মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২
মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

হারিয়ে গিয়েছিলেন সোনু

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫, ১১:৩৯ এএম | 52 বার পড়া হয়েছে
হারিয়ে গিয়েছিলেন সোনু

তিনি মিস ইন্ডিয়া হয়েছিলেন, এরপর ১৯৮৫ সালে মিস ইউনিভার্সের ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। এরপর সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সাফল্য পাওয়া অন্য মডেলদের মতো তিনিও নাম লেখান অভিনয়ে। ১৯৮৮ সালে মুক্তি পায় ‘খুন ভরি মাঙ্গ’। ছবি সুপারহিট, ফিল্মফেয়ারে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কারও পান। এমন স্বপ্নের শুরুর পরও থমকে যায় তার ক্যারিয়ার! কে এই অভিনেত্রী ? কেনইবা শুরুতেই শেষ হয়ে যায় তার বলিউড ক্যারিয়ার ?
এই মডেল – অভিনেত্রী আর কেউ নন, তিনি দীর্ঘকায় সোনু ওয়ালিয়া। অনেকে মনে করেন বেশি লম্বা হওয়ার কারণেও তার ক্যারিয়ার থমক যায়! ‘খুন ভরি মাঙ্গ’ ছবির সাফল্যের পরও বলিউডে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারেননি সোনু। ‘খান’দের তুলনায় একটু বেশি লম্বা, তাই নাকি ছবিতে সনুকে নিতে চাইতেন না নির্মাতারা। অথচ তার অভিনয়দক্ষতা, গ্ল্যামার, নাচের তারিফ করেছেন সাধারণ দর্শক থেকে সমালোচকেরা। এক সময় দর্শকদের মনে দাগ কেটে যাওয়া এই অভিনেত্রী আজ প্রায় বিস্মৃত।
‘খুন ভরি মাঙ্গ’ সিনেমায় নন্দিনী চরিত্রে অভিনয় করেন সোনু। রেখার প্রতিশোধের আখ্যান কিংবা কবীর বেদির খলচরিত্র নয়, অনেকের কাছেই ‘খুন ভরি মাঙ্গ’ মানেই সনু ওয়ালিয়ার দুর্দান্ত অভিনয়। নন্দিনীর চরিত্রে তার গ্ল্যামার ও কবীর বেদির সঙ্গে ‘ম্যায় তেরি হুঁ জানম’ গানে অনবদ্য রসায়ন আজও সিনেমাপ্রেমীদের স্মৃতিতে গাঁথা। এই অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কারও জেতেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, নন্দিনী চরিত্রটি ছিল সময়ের তুলনায় ব্যতিক্রমী। এটি ছিল ধূসর চরিত্র। সে খারাপ ছিল না, শুধু এমন কিছু করেছিল, যা সমাজ গ্রহণ করেনি। কারণ, সে সত্যিই ওই মানুষটিকে ভালোবাসতো। আজকাল এই ধরনের চরিত্র সাধারণ হলেও তখন তা ছিল বিরল।
নন্দিনীর চরিত্রে সুযোগ পাওয়া প্রসঙ্গে সোনু বলেন, আকর্ষণ আর মহাদেব ছবির কাজ চলছিল তখন। রাকেশ রোশন একটু দ্বিধায় ছিলেন, কারণ এর আগে তিনি নতুন কাউকে সুযোগ দেননি। কিন্তু আকর্ষণ এর কিছু রিল দেখানোর পর বুঝলেন আমি অভিনয় করতে পারি। তবু নাচ নিয়ে সন্দেহ ছিল, তখন আমি মহাদেব এর নাচ দেখাই। তখন তিনি পুরোপুরি নিশ্চিত হন। এভাবেই সুযোগ মেলে।
ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও ‘খুন ভরি মাঙ্গ’ তার প্রথম ছবি নয়। ১৯৮৬ সালে কেতন আনন্দ পরিচালিত থ্রিলার ‘শর্ত’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে তার। এর আগে ‘আকর্ষণ’ নামে আরেকটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন, যা পরে মুক্তি পায়। তবে এই ছবি দুটিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র পাননি সোনু।
দারুণ শুরু, এরপর ছন্দপতন
পাঞ্জাবি পরিবারে জন্ম সনু’র বাবা সতিন্দর সিং ওয়ালিয়া ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন, মা গৃহিণী। ‘সোনু’ ছিল তার শৈশবের ডাকনাম, যা থেকেই চলচ্চিত্রের নাম হয়ে ওঠে। মিস ইন্ডিয়া জয় ছিল বড় সাফল্য। কিন্তু তার পরপরই শুরু হয় ব্যর্থতার ধাক্কা। মনমোহন দেশাইয়ের ‘তুফান’ এ অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে কাজ করলেও, ছবিটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। এর পাশাপাশি তাকে এক ধরনের নেতিবাচক চরিত্রেই বারবার কাস্ট করা হতে থাকে।
তিনি বলেন, অন্তত ৫০টা ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি; কারণ, সেগুলোতে শুধু খলচরিত্র ছিল। এই ইন্ডাস্ট্রিতে একবার টাইপকাস্ট হয়ে গেলে সেখান থেকে বের হওয়া ভীষণ কঠিন।
বলিউডে সোনু ওয়ালিয়া’র এগিয়ে যাওয়ার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার উচ্চতা। ৫ ফুট ৮ ইঞ্চির এই অভিনেত্রী তখনকার তরুণ তিন খান, আমির, সালমান ও শাহরুখ এর চেয়ে লম্বা। ফলে রোমান্টিক নায়িকার চরিত্রে কাস্টিং নিয়ে নির্মাতারা দ্বিধায় পড়েন। অমিতাভ, ধর্মেন্দ্র, বিনোদ খান্নার মতো লম্বা নায়কদের সঙ্গে মানালেও, তখন তারা ক্যারিয়ারের শেষ ধাপে। ফলে নতুন যুগের বলিউডে সোনু’র জায়গাটা ক্রমেই ছোট হয়ে আসে।
টিভি, অতঃপর সরে যাওয়া
সিনেমার কাজ কমে যাওয়ার পর সনু ওয়ালিয়া টেলিভিশনের দিকে ঝোঁকেন। ‘ঘুটন’, ‘যুগ’ এবং বি আর চোপড়ার ‘মহাভারত’ এ দেখা যায় তাকে। পরে বিয়ে করেন যুক্তরাষ্ট্রের হোটেল ব্যবসায়ী ও প্রযোজক সূর্য প্রতাপ সিংকে। বিয়ের পর পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। স্বামীর প্রযোজনায় সোনু অভিনয় করেন ‘কসম’ (২০০১), ‘সূর্যকান্ত’ (২০০৫) ও ‘জয় মা শেরাওয়ালি’ (২০০৮) ছবিতে। শেষ ছবিটিতে তাকে প্রধান চরিত্রে দেখা যায়। কিন্তু ২০০৯ সালে স্বামীর মৃত্যু তাকে মানসিকভাবে ভেঙে দেয়। দেশে ফিরে বোন মনু ও ভগ্নিপতি বিনীত শর্মার সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। দীর্ঘদিন পর ২০১৮ সালে আবার চলচ্চিত্রে ফেরেন, তবে এবার পর্দার আড়ালে কীর্তি কুলহারি অভিনীত ‘জোগিয়া রক্স’ ছবির সহপ্রযোজক হিসেবে।সোনু অবশ্য অভিনয়ে ফেরার আশা পুরোপুরি ছাড়েননি। ওটিটি’র এই যুগে নানা ধরনের সিরিজ হচ্ছে, কে জানে সেখানে তার ডাক আসলে আসতেও পারে!

“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

টঙ্গী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০৪ পিএম
“হংকং থেকে ১২৩ কোটি টাকার চোরাচালান! ন্যাশনাল প্রতারক ইব্রাহিম এখন পলাতক

২০১৫ সালে ইতালি পাঠানোর নামে বাংলাদেশ থেকে ৪২ জনের পাসপোর্ট ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয় ইব্রাহিম শেখ নামের এক প্রতারক। প্রতারণার সেই অঙ্ক তখনই দাঁড়িয়েছিল প্রায় দুই কোটি তিন লাখ টাকায়। এরপর থেকেই ইব্রাহিম যেন হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক চোরাকারবারির ‘প্রতীক’।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালে অবৈধ পথে দালালের মাধ্যমে হংকং পাড়ি জমান তিনি। হংকংয়ে পৌঁছেই সেখানে গড়ে তোলেন একাধিক প্রতারণার নেটওয়ার্ক। ইউরোপ পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ, নকল আইফোন ও সোনা বিক্রি, এমনকি বাংলাদেশ থেকে নকল পণ্য পাচার—সবই চলতে থাকে একই ছকের ভেতরে।

স্থানীয় সূত্র বলছে, হংকং-এ অবস্থানকালে ইব্রাহিম একাধিক বিয়ে করেছেন পরিচয় গোপন করে। তার প্রতিটি প্রতারণার পেছনে ছিল সুপরিকল্পিত জালিয়াতি।

সম্প্রতি গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে, হংকং থেকে বাংলাদেশে ফিরেও থেমে থাকেননি এই ‘ন্যাশনাল প্রতারক’। আনুমানিক ১২৩ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে এনে লুকিয়ে রেখেছেন একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এমনকি মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতারণা, মাদক, চোরাচালান—সবকিছুতে সম্পৃক্ত এই ইব্রাহিম এখন দেশের ভেতরেই অবস্থান করছেন ছদ্মবেশে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এতদিন ধরেই তার অপকর্ম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলো? প্রতারিত পরিবারগুলো চাইছেন দ্রুত এই চক্রের মূলহোতা ইব্রাহিমকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হোক।

কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

মো:স্বাধীন খান বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২:০১ পিএম
কাহালুতে ভাসমান অবস্থায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

বগুড়ার কাহালুতে জমির ড্রেনের পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে কর্নিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর। তাঁর পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ বলে জানিয়েছেন কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিতাই চন্দ্র সরকার।

কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

রুহুল আমিন, রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ১:৫৪ পিএম
কুড়িগ্রাম সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতারাঘাতে ছাত্র অসুস্থ 

কুড়িগ্রাম সদরের হরিম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকার বেতারাঘাতে এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গত ৪ আগস্ট ২০২৫ ইং দুপুরে বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, বিদ্যালয়ের ৫ ম শ্রেনীর ক্লাসে হাসিনা খাতুন নামের এক শিক্ষিকা বেতারাঘাত করেন। এ সময় হাতে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে রাকিবুল হাসান রাকিবকে বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাটিয়ে দেয়া হয়। এর পর বাড়িতে হাত ফুলে গিয়ে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হলে তাকে সন্ধ্যায় তার অভিভাবক কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। রাকিব বলেন, হাসিনা আপা বড় বড় তিনটি প্রশ্ন লেখতে বলেন। আমি একটু পড়ে লেখতে চাইলেই বেত দিয়ে আমাকে খুব জোড়ে মারেন।এখন আমার হাতে অনেক ব্যাথা হচ্ছে। রাকিবের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, আমার ছেলেকে পড়া-লেখা শিখানোর জন্য স্কুলে দিয়েছি। শিক্ষকের মার খেয়ে হাসপাতালে আসার জন্য নয়। আমি এর বিচার চাই। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বলেন,ঘটনার সময় আমি স্কুলের বাহিরে ছিলাম। শুনেছি হাসিনা বেত দিয়ে মেরেছে এতেই রাকিব ব্যাথা পায়। হাসিনা বেগম বলেন, আমি তাকে পড়ার জন্য মারিনি,মেরেছি নির্দাশিকা লাঠি দিয়ে দুষ্টুমি করার জন্য। উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলহাজ্ব বুলবুল হোসেন বলেন,আমি আমার অফিসের এক স্টাফ এর নিকট বিষয়টি শুনলাম। প্রধান শিক্ষিকাকে ফোনে পাইনি। কাল ছুটি আছে অফিস খুললেই জেনে ব্যবস্তা নিবো।

error: Content is protected !!