রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শব্দহীন প্রতিবাদ

যখন নীরবতাই হয় মর্যাদার পরাকাষ্ঠা: মোহাম্মদ সোহেল

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:৪৯ এএম | 201 বার পড়া হয়েছে
যখন নীরবতাই হয় মর্যাদার পরাকাষ্ঠা: মোহাম্মদ সোহেল

জীবনের জটিল বন্ধুর পথে আমরা সকলেই কম-বেশি প্রতিকূলতার সম্মুখীন হই। কখনো বিশ্বাসের আয়নায় ভঙ্গুর প্রতিবিম্ব, কখনো ভালোবাসার বিনিময়ে লাঞ্ছনার গ্লানি, কখনো আত্মসম্মানে বেধে যায় মিথ্যার কাঁটাতার। এমন মুহূর্তগুলোতে মনের গহীন থেকে জেগে ওঠে এক তীব্র প্রতিক্রিয়ার বাসনা। কিন্তু কি হবে যদি বলি, সবচেয়ে শক্তিশালী ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিক্রিয়া নিহিত রয়েছে সম্পূর্ণ নিঃশব্দতায়? মানুষ সামাজিক জীব হলেও কিছু পরিস্থিতিতে নিরবতা হয়ে ওঠে সবচেয়ে কার্যকরী ভাষা। যারা আপনার আবেগ-অনুভূতির মর্যাদা দেয় না, যারা আপনার আত্মীয়তার ডোরকে অসার প্রতিপন্ন করে, তাদের কাছে নিজেকে খণ্ডন করার কোনো প্রয়োজন নেই। এখানেই নিরবতা রূপ নেয় এক সুচতুর কৌশলে, হয়ে ওঠে জীবনবোধের গভীর দর্শন। যখন বিশ্বাসঘাতকতার কালিমা লাগে সম্পর্কের পরতে, তখন নিরব হোন। যখন অপমানের তীরবর্ষণে ক্ষত-বিক্ষত হয় আত্মা, তখন নিরব হোন। মিথ্যা দোষারোপ, জীবনের প্রতি নিষ্ঠুরতা কিংবা ভালোবাসার সাথে কৃতঘ্নতা -প্রতিটি প্রতিকূলতায় আপনার নিঃশব্দতাই হয়ে উঠুক এক অদৃশ্য প্রাচীর। এমন সুচিন্তিত নিঃশব্দতায় আত্মরক্ষা করুন, যেন সেই মানুষগুলো আর কখনো আপনার আত্মার কোনো অনুরণন খুঁজে না পায়। প্রাথমিকভাবে এই নিরবতা আপনাকে আত্মপীড়নের যন্ত্রণা দেবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই নিঃশব্দতাই একসময় অপর পক্ষের বিবেকে নাড়া দেবে গভীরভাবে। কারণ কথার জবাব মানুষ ভুলে যায়, কিন্তু এক গাম্ভীর্যপূর্ণ নিঃশব্দতা তাদের আত্মাকে তাড়া করে বহুদিন। মূলত আমরা স্বীকৃতির আশায়, মর্যাদার খাতিরে শব্দের আশ্রয় নেই। কিন্তু যারা আপনার মানবিক মূল্যবোধকেই অবমূল্যায়ন করে, তারা কি আদৌ আপনার জীবনসংগীর যোগ্য? তাই এবার সময় আত্মসন্মান নিয়ে বাঁচার। নিজের অন্তরাত্মাকে ভালোবাসার। এই আত্মপ্রেমের মাধ্যমেই আপনি আবিষ্কার করবেন এক পরম সত্তার সান্নিধ্য, যিনি সকল যন্ত্রণা ও আকাঙ্ক্ষার চূড়ান্ত আধার। আপনার সমস্ত অভিমান, বেদনা, হতাশা নিঃশব্দ প্রার্থনার মাধ্যমে নিবেদন করুন সেই সৃষ্টিকর্তার চরণে। তিনিই হচ্ছেন সেই সত্তা, যিনি আপনার নীরব ব্যথাকে ওঠেন, এবং যিনি সময়মতো তার সর্বোত্তম সমাধানও প্রদান করেন। তাই আজই গ্রহণ করুন দৃঢ় প্রত্যয়-আর ফিরে তাকাবেন না পিছনের দিকে। এই অঙ্গীকারই আপনাকে মুক্তি দেবে সকল প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির বেড়াজাল থেকে, এবং নতুন জীবনের জন্য দেবে অফুরন্ত প্রেরণা। কারণ নিঃশব্দতার এমন এক ভাষা exists, যা কথা বলে হৃদয়ের গভীরের ভাষা বোঝে তারা, যারা আত্মার মূল্য জানে।

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো: আব্দুল আজিজ

ভাঙ্গুড়ায় বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো: আব্দুল আজিজ প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২:৩৩ পিএম
ভাঙ্গুড়ায় বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পল্লী চিকিৎসক এ্যাসোসিয়েশনের ভাঙ্গুড়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার বিএনপি কার্যালয়ে এ দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপজেলা পল্লী চিকিৎসক দলের সভাপতি মোঃ আব্দুল মান্নান মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফুল ইসলাম স্বপনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পাবনা জেলা পল্লী চিকিৎসক দলের সভাপতি মোঃ ফারুক খান হিমেল,অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ভাঙ্গুড়া উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক নুর মোজাহিদ স্বপন,প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গুড়া পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম,আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন পাবনা জেলা পল্লী চিকিৎসক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলহাজ্ব খান,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবু সাইদ,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক মোঃ আব্দুল আজিজ,যুগ্ম আহব্বায়ক মোঃ বরাত আলী, আবু হেনা মোস্তফা কামাল রেজা,আলতাব হোসেন,পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুল ইসলাম বুরুজ, পল্লী চিকিৎসক দলের ইশ্বরদী উপজেলা শাখার সভাপতি জুয়েল সরকার,আটঘরিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলাম,উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহব্বায়ক মোঃ হুমায়ুন কবির প্রমুখ৷

আলোচনা শেষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত ও পরে ভাঙ্গুড়া উপজেলা পল্লী চিকিৎসক এ্যাসোসিয়েশনের অনুমোদিত ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির কাগজ নব-নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হাতে তুলে দিয়ে ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো: আব্দুল আজিজ

নির্বাহী সম্পাদকঃ অঞ্জনা চৌধুরী

কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে

নির্বাহী সম্পাদকঃ অঞ্জনা চৌধুরী প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:০২ পিএম
কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে নতুন চর জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে, যা মনসুরনগর চরের শিক্ষার্থীদেরসহ স্থানীয়দের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি করছে; বিশেষ করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে ও স্কুলে যেতে তাদের ডুবোচরের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে, যা একটি বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে।
মূল সমস্যা: শুষ্ক মৌসুমে জেগে ওঠা অসংখ্য ডুবোচর যাতায়াতে বাধা দিচ্ছে।
প্রভাব: ছাত্রছাত্রী, রোগীসহ সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
উদাহরণ: মনসুরনগর চরের লোকজন কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে ও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৫০ এএম
কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

কুড়িগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে ৬ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস। এ দিবস পালন উপলক্ষ্যে সকালে হানাদার মুক্ত দিবসের বিজয় মিছিল,পুস্প্যমাল্য অর্পন ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত হয়। এই দিন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল চাপের মুখে পাকিস্তানি সেনারা পরাজয় মেনে নিয়ে কুড়িগ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস। কোম্পানি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাই সরকার বীর প্রতীকের নেতৃত্বে কুড়িগ্রাম ওভারহেড পানির টাংকির উপর প্রথম স্বাধীনতার বিজয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এই দিবসের শুরুতে সকাল ৯ টায় একটি বিজয় মিছিল কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হতে বেড় হয়ে শহর পদক্ষিন করে। পরে কলেজ মোড় স্বাধীনতার বিজয় স্থম্ভে পুস্প্য মাল্য অর্পণ করে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং সদর কমান্ডের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল বাতেন সরকারের সঞ্চালনায় এক স্মৃতি চারণ মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে বক্তব্য রাখেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানা,কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন,এনডিসি এবিএম মেজবাহ উদ্দিন,সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিবুল্যা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাই সরকার (বীর প্রতীক), বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর আব্দুস সালাম(অবঃ), বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ,প্রবীন সাংবাদিক সফি খান,মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি মাহবুবুর রশীদ তালুকদার স্বপন,সহ সভাপতি নব কুমার সরখেল ববি,সাধারণ সম্পাদক আমানুর রহমান খোকন,উদীচী শিল্পিগোষ্ঠির অনিরুদ্ধ প্রণয় প্রান্তিক,১৯ সংগঠনের রাজ্য জ্যোতি,জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম সদস্য সচিব হেলাল আহমেদ,প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব আব্দুল মুমিন বাবু প্রমুখ ।