রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

ঝিনাইগাতীতে পাহাড়ি গ্রামবাসীরা মাদক সম্রাট রাসেল বাহিনীর হাতে জিম্মি

তৌহিদুর শেরপুর সংবাদদাতাঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ৫:৫২ পিএম | 50 বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইগাতীতে পাহাড়ি গ্রামবাসীরা মাদক সম্রাট রাসেল বাহিনীর হাতে জিম্মি

শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার পাহাড়ি গ্রামবাসীরা মাদক সস্রাট রাসেল বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে পরেছে। জানা গেছে, রাসেল বাহিনীর সদস্যরা উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের হলদিগ্রাম, সন্ধ্যাকুড়া, গোমড়া, রাংটিয়া ও কাংশা ইউনিয়নের নওকূচি, গান্দিগাঁও, হালচাটি,গজনী ও তাওয়াকোচা এলাকা হয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে চোরাই পথে মাদক পাচার করে আসছে। তথ্যানুসন্ধ্যানে জানা গেছে, এ বাহীনিতে রয়েছে অর্ধশতাধিক মাদক পাচারকারী সিন্ডিকেটের একদল কিশোর গ্যাং। এ বাহিনীর প্রধান রাসেল মিয়া সন্ধ্যাকুড়া গ্রামের প্রভাবশালী আব্দুস ছামাদের ছেলে। এবাহীনির দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মামুন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য প্রভাবশালী গোলাম কিবরিয়ার মামাতো ফুফাতো ভাই। রাসেল ভাগিনা। গোমড়া গুচ্ছ গ্রামের কোরবান আলী,ভোমা মিয়াসহ অনেকেই এ বাহিনীর সদস্য। এদের নেতৃত্বে গারো পাহাড়ে গড়ে উঠেছে বিশাল এক মাদক পাচারকারী সিন্ডিকেটের কিশোর গ্যাং। স্থানীয়রা জানান, এবাহীনির সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত পথে ভারত থেকে মদ,গাঁজা, হিরোইন, ইয়াবা,ফেনসিডিল,কম্বল,গরুসহ ভারতীয় বিভিন্ন প্রশাধনী সামগ্রী আমদানি করে আসছে। অভিযোগ রয়েছে, রাসেল বাহীনির সদস্যরা ভারত থেকে প্রায় প্রতিরাতেই লাখ লাখ টাকা মূল্যের মাদকসহ বিভিন্ন সামগ্রী পাঁচার করে এনে উপজেলাসদরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঁচার করে আসছে। ফলে উপজেলার সর্বত্র হাত বাড়ালেই মিলছে এখন মাদকদ্রব্য। এতে তরুণ ও যুব সমাজ বিপদগামী হয়ে পরছে। সীমান্তবর্তী পাহাড়ি গ্রামগুলোতে প্রতিটি ঘরে ঘরেই তৈরি হয়েছে মাদক ব্যবসায়ী ও রাসেল বাহীনির সদস্য । রাসেল ও মামুনের কাছে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। ফলে মাঝেমধ্যে বিজিবি, থানা পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে মাদকের চালান জব্দ করা হলেও মাদক পাচারকারীরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। বিজিবির টহলদল খোঁজে মাদক পাচারকারী সিন্ডিকেট তথ্য।অপরদিকে গ্রামবাসীদের মাধ্যমে বিজিবির টহলের তথ্য পৌঁছে যাচ্ছে মাদক পাচারকারীদের কাছে। বর্তমানে গোমড়া, সন্ধ্যাকুড়া সীমান্ত পথে প্রায় প্রতিরাতেই পিকআপভ্যানে করে লাখ টাকা মূল্যের মাদক পাঁচার করে আসছে রাসেল বাহীনি। স্থানীয়রা জানান গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাসেল বাহিনীর সদস্যরা গোমড়া এলাকা থেকে রাতে পিকআপ ভ্যান ভর্তি মাদকের চালান ময়মনসিংহের ফুলপুরে পৌঁছে দিয়ে পিকআপভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিল রাসেল বাহিনীর সদস্যরা। এসময় ফুলপুর থেকে গোয়েন্দা সংস্থার ধাওয়া খেয়ে শেরপুরের নকলা এলাকায় এসে তারা আত্নগোপন করে। একপর্যায়ে নকলা এলাকায় স্থানীয়বাসিন্দারা গরুচোর সন্দেহ গনধুলাই দেয়। এতে গোমড়া গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা রাসেল বাহিনীর ২ সদস্য মসলে উদ্দিনও আমির হোসেনের মৃত্যু হয়। আহত হয় রাসেল বাহিনীর ৩ সদস্য সাদ্দাম, রাজু, আয়নাল। অভিযোগ রয়েছে রাসেল বাহিনীর সদস্যরা শুধু মাদক পাচারের সাথেই জরিত নেই। তারা সন্ধ্যাকুড়া রাবার বাগান এলাকায় নারী ধর্ষনসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জরিত। রাসেল বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন এলাকা থেকে তরুণী অপহরণ করে এনে ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়ে আসছে অহরহ। কেউ এ বাহিনীর সদস্যের অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বা মুখ পর্যন্ত খুলতে সাহস পায় না। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের উপর নেমে আসে হামলা,ভয়ভীতি ও প্রাননাশের হুমকি। রাসেল বাহিনীর প্রধান রাসেল মিয়া ও মামুনের নামে থানায় প্রায় ডজন খানেক মামলা থাকলেও পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে অবাধে মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধ করে আসছে। জানা গেছে, ২৬ জুন রাসেল বাহিনীর সদস্যরা একটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তরুণীকে দিনের বেলায় অপহরণ করে রাবার বাগানে ধর্ষণ করে। এসময় রাবার বাগানের শ্রমিক সুজন মিয়া ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও ধারন করে। পরে রাসেল বাহিনীর সদস্যরা ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে সকলেই একত্রিত হয়ে রাবার বাগানের সকল কর্মচারীদের ঘেরাও করে। সুজন মিয়াকে মারধর করে ধর্ষণের ঘটনার ধারণকৃত ভিডিও ডিলিট করে দেয়। এ বিষয়ে সুজন মিয়ার মা সখিনা বেগম বাদি হয়ে রাসেলসহ কয়েকজনকে আসামী করে ও আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১৫জনকে আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ রয়েছে সখিনা বেগম অভিযোগ দায়েরের পর থেকে রাসেল বাহিনীর সদস্যরা সখিনা বেগমকে অভিযোগ তুলে নিতে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। ফলে রাসেল বাহিনীর ভয়ে সুজন মিয়া রাবার বাগানের কাজ ছেড়ে দিয়েছেন। পরিবার টি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অপরদিকে শত অভিযোগ নিয়ে ও পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত পথে রাসেল বাহিনীর সদস্যরা মাদক পাচারসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। গত মাসের ৩০ জুন হলদিগ্রাম বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ২৭৬ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করে। একইদিনে থানা পুলিশ উদ্ধার করে গোমড়া গ্রাম থেকে বিপুল পরিমাণের মাদকদ্রব্য। বর্তমানে প্রতিরাতেই গোমড়া, সন্ধ্যাকুড়া সীমান্ত পথে পাঁচার হচ্ছে মাদক। গোমড়াও সন্ধ্যাকুড়া মাদক পাচারের ট্রানজিট রোডে পরিণত হয়েছে। ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল আমিন বলেন, মাদক সম্রাট রাসেল ও মামুনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ বিভিন্ন সময় উদ্ধারকৃত মাদকের সাথে জরিত থাকায় তাদের নামে ডজন খানেক মামলা রয়েছে। রাসেলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। লোকেশন পরিবর্তন করায় গ্রেফতারে বিলম্ব হচ্ছে।

রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও পুনরায় তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

মোঃ আশিকুর সরকার (রাব্বি) প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৭ পিএম
রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও পুনরায় তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ডিলার নিয়োগে বৈষম্য ও অনিয়মের অভিযোগ এবং পুনরায় তদন্ত পূর্বক শতভাগ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় লটারির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করেছে বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে,অনিয়মের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পরা ব্যাক্তিদের সুকৌশলে ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দা না হয়েও অনেকেই এই নিয়োগপ্রাপ্ত হন।নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য অনেক ব্যক্তিকে সুকৌশলে বাদ দিয়ে নিয়ম বহি:ভূর্ত বাহিরের অনেক কে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।ডিলার নিয়োগে এহেন বৈষম্যরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় তদন্ত সাপেক্ষে লটারির আহবান জানান বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

রোববার দুপুরে ১২:০০ টা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের মেইন গেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন,আব্দুল মোত্তালেব,আজিজুল ইসলাম,ফখরুল ইসলাম, রাজু ইসলাম, আহসান, সহিদুল ইসলাম,রোকেয়া বেগম,দৌলত হোসেন,আব্দুল লতিফ,সেকেন্দার আলী লিমন,হান্নান মিয়া আব্দুল লতিফ বাবলুসহ আরও অনেকে।

হরিপুরে পাটের জাগ নিয়ে বিড়ম্বনায় কৃষক

সিরাজুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৬ পিএম
হরিপুরে পাটের জাগ নিয়ে বিড়ম্বনায় কৃষক

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে শুরু হয়েছে বিভিন্ন মাঠের পাট কাটা। তবে খালবিলে ও মাঠে পানি না থাকায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে সংকটে পড়েছেন চাষিরা। রাস্তার পাশে খাল ও পুকুরের পানি দিয়ে পাট জাগ দেওয়া শুরু হলেও আঁশের মান তেমন ভালো হচ্ছে না। এতেই বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

পাট চাষিরা জানান, হরিপুরে উপজেলায় দুটি বড় বিলের পাশে পানি না থাকার কারণে পাট পচানো সমস্যা হয়েছে । পানি সরাসরি বিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পাটের জাগ নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে।

পাট চাষি মো. আবদুল মালেক ও সারোয়ার হোসেন বলেন খালবিলে, নদীনালায়, পুকুরে পানি নেই; পাট জাগ দেওয়ার জায়গাও নেই। এখন আমরা পাট নিয়ে সংকটে পড়েছি। এজন্য হরিপুর উপজেলায় পার্শ্ববর্তী বিলে আমরা পাট জাগ দিয়েছি।

সমির হোসেন নামে আরেকজন বলেন, বৃষ্টিতে পাটক্ষেতে অল্প পানি জমেছে, এতে পাটের গোড়া নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষেতে বেশি পানি হলে পাটের গোড়া পচন ধরত না। ক্ষেতের পাট ক্ষেতেই জাগ দেওয়া যেত। এখন পিকআপ ও ভ্যান ভাড়া করে পাট জাগ দিতে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

মিনাপুর গ্রামের সারোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের হরিপুর ইউনিয়নের মাঠে-ঘাটে কোথাও পানি নেই। পাট কেটে জাগ দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুবেল হুসেন জানান, এ বছর হরিপুরে ৪৭০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জায়গায় পাটের আবাদ হয়েছে। পানি না থাকায় পাটের জাগ দেওয়া নিয়ে সমস্যা পড়ছেন কৃষকরা। কেউ কেউ পুকুরে নদীতে পাটের জাগ দিচ্ছে।

সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৪ পিএম
সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে

”আমার সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে”
যখন আশেপাশে শুনি —
“এটা তো সময়ের ব্যাপার, একটু ধৈর্য ধরো”
“তুমি কেন এত ভাবছো? সব ঠিক হয়ে যাবে”
“এটা তো সম্পর্কের অংশ, মানিয়ে নিতে হবে”
তখন সেই শূন্যতা কোথায় যাবে?
হুরায়রা কনসালটেন্সি এমন একটা জায়গা,
যেখানে আপনি আপনার সম্পর্কের টানাপোড়েন খুলে বলতে পারেন,
কেউ আপনাকে ছোট করবে না,
কেউ আপনাকে দোষী মনে করবে না।
আমরা জানি, সম্পর্কের মাঝে এই অনিশ্চয়তা অনেক সময় ভয়াবহ হতে পারে,
আপনি একা নন,
আমি হুরায়রা শিশির এবং আমার টিম পাশে আছি।
চলুন, একসাথে চেষ্টা করি কিভাবে একটু একটু করে ভালো থাকা যায়।

error: Content is protected !!