মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

প্রবাসীর পাঠানো টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ স্ত্রী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে

বিশেষ প্রতিবেদক প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ১১:৩৫ এএম | 50 বার পড়া হয়েছে
প্রবাসীর পাঠানো টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ স্ত্রী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে

পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় এবং বিদেশ থেকে পাঠানো টাকার হিসাব চাওয়ায় প্রবাসী স্বামী আব্দুল জব্বারের নামে যৌতুক মামলার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী হিমায়ারা খাতুন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী জব্বার সৌদি আরবে কর্মরত। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পাঁচদিঘল গ্রামে। তাঁর স্ত্রী হিমায়ারা খাতুন পাবনার চাটমোহর উপজেলার মল্লিকপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের হেলালুর রহমানের মেয়ে।
ভুক্তভোগী আব্দুল জব্বার ও তার পরিবারের দেয়া তথ্য মতে জানা গেছে, তিন বছর সৌদি আরব থাকার পর দেশে ফিরে ২০২২ সালের ১ মে হিমায়ারা খাতুনকে বিয়ে করেন জব্বার। বিয়ের দেড় মাস পরই পুনরায় সৌদি আরব ফিরে যান তিনি। প্রবাসে থেকে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে হিমায়ারার নামে প্রায় ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাঠান জব্বার। যার প্রমাণপত্র তার কাছে রয়েছে।
প্রবাসী আব্দুল জব্বারের দাবি, ২০২৪ সালে দেশে ফেরার পর শ্যালকের সুন্নতের অনুষ্ঠানের জন্য স্ত্রী হিমায়ারাকে এবং জমি কট নেয়ার জন্য শ্বশুড় হেলাল ও বড় চাচা শ্বশুড় বেলাল কে আরো ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে হিমায়ারা, তার বাবা ও বড় চাচাকে জমি কট নেয়ার জন্য মোট ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেন জব্বার। পরে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থানকালে স্ত্রীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিক পরকীয়া প্রেমঘটিত বার্তা দেখে বিষয়টি শ্বাশুড়িকে জানান তিনি। কিন্তু শাশুড়ি বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে এড়িয়ে যান।
পরিবারের শান্তি রক্ষায় আবারও সৌদি আরবে ফিরে যান আব্দুল জব্বার। তবে কিছুদিন পর এক ব্যক্তি ফোন করে জব্বারকে হুমকি দেন। যিনি নিজেকে হিমায়ারা’র প্রেমিক বলে দাবি করেন। ওই ব্যক্তি জব্বারকে জানিয়ে দেন, “তোমার হিমায়ারার ওপর কোনো অধিকার নেই। ফোনে কথা বলবে না, ফেসবুক থেকে ছবিও ছাড়বে না, সেই অধিকার হারিয়ে ফেলেছো।”
পরিস্থিতি আরও অবনতি ঘটলে জব্বার ও তাঁর পরিবার হিমায়ারা’র সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে এবং প্রবাস থেকে পাঠানো টাকার হিসাব চাইলে উল্টো হুমকি দেয় হিমায়ারা, তার বাবা, মা ও বড় চাচা। অবস্থা বেগতিক দেখে নিজেদের বাঁচাতে হিমায়ারা খাতুন বাদি হয়ে জব্বার ও তার পরিবারের ৪ জনকে আসামি করে পাবনার আদালতে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে জব্বারের মোবাইল নাম্বার ব্লাকলিস্ট করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় হিমায়ারা ও তার পরিবার।
আর বিদেশ জীবনে কষ্টটার্জিত টাকার হিসাব না পেয়ে জব্বারের পরিবারের পক্ষ থেকে তার মা বাদি হয়ে হিমায়ারার বাবা, মা, বড় চাচাকে আসামি করে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের একটি মামলা দায়ের করেন।
জব্বারের মা বলেন, ‌’বিয়ের পর থেকে বউটা তাদের বাড়িতেই থাকতো। কখনও আমার বাড়িতে আসে নাই। হিমায়ারা ও তার মায়ের কাছে আমার ছেলে বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতো। জমি কট রাখার জন্যও অনেকগুলো টাকা মেয়ের বাবা, চাচাকে দেয়া হয়েছে। পরে হিমায়ারা, তার বাবা-মায়ের নানারকম কীর্তিকালাপ দেখে আমার ছেলে যখন হিসাব চাইছে, টাকা চাইছে তখনই মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা নানাভাবে আমাদের হেনস্তা করছে, হুমকি দিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত আমাদের নামে মিথ্যা মামলাও করছে। আমি ন্যায্য বিচার চাই।’
এ বিষয়ে জব্বারের স্ত্রী হিমায়ারা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি’ বলেন, সে আমাকে বউ দাবি করে, কিন্তু তার সে কোনো দায়িত্ব পালন করে না। কোনো ভরণ পোষণ দিবে না, আর হুট করে এসে বলবেন ১২ লাখ টাকা দিছি, এটা আমি মানবো নাকি। একটা বিবাহিত মেয়ে তার নিজের পরিবার, বন্ধু বান্ধব, ক্লাসমেটদের সাথে কথা বলবে না তো সে কি করবে। যেকোনো মানুষের জীবনে চলতে গেলে বন্ধু বান্ধব লাগবে, তাদের সাথে কথা বলতেই হবে। আর কথা বললেই যে তার সাথে খারাপ সম্পর্ক থাকবে তার কোনো মানে নাই। সে টাকা দেবার যে ডকুমেন্টস দিচ্ছে সেটা সত্যা নাকি মিথ্যা তা কোর্টে প্রমাণ হবে।’
এ বিষয়ে হিমায়ারা খাতুনের বাবা হেলালুর রহমান বলেন, ‌’আমরা যখন কোর্টে তার বিরুদ্ধে একটা মামলা দিছি, তখন সে আবার আমাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দিছে ১৪ লাখ টাকার। যে মামলার কোনো ভিত্তি নাই। আবার আমাদের সাথে প্রতারণা করছে সেটা হলো জব্বার আগে একটা বিয়ে করেছিল। সেই পক্ষের একটা বিয়ের উপযুক্ত মেয়েও অোছ। সেটা আমাদের কাছে লুকিয়েছিল। এসব বিষয় নিয়ে আমাদের গ্রামে, ফাঁড়িতে, থানায় বসে কয়েকটা শালিস হয়েছে। সে কোনো শালিস ই মানে নাই। দুই পক্ষেরই কোর্টে মামলা চলমান। সেখানে যা হবার হবে।’
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জানা নেই। থানায় কোনো অভিযোগও আসেনি। যেহেতু বলছেন আদালতে মামলা করেছে উভয়পক্ষ তাহলে সেখানেই ফায়সালা হবে।’

“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

টঙ্গী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০৪ পিএম
“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

২০১৫ সালে ইতালি পাঠানোর নামে বাংলাদেশ থেকে ৪২ জনের পাসপোর্ট ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয় ইব্রাহিম শেখ নামের এক প্রতারক। প্রতারণার সেই অঙ্ক তখনই দাঁড়িয়েছিল প্রায় দুই কোটি তিন লাখ টাকায়। এরপর থেকেই ইব্রাহিম যেন হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক চোরাকারবারির ‘প্রতীক’।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালে অবৈধ পথে দালালের মাধ্যমে হংকং পাড়ি জমান তিনি। হংকংয়ে পৌঁছেই সেখানে গড়ে তোলেন একাধিক প্রতারণার নেটওয়ার্ক। ইউরোপ পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ, নকল আইফোন ও সোনা বিক্রি, এমনকি বাংলাদেশ থেকে নকল পণ্য পাচার—সবই চলতে থাকে একই ছকের ভেতরে।

স্থানীয় সূত্র বলছে, হংকং-এ অবস্থানকালে ইব্রাহিম একাধিক বিয়ে করেছেন পরিচয় গোপন করে। তার প্রতিটি প্রতারণার পেছনে ছিল সুপরিকল্পিত জালিয়াতি।

সম্প্রতি গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে, হংকং থেকে বাংলাদেশে ফিরেও থেমে থাকেননি এই ‘ন্যাশনাল প্রতারক’। আনুমানিক ১২৩ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে এনে লুকিয়ে রেখেছেন একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এমনকি মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতারণা, মাদক, চোরাচালান—সবকিছুতে সম্পৃক্ত এই ইব্রাহিম এখন দেশের ভেতরেই অবস্থান করছেন ছদ্মবেশে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এতদিন ধরেই তার অপকর্ম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলো? প্রতারিত পরিবারগুলো চাইছেন দ্রুত এই চক্রের মূলহোতা ইব্রাহিমকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হোক।

কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

মো:স্বাধীন খান বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০১ পিএম
কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

বগুড়ার কাহালুতে জমির ড্রেনের পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে কর্নিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর। তাঁর পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ বলে জানিয়েছেন কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিতাই চন্দ্র সরকার।

কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

রুহুল আমিন, রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ১:৫৪ পিএম
কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

কুড়িগ্রাম সদরের হরিম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকার বেতারাঘাতে এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গত ৪ আগস্ট ২০২৫ ইং দুপুরে বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, বিদ্যালয়ের ৫ ম শ্রেনীর ক্লাসে হাসিনা খাতুন নামের এক শিক্ষিকা বেতারাঘাত করেন। এ সময় হাতে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে রাকিবুল হাসান রাকিবকে বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাটিয়ে দেয়া হয়। এর পর বাড়িতে হাত ফুলে গিয়ে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে তাকে সন্ধ্যায় তার অভিভাবক কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। রাকিব বলেন, হাসিনা আপা বড় বড় তিনটি প্রশ্ন লেখতে বলেন। আমি একটু পড়ে লেখতে চাইলেই বেত দিয়ে আমাকে খুব জোড়ে মারেন।এখন আমার হাতে অনেক ব্যাথা হচ্ছে। রাকিবের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, আমার ছেলেকে পড়া-লেখা শিখানোর জন্য স্কুলে দিয়েছি। শিক্ষকের মার খেয়ে হাসপাতালে আসার জন্য নয়। আমি এর বিচার চাই। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বলেন,ঘটনার সময় আমি স্কুলের বাহিরে ছিলাম। শুনেছি হাসিনা বেত দিয়ে মেরেছে এতেই রাকিব ব্যাথা পায়। হাসিনা বেগম বলেন, আমি তাকে পড়ার জন্য মারিনি,মেরেছি নির্দাশিকা লাঠি দিয়ে দুষ্টুমি করার জন্য। উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলহাজ্ব বুলবুল হোসেন বলেন,আমি আমার অফিসের এক স্টাফ এর নিকট বিষয়টি শুনলাম। প্রধান শিক্ষিকাকে ফোনে পাইনি। কাল ছুটি আছে অফিস খুললেই জেনে ব্যবস্তা নিবো।

error: Content is protected !!