রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

একটি গবেষণা ভিত্তিক বিশ্লেষন

বাস্তবে শ্রেষ্ঠ ধর্ম কোনটি?

মো: শোয়েব হোসেন গবেষক, চিন্তাবিদ, বিশ্লেষক, শিক্ষক, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ৪:৪৬ পিএম | 101 বার পড়া হয়েছে
বাস্তবে শ্রেষ্ঠ ধর্ম কোনটি?

ভূমিকা:
মানুষ আদিকাল থেকে ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত। ধর্ম শুধু ব্যক্তিগত বিশ্বাস বা আধ্যাত্মিক অনুশীলন নয়, এটি একটি সামাজিক, নৈতিক এবং সাংস্কৃতিক কাঠামোও বটে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়—”বাস্তবে শ্রেষ্ঠ ধর্ম কোনটি?” এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের ইতিহাস, দর্শন, সমাজ এবং মানবিক মূল্যবোধের দৃষ্টিতে ধর্মকে বিশ্লেষণ করতে হবে।

ধর্মের ভূমিকা ও বৈচিত্র্য:
বিশ্বের বড় ধর্মগুলো যেমন ইসলাম, হিন্দুধর্ম, খ্রিস্টধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, ইহুদি ধর্ম—প্রতিটিই মানবজাতিকে শান্তি, সদাচার, সহানুভূতি, আত্ম-উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণের পথ দেখিয়েছে। তবে প্রতিটি ধর্মই নির্দিষ্ট ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিতে বিকশিত হয়েছে। কাজেই একেক ধর্ম একেক দৃষ্টিকোণ থেকে “শ্রেষ্ঠ” বলে বিবেচিত হয়।

উদাহরণস্বরূপ—

ইসলাম মানুষকে এক সৃষ্টিকর্তার প্রতি আত্মসমর্পণ ও শান্তির পথে আহ্বান করে।

খ্রিস্টধর্ম ভালোবাসা, ক্ষমাশীলতা ও মানবতার প্রতীক হিসেবে যিশুখ্রিস্টের জীবনকে অনুসরণ করে।

হিন্দুধর্ম বহু দার্শনিক মত ও আচারের সমন্বয়ে আত্মার মুক্তি, কর্মফল ও ধর্মপালনকে গুরুত্ব দেয়।

বৌদ্ধধর্ম চিত্তশুদ্ধি, মিতাচার ও দুঃখ নিবারণের চর্চায় মনোযোগী।

ইহুদি ধর্ম ন্যায্যতা, নৈতিকতা ও ঈশ্বরের সঙ্গে আধ্যাত্মিক বন্ধনের ওপর জোর দেয়।

বিজ্ঞান ও ধর্ম:
বিজ্ঞান নিরপেক্ষ, পরীক্ষালব্ধ জ্ঞানের উপর প্রতিষ্ঠিত। ধর্ম বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত। তবুও, অনেক মনীষী যেমন টলস্টয়, গান্ধী, রুমী কিংবা ট্যাগোর ধর্মকে মানবিক উন্নয়নের পথ হিসেবে দেখেছেন। তাদের মতে, সত্য ধর্ম কখনোই হিংসা, বিভেদ বা সংকীর্ণতার জন্ম দেয় না।

আধুনিক সমাজ ও ধর্মের প্রভাব:
বর্তমান বিশ্বে ধর্ম শুধু উপাসনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই; এটি এখন নীতিশিক্ষা, সামাজিক দায়িত্ব, পরিবেশ সচেতনতা, এমনকি মানসিক স্বাস্থ্যচর্চার ক্ষেত্রেও প্রভাব বিস্তার করছে। ধর্মীয় অনুশীলন যদি মানুষকে সহিষ্ণু, মানবিক ও সদাচারী করে তোলে—তবেই সেই ধর্ম বাস্তবে শ্রেষ্ঠ হয়ে ওঠে।

উপসংহার:
একটি ধর্মকে “সর্বশ্রেষ্ঠ” বলা যেমন বিজ্ঞানসম্মত নয়, তেমনি তা বিশ্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্যও নয়। কারণ প্রত্যেক ধর্মের আছে নিজস্ব সৌন্দর্য, শিক্ষা ও উদ্দেশ্য। বাস্তবে শ্রেষ্ঠ ধর্ম সেই—
যা আপনাকে একজন সদাচারী, মানবিক ও দায়িত্ববান মানুষে পরিণত করে,
যা অন্যের মঙ্গল চায়, শান্তি ও সত্যের পথে পরিচালিত করে,
এবং যে ধর্ম বিশ্বাসের নাম করে নয়, মানবতার কল্যাণের মাধ্যমে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে।

সুতরাং, প্রকৃত ধর্মের উদ্দেশ্য কখনোই জাতিগত বা ধর্মীয় শ্রেষ্ঠত্ব নয়—বরং সকল সৃষ্টির মঙ্গল ও শান্তি স্থাপন।বলাবাহুল্য, যদিও বাস্তবতা হচ্ছে — যার যার ধর্ম তার তার কাছেই শ্রেষ্ঠ!

 

রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও পুনরায় তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

মোঃ আশিকুর সরকার (রাব্বি) প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৭ পিএম
রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও পুনরায় তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ডিলার নিয়োগে বৈষম্য ও অনিয়মের অভিযোগ এবং পুনরায় তদন্ত পূর্বক শতভাগ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় লটারির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করেছে বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে,অনিয়মের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পরা ব্যাক্তিদের সুকৌশলে ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দা না হয়েও অনেকেই এই নিয়োগপ্রাপ্ত হন।নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য অনেক ব্যক্তিকে সুকৌশলে বাদ দিয়ে নিয়ম বহি:ভূর্ত বাহিরের অনেক কে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।ডিলার নিয়োগে এহেন বৈষম্যরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় তদন্ত সাপেক্ষে লটারির আহবান জানান বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

রোববার দুপুরে ১২:০০ টা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের মেইন গেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন,আব্দুল মোত্তালেব,আজিজুল ইসলাম,ফখরুল ইসলাম, রাজু ইসলাম, আহসান, সহিদুল ইসলাম,রোকেয়া বেগম,দৌলত হোসেন,আব্দুল লতিফ,সেকেন্দার আলী লিমন,হান্নান মিয়া আব্দুল লতিফ বাবলুসহ আরও অনেকে।

হরিপুরে পাটের জাগ নিয়ে বিড়ম্বনায় কৃষক

সিরাজুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৬ পিএম
হরিপুরে পাটের জাগ নিয়ে বিড়ম্বনায় কৃষক

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে শুরু হয়েছে বিভিন্ন মাঠের পাট কাটা। তবে খালবিলে ও মাঠে পানি না থাকায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে সংকটে পড়েছেন চাষিরা। রাস্তার পাশে খাল ও পুকুরের পানি দিয়ে পাট জাগ দেওয়া শুরু হলেও আঁশের মান তেমন ভালো হচ্ছে না। এতেই বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

পাট চাষিরা জানান, হরিপুরে উপজেলায় দুটি বড় বিলের পাশে পানি না থাকার কারণে পাট পচানো সমস্যা হয়েছে । পানি সরাসরি বিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পাটের জাগ নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে।

পাট চাষি মো. আবদুল মালেক ও সারোয়ার হোসেন বলেন খালবিলে, নদীনালায়, পুকুরে পানি নেই; পাট জাগ দেওয়ার জায়গাও নেই। এখন আমরা পাট নিয়ে সংকটে পড়েছি। এজন্য হরিপুর উপজেলায় পার্শ্ববর্তী বিলে আমরা পাট জাগ দিয়েছি।

সমির হোসেন নামে আরেকজন বলেন, বৃষ্টিতে পাটক্ষেতে অল্প পানি জমেছে, এতে পাটের গোড়া নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষেতে বেশি পানি হলে পাটের গোড়া পচন ধরত না। ক্ষেতের পাট ক্ষেতেই জাগ দেওয়া যেত। এখন পিকআপ ও ভ্যান ভাড়া করে পাট জাগ দিতে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

মিনাপুর গ্রামের সারোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের হরিপুর ইউনিয়নের মাঠে-ঘাটে কোথাও পানি নেই। পাট কেটে জাগ দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুবেল হুসেন জানান, এ বছর হরিপুরে ৪৭০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জায়গায় পাটের আবাদ হয়েছে। পানি না থাকায় পাটের জাগ দেওয়া নিয়ে সমস্যা পড়ছেন কৃষকরা। কেউ কেউ পুকুরে নদীতে পাটের জাগ দিচ্ছে।

সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৪ পিএম
সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে

”আমার সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে”
যখন আশেপাশে শুনি —
“এটা তো সময়ের ব্যাপার, একটু ধৈর্য ধরো”
“তুমি কেন এত ভাবছো? সব ঠিক হয়ে যাবে”
“এটা তো সম্পর্কের অংশ, মানিয়ে নিতে হবে”
তখন সেই শূন্যতা কোথায় যাবে?
হুরায়রা কনসালটেন্সি এমন একটা জায়গা,
যেখানে আপনি আপনার সম্পর্কের টানাপোড়েন খুলে বলতে পারেন,
কেউ আপনাকে ছোট করবে না,
কেউ আপনাকে দোষী মনে করবে না।
আমরা জানি, সম্পর্কের মাঝে এই অনিশ্চয়তা অনেক সময় ভয়াবহ হতে পারে,
আপনি একা নন,
আমি হুরায়রা শিশির এবং আমার টিম পাশে আছি।
চলুন, একসাথে চেষ্টা করি কিভাবে একটু একটু করে ভালো থাকা যায়।

error: Content is protected !!