সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২
সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২

মোহাম্মদ আলী টাঙ্গাইল প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫, ১২:৫৮ পিএম | 101 বার পড়া হয়েছে

কাব্য গ্রন্থের নাম : দর্পণে দ্রোহ।

খন্দকার মোস্তাক আহমদ (ছানু)

বাংলাদেশের একজন উদীয়মান কবি, ইতিহাসবিদ, প্রাবন্ধিক ও ইসলামিক গবেষক, যিনি তার কাব্যিক ভাষা ও গভীর জীবনবোধের জন্য পাঠক মহলে প্রশংসিত। তিনি টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুর উপজেলা সদরের তেঘড়ী গ্রামে খন্দকার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকে সাহিত্য, প্রবন্ধ, ইতিহাস ও কবিতার প্রতি তার গভীর আগ্রহ ছিল। তিনি একজন ইতিহাস গবেষকও বটে।

তার লেখায় প্রকৃতি, প্রেম, বিরহ, দ্রোহ, সমাজ ও মানব জীবনের অন্তর্নিহিত সত্তা নিপুণভাবে গভীরভাবে উঠে এসেছে। কবি ১৯৯১ সালে পোস্ট গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জন শেষে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন।

কবি কবিতায় বাস্তবতার সঙ্গে কল্পনার মেলবন্ধন, শব্দ চয়নে মুন্সিয়ানা দেখে পাঠক মুগ্ধ হন। আধুনিক কাব্য ধারায় তার অবদানকে সাহিত্য সমালোচকরা গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। খন্দকার মোস্তাক আহমদ ছানু নিয়মিত সাহিত্যচর্চায় যুক্ত এবং বিভিন্ন সাহিত্য ম্যাগাজিন ও অনলাইন মাধ্যমে তার লেখা প্রকাশিত হচ্ছে।

**মুখবন্ধ**

কবিতা—শব্দের ঘ্রাণ, অনুভবের রঙ, নিঃশব্দের শব্দ। মানুষের হৃদয়ের সবচেয়ে গভীর কথাগুলো যখন ভাষায় ধরা দেয়, তখন তা হয়ে ওঠে কবিতা। কখনও তা ভালোবাসার আকুতি, কখনও প্রতীক্ষার দীর্ঘশ্বাস, আবার কখনও বা বিদ্রোহের জ্বলন্ত আগুন।

এই বইয়ে সংকলিত প্রতিটি কবিতা আমার জীবনের নানা সময়ের অনুভব, দেখা-শোনা, স্বপ্ন ও বাস্তবতার ছায়াপাত। হয়তো কোনো পাঠকের সঙ্গে মিলে যাবে কোনো মুহূর্ত, হয়তো কারও মন ছুঁয়ে যাবে কোনো পংক্তি। কবিতা তো এমনই—সে একা লিখিত হলেও কখনও একার জন্য নয়।

এই সংকলন কোনো নির্দিষ্ট বিষয়কে ঘিরে নয়, বরং জীবনের নানা রঙে রঙিন একটি যাত্রা। কিছু কবিতা খুব ব্যক্তিগত, কিছুটা নিরীক্ষাধর্মী, কিছু আবার নিছক শব্দ নিয়ে খেলা। পাঠকের হৃদয়-দরজায় যদি একটু কড়া নাড়া দিতে পারে, তবেই এ প্রচেষ্টা সার্থক মনে করব।

এই বইটি আপনাদের হাতে তুলে দিতে পেরে আমি আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ। আপনারা পাশে থাকলে কবিতার এই যাত্রা চলতেই থাকবে।

– **খন্দকার মোস্তাক আহমদ ছানু**

বগুড়ার আটাপাড়া এলাকায় শিক্ষিকা স্বামীকে বটিতে কুপিয়ে গুরুতর আহত

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া: প্রকাশিত: রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫, ৬:১১ পিএম
বগুড়ার আটাপাড়া এলাকায় শিক্ষিকা স্বামীকে বটিতে কুপিয়ে গুরুতর আহত

বগুড়া শহরের আটাপাড়া এলাকায় এক নৃশংস ঘটনার মাধ্যমে সম্প্রদায়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বিনইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা খাইরুন্নেসা সুমি তার স্বামী মতিউর রহমানকে গত শনিবার ৯ আগস্ট বটিতে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনার দিন আটাপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আচমকা কথাকাটাকাটি শুরু হয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে শিক্ষিকা খাইরুন্নেসা সুমি তার রাগ অশান্তি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে স্বামীকে হাতে থাকা বটিতে কোপাতে শুরু করেন। এতে মতিউর রহমান গুরুতরভাবে আহত হন। আহত ব্যক্তিকে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে বগুড়ার টিএমএসএস হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

এই ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আহত স্বামী ও অভিযুক্ত স্ত্রী উভয়ের বক্তব্য নিয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা দ্রুত গ্রহণ করা হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

স্থানীয়রা আশাহত যে পারিবারিক কলহ এভাবে মারাত্মক রূপ নেবে। তারা সবাই পারস্পরিক বোঝাপড়া ও শান্তির পরিবেশ বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন।

গোমস্তাপুরে গরুর ল্যাম্পি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে ক্ষতির মুখে খামারিরা :চাই বিনামূল্যে ভ্যাকসিন 

মোঃ তুহিন ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫, ৬:০৭ পিএম
গোমস্তাপুরে গরুর ল্যাম্পি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে ক্ষতির মুখে খামারিরা :চাই বিনামূল্যে ভ্যাকসিন 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গবাদিপশুর মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ (Lumpy Skin Disease – LSD)। এ ভাইরাসে আক্রান্ত গরুর শরীরে চাকা চাকা ফোলা দাগ, উচ্চ জ্বর, দুর্বলতা ও খাওয়ার অনীহা দেখা দিচ্ছে। ইতোমধ্যে গরুর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে। ফলে খামারিদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

এই রোগটি সাধারণত বর্ষাকাল ও শরৎকালে বেশি দেখা যায়, যখন বাতাসে আর্দ্রতা থাকে এবং মশা-মাছির প্রজনন বেড়ে যায়। কারণ, এই ভাইরাস মূলত মশা, মাছির মাধ্যমে গরুর দেহে প্রবেশ করে ছড়িয়ে পড়ে।

উপজেলার মিরাপুর গ্রামের খামারি সাব্বির হাসান বলেন,

“আমার একটি গরু হঠাৎ করে দুর্বল হয়ে পড়ে, তারপর গোটা গোটা ফোলা দেখা যায়। ডাক্তার এসে জানান এটি ল্যাম্পি ভাইরাস। এখন চিকিৎসা চলছে, তবে প্রতিদিন অনেক খরচ হচ্ছে। যদি আগেই ভ্যাকসিন দিতে পারতাম, তাহলে হয়তো গরুটি এতটা অসুস্থ হতো না। আরো বলেন যদি প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে উক্ত ভাইরাসের টিকা দেয়া হয় তাহলে আমাদের মতো ছোট ছোট খামারি ‘রা উপকৃত হতাম।

পাথরপূজা গ্রামের খামারি বুলবুল আহমেদ বলেন,

“এই রোগে শুধু গরু নয়, আমরা খামারিরাও ভেঙে পড়ছি। একদিকে চিকিৎসার খরচ, অন্যদিকে কাজ বন্ধ। সময়মতো টিকা দিতে পারলে অনেক ক্ষতি এড়ানো যেত।”

তেঁতুলতলা গ্রামের খামারি বাবু জানান,

“একটি গরুতে ভাইরাস ধরা পড়ার পর সব চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি। অনেক টাকা খরচ করেও শেষ রক্ষা হয়নি। যদি পশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যবস্থা করে তাহলে গ্রামিণ প্রান্তিক খামারিদের উপকার হতো।

এ নিয়ে উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি মো. আনারুল ইসলাম বলেন,

“ল্যাম্পি ভাইরাস গোমস্তাপুরের খামারিদের জন্য বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। গরু হারিয়ে অনেকেই পথে বসার উপক্রম। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উচিত দ্রুত মাঠপর্যায়ে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া ও সচেতনতা বাড়ানো।

ডি এইচ এম এস ,ডাঃ আব্দুল ওয়াদূদ বলেন,ল্যাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত গরুর আলাদা যত্ন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং টিকা প্রয়োগই হতে পারে এর একমাত্র কার্যকর প্রতিকার। একই সঙ্গে খামারিদের সচেতনতা বাড়ানো এবং সরকারের কাছে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার উপর জোর দাবি তার।

গোমস্তাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা …….. ওয়াসিম আকরাম বলেন,

“ল্যাম্পি ভাইরাস একটি ভাইরাসজনিত সংক্রমণ, যা মশা-মাছির মাধ্যমে ছড়ায়। আতঙ্ক নয়, সচেতনতা ও সময়মতো চিকিৎসাই এই রোগ নিয়ন্ত্রণের উপায়। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন বিতরণের জন্য আলোচনা করছি দ্রুত এই সমস্যা সমাধান দেওয়ার জন্য এবং খামারিদের চিকিৎসা সহায়তা দিচ্ছি।

সাংবাদিক তুহিন হত্যার বিচারের দাবিতে নওগাঁর রাণীনগরে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

মোঃ আব্দুল মালেক, রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫, ৬:০২ পিএম
সাংবাদিক তুহিন হত্যার বিচারের দাবিতে নওগাঁর রাণীনগরে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা ও সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনকে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে নওগাঁর রাণীনগরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সাংবাদিকরা। রোববার বেলা ১১টার দিকে রাণীনগর উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দদের ব্যানারে উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সিনিয়র সাংবাদিক হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে ও রহিদুল ইসলাম রাইপের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম, ওহেদুল ইসলাম মিলন, সাহাজুল ইসলাম, সুকুমল কুমার প্রামানিক, আব্দুর রউফ রিপন, মামুনুর রশিদ, আওরঙ্গজেব হোসেন রাব্বী, কাজী রহমান প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা- গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা ও দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনকে হত্যা চেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এছাড়া জড়িত সকল সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সারাদেশে সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দাবি জানান।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে রাণীনগর উপজেলায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সকল সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

error: Content is protected !!