শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

হারিয়ে গিয়েছিলেন সোনু

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫, ১১:৩৯ এএম | 93 বার পড়া হয়েছে
হারিয়ে গিয়েছিলেন সোনু

তিনি মিস ইন্ডিয়া হয়েছিলেন, এরপর ১৯৮৫ সালে মিস ইউনিভার্সের ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। এরপর সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সাফল্য পাওয়া অন্য মডেলদের মতো তিনিও নাম লেখান অভিনয়ে। ১৯৮৮ সালে মুক্তি পায় ‘খুন ভরি মাঙ্গ’। ছবি সুপারহিট, ফিল্মফেয়ারে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কারও পান। এমন স্বপ্নের শুরুর পরও থমকে যায় তার ক্যারিয়ার! কে এই অভিনেত্রী ? কেনইবা শুরুতেই শেষ হয়ে যায় তার বলিউড ক্যারিয়ার ?
এই মডেল – অভিনেত্রী আর কেউ নন, তিনি দীর্ঘকায় সোনু ওয়ালিয়া। অনেকে মনে করেন বেশি লম্বা হওয়ার কারণেও তার ক্যারিয়ার থমক যায়! ‘খুন ভরি মাঙ্গ’ ছবির সাফল্যের পরও বলিউডে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারেননি সোনু। ‘খান’দের তুলনায় একটু বেশি লম্বা, তাই নাকি ছবিতে সনুকে নিতে চাইতেন না নির্মাতারা। অথচ তার অভিনয়দক্ষতা, গ্ল্যামার, নাচের তারিফ করেছেন সাধারণ দর্শক থেকে সমালোচকেরা। এক সময় দর্শকদের মনে দাগ কেটে যাওয়া এই অভিনেত্রী আজ প্রায় বিস্মৃত।
‘খুন ভরি মাঙ্গ’ সিনেমায় নন্দিনী চরিত্রে অভিনয় করেন সোনু। রেখার প্রতিশোধের আখ্যান কিংবা কবীর বেদির খলচরিত্র নয়, অনেকের কাছেই ‘খুন ভরি মাঙ্গ’ মানেই সনু ওয়ালিয়ার দুর্দান্ত অভিনয়। নন্দিনীর চরিত্রে তার গ্ল্যামার ও কবীর বেদির সঙ্গে ‘ম্যায় তেরি হুঁ জানম’ গানে অনবদ্য রসায়ন আজও সিনেমাপ্রেমীদের স্মৃতিতে গাঁথা। এই অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কারও জেতেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, নন্দিনী চরিত্রটি ছিল সময়ের তুলনায় ব্যতিক্রমী। এটি ছিল ধূসর চরিত্র। সে খারাপ ছিল না, শুধু এমন কিছু করেছিল, যা সমাজ গ্রহণ করেনি। কারণ, সে সত্যিই ওই মানুষটিকে ভালোবাসতো। আজকাল এই ধরনের চরিত্র সাধারণ হলেও তখন তা ছিল বিরল।
নন্দিনীর চরিত্রে সুযোগ পাওয়া প্রসঙ্গে সোনু বলেন, আকর্ষণ আর মহাদেব ছবির কাজ চলছিল তখন। রাকেশ রোশন একটু দ্বিধায় ছিলেন, কারণ এর আগে তিনি নতুন কাউকে সুযোগ দেননি। কিন্তু আকর্ষণ এর কিছু রিল দেখানোর পর বুঝলেন আমি অভিনয় করতে পারি। তবু নাচ নিয়ে সন্দেহ ছিল, তখন আমি মহাদেব এর নাচ দেখাই। তখন তিনি পুরোপুরি নিশ্চিত হন। এভাবেই সুযোগ মেলে।
ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও ‘খুন ভরি মাঙ্গ’ তার প্রথম ছবি নয়। ১৯৮৬ সালে কেতন আনন্দ পরিচালিত থ্রিলার ‘শর্ত’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে তার। এর আগে ‘আকর্ষণ’ নামে আরেকটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন, যা পরে মুক্তি পায়। তবে এই ছবি দুটিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র পাননি সোনু।
দারুণ শুরু, এরপর ছন্দপতন
পাঞ্জাবি পরিবারে জন্ম সনু’র বাবা সতিন্দর সিং ওয়ালিয়া ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন, মা গৃহিণী। ‘সোনু’ ছিল তার শৈশবের ডাকনাম, যা থেকেই চলচ্চিত্রের নাম হয়ে ওঠে। মিস ইন্ডিয়া জয় ছিল বড় সাফল্য। কিন্তু তার পরপরই শুরু হয় ব্যর্থতার ধাক্কা। মনমোহন দেশাইয়ের ‘তুফান’ এ অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে কাজ করলেও, ছবিটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। এর পাশাপাশি তাকে এক ধরনের নেতিবাচক চরিত্রেই বারবার কাস্ট করা হতে থাকে।
তিনি বলেন, অন্তত ৫০টা ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি; কারণ, সেগুলোতে শুধু খলচরিত্র ছিল। এই ইন্ডাস্ট্রিতে একবার টাইপকাস্ট হয়ে গেলে সেখান থেকে বের হওয়া ভীষণ কঠিন।
বলিউডে সোনু ওয়ালিয়া’র এগিয়ে যাওয়ার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার উচ্চতা। ৫ ফুট ৮ ইঞ্চির এই অভিনেত্রী তখনকার তরুণ তিন খান, আমির, সালমান ও শাহরুখ এর চেয়ে লম্বা। ফলে রোমান্টিক নায়িকার চরিত্রে কাস্টিং নিয়ে নির্মাতারা দ্বিধায় পড়েন। অমিতাভ, ধর্মেন্দ্র, বিনোদ খান্নার মতো লম্বা নায়কদের সঙ্গে মানালেও, তখন তারা ক্যারিয়ারের শেষ ধাপে। ফলে নতুন যুগের বলিউডে সোনু’র জায়গাটা ক্রমেই ছোট হয়ে আসে।
টিভি, অতঃপর সরে যাওয়া
সিনেমার কাজ কমে যাওয়ার পর সনু ওয়ালিয়া টেলিভিশনের দিকে ঝোঁকেন। ‘ঘুটন’, ‘যুগ’ এবং বি আর চোপড়ার ‘মহাভারত’ এ দেখা যায় তাকে। পরে বিয়ে করেন যুক্তরাষ্ট্রের হোটেল ব্যবসায়ী ও প্রযোজক সূর্য প্রতাপ সিংকে। বিয়ের পর পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। স্বামীর প্রযোজনায় সোনু অভিনয় করেন ‘কসম’ (২০০১), ‘সূর্যকান্ত’ (২০০৫) ও ‘জয় মা শেরাওয়ালি’ (২০০৮) ছবিতে। শেষ ছবিটিতে তাকে প্রধান চরিত্রে দেখা যায়। কিন্তু ২০০৯ সালে স্বামীর মৃত্যু তাকে মানসিকভাবে ভেঙে দেয়। দেশে ফিরে বোন মনু ও ভগ্নিপতি বিনীত শর্মার সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। দীর্ঘদিন পর ২০১৮ সালে আবার চলচ্চিত্রে ফেরেন, তবে এবার পর্দার আড়ালে কীর্তি কুলহারি অভিনীত ‘জোগিয়া রক্স’ ছবির সহপ্রযোজক হিসেবে।সোনু অবশ্য অভিনয়ে ফেরার আশা পুরোপুরি ছাড়েননি। ওটিটি’র এই যুগে নানা ধরনের সিরিজ হচ্ছে, কে জানে সেখানে তার ডাক আসলে আসতেও পারে!

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।