বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২
বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২

নিউইর্য়ক মহানগর দক্ষিন বিএনপি, যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ৯:২৪ এএম | 41 বার পড়া হয়েছে
নিউইর্য়ক মহানগর দক্ষিন বিএনপি, যুক্তরাষ্ট্র

“জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উদযাপন” উপলক্ষে এক সমাবেশ ও র‍্যালি-র আয়োজন করা হয়েছে নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিন বিএনপির উদ্যোগে গত ৪ আগস্ট সোমবার বিকালে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এর ডাইভারসিটি প্লাজায়। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলমের সন্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বহির্বিশ্ব বিএনপির সাংগঠনিক সমন্বয়ক সাবেক ছাত্রনেতা জনাব আনোয়ার হোসেন খোকন।

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিন বিএনপির সংগ্রামী সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা জনাব হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা।

উক্ত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন মৃধা, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এমলাক হোসেন ফয়সাল, রুহুল আমিন নাসির, জিয়াউল হক মিশন, নাছির উদ্দিন, কামাল উদ্দিন দিপু, ব্রুকলিন বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মাহমুদ, সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মানিক এবং মহানগর দক্ষিন বিএনপির সাবেক সদস্য ফারদিন রনি।

উক্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউল হক মিশন, সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব ছাইদুর খান ডিউক, সাবেক সদস্য মোঃ আব্বাস উদ্দিন, মিজানুর রহমান মিজান, নুরুল হুদা, জামালপুর রহমান চৌধুরী সহ হাসান মাহমুদ, মনিরুল ইসলাম মনির, মোঃ অহেদুজ্জামান নিলু, রাশেদ মিয়া, মোঃ আক্তারুজ্জামান, তোফাজ্জল রহমান, মোঃ সোহেল রানা ইমন, নুরে আলম চৌধুরী, মো: নাজমুল , মোঃ আমিনুল ইসলাম মিঠু , এস এম লুৎফর, চৌধুরী সিদ্দিক, আবু বকর, ইকবাল হোসাইন, শেখ উজ্জ্বল,জাহাঙ্গীর আলম অপু, মোঃ তারেক, মোঃ ওসমান গনি, মোঃ আরিফুল, ব্রুকলিন বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির, মোঃ বাহার, গোলাম কাদের, মোঃ মাহরুফ, শাফিয়াল ফামিন, মোঃ কামাল সহ আরো অনেকে।

লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি এক ভিডিও কলের মাধ্যমে প্রধান অতিথি জনাব আনোয়ার হোসেন খোকন তার বক্ত‍ব‍্যে বলেন ফ্যাসিবাদের পতন হলেও এক বছরে দেশে বিপ্লব পরবর্তী কাংখিত লক্ষ অর্জিত হয়নি। এখনো দেশী বিদেশী চক্রান্ত চলছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।জুলাই বিপ্লবকে ব্যর্থ করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো ফায়দা নিতে চায়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের দুরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বদ্ধ পরিকর। বাংলাদেশে নির্বাচন পুর্ব বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয়তাবাদী দলের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান জনাব আনোয়ার হোসেন খোকন।

বাংলাদেশ থেকে ভার্চুয়ালি ভিডিও কলের মাধ‍্যমে প্রধান বক্তা জনাব সেলিম রেজা তার বক্তব‍্যে বলেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আমরা গত ১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রামে লিপ্ত ছিলাম, তারই ধারাবাহিকতায় ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। কিন্ত ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে চান। কিন্তু দেশ বিরোধী যে কোন চক্রান্ত রুখে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে যথাশীঘ্র সুষ্ঠ নির্বাচন আয়োজনের মধ্য দিয়ে গনতান্ত্রিক ধারায় ফিরতে আহ্বান জানান।

এবং তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন দেশনায়ক তারেক রহমান অচিরেই বীরের বেশে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করবেন তখন সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে ৩১ দফার ভিত্তিতে রাষ্ট্র কাঠামো বিনির্মাণের মাধ্যমে জাতিকে নতুন বাংলাদেশ উপহার দিবেন।

সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন বলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম করেছে বাংলাদেশে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য। গনতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সুষ্ঠ নির্বাচন অপরিহার্য তাই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিন বিএনপির উপস্থিত সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবং সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে সমাবেশ সমাপ্ত করেন।

কক্সবাজার থেকে : কামরুন তানিয়া

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের বর্ষপূর্তিতে উখিয়া উপজেলা বিএনপির গণমিছিল পরিণত হয় জনসমুদ্রে

কক্সবাজার থেকে : কামরুন তানিয়া প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৩৪ এএম
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের বর্ষপূর্তিতে উখিয়া উপজেলা বিএনপির গণমিছিল পরিণত হয় জনসমুদ্রে

৫ ই আগস্টকে কেন্দ্র করে “” গণ অভ্যুত্থানের”” বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কক্সবাজার জেলার উখিয়ায় বিএনপির গণমিছিল এবং জন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত মিছিলে লাখো মানুষের তথা বিএনপির অঙ্গ,সংগঠনের লোক জমায়েত হয়। উখিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সরওয়ার জাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে উখিয়া স্টেশন চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির আসনে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী।
তিনি বলেন, “গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্টদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে,চলমান থাকবে ইনশাআল্লাহ। জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির লড়াই শেষ হয়নি। এই আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বলে জানান। পাশাপাশি তিনি উখিয়া টেকনাফের মানুষের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জানান।তিনি আরও বলেন যে,
তিনি উখিয়াকে পৌরসভা হিসেবে আগামীতে দেখতে চান।তিনি পৌরসভার ঘোষণার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, “উখিয়াকে একটি পূর্ণাঙ্গ পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা হবে ইনশাআল্লাহ। সাবেক হুইপ আরও বলেন যে,দেশের কল্যাণে বিএনপির পাশে থাকার জন্য আমি উখিয়াবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছি।সেই সাথে তিনি তুলে ধরেন বিগত আমলে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির বিরুদ্ধে প্রচারিত মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, “ফেসবুকে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এসব মিথ্যাচারে কান না দিয়ে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিন। সত্যের পথে থাকুন, আন্দোলনের পথে থাকুন।অদ্য
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আরও উখিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব সোলতান মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, “৫ আগস্ট গণ অভ্যুত্থান আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে একটি মাইলফলক নজির সৃষ্টি করেছে।সেই দিনের চেতনাকে সামনে রেখেই আমাদের বর্তমান আন্দোলনকে সফল করতে হবে।এ সময় বক্তারা ৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি গভীর শোক, শ্রদ্ধা জানিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ হাজারো জনতা। সমাবেশর আগে বর্ণাঢ্য গণমিছিল রাজা পালং ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার সামনে থেকে শুরু হয়ে উখিয়া স্টেশনের সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
শৃঙ্খলাবদ্ধ এ মিছিলে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং দলীয় শ্লোগানে মুখরিত ছিল। সমাবেশ ও মিছিলকে কেন্দ্র করে উখিয়াজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিল।উখিয়ার পরিবেশ পরিস্থিতি খুবই টানটান এবং সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই সমাবেশ সমাপ্তি ঘোষণা করেন আছরের আজানের একটু আগে।

তাড়াশে ফসল বাঁচাতে রাস্তা কেটে দিল কৃষক

উজ্জ্বল বাংলাদেশ প্রতিবেদকঃ প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:১৫ এএম
তাড়াশে ফসল বাঁচাতে রাস্তা কেটে দিল কৃষক

গত কয়েকদিনের টানা প্রবল বর্ষণে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার কাটাগাড়ী আঞ্চলিক সড়কে মহিলা কলেজ সংলগ্ন যাতায়াতের সড়ক কেটে দিয়েছে কৃষকগণ। প্রায় ৩০- ৪০ গ্রামের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা প্রায় ২০০ হেক্টর আবাদি জমি তলিয়ে গেছে এতে চরম বিপাকে পড়েন কৃষক। রোপা আমন ধান যেন নষ্ট না হয় সেজন্য কোদাল সাবল দিয়ে রাস্তা কেটে আটকে থাকা ঢলের পানি বের করার ব্যবস্থা করলেন কৃষকগণ। তবে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের এমন বেহাল দশা মেনে নিতে পারছেন না সাধারণ মানুষ, কাটাগাড়ী, আড়ংগাইল, কাস্তা, সেরাজপুর, গুরমা সহ প্রায় ২০-৩০ গ্রামের মানুষ সহ মহিলা কলেজ জে আই টেকনিক্যাল স্কুল যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এই রাস্তাটি। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো যাত্রীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ দীর্ঘদিন যাবত এখানে এই ব্রিজটি র কাজ শেষ হচ্ছে না ফলে মাঝে মাঝেই যানবাহন উল্টে আহত হন মানুষ। চলনবিল উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক আব্দুল আজিজ বলেন এই ব্রিজ নিয়ে অনেক লেখা লেখি হয়েছে ঠিকাদার ও কতৃপক্ষের গাফিলতিতে আমাদের মত সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তি। এটার দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত। স্থানীয় বাসিন্দা ফরহাদ হোসেন বলেন রাস্তার পাশেই বমার বাড়ি এখানে খুব তারাতাড়ি বিকল্প সড়কের ব্যাবস্থা করার জন্য কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি তানাহলে যে বাঁশের ব্রিজ টি করা হয়েছে মানুষ পড়ে স্রোতে তলিয়ে মারা যাওয়ায় ঘটনা ঘটতে পারে। মাহবুবুল হক মিনু বলেন স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী রা কিভাবে যাতায়াত করবেন এই এলাকার কেউ অসুস্থ হলে কিভাবে হাসপাতালে নিবে দ্রুত এর একটা সমাধান হওয়া উচিত। জনগুরুত্বপূ্র্ণ ভুক্তভোগীরা দ্রুত উভয় সড়ক সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।

এলজিইডি নির্মাণাধীন সেতুর বিকল্প ব্রিজ নির্মাণের কাজ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। বাঁধের ওপর দিয়ে যান চলাচলের জন্য বিকল্প রাস্তার তেমন ব্যাবস্থা নেই, পানি যাওয়া-আসার সুযোগও রাখা হয়নি। এতে বাঁধের পূর্বদিকের অংশের ফসলি মাঠে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিজটির কাজ অনেক আগেই কাজ শেষ হবার কথা ছিল স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ পেলেও এলজিইডি বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেয়ায় আজ লাখ লাখ মানুষের এই অসুবিধা।

এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান বলেন, বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

✍ শোয়েব হোসেন

কালীগঞ্জে জমি দখলের ভয়ংকর চক্র সক্রিয়

✍ শোয়েব হোসেন প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১০:৫৭ এএম
কালীগঞ্জে জমি দখলের ভয়ংকর চক্র সক্রিয়

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার চুয়ারিখোলা ও দরিপাড়া এলাকা বর্তমানে একদল দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর নিয়ন্ত্রণে। দিনের আলোতেই ঘটে চলেছে চুরি, ছিনতাই, হামলা ও মাদক ব্যবসার মতো ভয়ংকর অপরাধ। দীর্ঘদিন ধরে এইসব অপকর্মে লিপ্ত একটি চক্র প্রশাসনের নাকের ডগায় থেকে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

এই চক্রের বিরুদ্ধে বারবার প্রতিবাদ জানিয়ে আসা স্থানীয় ব্যবসায়ী মামুন মোল্লা ও তাঁর পরিবার সম্প্রতি প্রাণঘাতী হামলার শিকার হন। মামুনের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে এলেম হোসেন, সৌরভ হোসেন, জামান মিয়া, বাবুলসহ আরও কয়েকজন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী মামুনের বাড়িতে হামলা চালায়। তার বৃদ্ধ পিতাকে মারধর করে, বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং মামুনসহ তিনজনকে পাইপ ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

আহত মামুন বর্তমানে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, সন্ত্রাসীরা হামলার সময় ১০ আনার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় এবং চিকিৎসা ব্যয়ে মামুনের পরিবার ইতোমধ্যে প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই অপরাধীচক্র ৫–৭ বছর ধরে তেল চুরি, জমি দখল, মাদক পাচার, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে লিপ্ত। বারবার অভিযুক্ত হয়েও তারা জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় একই অপরাধে যুক্ত হয় এবং রাজনৈতিক পরিচয় পাল্টে প্রশাসনের একাংশের প্রশ্রয়ে কার্যত ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে।

প্রতিবেশীরা জানান, এলাকায় এমন অবস্থা যে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। মামুন মোল্লা হচ্ছেন ব্যতিক্রম – যিনি চরম ঝুঁকি নিয়ে বারবার প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছেন। তার এই অবস্থার জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের নিরবতা ও ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

এছাড়া “হিউম্যান এইড এন্ড ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনাল” এর অনুসন্ধানে উঠে আসে, এই সন্ত্রাসীদের পেছনে প্রবাসী অর্থদাতা ও রাজনৈতিক শক্তির হাত রয়েছে। চুয়ারিখোলা এলাকার একটি পুরোনো টিনের ঘর ঘিরে রয়েছে বহু রহস্য। জনশ্রুতি অনুযায়ী, এর মালিক সৌদি প্রবাসী সাইফুল নামে এক ব্যক্তি, যিনি মাসে ৪০ হাজার টাকায় ওই ঘর ভাড়া দিয়ে সন্ত্রাসীদের সহায়তা করছেন।

স্থানীয়রা আতঙ্কিত। একজন বলেন, “আমাদের সন্তানরা সন্ত্রাসীদের ভয়ে ঘর থেকে বের হতে ভয় পায়। প্রশাসন সব জেনেও নীরব কেন?”

সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো। এখন প্রশ্ন একটাই—এই অন্ধকার থেকে মুক্তি পাবে তো কালীগঞ্জ?

অনুসন্ধান চলমান…

error: Content is protected !!