শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২

যেভাবে স্ত্রীকে আদরে ভরিয়ে তুলবেন

ভালোবাসায় গড়া এক স্বর্গীয় সম্পর্ক

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫, ১০:৪৮ এএম | 1032 বার পড়া হয়েছে
ভালোবাসায় গড়া এক স্বর্গীয় সম্পর্ক

একটি নারীর জীবনে ভালোবাসা মানে শুধুই উপহার, ফুল বা চকোলেট নয়। তার কাছে ভালোবাসা মানে—কারও মনোযোগ, কারও অপেক্ষা, কারও মমতা। প্রতিদিনের হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও কেউ একজন তার জন্য ভাবছে, তাকে অনুভব করছে—এই বিশ্বাসটাই তার বুকভরা প্রশান্তি। আর সেই মানুষটি যদি হয় তার স্বামী, তাহলে সে নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সৌভাগ্যবতী নারী ভাবতে শুরু করে।
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথম যেই শব্দটা সে শুনতে চায়, সেটা যেন হয় আপনার মুখ থেকে তার প্রিয় একটি ডাকনাম—“রূপসী”, “কলিজা”, “পাগলী”, “সোহাগিনী” কিংবা “জীবন”। এই একটি নামেই তার দিনটা বদলে যেতে পারে। কেবল একটা শব্দ, কিন্তু যদি সেটা হয় ভালোবাসায় ভরা, তাহলে তা হয়ে ওঠে তার হৃদয়ের সবচেয়ে প্রিয় সঙ্গীত।
নারীরা ভুল করতেই পারে, তারা তো মানুষ। কিন্তু তার প্রতিটা ভুলের পেছনে একটা না বলা কাহিনি লুকিয়ে থাকে। রাগারাগি বা উপেক্ষা নয়, তাকে কাছে টেনে নিয়ে চোখে চোখ রেখে নরম গলায় বলুন, “আমি জানি, তুমি আমার ভালো চাও, চল একসাথে শেখা শুরু করি।” বিশ্বাস করুন, আপনার এই কোমলতা, এই সহনশীলতা তার চোখে আপনাকে আরও মহান করে তুলবে। নারী কখনো শক্তিতে নয়, ভালোবাসায় জয়ী হয়।
রান্নাঘরে যখন সে দাঁড়িয়ে থাকে—ঘামের ফোঁটা মিশে যায় কপালের ছোট্ট চুলে—তখন পেছন থেকে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরুন। একটা নরম চুমু রাখুন কাঁধে। বলুন, “তোমার হাতের মিষ্টি গন্ধেই আমি বাঁচি।” একটু পেঁয়াজ কেটে দিন, কিংবা চা বানিয়ে দিন তার জন্য। এই ছোট্ট সহানুভূতি তাকে বিশাল এক ভালোবাসার ছায়ায় আগলে রাখবে।
তার সঙ্গে গল্প করুন। আপনি ব্যস্ত, তা সে বোঝে। কিন্তু তার মনটাও এক একটা ছোট নদীর মতো, যা শুধু অপেক্ষা করে—কখন কেউ এসে তার বুকে ডুব দেবে। তার কথা শোনার সময় শুধু কান নয়, মনও দিন। মাঝেমধ্যে হেসে বলুন, “তুমি না আমার জীবনের সবচেয়ে মজার গল্প!” দেখবেন, সে শিশু হয়ে যাবে, আপনার কাঁধে মাথা রাখবে, এবং নিঃশব্দে বলবে—“এই জীবনটাই তো চেয়েছিলাম আমি।”
বিশেষ কোনো রাতে, যখন আকাশে পূর্ণিমার আলো, ছাঁদে উঠে তার চুলে একটা ছোট্ট ফুল গুঁজে দিন। তাকে শাড়ি পরাতে সাহায্য করুন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলুন, “আলো চাঁদের গায়েও পড়ে, কিন্তু তুমি তো নিজেই আলো।” পাশে বসে এক কাপ চা দিন, আর তার ঠোঁটের ছোঁয়া যেখানে, সেখানেই নিজের ঠোঁট ছুঁইয়ে নিন—এই এক মুগ্ধতার অনুভব তাকে জীবনের শেষ পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখবে।
প্রার্থনার সময় যখন আপনি নিজের রবের কাছে হাত তোলেন, তখন প্রিয়তমার কপালে একটি নরম চুমু দিয়ে বলুন, “তোমার জন্যই তো আমার সব চাওয়া।” এই ছোট্ট স্পর্শের মধ্যে লুকিয়ে থাকে এমন ভালোবাসা, যা শুধু শরীর নয়—আত্মাকেও জড়িয়ে রাখে। সে বুঝে নেয়, আপনি তাকে শুধু এই দুনিয়ার নয়, পরকাল পর্যন্ত চাইছেন।
ভালোবাসা মানে শুধু শারীরিক উপস্থিতি নয়, বরং এমন এক আত্মিক বন্ধন, যেখানে একজন আরেকজনকে অনুভব করে হৃদয়ের গভীর থেকে। আপনি যদি সত্যিই চান, স্ত্রী আপনার একমাত্র প্রেমে আবদ্ধ থাকুক, তাহলে তাকে এমন ভালোবাসুন যেন সে পৃথিবীর কারো কাছেই কোনো ঘাটতি অনুভব না করে। আপনার ছায়ায় সে যেন সবথেকে নিরাপদ, সবচেয়ে প্রিয়, আর সবচেয়ে দামী হয়ে উঠতে পারে।
এইরকম ভালোবাসার সংসারে কখনো পরকীয়া ঢুকতে পারে না। কারণ এখানে প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্তে দুজন মানুষের হৃদয় একে অপরের জন্য দোলা দেয়। ইনশাআল্লাহ, এমন একটি ঘর হবে জান্নাতের প্রতিচ্ছবি।

খ: আওয়াল জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

ঘর,প্রেম ও মানবতার গান

===================

    🖊️হায়দার খালীদ

মাটির ঘরে সকাল আসে, ধোঁয়া ওঠে চুলোর ধারে,

মায়ের গলায় ঘুমপাড়ানি গান, শিশুরা ঘুম ভাঙে কারে?

খেজুর পাতার খড়ের ছাওয়া, পুকুরঘাটে ভেজা জল,

গৃহস্থালীর মায়া-গন্ধে বেঁচে ওঠে প্রাণের দল।

চাষার ঘামে সোনার দানা, মাঠে জন্মে ফসলের গান,

স্ত্রীর চোখে নীল দিগন্তে স্বপ্ন রাখে সারা প্রাণ।

কিশোর কিশোরী প্রেমে ভেসে নদীর তীরে বাঁধে আশা,

চিঠির পাতায় অক্ষর হয়ে ফুটে ওঠে ভালবাসা।

কিন্তু সমাজ! হায় সমাজ! আঁধার মাখা দেয়াল ঘেরা,

সত্যকে করে তুচ্ছ তারা, মিথ্যা পায় সোনার সেরা।

অসঙ্গতির বিষাক্ত শ্বাসে নষ্ট হয় কত হৃদয়,

অন্যায়ের রুদ্র ঝড়ে কেঁদে ওঠে দিগন্তময়।

তবুও প্রেম থামে না কিছুতেই—

হাতে হাত রেখে দু’জন মানুষ

বলে যায় ধ্বনি—আহবান,

“মানুষের আগে ধর্ম নয়,

মানবতার আগুনে জ্বলে সব আলোর নিশান।”

পাহাড় ডাক দেয় শক্তির মতো,

তাদের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে শত সহস্র বছর,

নদী গেয়ে যায় চিরন্তন স্রোতের সুরে—

কখনো শান্ত, কখনো প্রলয় ভরা মহাস্বর।

যখন বন্যা নেমে আসে—

চোখের জলে ভেসে যায় ঘর,

শিশুরা হারায় নৌকার খোঁজে,

ধানের খেতে জমে শুধু শোকের ঘোর।

আবার কখনো খরা এসে,

পুড়িয়ে দেয় ধানের স্বপ্ন,

ফেটে যায় মাটির বুক,

শুকিয়ে যায় নদীর কণ্ঠ।

তবু এই অন্ধকার ভেদ করে

মানুষ দাঁড়ায় মানুষের পাশে,

ভাঙা ঘরে, ক্ষুধার রাতে

এক মুঠো ভাতও ভাগ হয় ভালোবাসায়।

প্রেম তখন শুধু দেহের নয়,

প্রেম তখন মানুষ বাঁচানোর হাত,

মানবতার গান হয়ে ওঠে

দুর্ভিক্ষের বুক ভেদ করা শক্তির বাতাস।

যতই আঁধার নামুক সমাজে,

যতই অন্যায় ছড়াক বিষ,

ঘরের আলো, প্রেমের গান,

পাহাড়-নদীর ডাক, আর মানবতা—

সবাই মিলে হয়ে ওঠে এক মহাকাব্য,

জীবনকে শেখায়—

“মানুষের জন্য মানুষই আশ্রয়,

মানবতার আগুনেই বাঁচে আগামী।”

কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

মোঃ নাহিদ হাসান রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
কুড়িগ্রামে রাজারহাটে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বামী ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর ব্যাপক মারধর

কুড়িগ্রামে রাজারহাটের, রাজারহাট ইউনিয়নের,দেবী চরণ গ্রামে আজ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমি ও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমকে নির্মমভাবে মারধর করে লুৎফর রহমান ও তাঁর দুই ছেলে। আনিসুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কে রামদা দিয়ে হাত এবং মাথায় কুপিয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযোগ এনে আনিসুর রহমান আরো বলেন, আমার মাথায় চোট লাগে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে গেলে তার আমার স্ত্রীর হাতে ব্যাপক মারধর করে, যদিও আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা থাকায় পেটের মধ্যে পা দিয়ে লাথি মারার কারণে এখন হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমানের কাছে থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে, এই ঘটনাটির শিকার হয় আনিসুর রহমান ও তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর লুৎফা রহমান ও তার দুই ছেলে উপর অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বিচারের দাবি করে ও আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি জানায় এলাকাবাসী।

কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২১ পিএম
কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: রবি সভাপতি, সাঈদ সম্পাদক, দেলোয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু রেল স্টেশনের সংলগ্ন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কাহালু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ ভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি। আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক দেশ সেবার কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

সহ-সভাপতি: মোঃ নজরুল ইসলাম (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সোনার দেশ)

দপ্তর সম্পাদক: মোঃ রাসেল হোসেন (কাহালু উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ)

কার্যকরী সদস্য: মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আলামিন হোসেন, সেলিম চৌধুরী।

সভা শেষে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।