লাখ টাকা। সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার দাবিতে এলাকাবাসী বিভিন্ন সময়ে সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ, মানববন্ধন, সড়ক অবরোধসহ নানা ধরণের কর্মসূচি পালন করেছে। কিন্তু কোন সুফল হয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বালু নদীর সেতুর দু’টি পিয়ার, দু’টি পিয়ারের কলম, ক্যাপ, একপাশে উইংওয়াল ও এবার্টমেন্ট দেয়াল দাঁড়িয়ে আছে। সেতুর সংযোগ সড়কের বেহাল দশা। ওই সড়কের সলিং করা ইট উঠে গেছে। ব্যবহৃত রড মরিচিকায় ধরেছে।
বালু সেতু নির্মাণ হলে এলাকার মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যেতো। খুলে যেতো সম্ভাবনার দুয়ার। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার সেতুবন্ধন তৈরি হতো। কমে যেতো রাজধানী ঢাকার যানজট আর দুরত্ব। একটি মাত্র সেতুর জন্য রূপগঞ্জসহ আশপাশের লাখো মানুষকে ১২/১৩ কিলোমিটার পথ ঘুরে রাজধানী ঢাকায় যেতে হয়। অথচ এ সেতুটি হলে মাত্র ২০ মিনিটে বাসিন্দারা ঢাকায় যেতে পারবে। সেতুটি নিয়ে দু’দফায় টেন্ডারও হয়েছে। সেতুটিকে ঘিরে লাখো মানুষ বুক ভরা আশা আর স্বপ্ন নিয়ে আছেন।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ(সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের অধীনে মাঝিনা-কায়েতপাড়া-ত্রিমোহনী সড়কের বালু নদীর উপর সেতুর নির্মাণের দরপত্র ২০০১সালে আহবান করা হয়। সেতু নির্মাণে মেসার্স ইষ্টার্ণ ট্রেডার্স লিমিটেড দায়িত্ব পায়। সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত¡াবধানে এক বছরের মধ্যে সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিলো।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইষ্টার্ণ ট্রেডার্স লিমিটেডের মালিক জাহিদ হোসেন বলেন, সেতু নির্মাণে ২০০৪-২০০৫ অর্থবছরে মাত্র ৫০ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর আর কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। টাকাও উত্তোলন করা যায়নি। সিডিউল অনুযায়ী সিমেন্ট, রড, বালি, পাথরসহ নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় একপর্যায়ে নির্মাণ কাজে স্থবিরতা নেমে আসে। এরকম নানা প্রতিক‚লতায় বালু সেতু নির্মাণ কাজ ২১বছরেও শেষ হয়নি। বর্তমানে বালু সেতুর দু’টি পিয়ার, পিয়ার কলম, একদিকের এবার্টমেন্ট ও উইংওয়াল নির্মাণের পর সেতুর নির্মাণ কাজ থমকে যায়।
২০২১সালে অসমাপ্ত বালু সেতু নির্মাণে দ্বিতীয় দফায় দরপত্র আহবান করা হয়। এসময় নতুন করে বরাদ্দ দেওয়া হয় প্রায় ১৩ কোটি টাকা। তখন মেসার্স ইউনুস এন্ড বাদ্রার্স এবং মেসার্স সরদার এন্টারপ্রাইজ (জেভি) সেতু নির্মাণের কাজ পায়। সে অনুযায়ী ২০২১সালের মে মাসে কাজ শুরু করার কথাও ছিলো। অজ্ঞাত কারনে দ্বিতীয় দফায় সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
বিভিন্ন সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা এ সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রæতিও দিয়েছিলেন। বালু নদীর রূপগঞ্জ অংশের চনপাড়া, ইউসুফগঞ্জ ও ভোলানাথপুরে তিনটি সেতু নির্মাণ করা হলেও এ সেতুটির ভাগ্যে বইছে বঞ্চনা।
বালু সেতুটি নির্মাণ হলে রূপগঞ্জসহ রাজধানী ঢাকার উপকন্ঠের খিলগাও, সবুজবাগ, ডেমরা ও আশপাশের কয়েক লাখ মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাবে। খুলে যাবে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। তৈরি হবে নতুন নতুন শিল্পকারখানা ও গার্মেন্টস শিল্প। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের। সেতুটি নির্মিত হলে কাঁচপুর ও সুলতানা কামাল সেতুর যানজট কমে যাবে। দেশের উত্তরাঞ্চল সিলেট, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদীসহ ১০ জেলার যানবাহন অতি সহজে ভুলতা দিয়ে কায়েতপাড়া হয়ে রাজধানী রামপুরায় প্রবেশ করতে পারবে।
নগরপাড়া গ্রামের রাসেল আহম্মেদ বলেন, বাপ-দাদার কাছে শুনে আসছি, বালু সেতু নির্মাণ হবে। সেতু নির্মাণ হলে রূপগঞ্জের অর্ধশতাধিক গ্রামের কৃষক ঢাকায় তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য সরাসরি ঢাকায় বিক্রি করতে পারবেন। তারা লাভবান হবে। কিন্তু নানা প্রতিক‚লতায় সেতু নির্মাণ কাজ আজও শেষ হয়নি।
নগরপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, কত সরকার আইলো-গেলো, আমাগো স্বপ্ন পূরণ অইলো না। বালু সেতু কবে নির্মাণ হবে, তা কেউ বলতেও পারে না।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) শাহানা ফেরদৌস বলেন, কায়েতপাড়া-নগরপাড়া এলাকার বালু নদীর সেতু নির্মাণ খুবই জরুরি। শিগগিরই সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

লালমনিরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড-এর এডহক কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

চয়ন কুমার রায় লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫, ২:০০ এএম
লালমনিরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড-এর এডহক কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

লালমনিরহাটে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ লালমনিরহাট জেলা কমান্ড-এর এডহক কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন লালমনিরহাট জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ।

রোববার (৩ আগস্ট) দুপুর ১২টায় লালমনিরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ লালমনিরহাট জেলা কমান্ডের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন বলা হয় কিছু কুচক্রী মুক্তিযোদ্ধা যারা ৫৫বছর মুক্তিযুদ্ধের নাম ভাঙ্গিয়ে অনিয়ম দুর্নীতি করে বাড়ি-ঘর করে আজ তারা কোটিপতি। মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দলের ফিরোজুর রহমান নান্নু ও জাতীয় পার্টির হাবিবুল হক বসুনিয়া অর্থ ও স্বার্থের কাছে নিজেদের বিক্রি করে দিয়ে আজ বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই দুই ব্যক্তি জেলার ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে একের পর এক বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছেন। এই ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আনার দাবি জানান। বর্তমানে জেলার কমিটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এই কুচক্রী মহল ঢাকা হতে একটি অবৈধ কমিটি নিয়ে এসেছে তারা সকলেই আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দলের নেতা ও কর্মী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মোঃ শহিদুল্লাহ্ প্রধান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান, আব্দুস সামাদ মিঞা, মতিয়ার রহমান, নুরুল ইসলাম প্রামাণিক, মোঃ হোসেন আলী, এন্তাজুর রহমান প্রমুখ। এ সময় লালমনিরহাট জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমিটিগুলো ভেঙ্গে দেওয়া হয় এবং বর্তমানে যারা উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন তারাই মুক্তিযোদ্ধা কমিটির দায়িত্ব পালন করতেছেন। বর্তমানে লালমনিরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্বে রয়েছেন মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়।

জুলাই-আগষ্ট/২০২৪ইং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার মাফিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরবর্তী প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে বর্তমান আওয়ামী লীগের সকল প্রকার রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা চলমান থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের কতিপয় মুক্তিযোদ্ধা পলাতক শেখ হাসিনার দোসর নাশকতা করার লক্ষ্যে অত্র জেলার মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের বিশৃঙ্খলা ও ঐক্য বিনষ্টে অপতৎপরতা চালাইতেছে এই মর্মে অদ্যকার সংবাদ সম্মেলন।

যারা এই অবস্থায় বিগত সময়ের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সরকারের দোসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেছিল এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে যারা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পিটিয়ে ছুরিকাঘাত করে মানুষের উপর হামলা করেছিল।

মুক্তিযোদ্ধারা আরও বলেন, যারা ফ্যাসিস্টদের সহযোগী ছিল তারা স্বাধীনতাগামী যারা গণঅভ্যুত্থানে সহযোগিতা করেছিল সে সব মুক্তিযোদ্ধাদের পাশ কাটিয়ে তারা আজ বিএনপি সেজে কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলকে ভুল বুঝিয়ে যারা আওয়ামী পরিবারের সহযোগী সদস্যগণ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল কমিটি গঠন করে এনেছেন। এই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলকে আমরা মানতে রাজি নই। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট আমরা আহ্বান জানাচ্ছি অনতিবিলম্বে এই আহবায়ক কমিটি বাতিল ঘোষণা করা হোক।

এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সংবাদ সম্মেলনে লালমনিরহাটে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নওগাঁ জেলা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত নির্বচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম
নওগাঁ জেলা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত নির্বচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

নওগাঁ জেলা শাখা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে।  এবারের নির্বাচন শুধুমাত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক পদে তিনটিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

রবিবার (৩ আগষ্ট) রাতে তফসিল ঘোষণা করেন নওগাঁ জেলা বিএনপির নির্বাচন প্রধান সমন্বয়ক নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি মো. রেজাউল করিম বাদশা।

নির্বাচনী তফসিলে জানানো হয়, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ৪ আগষ্ট, মনোনয়ন ফরম বিক্রি হবে ৪ আগষ্ট সকাল ১১টা থেকে দুপুর  ১টা।

জমা নেওয়া হবে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৩টা। মনোনয়ন ফরম যাচাই বাছাই হবে ৪ আগষ্ট বিকাল ৩ টা থেকে ৪টায়।

মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৪ আগষ্ট বিকেল ৪টা থেকে বিকাল ৫টা। প্রতীক বরাদ্দ সন্ধ্যা ৬টায়। ভোট গ্রহণের তারিখ ১১ আগষ্ট বেলা ২টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

তফসিলে আরও উল্লেখ করা হয়, একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী একটি পদে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন।

বিষয়টি ঢাকাপ্রকাশকে নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এসএম রেজাউল ইসলাম রেজু। তিনি জানান, কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছেন। তফসিল অনুযায়ী সবকিছু হবে।

প্রায় ১৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ কাউন্সিল। তাই কাউন্সিলকে ঘিরে রয়েছে ব্যাপক উদ্দীপনা। এরমধ্যে কাউন্সিলকে সফল করতে গঠন করা হয়েছে উপ-কমিটি। কাউন্সিলে ১৪১৪ জন কাউন্সিলর ভোট দেবেন ও বিভিন্ন ইউনিট এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১০০০ ডেলিগেট উপস্থিত থাকবেন।

কাউন্সিলে আমন্ত্রণ জানানো হবে- বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অন্তত ১০০ জন অতিথিকে।

এর আগে, ২০১০ সালে শহরের নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠে  দলের কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন সামসুজ্জোহা খান, সাধারণ সম্পাদক হন জাহিদুল ইসলাম ধলু।

সর্বশেষ ২০২২ সালে আহ্বায়ক কমিটি গঠন হয়। সেখানে আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু ও বায়েজিদ হোসেন পলাশকে সদস্য সচিব হিসেবে ৩১ সদস্য অনুমদিত হয় ।

এবারের কাউন্সিলকে ঘিরে লাখো নেতাকর্মীর সমাগম হবে বলে ধারণা আয়োজকদের।

গাইবান্ধায় ‘নৈতিকতার দেয়াল’ ও ‘ভালো কাজের খাতা’ উদ্বোধন

মোঃ মিঠু মিয়া গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১০:১৯ পিএম
গাইবান্ধায় ‘নৈতিকতার দেয়াল’ ও ‘ভালো কাজের খাতা’ উদ্বোধন

গাইবান্ধা জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা উন্নয়নের মাধ্যমে আগামী দিনের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, গাইবান্ধার উদ্যোগে ‘নীতিবান শিশু, সুখী বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে আজ শনিবার (৩ আগস্ট ২০২৫) গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ‘নৈতিকতার দেয়াল’ স্থাপন এবং ‘ভালো কাজের খাতা’ বিতরণের শুভ উদ্বোধন করেন গাইবান্ধা জেলার মান্যবর জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জনাব আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিশুকালেই নৈতিক শিক্ষা দেওয়া হলে ভবিষ্যতে তারা সৎ, মানবিক ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। ‘নৈতিকতার দেয়াল’-এ শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ভালো কাজের অঙ্গীকার ও চর্চার সুযোগ পাবে, আর ‘ভালো কাজের খাতা’ হবে আত্মমূল্যায়নের একটি কার্যকরী হাতিয়ার।

এই কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণ, সম্মান, দায়িত্ববোধ ও মানবিক গুণাবলির চর্চা উৎসাহিত করা হবে। জেলা প্রশাসনের এই ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছে

error: Content is protected !!