রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২
রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২

শেখ মেহেদী লিজেন্ড

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:০৯ এএম | 39 বার পড়া হয়েছে
শেখ মেহেদী লিজেন্ড

পাকিস্তানের বিপক্ষে যখন শেখ মেহেদী চার নাম্বারে নামে, তখন৷ প্লেয়ার গ্রাফিক্স দেখার পর ধারাভাষ্যকার স্ট্যাটটা বলতে গিয়ে একটু ভ্যাবাছ্যাকাই খেয়ে বসছিলেন মনে হলো। গড় ১১, স্ট্রাইকরেট ১০০। ৪৫ ইনিংস খেলার পরও যার এমন স্ট্যাট, সে চার নম্বরে নামলে ধারাভাষ্যকাররাই বা কি বলবে? অবশ্য কোচ যুক্তি দিয়েছেন, পেস হ্যান্ডেল করার জন্য পাঠিয়েছেন, বা এমন যুক্তিও হতে পারে যে শেষ দিকে উইকেট বাঁচানোর জন্য। কিন্তু শেখ মেহেদী এই বছরে বেশ কয়েকবারই ৪-৫ এ নেমেছেন। যে কারণে শেখ মেহেদী ফ্যানদের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন।
দেখুন, ম্যানেজমেন্ট কি ভেবে নামায় জানিনা। হয়তো উপরের লজিকের জন্য, হয়তোবা শেখ মেহেদীর ঘরোয়া ব্যাটিং রেকর্ড ভালো, সেজন্যম বিপিএলে চারে নেমে কিছু ইনিংস খেলেছেন, ফার্স্ট ক্লাসে ১৭৭ রানের ইনিংস আছে, লিস্ট এ তে সেঞ্চুরি আছে। এই বিষয়গুলো হয়তো ম্যানেজমেন্ট ভাবে, তাই খেলায়। এখন ম্যানেজমেন্টকে তো জ্ঞান দেওয়ার মত ক্ষমতা আমাদের নাই। হয়তো শেখ মেহেদী একসময় ম্যানেজমেন্টের প্রত্যাশা পূরণ করবেন, সেই কামনা রইলো।
কিন্তু আমাদের মত ফ্যানদের জন্য আমার একটা কথা আছে, সেটা হচ্ছে পোস্টারের লাইনটা। শেখ মেহেদীকে বোধহয় “আব্দুর রাজ্জাক” ক্যালিবারের ভাবলেই আমরা অন্তত সুখে থাকবো, মানে এক্সপেক্টেশন কোথায় রাখতে হবে সেটা বুঝবো। দেখুন আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশের লিজেন্ড, তাই শেখ মেহেদীকে লিজেন্ড বলছি, এমন না। কিন্তু ভূমিকাটা কিভাবে মিলতে পারে বলি!
➡️ বোলিং: আব্দুর রাজ্জাক বেশ টাইট এন্ড একুরেট। শেখ মেহেদীও অনেকটা সেরকম। এই জায়গাটাতে কিন্তু অস্বীকার করার সুযোগ নেই যে মেহেদী ভালো বোলার।
➡️ ব্যাটিং: আব্দুর রাজ্জাক ৯-১০ এ নেমে চার-ছক্কা হাঁকাতেন, আন্তর্জাতিকে ফিফটিও আছে। মানে আব্দুর রাজ্জাককে ব্যাটার ভাবা হতো না, কিন্তু উনি টুকটাক মাঝে মাঝে খেলা দেখিয়ে দিতে পারতেন। শেখ মেহেদীকেও ওই ৮-৯-১০ এ এরকম ভাবলে আমরা ফ্যানরা অন্তত শান্তি পাবো।
➡️ ফিল্ডিং: আব্দুর রাজ্জাক রাজ ও শেখ মেহেদীর বড় মিল বোধহয় এখানে। ছোটবেলায় যখন আব্দুর রাজ্জাকের খেলা দেখলাম, উনার ফিল্ডিং খুবই বাজে লাগতো। বোলিং এন্ডে থ্রো করলেই মনে হতো, এই বুঝি ধরতে পারবেন না। শেখ মেহেদীও হলেন মডার্ন ক্রিকেটের বাজে ফিল্ডার। ফিল্ডিংয়ে নার্ভ বলতে কিচ্ছু নাই।
তাই বলছি, আমরা ফ্যানরা যখন বুঝা শুরু করবো, শেখ মেহেদী আমাদের দলে অনেকটা আব্দুর রাজ্জাকের ভূমিকা পালন করতে পারবে, সেটা আমাদের জন্য ভালো। চারে নামবে আর আশায় বসে থাকবো রেসপন্সিবল নকের, এই আশা আসলে শেখ মেহেদী থেকে করে লাভ নেই। বরং মেহেদীর বোলিংটা থেকে এক্সপেক্টেশন রাখি যেন টপ নচ করতে পারেন।

মোঃ আমিনুর রহমান দুলাল, ডিমলা

ডিমলায় ট্রলি চাপায় মাদ্রাসা শিক্ষকের মর্মান্তিক মৃত্যু

মোঃ আমিনুর রহমান দুলাল, ডিমলা প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:২৭ পিএম
ডিমলায় ট্রলি চাপায় মাদ্রাসা শিক্ষকের মর্মান্তিক মৃত্যু

নীলফামারীর ডিমলায় মাদ্রাসার শিক্ষক ও জামায়াত নেতা বালু পরিবহনের ট্রলির চাপায় নিহত হওয়ার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা ডিমলা- ডালিয়া সড়ক অবরোধ করে রাখে। ডিমলা থানার পুলিশ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, নীলফামারী জেলার ডিমলার খলিশা চাপানি ইউনিয়নের বুড়ির হাট গ্রামের মৃত আমিন আলীর ছেলে ও সম্মিলিত বন্দর খড়িবাড়ি ও বালাপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সহ- সুপার, উপজেলা জামায়াত শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের সম্পাদক মাওলানা রফিকুল ইসলাম (৫৫) রোববার সকাল ১১ টায় মোটর সাইকেল যোগে কর্মস্থল প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা যাওয়ার পথে ডিমলা- ডালিয়া সড়কের গয়াবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের সংলগ্ন এলাকায় পৌছিলে পিছন দিক থেকে আসা একটি বালু বোঝাই দ্রুতগামী ট্রলি পিছন হতে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা ডিমলা -ডালিয়া পাকা সড়ক ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে ডিমলা থানা পুলিশ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রওশন কবির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘদিন যাবত তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন করে জমজমাট ব্যবসা করে আসছে । ঐ পাথর -বালু গুলো অবৈধভাবে ট্রলিতে প্রায়ই শুটিবাড়ী বাজার এলাকায় চলাচল করে, যা জননিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠেছে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় জনগণ ক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং অবৈধ পাথর-বালু উত্তোলন বন্ধসহ অবৈধ ট্রলি চলাচলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে রাখে।

অন্তর মিয়া, মৌলভীবাজার

শ্রীমঙ্গল রক্তদান সমাজকল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে “বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

অন্তর মিয়া, মৌলভীবাজার প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:১১ পিএম
শ্রীমঙ্গল রক্তদান সমাজকল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে “বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

শ্রীমঙ্গল উপজেলার টিকরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে রবিবার ( ২৮ সেপ্টেম্বর ২৫ ) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দিনব্যাপী ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ক্যাম্পে মোট ১১৯ জন নারী-পুরুষ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ১৪ জন রোগীকে ফ্রি চশমা দেওয়া হয় এবং ১৯ জন রোগীর ছানি অপারেশনের ব্যবস্থা করা হয়। বিনামূল্যে এই সেবা পেয়ে রোগীরা আনন্দ প্রকাশ করেন ও বলেন “আমরা টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারতাম না। বিনামূল্যে চিকিৎসা পেয়ে আমরা কৃতজ্ঞতা ও আনন্দিত।”
ক্যাম্পের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন শ্রীমঙ্গল রক্তদান সমাজকল্যাণ সংস্থা। ক্যাম্প পরিচালনায় সহায়তা করেন ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অভিজ্ঞ চক্ষু সার্জনদের একটি টিম।
ক্যাম্পের সিনিয়র অর্গানাইজার বিশ্বজিৎ সাহা বলেন “ইস্পাহানী চক্ষু হাসপাতালের অভিজ্ঞ সার্জন ও টিমকে নিয়ে আমরা ছানি অপারেশনসহ চোখের নানা রোগের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকি।”

শ্রীমঙ্গল রক্তদান সমাজকল্যাণ সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মইনুল ইসলাম, সহ-সভাপতি শেখ রিপন আলী ওয়ারিস, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আহমেদ শরিফ, সহ-প্রচার সম্পাদক মাছুম আহমেদ, কার্যকরী সদস্য তোফাজ্জল হোসেন রাকিব, জাহিদ হাসান জয়,
মুয়িজুর রহমান মিঠু প্রমুখ

শ্রীমঙ্গল রক্তদান সমাজকল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে ক্যাম্প-সিনিয়র অর্গানাইজার বিশ্বজিৎ সাহা এবং ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের টিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

নিজস্ব প্রতিনিধি

শারদীয় দুর্গোৎসবে শুভেচ্ছা ও নিরাপত্তা বার্তা দিলেন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:০৮ পিএম
শারদীয় দুর্গোৎসবে শুভেচ্ছা ও নিরাপত্তা বার্তা দিলেন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি (এনপিএস) গোপালগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক এবং একাধিকবার প্রেস কাউন্সিল কর্তৃক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার শারদীয় মহা উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশ-বিদেশের সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

তিনি বলেন—
“শারদীয় দুর্গাপূজা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এ উৎসব সকলের মাঝে আনন্দ, সৌহার্দ্য ও শান্তির বার্তা বয়ে আনুক— এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”

বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি পূজা উদযাপন কমিটিগুলোকে যথাযথ ডকুমেন্টসসহ সতর্কতা ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। একইসাথে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন—
“বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রশাসন সর্বদা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তৎপর থাকবে। পূজা মণ্ডপে কোনো ধরনের নাশকতা, ভাংচুর, চুরি বা অশান্তি যাতে না ঘটে সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে।”

তিনি আরও যোগ করেন—
“বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূর্ণ নিরাপত্তা দিয়ে দুর্গোৎসব যথাযথ মর্যাদায় পালন করতে দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উপভোগ করবে— এটাই তাদের অধিকার।”

অবশেষে সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার সকলের সুস্বাস্থ্য, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করে আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসবের সফল সমাপ্তি কামনা করেন।