শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২
শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

নিউজ যেখানে হৃদয়ের গল্প

সম্পাদক যেখানে ভালোবাসার মানুষ

এস এম সালমান হৃদয়, বগুড়া থেকে প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ৫:৩৬ পিএম | 184 বার পড়া হয়েছে
সম্পাদক যেখানে ভালোবাসার মানুষ

বাংলাদেশের অনলাইন সাংবাদিকতা জগতে দিন দিন আস্থা ও ভালোবাসার অন্যতম প্রতীক হয়ে উঠছে জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল “উজ্জ্বল বাংলাদেশ”। আর এর পেছনে যিনি সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন, যাঁর হাত ধরে এই প্ল্যাটফর্মটি ছুঁয়েছে পাঠকের হৃদয় — তিনি হলেন পোর্টালের সম্পাদক মো: রাজিবুল করিম রোমিও। তিনি শুধু একজন দক্ষ ও বিচক্ষণ সম্পাদকই নন, বরং এক আলোকিত মানুষ, যিনি সবসময় চেষ্টা করেন সংবাদকে মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে। তাঁর বিশ্বাস, সংবাদ মানেই কেবল তথ্যের বাহক নয় — প্রতিটি সংবাদ হতে হবে মানবিক, প্রাসঙ্গিক ও সত্যনিষ্ঠ।

রোমিও ভাইয়ের নেতৃত্বে “উজ্জ্বল বাংলাদেশ” আজ একটি প্রাণবন্ত সংবাদপোর্টাল, যেখানে প্রতিদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো কেবল শিরোনামে সীমাবদ্ধ থাকে না — বরং সেগুলোর পেছনে লুকিয়ে থাকা সত্য, বেদনা, সমাজের বাস্তবতা ও আশার গল্প তুলে ধরা হয় গভীর দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে।

তিনি নিজেই বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, একজন পাঠক যখন আমার পোর্টালে প্রবেশ করে, তখন সে শুধু খবর খুঁজে না — সে খোঁজে বিশ্বাসযোগ্যতা, মমতা, এবং কিছু শেখার মতো কিছু একটা। আমি চাই প্রতিটি নিউজ যেন মানুষকে নাড়া দেয়, ভাবায় এবং ভালো কিছুর দিকে উদ্বুদ্ধ করে।”

একজন সম্পাদক হিসেবে তিনি শুধু খবর যাচাই-বাছাই বা ভাষা সম্পাদনাতেই সীমাবদ্ধ নন। একজন স্নেহশীল বড় ভাইয়ের মতো পুরো টিমকে আগলে রাখেন। কোন রিপোর্টার কোথায় গেলে ভালো কাভারেজ করতে পারবে, কোন নিউজে কীভাবে হেডলাইন তৈরি হলে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ হবে — সব কিছুর উপর তার খুঁটিনাটি নজর থাকে। তিনি কর্মীদের সঠিক প্রশিক্ষণ, কাজের স্বীকৃতি এবং এক অনুপ্রেরণাদায়ক পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে “উজ্জ্বল বাংলাদেশ” পত্রিকাটিকে গড়ে তুলেছেন পরিবারতুল্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে।

তার বড় গুণ হলো — তিনি সাংবাদিকতার পাশাপাশি একজন গভীর মানবিক মানুষ। সমাজের যেকোনো সংকটে, মানুষের যেকোনো দুর্দিনে তিনি শুধু সংবাদ প্রকাশ করেই দায়িত্ব শেষ করেন না — বরং সুযোগ থাকলে নিজেও এগিয়ে আসেন। অনেক দরিদ্র পরিবার, অসহায় মানুষ, কিংবা চিকিৎসার অপেক্ষায় থাকা কোনো রোগী — তাদের পাশে তিনি দাঁড়িয়েছেন একান্তভাবেই নিঃস্বার্থভাবে। তিনি বলেন, “আমরা যখন মানুষের সমস্যার কথা তুলে ধরি, তখন সেটা যেন শুধুই লেখার জায়গায় না থাকে। আমি চাই, সেই খবর কারও জীবনে বদলের হাতছানি হয়ে দাঁড়াক।”

রোমিও ভাইয়ের কাছে সাংবাদিকতা মানে কেবল অফিসে বসে নিউজ টাইটেল তৈরি করা নয় — বরং মাঠে গিয়ে দেখা, বোঝা, শুনে লেখা এবং সেই লেখার মাধ্যমে সমাজে আলো ছড়িয়ে দেওয়া। তাঁর চোখে একটি ভালো সাংবাদিক মানেই হল একজন দায়িত্বশীল সমাজকর্মী, যিনি মানুষের না বলা কথাগুলো তুলে ধরেন। তিনি সবসময় নতুনদের শেখান — “তুমি আগে মানুষ হও, পরে সাংবাদিক। কারণ ভালো মানুষ ছাড়া ভালো সাংবাদিক হওয়া যায় না।” এই কথার মধ্যেই যেন লুকিয়ে আছে তার সাংবাদিকতা দর্শনের সারমর্ম।

“উজ্জ্বল বাংলাদেশ”-এর প্রতিটি পাঠকের মনে আজ একটাই কথা — এটি কেবল একটি পোর্টাল নয়, এটি একটি ভালোবাসার জায়গা। আর এর প্রতিটি অর্জনের পেছনে রয়েছে সম্পাদক রোমিও ভাইয়ের নিরলস পরিশ্রম, সৎ নেতৃত্ব, নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি এবং গভীর মানবিক মূল্যবোধ। তরুণ সাংবাদিকদের কাছে তিনি একজন মেন্টর, প্রবীণদের কাছে সম্মানের, এবং পাঠকের কাছে নির্ভরতার প্রতীক।

এমন একজন মানুষের নেতৃত্বে গড়া পত্রিকা কখনোই শুধু খবর প্রকাশ করে না — বরং মানুষ গড়ে, সমাজ সচেতন করে তোলে এবং সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে শেখায়। মো: রাজিবুল করিম রোমিও তার কাজ, নীতিবোধ এবং ভালোবাসা দিয়ে প্রমাণ করেছেন — সম্পাদক যদি সত্যিই দায়বদ্ধ হন, তবে তার কলম দিয়েই সমাজ বদলানো সম্ভব।

দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

মো: মেহেদী হাসান ফুয়াদ দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫৫ পিএম
দিনাজপুরে বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কার্য্যনির্বাহী সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

২ আগষ্ট শনিবার বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর নব নির্বাচিত কার্য্যকরী কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নব- নির্বাচিত সভাপতি- মোঃ আব্দুস সাত্তার, সহ সভাপতি- মোঃ শরিফুল ইসলাম সেলি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিসুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক, আবুল কালাম (১), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ এনামুল হক, অর্থ সম্পাদক- আবুস সালাম ও কার্র্য্যনির্বাহী পরিষোধের সদস্য মোঃ কমর আলী শেখ ও মোঃ বিশালকে ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র অনুর্যায়ী শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশান দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি রবিউল আউয়াল খোকা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার হবিবর রহমান। উল্লেখ্য, বাহাদুর বাজার কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- রাজ-২২৬৭) এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ২ জুলাই ‘২০২৫। নির্বাচনে উপরোক্ত ৮জন প্রার্থী বিজয়ী হন।

দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

বগুড়া থেকে মোঃ হাফিজুর রহমান প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫১ পিএম
দেশের উন্নয়ন ও ন্যায় বিচারে ধানের শীষের প্রতি জনগণের আস্থা : ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ

গাবতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গাবতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জনাব ফজলে রাব্বি মন্ডল ফিরোজ জানিয়েছেন —
আমাদের দেশ চলে মানুষের ঘাম আর পরিশ্রমের করের টাকায়। প্রতিটি রাস্তা, স্কুল, হাসপাতাল, সরকারি সেবা ও অবকাঠামো জনগণের টাকায় গড়ে উঠেছে।
কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট শাসন আর আজকের কর্তৃত্ববাদী মনোভাব দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকারকে অবমূল্যায়ন করেছে — মানুষের ভোটাধিকার হরণ হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত হয়েছে, গণতন্ত্রকে পদদলিত করা হয়েছে। স্বজনপ্রীতি, লুটপাট আর দুর্নীতি সাধারণ মানুষের জীবনকে জিম্মি করে রেখেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিশ্বাস করে—গণতন্ত্র মানে শুধু ভোট নয়, মানুষের কথা শোনা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
আমাদের আপোষহীন নেত্রী, তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষায় আজও আপোষহীনভাবে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। বিএনপি জনগণের অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে সবসময়ই জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপি সরকারের সময় দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের পথে ছিল, গণতন্ত্র ও মানুষের কথা বলার অধিকার সুরক্ষিত ছিল — যা আজ হরণ হয়েছে।
আগামী নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জনগণকে আহ্বান জানাই—আপনাদের শক্তি ও অধিকারকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিজয়ের প্রতীক ধানের শীষে ভোট দিন, আপনার আস্থা ও বিশ্বাস প্রকাশ করুন।
বিএনপি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পক্ষে। দেশের প্রতিটি টাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করাই আমাদের অঙ্গীকার। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকাটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত শক্তি।
আমরা বিশ্বাস করি—ধানের শীষে জনগণের এই আস্থা গণতন্ত্র, উন্নয়ন আর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হয়ে উঠবে।

মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

Masud Parves প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৪৯ পিএম
মধ্যবয়স্ক নারীর ভালবাসা এক নীরব নদীর মতো

মধ্যবয়সী নারীকে বাইরে থেকে দেখে কেউ বুঝতে পারে না, তার ভেতর কতটা জীবন বয়ে চলে। তার মুখে হয়তো একরাশ শান্তি, চোখে একটুখানি ক্লান্তি—কিন্তু এই চেহারার ভেতরে আছে এক গভীর নদী, যেটা ধীরে ধীরে বয়ে যায়। এই নদী যেন নীরব, তবে থেমে নেই। প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা, ভালোবাসা, হারানো-বিলুপ্ত কিছু স্মৃতি—সব মিলে তার কামনা তৈরি হয় এক নতুন রূপে, এক অনন্য ভাষায়।
এই বয়সে সে আর কারো মন জেতার জন্য হাসে না। সে নিজেকে লুকিয়ে রাখে না, সাজিয়ে তোলে না কেবল কারো নজর কাড়ার জন্য। বরং সে নিজেকে ভালোবাসে গভীরভাবে। জানে—তার শরীর ঠিক যেমন, তেমনটাই সুন্দর। তার যৌনতা এখন আর দেহের খেলায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা হয়ে উঠেছে বোঝাপড়ার, সম্মান আর সংবেদনের জায়গা।
তরুণ বয়সের কামনা হঠাৎ জ্বলে ওঠে, হঠাৎ নিভেও যায়। সেখানে থাকে আবেগের ঝড়, না বুঝে ফেলার এক উন্মাদনা। কিন্তু মধ্যবয়সী নারীর কামনা অনেক বেশি ধৈর্যের, অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের। সে জানে, কীভাবে তার শরীরের প্রতিটি প্রতিক্রিয়া বোঝে নিতে হয়। সে জানে, কখন আগলে রাখতে হয় নিজেকে, আর কখন খুলে দিতে হয় সমস্ত দরজা।
এই নারী কাউকে ছুঁতে চায়—কিন্তু ছোঁয়াটার আগে সে বোঝে নেয় সেই মানুষটার ভেতরটা। সে শুধু শরীর খোঁজে না—সে এমন একজন সঙ্গী খোঁজে, যার স্পর্শে থাকে শ্রদ্ধা, যার চোখে থাকে নিরাপত্তা। সে জানে কার পাশে ঘুমালে শান্তি নামে, আর কার পাশে থাকলে ভালোবাসা শুকিয়ে যায়।
তার কামনা আর শিশুর মতো নিষ্পাপ নয়। বরং তাতে এক ধরনের প্রাপ্তবয়স্ক মমতা থাকে, থাকে বোঝাপড়া। সে জানে কখন চাওয়া, কখন না বলা। সে জানে, ‘না’ বলাটাও নিজের প্রতি এক রকম ভালোবাসা। তার ভালোবাসা এখন আর পাগলামি নয়—তা গভীর, সযত্নে বাছাই করা, বোধসম্পন্ন।
সমাজ হয়তো ভাবে এই বয়সের নারী নিঃসাড়, নিঃস্পৃহ। কিন্তু তারা জানে না, তার ভেতরটায় প্রতিদিন ঢেউ খেলে যায়। তার চোখে জমে থাকা পুরনো গল্পের আলো ঝিলমিল করে, তার হাসিতে মিশে থাকে না বলা ভালোবাসার রেশ। এই নারী চাইলেই কারো জীবনে নীরবে ঢুকে যেতে পারে, আবার কাউকে বিদায়ও জানাতে পারে নিঃশব্দে—এক বিন্দু তিক্ততা ছাড়াই।
তার যৌনতা আজ আর কারো কাছ থেকে অনুমতি চায় না। সে নিজের শরীর, নিজের কামনা, নিজের মনের দায়িত্ব নিজেই নেয়। সে জানে—কে তার জলের গভীরে স্নান করার যোগ্য, আর কে কেবল পাথর ছুড়ে জল ঘোলা করতে চায়।
মধ্যবয়স মানে ক্ষয় নয়, সেটি এক নবজন্ম। একজন নারী এই বয়সে এসে হয়তো সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল হয়—যেন সন্ধ্যার আলোয় জ্বলে ওঠা দীপ, যা সারা দিনের ক্লান্তিকে শান্ত করে। তার কামনা আগুন নয়—তা আলো। তা জ্বলিয়ে দেয় না, তা গায়ে মেখে থাকে।
এক নদী, যে জানে কখন কার দিকে পথ খুলে দিতে হয়, আর কখন নিজেকে আগলে রাখতে হয়।
যে জানে, ভালোবাসা মানে কারো হাত ধরা নয়—বরং কারো হাতে নিজের হাত রাখার মতো আত্মবিশ্বাস অর্জন করা।

error: Content is protected !!