শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২

জোড়গাছা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে অনিয়ম ও কবর উচ্ছেদের অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি!!

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:০৯ পিএম | 116 বার পড়া হয়েছে
জোড়গাছা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে অনিয়ম ও কবর উচ্ছেদের অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি!!

 

আহসান হাবিব শিবলু বগুড়া প্রতিনিধি:

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার জোড়গাছা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক মো. এনামুল বারীর বিরুদ্ধে অনিয়ম, ছাত্রী হেনস্তা, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ করেছেন।

ঘটনার সূত্রপাত হয় এনামুল বারীর পুনর্বহালের আবেদনের প্রেক্ষিতে। এ বিষয়ে তদন্তে সরেজমিনে আসেন বগুড়া জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রমজান আলী আকন্দ। তদন্ত চলাকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ জুড়ে শতশত শিক্ষার্থী ও অভিভাবক “এনামুল বারীর অপসারণ চাই”, “দুর্নীতিবাজ শিক্ষক নয়, ন্যায় চাই” শ্লোগানে বিক্ষোভ করেন।

অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ— এনামুল বারী বিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক অনিয়মে জড়িত, ছাত্রীদের হেনস্তা করেন এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন ভাষা ব্যবহার করেন। তিনি অতীতে বিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি আয়োজন করে ছাত্রছাত্রীদের বাধ্য করতেন অংশ নিতে, যা শিক্ষা পরিবেশ নষ্ট করেছে।

দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মেরাজুল ইসলাম, রিমন ইসলাম, রিদয়, আকাশ ইসলাম, আশিকুল হক তারেক, শুভ, জাহিদ, আসিফ, নিলুফা, বিপ্লব, খুশি, লিজা, ও রিমিদের পক্ষে কথা বলেন—মেরাজুল ইসলাম বলেন স্যার আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন, ভয় দেখান। রিমন ইসলাম বলেন তিনি স্কুলকে নিজের রাজনৈতিক মঞ্চ বানিয়ে ফেলেছেন।নিলুফা আক্তার বলেন ছাত্রীদের হেনস্তা করা হয়, আমরা আর তাকে শিক্ষক হিসেবে চাই না।রিদয় ইসলাম বলেন আমরা নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে পড়ালেখা করতে চাই।
সাবেক শিক্ষার্থী রানা ইসলাম বলেন, আমাদের বিদ্যালয় একসময় এলাকায় শিক্ষার আদর্শ প্রতিষ্ঠান ছিল। এখন তার অনিয়মে সুনাম নষ্ট হয়েছে। আমরা চাই, স্কুলের মর্যাদা ও শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

অন্য সাবেক শিক্ষার্থী খাইরুন নেছা বলেন,বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার কবর স্কুল প্রাঙ্গণে অবস্থিত, অথচ এনামুল বারী সেটি উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়েছেন। এই কবর আমাদের গর্বের অংশ, এটি সরানোর চেষ্টা প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস মুছে ফেলার সমান। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রমজান আলী আকন্দ অভিযোগগুলো মনোযোগ সহকারে শুনে বলেন,আমি সব অভিযোগ লিখিতভাবে নিচ্ছি। ২–৩ কর্মদিবসের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে একটি ন্যায্য ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

এ সময় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম বাবলু, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহিনুর রহমান, অভিভাবক ফজলুল করিম, লিটন, মিলটন, মিজানুরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় অভিভাবকরা জানান, এই আন্দোলন স্কুলের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত রাখার প্রয়াস মাত্র, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়।

ক্ষুধার্ত পথশিশুদের একবেলার আহার সমাজের বিবেকে প্রশ্নচিহ্ন

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৪৬ এএম
ক্ষুধার্ত পথশিশুদের একবেলার আহার সমাজের বিবেকে প্রশ্নচিহ্ন

রুবিনা শেখঃ

রাজধানীর ব্যস্ত এক মোড়ে ফুটপাতের পাশে বসে কয়েকজন ক্ষুদে শিশু এক থালা ভাত ভাগাভাগি করে খাচ্ছে। কারও গায়ে মলিন জামা, কারও শরীর প্রায় উলঙ্গ, কেউবা কাগজের গ্লাসে পানি খাচ্ছে— কিন্তু সবার মুখে একটাই অনুভূতি, ক্ষুধা মিটিয়ে বেঁচে থাকার আনন্দ।
তাদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো ব্যস্ত, কেউ তাকায় না। যেন এই দৃশ্যটা এখন খুব স্বাভাবিক হয়ে গেছে শহরের প্রতিটি অলিতে গলিতে।
এই শিশুরা কারও সন্তান নয়— অথচ সবাই কারও না কারও সমাজের অংশ।
এক প্লেট খাবারের জন্য যেভাবে তারা একত্রে বসে খাচ্ছে, তা শুধু দারিদ্র্যের ছবি নয়, আমাদের বিবেকের এক নীরব প্রশ্নচিহ্ন।
বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের পথে— বলা হয় আমরা মধ্যম আয়ের দেশে। শহরে উঁচু অট্টালিকা, শপিংমল, বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ বাড়ছে প্রতিদিন।
তবু এই ক্ষুদে মুখগুলো কেন আজও ফুটপাতে ভাত খায়, এই প্রশ্নের উত্তর কেউ দেয় না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীতে এখন হাজার হাজার পথশিশু প্রতিদিন ক্ষুধার সঙ্গে যুদ্ধ করছে।
সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র, বেসরকারি সংস্থার তৎপরতা— সবকিছুর পরও বাস্তবতা হচ্ছে, রাস্তায় এদের সংখ্যা কমছে না; বরং প্রতিদিন বাড়ছে।
সমাজের বিত্তবান শ্রেণি প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে আরাম-আয়েশে।
কিন্তু তাদের একটুখানি দয়া, একবেলার খাবারের দান, বা একটি আশ্রয় দিলে হয়তো এই শিশুরাও নতুন ভবিষ্যৎ পেতে পারত।
এই ছবিটি তাই শুধু এক মুহূর্তের দৃশ্য নয়, এটি আমাদের সমাজের আয়নায় এক নগ্ন প্রতিচ্ছবি—
যেখানে উন্নয়নের রঙিন আলোয় লুকিয়ে আছে ক্ষুধার্ত মুখের নীরব কান্না।
ছবির ক্যাপশন:
রাজধানীর এক গলিতে এক থালা ভাত ভাগাভাগি করে খাচ্ছে ক্ষুধার্ত পথশিশুরা। পাশে কেউ নেই আছে শুধু ক্ষুধা আর টিকে থাকার লড়াই।

অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জলন!!

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:২৬ পিএম
অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জলন!!

 

-মোঃআশিকুর সরকার (রাব্বি)
-রাজারহাট কুড়িগ্রামঃ

অবিলম্বে দেশীয় অর্থে তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন বুড়ির হাট,তিস্তা নদীর তীরে মশাল প্রজ্বলন করেছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার(১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর বিভাগের তিস্তা নদীর দুই তীরের ১১টি স্থানে একযোগে এ মশাল প্রজ্বলন কর্মসুচির উদ্বোধন করেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু।
এ মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাই সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হাক্কানী।এছাড়াও রংপুর ডালিয়া এলাকায় কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান।
বক্তারা বলে,আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলে রংপুরকে অচল করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। এ সময় উক্ত মশাল মিছিলে, লাখো মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

‎লালমনিরহাটে জমি দখলে ব্যর্থ হামলাকারী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার গ্রেফতার!!

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:২২ পিএম
‎লালমনিরহাটে জমি দখলে ব্যর্থ হামলাকারী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার গ্রেফতার!!

 

 

চয়ন কুমার রায়
‎লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি

 

লালমনিরহাটে জমি দখলে ব্যর্থ হামলায় দুইজন আহত ও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ৭ জনসহ ২০/২২ জন অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হওয়ায় পুলিশ জাহাঙ্গীর আলম মাস্টারকে গ্রেফতার করেছেন।

‎মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের রতিপুর গ্রামের এরশাদুল হক দুদুর সাথে হাড়ীভাঙ্গা আরডিআরএস অফিসের পূর্ব পার্শ্বের জাহাঙ্গীর আলম মাস্টারের সাথে জমিজমা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

‎এরেই জের ধরে বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার (৫২), রতিপুর বসুনিয়াপাড়া গ্রামের আলমগীর (৪৭), মাহফুজ (৪৯), হাছান আলী (৩০), হাবিব (২৭), শফিকুল (৫০), ও জাহেদুল ইসলাম (৫০) সহ ২০/২২জন অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি হাতে লাঠিসোটা, লোহার রড, ধারালো ছোড়া, দেশীয় অস্ত্রে স্বস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দলবদ্ধ ভাবে রতিপুর গ্রামে দুদুর ভোগ দখলীয় জমি দখলের চেষ্টায় টিনের চালা ঘর ভাংচুর চালান। এতে দুদু বাঁধা নিষেধ করলে তাকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিটে মাথা ও পা সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ছেলা ফুলা হাড় ভাঙ্গা জখম সৃষ্টি হয়। এমনকি তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলাটিপে ধরায় তার আত্মচিৎকারে ছেলে হৃদয় বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তার দুই পায়ে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিটে ছেলা ফুলা ও রক্তাক্ত জখম হয়।

‎ছেলে হৃদয়ের আত্মচিৎকারে তার মা বিথী বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও চুলের মুঠি ধরিয়া টানাহেচরা করে এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে কাপড় টানাহেচরা করে শ্রীলতাহানী ঘটায়।

‎ওই সময় হামলাকারী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার গংরা বিথী বেগমের গলায় থাকা ১ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন, যার মূল্য ২লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। কানে থাকা ৮আনা ওজনের স্বর্নের দুল, যার মূল্য ১লক্ষ ৭হাজার ৫শত টাকা জোর পূর্বক ছিনাইয়া নেয়।

‎এতে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চলে যান। পরে এলাকাবাসী আহত দুদু ও তার ছেলে হৃদয়কে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তৃতীয় তলা, বেড নং-৩৩ ও ৩৬, ভর্তির তারিখ-১৫/১০/২৫।

‎এ ঘটনায় এরশাদুল হক দুদুর ভাতিজা ওয়ালি উল্লাহ বাদী হয়ে ওই ৭ জনসহ ২০/২২ জন অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-জিআর ৬১২/২৫। তারিখ-১৫/১০/২৫। এ মামলা দায়ের পর ১নং আসামী জাহাঙ্গীর আলম মাস্টারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

‎এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নুরনবী বলেন, জমি নিয়ে মারামারির ঘটনায় জাহাঙ্গীর নামের একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।