রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

প্রবাসীর পাঠানো টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ স্ত্রী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে

বিশেষ প্রতিবেদক প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ১১:৩৫ এএম | 47 বার পড়া হয়েছে
প্রবাসীর পাঠানো টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ স্ত্রী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে

পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় এবং বিদেশ থেকে পাঠানো টাকার হিসাব চাওয়ায় প্রবাসী স্বামী আব্দুল জব্বারের নামে যৌতুক মামলার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী হিমায়ারা খাতুন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী জব্বার সৌদি আরবে কর্মরত। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পাঁচদিঘল গ্রামে। তাঁর স্ত্রী হিমায়ারা খাতুন পাবনার চাটমোহর উপজেলার মল্লিকপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের হেলালুর রহমানের মেয়ে।
ভুক্তভোগী আব্দুল জব্বার ও তার পরিবারের দেয়া তথ্য মতে জানা গেছে, তিন বছর সৌদি আরব থাকার পর দেশে ফিরে ২০২২ সালের ১ মে হিমায়ারা খাতুনকে বিয়ে করেন জব্বার। বিয়ের দেড় মাস পরই পুনরায় সৌদি আরব ফিরে যান তিনি। প্রবাসে থেকে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে হিমায়ারার নামে প্রায় ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাঠান জব্বার। যার প্রমাণপত্র তার কাছে রয়েছে।
প্রবাসী আব্দুল জব্বারের দাবি, ২০২৪ সালে দেশে ফেরার পর শ্যালকের সুন্নতের অনুষ্ঠানের জন্য স্ত্রী হিমায়ারাকে এবং জমি কট নেয়ার জন্য শ্বশুড় হেলাল ও বড় চাচা শ্বশুড় বেলাল কে আরো ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে হিমায়ারা, তার বাবা ও বড় চাচাকে জমি কট নেয়ার জন্য মোট ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেন জব্বার। পরে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থানকালে স্ত্রীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিক পরকীয়া প্রেমঘটিত বার্তা দেখে বিষয়টি শ্বাশুড়িকে জানান তিনি। কিন্তু শাশুড়ি বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে এড়িয়ে যান।
পরিবারের শান্তি রক্ষায় আবারও সৌদি আরবে ফিরে যান আব্দুল জব্বার। তবে কিছুদিন পর এক ব্যক্তি ফোন করে জব্বারকে হুমকি দেন। যিনি নিজেকে হিমায়ারা’র প্রেমিক বলে দাবি করেন। ওই ব্যক্তি জব্বারকে জানিয়ে দেন, “তোমার হিমায়ারার ওপর কোনো অধিকার নেই। ফোনে কথা বলবে না, ফেসবুক থেকে ছবিও ছাড়বে না, সেই অধিকার হারিয়ে ফেলেছো।”
পরিস্থিতি আরও অবনতি ঘটলে জব্বার ও তাঁর পরিবার হিমায়ারা’র সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে এবং প্রবাস থেকে পাঠানো টাকার হিসাব চাইলে উল্টো হুমকি দেয় হিমায়ারা, তার বাবা, মা ও বড় চাচা। অবস্থা বেগতিক দেখে নিজেদের বাঁচাতে হিমায়ারা খাতুন বাদি হয়ে জব্বার ও তার পরিবারের ৪ জনকে আসামি করে পাবনার আদালতে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে জব্বারের মোবাইল নাম্বার ব্লাকলিস্ট করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় হিমায়ারা ও তার পরিবার।
আর বিদেশ জীবনে কষ্টটার্জিত টাকার হিসাব না পেয়ে জব্বারের পরিবারের পক্ষ থেকে তার মা বাদি হয়ে হিমায়ারার বাবা, মা, বড় চাচাকে আসামি করে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের একটি মামলা দায়ের করেন।
জব্বারের মা বলেন, ‌’বিয়ের পর থেকে বউটা তাদের বাড়িতেই থাকতো। কখনও আমার বাড়িতে আসে নাই। হিমায়ারা ও তার মায়ের কাছে আমার ছেলে বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতো। জমি কট রাখার জন্যও অনেকগুলো টাকা মেয়ের বাবা, চাচাকে দেয়া হয়েছে। পরে হিমায়ারা, তার বাবা-মায়ের নানারকম কীর্তিকালাপ দেখে আমার ছেলে যখন হিসাব চাইছে, টাকা চাইছে তখনই মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা নানাভাবে আমাদের হেনস্তা করছে, হুমকি দিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত আমাদের নামে মিথ্যা মামলাও করছে। আমি ন্যায্য বিচার চাই।’
এ বিষয়ে জব্বারের স্ত্রী হিমায়ারা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি’ বলেন, সে আমাকে বউ দাবি করে, কিন্তু তার সে কোনো দায়িত্ব পালন করে না। কোনো ভরণ পোষণ দিবে না, আর হুট করে এসে বলবেন ১২ লাখ টাকা দিছি, এটা আমি মানবো নাকি। একটা বিবাহিত মেয়ে তার নিজের পরিবার, বন্ধু বান্ধব, ক্লাসমেটদের সাথে কথা বলবে না তো সে কি করবে। যেকোনো মানুষের জীবনে চলতে গেলে বন্ধু বান্ধব লাগবে, তাদের সাথে কথা বলতেই হবে। আর কথা বললেই যে তার সাথে খারাপ সম্পর্ক থাকবে তার কোনো মানে নাই। সে টাকা দেবার যে ডকুমেন্টস দিচ্ছে সেটা সত্যা নাকি মিথ্যা তা কোর্টে প্রমাণ হবে।’
এ বিষয়ে হিমায়ারা খাতুনের বাবা হেলালুর রহমান বলেন, ‌’আমরা যখন কোর্টে তার বিরুদ্ধে একটা মামলা দিছি, তখন সে আবার আমাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দিছে ১৪ লাখ টাকার। যে মামলার কোনো ভিত্তি নাই। আবার আমাদের সাথে প্রতারণা করছে সেটা হলো জব্বার আগে একটা বিয়ে করেছিল। সেই পক্ষের একটা বিয়ের উপযুক্ত মেয়েও অোছ। সেটা আমাদের কাছে লুকিয়েছিল। এসব বিষয় নিয়ে আমাদের গ্রামে, ফাঁড়িতে, থানায় বসে কয়েকটা শালিস হয়েছে। সে কোনো শালিস ই মানে নাই। দুই পক্ষেরই কোর্টে মামলা চলমান। সেখানে যা হবার হবে।’
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জানা নেই। থানায় কোনো অভিযোগও আসেনি। যেহেতু বলছেন আদালতে মামলা করেছে উভয়পক্ষ তাহলে সেখানেই ফায়সালা হবে।’

রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও পুনরায় তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

মোঃ আশিকুর সরকার (রাব্বি) প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৭ পিএম
রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়ম ও পুনরায় তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ডিলার নিয়োগে বৈষম্য ও অনিয়মের অভিযোগ এবং পুনরায় তদন্ত পূর্বক শতভাগ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় লটারির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করেছে বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে,অনিয়মের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পরা ব্যাক্তিদের সুকৌশলে ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দা না হয়েও অনেকেই এই নিয়োগপ্রাপ্ত হন।নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য অনেক ব্যক্তিকে সুকৌশলে বাদ দিয়ে নিয়ম বহি:ভূর্ত বাহিরের অনেক কে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।ডিলার নিয়োগে এহেন বৈষম্যরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় তদন্ত সাপেক্ষে লটারির আহবান জানান বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

রোববার দুপুরে ১২:০০ টা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের মেইন গেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন,আব্দুল মোত্তালেব,আজিজুল ইসলাম,ফখরুল ইসলাম, রাজু ইসলাম, আহসান, সহিদুল ইসলাম,রোকেয়া বেগম,দৌলত হোসেন,আব্দুল লতিফ,সেকেন্দার আলী লিমন,হান্নান মিয়া আব্দুল লতিফ বাবলুসহ আরও অনেকে।

হরিপুরে পাটের জাগ নিয়ে বিড়ম্বনায় কৃষক

সিরাজুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৬ পিএম
হরিপুরে পাটের জাগ নিয়ে বিড়ম্বনায় কৃষক

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে শুরু হয়েছে বিভিন্ন মাঠের পাট কাটা। তবে খালবিলে ও মাঠে পানি না থাকায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে সংকটে পড়েছেন চাষিরা। রাস্তার পাশে খাল ও পুকুরের পানি দিয়ে পাট জাগ দেওয়া শুরু হলেও আঁশের মান তেমন ভালো হচ্ছে না। এতেই বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

পাট চাষিরা জানান, হরিপুরে উপজেলায় দুটি বড় বিলের পাশে পানি না থাকার কারণে পাট পচানো সমস্যা হয়েছে । পানি সরাসরি বিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পাটের জাগ নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে।

পাট চাষি মো. আবদুল মালেক ও সারোয়ার হোসেন বলেন খালবিলে, নদীনালায়, পুকুরে পানি নেই; পাট জাগ দেওয়ার জায়গাও নেই। এখন আমরা পাট নিয়ে সংকটে পড়েছি। এজন্য হরিপুর উপজেলায় পার্শ্ববর্তী বিলে আমরা পাট জাগ দিয়েছি।

সমির হোসেন নামে আরেকজন বলেন, বৃষ্টিতে পাটক্ষেতে অল্প পানি জমেছে, এতে পাটের গোড়া নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষেতে বেশি পানি হলে পাটের গোড়া পচন ধরত না। ক্ষেতের পাট ক্ষেতেই জাগ দেওয়া যেত। এখন পিকআপ ও ভ্যান ভাড়া করে পাট জাগ দিতে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

মিনাপুর গ্রামের সারোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের হরিপুর ইউনিয়নের মাঠে-ঘাটে কোথাও পানি নেই। পাট কেটে জাগ দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুবেল হুসেন জানান, এ বছর হরিপুরে ৪৭০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জায়গায় পাটের আবাদ হয়েছে। পানি না থাকায় পাটের জাগ দেওয়া নিয়ে সমস্যা পড়ছেন কৃষকরা। কেউ কেউ পুকুরে নদীতে পাটের জাগ দিচ্ছে।

সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৩৪ পিএম
সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে

”আমার সম্পর্কটা কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে”
যখন আশেপাশে শুনি —
“এটা তো সময়ের ব্যাপার, একটু ধৈর্য ধরো”
“তুমি কেন এত ভাবছো? সব ঠিক হয়ে যাবে”
“এটা তো সম্পর্কের অংশ, মানিয়ে নিতে হবে”
তখন সেই শূন্যতা কোথায় যাবে?
হুরায়রা কনসালটেন্সি এমন একটা জায়গা,
যেখানে আপনি আপনার সম্পর্কের টানাপোড়েন খুলে বলতে পারেন,
কেউ আপনাকে ছোট করবে না,
কেউ আপনাকে দোষী মনে করবে না।
আমরা জানি, সম্পর্কের মাঝে এই অনিশ্চয়তা অনেক সময় ভয়াবহ হতে পারে,
আপনি একা নন,
আমি হুরায়রা শিশির এবং আমার টিম পাশে আছি।
চলুন, একসাথে চেষ্টা করি কিভাবে একটু একটু করে ভালো থাকা যায়।

error: Content is protected !!