শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২
শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২

গোদাগাড়ী উপজেলায় কৃষকের মাঝে শাক-সবজির বীজ ও সার বিতরণ

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৫৮ এএম | 67 বার পড়া হয়েছে
গোদাগাড়ী উপজেলায় কৃষকের মাঝে শাক-সবজির বীজ ও সার বিতরণ

 

জি.আর রওনক,রাজশাহী :

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় কৃষকের মাঝে মাঠ ও বসতবাড়ি পর্যায়ে চাষের জন্যে আগাম শাক-সবজির বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় গত বুধবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ।
সভাপতিত্ব করেন গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মরিয়ম আহমেদ।

মরিয়ম আহমেদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রথমে বক্তব্য রাখেন,উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ,তিনি কৃষিদের উদ্দেশ্যে বলেন চাষযোগ্য আগাম শীতকালীন শাক-সবজির বীজ ও সার দেওয়ার মাধ্যমে কৃষকরা যেন উপকৃত হয় এবং সময়ের আগে ফসল ঘরে তুলতে পারে এজন্য সরকারের এই ব্যবস্তা কৃষকরা যেন লাভের মুখ দেখতে পাই। উপজেলা কৃষি অফিসার মরিয়ম আহমেদ বলেন কৃষকরা সঠিক সময়ে বীজ রোপন করতে পারে এবং উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে এজন্য সরকারের এধরণের উদ্যোগ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মরিয়ম আহমেদ আরও বলেন, গোদাগাড়ী উপজেলার ৭১৫ জন কৃষককে বিনামূল্যে আগাম সবজির বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে।

এরমধ্যে ২১৫ জনকে বসতবাড়িতে লাগানোর জন্য এবং মাঠে ৫০০ কৃষককে লাগানোর জন্য শাক-সবজি বীজ দেওয়া হয়।

এছাড়া প্রত্যেক কৃষককে ডিএপি সার ১০কেজি ও এমওপি সার ১০ কেজি করে বিতরণ করা হয়। অন্যদিকে বসতবাড়িতে শাকসবজি চাষে আগ্রহী ২১৫ উপকারভোগীর মাঝে বেগুন, পালংশাক, লালশাক, মটরশুটি, লাউ, মূলা ও বাটিশাক-এই ৭ প্রকার সবজির বীজ ৫০০ গ্রাম করে দেওয়া হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার,উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার, উপজেলা সহকারী কৃষি অফিসার ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মরিয়ম আহমেদ সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাসহ শতাধিক কৃষক-কৃষানী।

গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার মরিয়ম আহমেদ জানান, এই উদ্যোগের মাধ্যমে কৃষকরা আগাম সবজি উৎপাদনে উৎসাহিত হবেন এবং পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে। চলতি অর্থবছরে রাজশাহী জেলায় ৬ হাজার ১৬০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের জন্য প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।

এয়ারপোর্ট কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে স্তব্ধ বিমানবন্দর কার্যক্রম

রুবিনা শেখ প্রকাশিত: শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩৪ পিএম
এয়ারপোর্ট কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে স্তব্ধ বিমানবন্দর কার্যক্রম

 

রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুরো বিমানবন্দর এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় চরম আতঙ্ক ও অচলাবস্থা। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে গেট নম্বর ৮ এলাকার একটি আমদানিকৃত পণ্যের স্টোরেজে হঠাৎই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের গুদাম ও পার্শ্ববর্তী স্থাপনায়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রায় ৩৬টি ইউনিট, পাশাপাশি বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর বিশেষ টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে একযোগে কাজ করে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লাগে বলে জানান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় কোনো প্রাণহানির খবর না পাওয়া গেলেও, ব্যাপক পরিমাণ পণ্যের ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কর্মকর্তারা।
অগ্নিকাণ্ডের কারণে সাময়িকভাবে বিমানবন্দরের সব ধরনের ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অন্তত চারটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এতে বিমান চলাচল ও পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় বিপর্যয় দেখা দেয়।
প্রাথমিক ধারণা
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কার্গো ভিলেজের কোনো বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনার সঠিক কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
এক ফায়ার অফিসার জানান, স্টোরেজ এলাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় নিয়ন্ত্রণে সময় লেগেছে। এখানে আমদানিকৃত দাহ্য পদার্থ ছিল, যা আগুনকে আরও তীব্র করেছে।
ভবিষ্যৎ ঝুঁকি ও ব্যবস্থা
বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় এত বড় অগ্নিকাণ্ড দেশীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার বড় ঘাটতি প্রকাশ করেছে। আগুন নেভানোর পরও এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে যাতে পুনরায় দাহ্য পদার্থ থেকে কোনো অগ্নিস্ফুলিঙ্গ না দেখা দেয়।

এ ঘটনায় বিমানবন্দর কার্গো ব্যবস্থাপনা ও অগ্নি নিরাপত্তা নীতিমালা পুনর্মূল্যায়নের দাবি উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এই ঘটনার পরও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বিমান চলাচল স্বাভাবিকের পথে
সন্ধ্যার পর থেকে ধীরে ধীরে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত স্টোরেজ এলাকায় প্রবেশ সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক বলেন, আমরা আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এনেছি। ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ঘিরে রাখা হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।

পড়বো, শিখবো, লিখবো, দেশ ও জাতিকে বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব দিবো’— চট্টগ্রাম_রিপোর্টার্স_ইউনিটির সভায় সাংবাদিক নেতারা

সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার চট্টগ্রামঃ প্রকাশিত: শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:২৯ পিএম
পড়বো, শিখবো, লিখবো, দেশ ও জাতিকে বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব দিবো’— চট্টগ্রাম_রিপোর্টার্স_ইউনিটির সভায় সাংবাদিক নেতারা

 

‘পড়বো, শিখবো, লিখবো, দেশ ও জাতিকে বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব দিবো’— এই অনুপ্রেরণামূলক স্লোগানকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটির উদ্যোগে আজ এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চট্টগ্রামের চেরাগী পাহাড়স্থ লুসাই ভবনের তৃতীয় তলায় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আলী আহমেদ শাহীন এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আলমগীর নূর । সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক কিরণ শর্মা, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক কামরুল হুদা।বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক এস এম পিন্টু, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম।এতে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক হারাধন চৌধুরী, পারভীন আক্তার, এম.নজরুল ইসলাম খান।সংগঠনের সিনিয়র সাংবাদিক, নবীন সদস্য এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, সাংবাদিকতা শুধুমাত্র খবর প্রকাশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি একটি বুদ্ধিবৃত্তিক পেশা। একজন সাংবাদিক যত বেশি পড়বে ও শিখবে, তত বেশি বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা ও লেখার মাধ্যমে সমাজ ও জাতিকে নেতৃত্ব দিতে পারবে।

তাঁরা আরও বলেন, বর্তমান সময়ে তথ্যের স্রোতের মধ্যে সত্য ও যুক্তিনির্ভর সংবাদ উপস্থাপন করা সাংবাদিকদের নৈতিক দায়িত্ব। এজন্য নিয়মিত পাঠ, গবেষণা ও বিশ্লেষণধর্মী লেখার বিকল্প নেই।

সভায় নবীন সাংবাদিকদের মধ্যে পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি, নৈতিক মূল্যবোধ চর্চা ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ লেখায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি আগামী মাসে তরুণ সাংবাদিকদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভা শেষে বক্তারা বলেন, সাংবাদিক সমাজ যদি নিজেদের জ্ঞানচর্চা ও চিন্তার পরিসর বাড়াতে পারে, তবে তারা জাতিকে প্রকৃত অর্থে বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব দিতে পারবে।

শাহবাগে গাছ কেটে বিলবোর্ড স্থাপন, রোগী ও নাগরিকদের ক্ষোভ প্রতিকারের দাবি

রুবিনা শেখ প্রকাশিত: শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:০৫ পিএম
শাহবাগে গাছ কেটে বিলবোর্ড স্থাপন, রোগী ও নাগরিকদের ক্ষোভ প্রতিকারের দাবি

 

ঢাকার শাহবাগে বারডেম হাসপাতালের সামনে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বড় আকারের ছায়াদানকারী গাছগুলো কেটে ফেলে সেখানে মেরিল কোম্পানির একটি বিলবোর্ড বসানো হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হাসপাতালের রোগী, পথচারী ও পরিবেশকর্মীরা।

চিকিৎসার জন্য দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীদের অনেকেই বলেন, এই গাছগুলোর নিচে একটু ছায়া পেতাম, বিশ্রাম নিতে পারতাম। এখন শুধু গরম আর ধুলো—আরামটা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

পরিবেশকর্মীরা জানিয়েছেন, শহরের প্রাণরক্ষাকারী এসব গাছ বাণিজ্যিক স্বার্থে কেটে ফেলা মারাত্মক পরিবেশ-অপরাধ। তারা বলেন, “ঢাকার মতো তাপপ্রবণ ও দূষিত শহরে প্রতিটি গাছ মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িত। গাছ কাটা মানে মানুষের শ্বাস নেওয়ার জায়গা সংকুচিত করা।

নাগরিক সমাজ ও পরিবেশবাদীরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন—
১. শাহবাগে কাটা গাছগুলোর জায়গায় দ্রুত নতুন গাছ রোপণ করতে হবে।
২. যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩. ভবিষ্যতে বিলবোর্ড স্থাপনের নামে যেন কোনো গাছ কাটা না হয়, সে বিষয়ে কঠোর নীতি গ্রহণ করতে হবে।

ঢাকার তীব্র তাপদাহ ও দূষণের মাঝে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন বিজ্ঞাপনের জন্য যদি জীবন বাঁচানো গাছ কেটে ফেলি, তাহলে বিজ্ঞাপন দেখার মানুষই একদিন থাকবে না।

চলমান বিতর্কের প্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে নাগরিকরা যেন শাহবাগের সবুজ ফেরে, আর এমন ঘটনা আর না ঘটে।