বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২
বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২

সিরাজগঞ্জ জেলা মানবাধিকার সংস্থার জেলা কমিটি গঠন: সভাপতি মাকসুদা সিদ্দিকা সাথী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম

কে এম শামীম হাসান সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫০ পিএম | 94 বার পড়া হয়েছে
সিরাজগঞ্জ জেলা মানবাধিকার সংস্থার জেলা কমিটি গঠন: সভাপতি মাকসুদা সিদ্দিকা সাথী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম

সিরাজগঞ্জ জেলা মানবাধিকার সংস্থার নতুন জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে। সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মাকসুদা সিদ্দিকা সাথী এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মোঃ আশরাফুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট ২০২৫) শহরের একটি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত মানবাধিকারকর্মীদের উপস্থিতিতে নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটি গঠনের পুরো প্রক্রিয়া ছিল গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ এবং সম্মানজনক।

নবনির্বাচিত সভাপতি মাকসুদা সিদ্দিকা সাথী বলেন,

“মানবাধিকার সংস্থা মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে পালন করব। সমাজের নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকাই আমাদের প্রধান অঙ্গীকার।”

সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেন,

“আমি মানবাধিকারের আদর্শে বিশ্বাসী। নতুন কমিটির মাধ্যমে আমরা জেলার প্রতিটি স্তরে মানবাধিকার বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করবো এবং আইনি সহায়তা ও সেবার প্রসার ঘটাবো।”

নতুন জেলা কমিটিতে আরও রয়েছেন—

সিনিয়র সহ-সভাপতি: মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম

সহ-সভাপতি বিশ্বনাথ সাহা নন্দন

সাংগঠনিক সম্পাদক: কে এম শামীম হাসান

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: শামসুল আলম

সহকারী সম্পাদক: মোঃ সাইদুল রহমান

অর্থ সম্পাদক: আব্দুল করিম

কার্যকরী সদস্য: মুন্নাফ সাকি

সদস্য: শহিদুল ইসলাম

কমিটির অন্যান্য সদস্যদের নাম দ্রুত সময়ের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

এই নবগঠিত কমিটি সিরাজগঞ্জ জেলার প্রতিটি এলাকায় মানবাধিকার রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে – এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ফরহাদুল ইসলাম জুয়েল

ভালা থাইকো তুমি

ফরহাদুল ইসলাম জুয়েল প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ৫:১৮ পিএম
ভালা থাইকো তুমি

তোমার একখান চিঠি হাতে লইয়া
অতীতে ফিইরা যাই,
‎আমার চোক্ষের সীমানায়
তোমারে দেহা যায় না এহন,
‎অনেক খুঁজাখুঁজি কইরা
তোমারে পাইলাম না আমি।
‎কোন ভাবেই বুঝবার পারলাম না
‎তুমি আস্তে আস্তে
কবে জানি পর হইয়া গেলা,
‎তোমার আচরণে মনেই হয় নাই
‎তুমিও এমন কিছু করবার পারো।

‎মনে আছে তোমার?
জগদীশের পুস্কুনির পাড়ে দুপুইরা রইদে
তুমি যহন ক্লান্ত হইলা,
‎ঘামতে ঘামতে অস্থির হইলা,
‎ঘাটের পানিতে মুখ ধুইয়া
বসলা আইসা ‎পুস্কুনির পাড়ে,
কি বলছিলা সেদিন?
‎আমি কিন্তু তোমার কথা রাখছিলাম।

‎হুড উঠাইনা রিকসায় বইসা
তুমি হাত ধরবার চাইলা,
আমি তোমার কথা রাখবার গিয়া
হাতটাও ধরবার পারলাম না,
‎তোমার সামনে বইসা
তোমার রান্ধা খাওয়ার কপাল
এই জন্মে হইলোই না আমার,
‎আবার তুমি কইতা,
‎আমারে না-কি তুমি, অনেক ভালোবাসো।

‎আমি এতোটা বছর পরও,
একটা জিনিস, বুঝবার পারলাম না,
‎কোন দোষ আমার পাইলা?
যার জন্য তোমার রান্ধা
আমার কপালে জোটে নাই,
‎স্বপ্ন গুলা না হয় আমারই আছিলো,
‎কিন্তু এক লগে তো দেখতাম।
‎আইচ্ছা তুমি কি এহন স্বপ্ন দেহ না?
‎না-কি তোমার স্বপ্ন গুলা পুরা হইয়া গেছে?

‎এতোটা বছর পরেও
তোমার দেওয়া কষ্ট গুলা
‎বুকের ভিতরে কানতে থাকে,
‎আফসোস হয় মাঝে মধ্যেই
এইটা ভাইবা যে,
‎আমার জন্য তোমার বুকের ভিতর
সামান্য মমতাও ছিলো না,
আর ‎ভালোবাসা তো, বহু ভাগ্যের কথা।
সে যেন তোমারে আগলাইয়া রাখে
ভালা থাইকো তুমি।

মোঃ পলাশ শেখ, বিশেষ প্রতিনিধি

শার্পের আয়োজনে কাজিপুরে চরাঞ্চলের নারীদের নিয়ে অ্যাডভোকেসি মিটিং অনুষ্ঠিত

মোঃ পলাশ শেখ, বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ৫:০৮ পিএম
শার্পের আয়োজনে কাজিপুরে চরাঞ্চলের নারীদের নিয়ে অ্যাডভোকেসি মিটিং অনুষ্ঠিত

চরাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের আইন সহায়তা ও আয়বর্ধক সেবা প্রাপ্তির লক্ষ্যে আজ ৬ আগষ্ট বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার তেকানী ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত হলো এক গুরুত্বপূর্ণ অ্যাডভোকেসি মিটিং। এই সভার আয়োজন করে সোসিও হেলথ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রাম – শার্প (SHARP), যা পরিচালিত হচ্ছে Enhancing Gender Equality Project – GEP এর আওতায়।
প্রকল্পের মূল লক্ষ্য:
• চরাঞ্চলের নারী জনগোষ্ঠীর আইনি সহায়তা সহজপ্রাপ্য করা
• আয়ের উৎস সৃষ্টি করে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা
• সরকারি-বেসরকারি সেবার সঙ্গে সংযুক্ত করার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন
এই প্রকল্পের অর্থায়নে ছিল:
• Swiss Agency for Development and Cooperation (SDC)
• Global Affairs Canada (GAC)৷ এে কারিগরি সহযোগিতা দিয়েছে:
• GFA Consulting Group GmbH
সভায় সভাপতিত্ব করেন: কাজিপুরে অতিরিক্ত কৃষি অফিসার ও তেকানী ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “নারীদের আইনি নিরাপত্তা ও আয়বৃদ্ধিমূলক উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। এই ধরনের সভা চরাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য একটি বড় সুযোগ।”
বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন:
শার্প সিরাজগঞ্জ এর উপ-পরিচালক গোলাম কিবরিয়া
প্রকল্প সমন্বয়কারী রেজাউল করিম
বিভিন্ন স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিনিধিগণ
লিগ্যাল এইড ভিক্টিম ও চরাঞ্চলের বিপন্ন নারীরা
সভায় উপস্থিত নারীরা তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তারা জানান, কিভাবে তারা পারিবারিক, সম্পত্তিগত বা নির্যাতনের শিকার হয়ে আইনি সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সভার মাধ্যমে তারা ইউনিয়ন অফিসে সরাসরি আবেদন করেন আইন সহায়তা পাওয়ার জন্য।
উপস্থিত কর্মকর্তারা তাদের আশ্বস্ত করেন যে, সরকারি ও প্রকল্পভিত্তিক সকল সেবা প্রদানে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং নারী সমাজের পাশে থেকে সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
এই অ্যাডভোকেসি সভা স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং নারী উন্নয়নে একটি শক্ত বার্তা দেয়।

আশিকুর সরকার (রাব্বি)

মায়ের স্নেহ আদর

আশিকুর সরকার (রাব্বি) প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ৫:০৫ পিএম
মায়ের স্নেহ আদর

‎”কত প্রহর হয়ে গেলো পাইনি মায়ের স্নেহ আদর।
‎”কতোদিন কেটে গেলো পাইনা মা নামক চাদর।

‎”দিনের পরে দিন কেটে যায় রাতের পরে রাত।
‎”সবকিছুর উর্ধ্বে আছে যে মা নামক প্রভাত।

‎”রাত যায় দিন আসে,প্রহর গোনা শেষ।
‎”দুটি বছর হয়েছে আজো,মা হয়েছে নিরুদ্দেশ।

‎”স্বপ্নের মাঝে এসে যে মা হ্মনিকের হয় সাথি।
‎”মাকে পেলে কাটিয়ে দিতাম অফুরন্ত দিবা রাতি।

‎”মনে হাজারো কষ্ট থাকলে,মা দিতো সান্ত্বনা।
‎”মা দেখাতো সঠিক পথ,যতই থাকুক বেদনা।

‎”সব কিছুর উর্ধ্বে যে মা নামক শব্দ।
‎”মায়ের কথা পরলে মনে হয়ে যাই নিস্তব্ধ।

‎”সবার চাইতে উর্ধ্বে আছে,মায়ের ভালোবাসা।
‎”সব কিছুর উর্ধ্বে যে ভাই,মা নাম টাতেই ভরসা।

error: Content is protected !!