বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২
বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নয় আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে

ধামইরহাটে সান্তাল বিদ্রোহের ১৭০ বর্ষপূর্তি উদযাপন

গোলজার রহমান ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৪:৪৯ পিএম | 46 বার পড়া হয়েছে
ধামইরহাটে সান্তাল বিদ্রোহের ১৭০ বর্ষপূর্তি উদযাপন

নওগাঁর ধামইরহাটে নেচে গেয়ে, তীর ধনুক ও ঢাক ঢোল পিটিয়ে পূঁজা আর্চনার মাধ্যমে মহান সান্তাল বিদ্রোহের (হুল) ১৭০ তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করেছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের নারী ও পুরুষেরা।

সোমবার (৩০ জুন) বেলা সাড়ে এগারোটার সময় বেনিদুয়ার আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় জগদল সান্তাল হুল দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মেরি মুরমুর সভাপতিত্বে ফিতা কেটে এর উদ্বোধন করেন জাতিস্বত্বা মুক্তিসংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশ সান্তাল বাইসির চেয়ারপার্সন এসসি আলবার্ট সরেন।

এদিন সকাল থেকে নারীরা নানান রঙের শাড়ি, মাজায় বিছা, খোপায় বাহারি রঙের ফুল ও শাঁখা সিঁদুর পড়ে হাতে তীর ধনুক আর পুরুষেরা সাদা ধুতি, গায়ে সাদা রঙের গেঞ্জি পড়ে ঢাক ঢোল পিটিয়ে, নেচে গেয়ে মহান সান্তাল বিদ্রোহের (হুল) ১৭০ তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করতে দেখা যায়। এসময় বাদ যায়নি শিশুরাও।

এরপর আদিবাসী নারী মঞ্চের আয়োজনে ও ডাসকো ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ ও শিশুদের অংশগ্রহণে তীরনিক্ষেপ প্রতিযোগিতা ও পদযাত্রা শেষে জগদল আদিবাসী স্কুল ও কলেজ চত্বরে ১৮৫৫-৫৬ খ্রিস্টাব্দের সান্তাল বিদ্রোহ ও বর্তমান প্রেক্ষাপটের উপর আলোচনা সভা করা হয়।

সন্ধ্যায় মিলন মার্ডির পরিচালনায় নজিপুর কুকমু মিউজিক ব্যান্ড ও স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের শিল্পীদের নিয়ে হুল দিবস বিষয়ক সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সাঁওতাল বিদ্রোহ বা সাঁওতাল হুল হলো ১৯ শতকে ব্রিটিশ ভারতে সংঘটিত একটি ঔপনিবেশিক ও জমিদারি শাসন-বিরোধী আন্দোলন, যাকে সাঁওতাল জনগোষ্ঠী নেতৃত্ব দিয়েছিলো। এর সূচনা হয় ১৮৫৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও বিহারের ভাগলপুর জেলায়। ইংরেজ আমলে স্থানীয় জমিদার, মহাজন ও ইংরেজদের রাজস্ব ও কৃষি নীতির বিরুদ্ধে সাঁওতালরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলে।

তাঁরা আরও বলেন, এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন চার মুরমু ভাই। এঁরা হলেন- সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরব। ১৭৯৩ সালে বড়লাট (গভর্নর-জেনারেল) লর্ড কর্নওয়ালিসের প্রবর্তিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে তাঁদের প্রাচীন স্থানান্তর চাষ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। একারণে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের আগে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সাঁওতালরা বিদ্রোহ গড়ে তোলেন।

প্রধান অতিথি ও কেন্দ্রীয় জামুকার সম্পাদক ডা. ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য ভারত ও পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশও একটি জেলখানা। এখানে আদিবাসীদের পূর্ণ অধিকারকে হরণ করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানে সাঁওতালদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে নয়, আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে তাঁদের শিল্প ও সংস্কৃতিকে পাঠ্যপুস্তকে লিপিবদ্ধ করতে হবে।’

এ-সময় উপস্থিত ছিলেন, ধামইরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম বদিউল আলম, ঢাকা জজ কোর্টের এ্যডভোকেট প্রমিলা টুডু, রাজশাহী বিভাগ হে্কস ইপারের সিনিয়র পার্টনারশিপ কো- অরডিনেটর আ ফ ম রুকুনুল ইসলাম, ডাসকো ফাউন্ডেশনের থ্রাইভ প্রকল্পের ফোকাল পার্সন মদন দাস, পাঁচবিবি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সুদর্শন মালো, জগদল আদিবাসী স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ ইলিয়াস আলমসহ স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা।

পীরগঞ্জ উপজেলার ৮নং দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আটক

মো: রেজাউল করিম (জেলা প্রতিনিধি) প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ১০:০৬ পিএম
পীরগঞ্জ উপজেলার ৮নং দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আটক

আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিক পোস্টার সাঁটানো এবং বিস্ফোরক মামলায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ৮নং দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সনাতন চন্দ্র রায় কে আটক করেছে পুলিশ।

১ জুলাই মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার পূর্ব হাজীপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।

পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম জানান, দৌলতপুর ইউনিয়নের বালুবাড়ি বাজার এলাকায় গোপনে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। এছাড়াও তিনি গত ৪ আগস্ট পীরগঞ্জ পূর্ব চৌরাস্তায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র জনতার ওপর হামলা, মারপিট ও ককটেল বিস্ফোরণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সনাতন চন্দ্র রায় কে আটক করা হলে পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মানবাধিকার মফস্বল সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ বগুড়া জেলা কমিটি ঘোষণ তাহের ব্যাপারী সভাপতি, সালমান হৃদয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ১০:০৩ পিএম
বাংলাদেশ মানবাধিকার মফস্বল সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ বগুড়া জেলা কমিটি ঘোষণ তাহের ব্যাপারী সভাপতি, সালমান হৃদয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত, ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ মানবাধিকার মফস্বল সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ (বিএমএমএসকেপি)-এর বগুড়া জেলা শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক নেতা আব্দুল মোমিন সংগঠনকে বগুড়া জেলায় আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করতে এ কমিটি ঘোষণা করেন।

নবঘোষিত ৪১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক পীরগাছা সংবাদ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক তাহের ব্যাপারী এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় দৈনিক সরেজমিন বার্তা-র বগুড়া জেলা প্রতিনিধি এস এম সালমান হৃদয়।

কমিটির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচিতরা হলেন:

কার্যকরী সভাপতি: আব্দুল আলীম মাস্টার (সহকারী প্রধান শিক্ষক, ছাতিয়ানগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়) সিনিয়র সহ-সভাপতি: রেজাউল করিম,সহ-সভাপতি: মাহফুজার রহমান, আবু বাইজিদ পলাশ, আমিনুল ইসলাম,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: আব্দুল লতিফ,কোষাধ্যক্ষ: নুর রায়হান সরদার মন,সাংগঠনিক সম্পাদক: হাফিজুর রহমান

সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নবগঠিত কমিটির সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন, এ কমিটির নেতৃত্বে বগুড়া জেলায় মানবাধিকার ও সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ আরও গতিশীল হবে।

বিলাইছড়িতে রুপকুমার কার্বারীর প্রচেষ্টায় নির্মান হলো বিশ্রামাগার

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৭:৫১ পিএম
বিলাইছড়িতে রুপকুমার কার্বারীর প্রচেষ্টায় নির্মান হলো বিশ্রামাগার

বিলাইছড়ি (রাঙ্গামাটি)প্রতিনধি- বিলাইছড়িতে রুপকুমার কার্বারীর প্রচেষ্টায় এবং প্রশাসনের সহায়তায় ২ নং কেংড়াছড়ি ইউনিয়নে ৮ নং ওয়ার্ডে ভালাছড়ি মূখ পাড়ায় নির্মান করা হলো একটি  কাঠের তৈরি বিশ্রাগার/ ধর্মঘর।এতে সুবিধা হয়েছে বলে জানান স্থানীয়ও পথচারীরা।

সরেজমিনে দেখতে গেলে দেখা যায়,১২৭ নং কেরন ছড়ি মৌজার ভালাছড়ির কার্বারী মূখ পাড়ায়  মুক্ত পরিবেশে, ছায়াযুক্ত স্থানে, সিঁড়ির ঘাটে, মূল রাস্তার পাশে  নির্মাণ করা হয়। বিলাইছড়ি লঞ্চঘাট নতুবা নলছড়ি লঞ্চঘাট হতে পর্যটকরা মুপ্প্যাছড়া ঝর্ণায়  যাওয়ার পথে কিংবা ভালাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নকাটাছড়া, আজাছড়া,বাঙ্গালকাটা, পরিহলা মৌন, এমনকি জুরাছড়ি যাওয়ার সময় সেখান বিশ্রাম/ জিরানো  যাবে।

এতে রুপকুমার কার্বারী জানান, বিশ্রামাগারটি মূলতঃ আমরা ধর্মঘর বা জিরোনী হলা বলি।আগের দিনে এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় হেঁটে যেতে অনেক সময় লাগে। তাই রাস্তার  মাঝখানে এভাবে ঘর নির্মান করে রেস্ট করা হয়। সেখানে পথিকের জন্য পানি  ও অন্যান্য খাবার দাবারের ব্যবস্থা থাকে। পানি পান করাতে পারলে তারা / আমরা অনেক খুশি হই এবং অনেক পূণ্য হয় বলে মনে করা হয়। এজন্য সে আদলে এদিক থেকে যারা আসা- যাওয়া করে তীব্র গরমে, কালবৈশাখী ঝড়ে কিংবা প্রচন্ড শীতে  সকল সময়ে  তাদের জন্য এ জিরোনী হলা ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশে রয়েছে ডিপ টিউবওয়েলও।

error: Content is protected !!