শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

জ্যোতিষীর ওপর অন্ধবিশ্বাস ছারখার করেছে গোবিন্দর ক্যারিয়ার

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ১:০০ পিএম | 5 বার পড়া হয়েছে
জ্যোতিষীর ওপর অন্ধবিশ্বাস ছারখার করেছে গোবিন্দর ক্যারিয়ার

নব্বই দশকে বলিউডের অন্যতম দাপুটে অভিনেতা ছিলেন গোবিন্দ; ছিলেন কমেডি কিং। কিন্তু ২০০০-এর পর থেকে আচমকাই যেন হারিয়ে যান এই অভিনেতা। এমন নয় যে অভিনয়ক্ষমতার অভাব ছিল তার মধ্যে। ইন্ডাস্ট্রির সকলের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক ছিল। তা সত্ত্বেও কেন সফলতার পতন ঘটেছে অভিনেতার, ছিল নানা প্রশ্ন।
গোবিন্দর বহু ছবির প্রযোজনা করেছেন প্রযোজক পহলজ নিহালানি। তাদের সম্পর্ক এখন আগের মতো না থাকলেও একসময় গোবিন্দকে কাছ থেকে দেখা এই মানুষটাই মুখ খুলেছেন অভিনেতাকে নিয়ে। তার আঙুল জ্যোতিষীদের দিকে!
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে গোবিন্দকে নিয়ে এই প্রযোজক বলেন, ‘ওর চারিদিকে ছিল জ্যোতিষীদের মেলা। ওই সবই ও বিশ্বাস করতে শুরু করে। সাধারণত মানুষ ওই সব কথা তো সিরিয়াস ভাবে নেয় না। কিন্তু ও নিয়েছে। আর এর পর থেকেই ওর ক্যারিয়ার পড়তে শুরু করে।’ পহলাজের দাবি, কাজ থেকে ফোকাস সরে গিয়েছিল গোবিন্দর। তার অন্যতম জনপ্রিয় ছবি ‘আঁখে’ ও ‘রাজা হিন্দুস্থানি’ ছবির প্রযোজক ছিলেন পহলাজ।
বিরতির পর ২০০৭ সালে ‘পার্টনার’ ছবির মধ্যে দিয়ে সাময়িক কামব্যাক হয়েছিল গোবিন্দর। শোনা যায়, ওই ছবির হিরো সালমান খানের কারণেই নাকি নেওয়া হয়েছিল গোবিন্দাকে। পরিচালক ছিলেন ডেভিড ধাওয়ান। পরবর্তীতে নানা সাক্ষাৎকারে গোবিন্দ ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন সালমান খানকে, ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন তাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য।
এদিকে কিছুদিন আগেই শোনা যায়, গোবিন্দ ও সুনীতার নাকি বিচ্ছেদ হতে চলেছে। যদিও সুনীতা স্পষ্ট জানিয়ে দেন আমৃত্যু তা সম্ভব নয়। আলাদা বাড়িতে থাকলেও দু’জনের মধ্যে ভালোবাসা আজও বর্তমান।

আমতলীতে সড়ক দূর্ঘটনায় বাবা মেয়েসহ নিহত তিন ও শিশুসহ আহত চার

মাইনুল ইসলাম রাজু আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৮:৫৫ পিএম
আমতলীতে সড়ক দূর্ঘটনায় বাবা মেয়েসহ নিহত তিন ও শিশুসহ আহত চার

বরগুনার আমতলী- পটুয়াখালী- কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কে কেওয়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ইকরা পরিবহন ও একটি ব্যাটারী চালিত ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ইজিবাইকে থাকা দুই বাবা মেয়েসহ তিন যাত্রী নিহত এবং শিশুসহ ৪ জন আরোহী গুরুত্বর আহত হয়েছে।

নিহতরা হলেন উপজেলার গাজীপুর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শাখার সিনিয়র শিক্ষক মৌলবী আঃ আজিজ (৫৫), তার মেয়ে মোছাদ্দিকা (২৫), বেয়াইন খালেদা (৪৫)। তাদের বাড়ী উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামে।

প্রত্যক্ষদর্শি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর ২ টায় দিকে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ইকরা পরিবহন (ঢাকা মেট্রো- ব -১৫-৮৯৫৩) নামের একটি দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহন বাস আমতলী- পটুয়াখালী- কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কে কেওয়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে পাশর্^ রাস্তা (আকবারিয়া মাদ্রাসা সড়ক) স্থানে পৌছাইলে ওই রাস্তা দিয়ে মহাসড়কে উঠতে যাওয়া যাত্রী বোঝাই একটি ব্যাটারী চালিত ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ইাজবাইকটি দুমড়ে-মচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ইজিবাইকে থাকা দুই আরোহী বাবা মেয়ে মারা যায়। শিশুসহ আহত হয় আরো ৫ জন। গুরুত্বর আহত খালেদা বেগমকে চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।

সংবাদ পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। স্থানীয়দের সহায়তায় নিহতদের উদ্ধার করে এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, দূর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।

নরসিংদীর পলাশে বি এন পির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলি বৃদ্ধ ২ নিহত ১

মোঃ কামাল হোসেন প্রধান জেলা প্রতিনিধি নরসিংদী  প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৭:৪৫ পিএম
নরসিংদীর পলাশে বি এন পির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলি বৃদ্ধ ২ নিহত ১

নরসিংদীর পলাশে ছাত্রদল ও বিএনপির সংঘর্ষে আহত ছাত্রদল কর্মী ঈসমাইল হোসেন (২৬) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার ছয়দিন অন্য ২১ জুন শনিবার দুপুর ২ টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়। নিহত ইসমাইল হোসেন পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার খানেপুর গ্রামের আব্দুর রহিম ভূঁইয়ার ছেলে।নিহতের বাবা আব্দুর রহিম ভূঁইয়া বলেন,২১ জুন শনিবার বেলা ২ টার দিকে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আমাদেরকে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে এবং আজই জানাযা শেষে গ্রামের বাড়িতে তার দাফন করা হবে। আমার ছেলের হত্যার বিচার ও জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার দাবি জানাই।পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ নাজমুল হোসেন সোহেল জানান, ইসমাইল ছাত্রদলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। আমাদের ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল ও তার লোকজন গুলিবর্ষণ করে। এতে ইসমাইল গুলিবিদ্ধ হয়ে ৬ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর আজ মারা যায়। এ ঘটনার যেন বার বার পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য তার গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনির হোসেন বলেন, আমরা জানতে পেরেছি,গুলিবিদ্ধ ঈসমাইল হোসেন মারা গেছেন। তবে,আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে এখনো জানায়নি। বিষয়টি জানানোর পর পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।উল্লেখ্য, রবিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যার দিকে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার বিএডিসির মোড়ে পলাশ উপজেলা ছাত্রদল ও জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এছাড়া ছাত্রদল কর্মী ইসমাইল ও পথচারী সোহেল মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। পরে,আহত ঈসমাইলকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঈসমাইল হাসপাতালে ভর্তির ৬ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।এ ঘটনায় গত রবিবার রাতেই ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সিয়াম মিয়া বাদী হয়ে জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর কবির জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামী করে পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। জুয়েলের পক্ষ থেকে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনার গত বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বিএনপি নেতা জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে।

রূপগঞ্জে ওলামা দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত 

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:  প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৭:৪০ পিএম
রূপগঞ্জে ওলামা দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দল রূপগঞ্জ থানা শাখার কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২১ জুন শনিবার উপজেলার বরপা এলাকার হাজী নুর উদ্দিন ভুইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অডিটোরিয়ামে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা মোঃ জাকারিয়া। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির। হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ মান্নান ও মাওলানা রুকনুজ্জামানের সঞ্চালনা অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ওলামা দলের সদস্য সচিব মাওলানা মোঃ মামুন।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন নাসির, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান মাহবুব, জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা ওমর ফারুক, হাফেজ নাসির উদ্দিন, তারাবো পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রিপন, নারায়ণগঞ্জ জেলা জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী কামরুল ইসলাম কামাল, তারাবো পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আলী আকবরসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের ওলামা দলের নেতৃবৃন্দরা।