বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২
বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

ভূঞাপুরে প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা দূর্নীতির অভিযোগ

তারিকুল ইসলাম শিপন ভুঞাপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ টাংগাইল প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ১১:২৭ এএম | 191 বার পড়া হয়েছে
ভূঞাপুরে প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা দূর্নীতির অভিযোগ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান দিলিপ ফকির ও সচিব শেখ ফজলুল করিম সবুর এর বিরুদ্ধে যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ নিকট থেকে প্রাপ্ত হোল্ডিং ট্যাক্সের ৪৬ লাখ টাকা থেকে অন্তত ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে (২০২২-২৩, ২০২৩-২৪, ২০২৪-২৫) তিন অর্থবছরের হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদ পেয়েছে মোট ৪৬ লাখ টাকা। এ অর্থের বড় অংশ ভুয়া প্রকল্পের নামে তুলে নেয়া হয়েছে। এমনকি এসব অনিয়ম নিয়ে সাংবাদিকের প্রতিবেদন প্রকাশ ঠেকানোর অপচেষ্টাও করেন অভিযুক্তরা।

সচিব সবুরের দেয়া ভুয়া প্রকল্পের ছায়া হিসাব অনুযায়ী নিম্নলিখিত খাতে ৩০ লাখ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে: ১০ জন মেম্বারদের সম্মানী ভাতা: ১০ লাখ ১১ হাজার টাকা, রাস্তা সংস্কার (মাটির কাজ) প্রকল্প-১: ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, নলকূপ স্থাপন: ২ লাখ টাকা, সেলাই মেশিন বিতরণ: ২ লাখ টাকা, রাস্তা সংস্কার (মাটির কাজ) প্রকল্প-২: ১৪ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

তবে এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রকল্প-১ ও প্রকল্প-২ কোনোটিরই বাস্তবায়নের দৃশ্যমান কোন প্রমাণ মেলেনি। প্রকল্প-১ এর বরাদ্দ দেয়া অর্থ দিয়ে রাস্তা সংস্কারের পরিবর্তে পরিষদের হিসাব সহকারীকে ৫০ হাজার টাকা, আয়া কর্মীকে ২০ হাজার এবং গ্রাম পুলিশদের মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে “সম্মানী” হিসেবে। যা বিধি বহির্ভূত কাজ অনেকের দাবী।

আর প্রকল্প-২ এ দেখানো ১৪ লাখ টাকা সম্পর্কে সচিব দাবি করেন, “এই টাকা উপরের দপ্তরে যোগাযোগ ও যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করতেই খরচ করা হয়েছে।” তবে এর কোনো লিখিত বা নিরীক্ষাযোগ্য প্রমাণ দিতে পারেননি তিনি।

এছাড়াও সাংবাদিকের সংগ্রহে থাকা ১টি অডিওতে শোনা যায়, অভিযুক্ত প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিব অবশিষ্ট ট্যাক্সের ১৬ লাখ টাকা ব্যয় করতে নতুন কিছু প্রকল্প সাজাচ্ছেন। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে: দুটি মাটির রাস্তার কাজ, ইউনিয়ন পরিষদের মসজিদ সংস্কার, পরিষদের পুরাতন ও নতুন ভবন পুনঃসংস্কার, উদ্যোক্তার ল্যাপটপ-প্রিন্টার-ফটোকপি মেশিন ক্রয় ইত্যাদি।

তবে এসব প্রকল্পের কোনোটিরই নেই কোনো সরকারি অনুমোদন বা ইউনিয়ন পরিষদ সভার সিদ্ধান্ত।

একাধিক ইউপি সদস্য ও এলাকাবাসীর অনেকের ভাষ্যমতে, “প্রশাসনের চোখের সামনেই চলছে এই দুর্নীতি। এই ইউনিয়নে যমুনা সেতুর কাছ থেকে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা আসে, অথচ রাস্তাঘাট গুলো অচল অবস্থায় নানা সমস্যায় জর্জরিত, জনসেবা নেই বললেই চলে।” তারা প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিবের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

স্থানীয় মোছাঃ শিরিনা বেগম বলেন, “আমাদের এলাকার রাস্তার কাজ আরো আগে করার কথা ছিল, তবে হয়নি। বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে যায়, এতে আমাদের যাতায়াতে খুব কষ্ট হয়। কেউ দ্বায়িত্ব নিয়ে কাজটি করলে আমাদের অনেক উপকার হবে।”

স্থানীয় স্বপন মিয়া বলেন, “যমুনা সেতুর ট্যাক্সের টাকা এলাকার উন্নয়নে খরচ হওয়ার কথা। কিন্তু এসব প্রকল্প শুধু কাগজে-কলমে আছে। এলাকাবাসী কিছুই পাচ্ছে না।” তাছাড়া রাস্তা-ঘাটেরও বেহাল দশা!

ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য মোন্নাফ বলেন, “ ট্যাক্সের টাকা ও প্রকল্প গুলোর বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। পরিষদে কোনো সভা হয়নি। টাকাগুলা কোথায় খরচ হচ্ছে, সেটা বোঝারও উপায় নেই, সব হচ্ছে গোপনে। প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিবের মনগড়া ভাবেই চলছে”

আরেকজন সদস্য আমজাদ হোসেন বলেন, আমার ওয়ার্ডে ২টি মাটির রাস্তার কাজ হয়েছে তালিকায় দেখলাম, অথচ আমি এর কিছুই জানি না। সেলাই মেশিন ও টিউবওয়েলের ২টি প্রকল্প দিয়েছেন সেটি এবং ট্যাক্সের ৩০ লাখ টাকা কোথায় কোন প্রকল্প দেখিয়ে খরচ করেছেন আমরা তাও জানি না। সবই জানেন প্যানেল চেয়ারম্যান, বলা চলে ইউনিয়ন পরিষদ চলছেই তার একক সিদ্ধান্তে।

ঘটনায় অভিযুক্ত সচিব সবুর খান মুঠোফোনে বলেন, কিছু টাকার হিসেব এদিক-সেদিক হইছে, কারণ ট্যাক্সের টাকা তুলতে উপর মহলেই অনেক খরচ হয়েছে। তাছাড়া ১০ জন মেম্বারদের সম্মানী ভাতা, হিসাব সহকারী, গ্রাম পুলিশ ও আয়ার সম্মানী ভাতা, নলকুপ ও সেলাই মেশিন প্রকল্প, মাটির রাস্তা প্রকল্প সব মিলিয়ে ট্যাক্সের টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এছাড়া সংবাদ প্রকাশ ঠেকানোর অপচেষ্টাও করেন তিনি।

অভিযুক্ত প্যানেল চেয়ারম্যান দিলিপ বলেন, আমি স্বপন ফকিরের ভাই, ইউনিয়নের মানুষের সেবা করাই আমার ধর্ম। ট্যাক্সের সব টাকা বৈধ ভাবে খরচ করা হয়েছে। এমন কোন কাজ করবো না যে আমার মানের ক্ষতি হয়, সমস্যা নেই। দেখা কইরেন সাক্ষাতে বিস্তারিত কথা বলবো।

উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিনজানুর রহমান বলেন, নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ইউনিটে এমন প্রকাশ্য দুর্নীতি, ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ এবং সংবাদ প্রকাশ দমনের অপচেষ্টা— সবকিছু মিলিয়ে গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপই পারে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে।

ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আবু রায়হান বলেন, “যমুনা সেতু ট্যাক্সের টাকা থেকে যদি ইউনিয়ন পরিষদ কোন প্রকল্প গ্রহণ করে থাকে এবং সরেজমিনে যদি আমরা সেটা না পাই বা এটা যদি কোন অস্তিত্ব না থাকে। এ ব্যাপারে যদি আমরা কোন লিখিত অভিযোগ পাই, তাহলে অবশ্যই আমরা তদন্ত করে আইনগত ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

পীরগঞ্জ উপজেলার ৮নং দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আটক

মো: রেজাউল করিম (জেলা প্রতিনিধি) প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ১০:০৬ পিএম
পীরগঞ্জ উপজেলার ৮নং দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আটক

আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিক পোস্টার সাঁটানো এবং বিস্ফোরক মামলায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ৮নং দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সনাতন চন্দ্র রায় কে আটক করেছে পুলিশ।

১ জুলাই মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার পূর্ব হাজীপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।

পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম জানান, দৌলতপুর ইউনিয়নের বালুবাড়ি বাজার এলাকায় গোপনে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। এছাড়াও তিনি গত ৪ আগস্ট পীরগঞ্জ পূর্ব চৌরাস্তায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র জনতার ওপর হামলা, মারপিট ও ককটেল বিস্ফোরণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সনাতন চন্দ্র রায় কে আটক করা হলে পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মানবাধিকার মফস্বল সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ বগুড়া জেলা কমিটি ঘোষণ তাহের ব্যাপারী সভাপতি, সালমান হৃদয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ১০:০৩ পিএম
বাংলাদেশ মানবাধিকার মফস্বল সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ বগুড়া জেলা কমিটি ঘোষণ তাহের ব্যাপারী সভাপতি, সালমান হৃদয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত, ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ মানবাধিকার মফস্বল সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ (বিএমএমএসকেপি)-এর বগুড়া জেলা শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক নেতা আব্দুল মোমিন সংগঠনকে বগুড়া জেলায় আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করতে এ কমিটি ঘোষণা করেন।

নবঘোষিত ৪১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক পীরগাছা সংবাদ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক তাহের ব্যাপারী এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় দৈনিক সরেজমিন বার্তা-র বগুড়া জেলা প্রতিনিধি এস এম সালমান হৃদয়।

কমিটির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচিতরা হলেন:

কার্যকরী সভাপতি: আব্দুল আলীম মাস্টার (সহকারী প্রধান শিক্ষক, ছাতিয়ানগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়) সিনিয়র সহ-সভাপতি: রেজাউল করিম,সহ-সভাপতি: মাহফুজার রহমান, আবু বাইজিদ পলাশ, আমিনুল ইসলাম,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: আব্দুল লতিফ,কোষাধ্যক্ষ: নুর রায়হান সরদার মন,সাংগঠনিক সম্পাদক: হাফিজুর রহমান

সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নবগঠিত কমিটির সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন, এ কমিটির নেতৃত্বে বগুড়া জেলায় মানবাধিকার ও সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ আরও গতিশীল হবে।

বিলাইছড়িতে রুপকুমার কার্বারীর প্রচেষ্টায় নির্মান হলো বিশ্রামাগার

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ৭:৫১ পিএম
বিলাইছড়িতে রুপকুমার কার্বারীর প্রচেষ্টায় নির্মান হলো বিশ্রামাগার

বিলাইছড়ি (রাঙ্গামাটি)প্রতিনধি- বিলাইছড়িতে রুপকুমার কার্বারীর প্রচেষ্টায় এবং প্রশাসনের সহায়তায় ২ নং কেংড়াছড়ি ইউনিয়নে ৮ নং ওয়ার্ডে ভালাছড়ি মূখ পাড়ায় নির্মান করা হলো একটি  কাঠের তৈরি বিশ্রাগার/ ধর্মঘর।এতে সুবিধা হয়েছে বলে জানান স্থানীয়ও পথচারীরা।

সরেজমিনে দেখতে গেলে দেখা যায়,১২৭ নং কেরন ছড়ি মৌজার ভালাছড়ির কার্বারী মূখ পাড়ায়  মুক্ত পরিবেশে, ছায়াযুক্ত স্থানে, সিঁড়ির ঘাটে, মূল রাস্তার পাশে  নির্মাণ করা হয়। বিলাইছড়ি লঞ্চঘাট নতুবা নলছড়ি লঞ্চঘাট হতে পর্যটকরা মুপ্প্যাছড়া ঝর্ণায়  যাওয়ার পথে কিংবা ভালাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নকাটাছড়া, আজাছড়া,বাঙ্গালকাটা, পরিহলা মৌন, এমনকি জুরাছড়ি যাওয়ার সময় সেখান বিশ্রাম/ জিরানো  যাবে।

এতে রুপকুমার কার্বারী জানান, বিশ্রামাগারটি মূলতঃ আমরা ধর্মঘর বা জিরোনী হলা বলি।আগের দিনে এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় হেঁটে যেতে অনেক সময় লাগে। তাই রাস্তার  মাঝখানে এভাবে ঘর নির্মান করে রেস্ট করা হয়। সেখানে পথিকের জন্য পানি  ও অন্যান্য খাবার দাবারের ব্যবস্থা থাকে। পানি পান করাতে পারলে তারা / আমরা অনেক খুশি হই এবং অনেক পূণ্য হয় বলে মনে করা হয়। এজন্য সে আদলে এদিক থেকে যারা আসা- যাওয়া করে তীব্র গরমে, কালবৈশাখী ঝড়ে কিংবা প্রচন্ড শীতে  সকল সময়ে  তাদের জন্য এ জিরোনী হলা ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশে রয়েছে ডিপ টিউবওয়েলও।

error: Content is protected !!