শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

মোহাম্মদ আলী টাঙ্গাইল প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫, ১২:৫৮ পিএম | 191 বার পড়া হয়েছে

কাব্য গ্রন্থের নাম : দর্পণে দ্রোহ।

খন্দকার মোস্তাক আহমদ (ছানু)

বাংলাদেশের একজন উদীয়মান কবি, ইতিহাসবিদ, প্রাবন্ধিক ও ইসলামিক গবেষক, যিনি তার কাব্যিক ভাষা ও গভীর জীবনবোধের জন্য পাঠক মহলে প্রশংসিত। তিনি টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুর উপজেলা সদরের তেঘড়ী গ্রামে খন্দকার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকে সাহিত্য, প্রবন্ধ, ইতিহাস ও কবিতার প্রতি তার গভীর আগ্রহ ছিল। তিনি একজন ইতিহাস গবেষকও বটে।

তার লেখায় প্রকৃতি, প্রেম, বিরহ, দ্রোহ, সমাজ ও মানব জীবনের অন্তর্নিহিত সত্তা নিপুণভাবে গভীরভাবে উঠে এসেছে। কবি ১৯৯১ সালে পোস্ট গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জন শেষে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন।

কবি কবিতায় বাস্তবতার সঙ্গে কল্পনার মেলবন্ধন, শব্দ চয়নে মুন্সিয়ানা দেখে পাঠক মুগ্ধ হন। আধুনিক কাব্য ধারায় তার অবদানকে সাহিত্য সমালোচকরা গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। খন্দকার মোস্তাক আহমদ ছানু নিয়মিত সাহিত্যচর্চায় যুক্ত এবং বিভিন্ন সাহিত্য ম্যাগাজিন ও অনলাইন মাধ্যমে তার লেখা প্রকাশিত হচ্ছে।

**মুখবন্ধ**

কবিতা—শব্দের ঘ্রাণ, অনুভবের রঙ, নিঃশব্দের শব্দ। মানুষের হৃদয়ের সবচেয়ে গভীর কথাগুলো যখন ভাষায় ধরা দেয়, তখন তা হয়ে ওঠে কবিতা। কখনও তা ভালোবাসার আকুতি, কখনও প্রতীক্ষার দীর্ঘশ্বাস, আবার কখনও বা বিদ্রোহের জ্বলন্ত আগুন।

এই বইয়ে সংকলিত প্রতিটি কবিতা আমার জীবনের নানা সময়ের অনুভব, দেখা-শোনা, স্বপ্ন ও বাস্তবতার ছায়াপাত। হয়তো কোনো পাঠকের সঙ্গে মিলে যাবে কোনো মুহূর্ত, হয়তো কারও মন ছুঁয়ে যাবে কোনো পংক্তি। কবিতা তো এমনই—সে একা লিখিত হলেও কখনও একার জন্য নয়।

এই সংকলন কোনো নির্দিষ্ট বিষয়কে ঘিরে নয়, বরং জীবনের নানা রঙে রঙিন একটি যাত্রা। কিছু কবিতা খুব ব্যক্তিগত, কিছুটা নিরীক্ষাধর্মী, কিছু আবার নিছক শব্দ নিয়ে খেলা। পাঠকের হৃদয়-দরজায় যদি একটু কড়া নাড়া দিতে পারে, তবেই এ প্রচেষ্টা সার্থক মনে করব।

এই বইটি আপনাদের হাতে তুলে দিতে পেরে আমি আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ। আপনারা পাশে থাকলে কবিতার এই যাত্রা চলতেই থাকবে।

– **খন্দকার মোস্তাক আহমদ ছানু**

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।