শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

ঝালকাঠি সদর উপজেলায়

কৃষি অফিসারের দায়িত্বশীলতায় মুগ্ধ কৃষকরা

শেখ জাহিদ, ঝালকাঠি প্রকাশিত: সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ১১:০৫ এএম | 64 বার পড়া হয়েছে
কৃষি অফিসারের দায়িত্বশীলতায় মুগ্ধ কৃষকরা

ঝালকাঠি সদর উপজেলার কৃষকরা এখন কৃষি অফিসমুখী। তাঁরা বলছেন, অফিসে গেলে সেবা পাইতে হয় না কোন ঝামেলা, সবকিছু মেলে নিয়মমাফিক, সময়মতো। এ পরিবর্তনের পেছনে রয়েছেন একজন কর্মকর্তা—উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলী আহম্মদ।

তাঁর সততা, দায়িত্ববোধ আর কৃষকদের পাশে থাকার মানসিকতা ইতিমধ্যেই উপজেলাজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, এখন কৃষি অফিস মানে ভরসার জায়গা।

সদরের নথুল্লাবাদ ইউনিয়নের কৃষক মো. মাসুদ বলেন, “আগে ভাবতাম, কৃষি অফিসে গেলে স্যাররা সময় দেন না। এখন নিজেরাই ফোন করে খবর নেন, খামারে এসে দেখে যান। কেউ চাইলেও ঘুষ দেয়ার সুযোগ নেই।”

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে রবি ও আউশ প্রণোদনাসহ অন্যান্য কার্যক্রমের সহায়তা হিসেবে বিনামূল্যে বীজ ও সার সহায়তার কৃষক নির্বাচনে কোন তদবির ছিল না।

বিনয়কাঠী এলাকার কৃষাণী শাহিদা বেগম বলেন, “আমি দারিদ্র চাষি, তবুও এবার সরকারি বীজ পেয়েছি। ভাবতেই পারিনি। আলী আহম্মদ স্যার নামটাই এখন বিশ্বাসের প্রতীক।”

আলী আহম্মদ গণমাধ্যমকে বলেন, “আমি চেষ্টা করি সরকারি সুযোগ-সুবিধা যেন কৃষকের ঘরে পৌঁছায়। এটি আমার দায়িত্ব, এখানেই আমি আপসহীন।”

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বলেন, “মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তার সততা ও আন্তরিকতা থাকলে কৃষিতে উন্নয়ন নিশ্চিত হয়। ঝালকাঠি সদরের উদাহরণ এখন অনুপ্রেরণা।”

উপজেলার কৃষকদের বিশ্বাস, এমন সৎ ও দায়বদ্ধ কর্মকর্তারা থাকলে কৃষির ভবিষ্যৎ আরো ভালো হবে। কারণ, কৃষক চাই শুধু সহযোগিতা—not “তেল-তুবড়ি”। আর সেই সহযোগিতার ঠিকানাই এখন ঝালকাঠির কৃষি অফিস।

গাইবান্ধায় জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপের দ্বিতীয় দিনের খেলায় গোবিন্দগঞ্জের জয়

মোঃ মিঠু মিয়া গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৯:২৬ পিএম
গাইবান্ধায় জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপের দ্বিতীয় দিনের খেলায় গোবিন্দগঞ্জের জয়

গাইবান্ধা জেলা স্টেডিয়াম মাঠে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ এর দ্বিতীয় দিনের খেলায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা দল ৩-২ গোলের ব্যবধানে পলাশবাড়ী উপজেলা দলকে পরাজিত করেছে। শনিবার (২১ জুন) বিকেলে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচটি ছিল অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং উপভোগ্য।

ম্যাচে গোবিন্দগঞ্জ দলের খেলোয়াড়রা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা উপহার দেন। প্রথমার্ধেই তারা দুইটি গোল করে এগিয়ে যায়। পলাশবাড়ী দলও সমতায় ফেরার জন্য প্রাণপণ লড়াই করে এবং দ্বিতীয়ার্ধে দুইটি গোল শোধ দেয়। তবে শেষ সময়ে গোবিন্দগঞ্জ দলের নির্ধারিত জয়সূচক গোলটি তাদের জয় নিশ্চিত করে।

ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন গোবিন্দগঞ্জ দলের মিশরের মোস্তফা। তার দুর্দান্ত খেলার জন্য তাকে ম্যাচ সেরা পুরস্কার প্রদান করেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আল মামুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদুজ্জামান শহীদ, সাবেক জাতীয় দলের ফুটবলার ইলিয়াস হোসেনসহ ক্রীড়া অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ম্যাচটি শেষ হয়। জেলার ক্রীড়াপ্রেমীরা এমন আয়োজনের জন্য জেলা প্রশাসন ও ক্রীড়া সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান।

হোসেনপুরে কিশোরগঞ্জ জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীর উপর হামলা

তপন চন্দ্র সরকার হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৮:৫৯ পিএম
হোসেনপুরে কিশোরগঞ্জ জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীর উপর হামলা

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী মাহবুবুর

আলম ছোটন (২৭) প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার পরিবারের লোকজন জানান, শুক্রবার (২০ জুন) আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে উপজেলা সদর থেকে বাড়ী ফেরার পথে

উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আনুহা জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় প্রতিপক্ষের লোকজন তার উপর হামলা করে। এ সময় তাঁর চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা মটর সাইকেলে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন আহত ছোটনকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সে ঐ এলাকার আবুল কালামের ছেলে ও বেসরকারী ঈশা খাঁ ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ৯ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। জানা যায় (১৩ জুন) উপজেলার বীল চাতল ও আনুহা গ্রামবাসীর মধ্যে তুচ্ছ ঘটনার জেরে মারামারি হয়। এ ঘটনায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে মঞ্জুরুল ইসলাম বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় একটি মামলা করেছেন ঐ মামলার ১নং স্বাক্ষী জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী ছোটন। সে প্রধান স্বাক্ষী হওয়ায় প্রতিপেক্ষর দুর্বৃত্তরা তার উপর হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ হোসেন জানান, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমতলীতে সড়ক দূর্ঘটনায় বাবা মেয়েসহ নিহত তিন ও শিশুসহ আহত চার

মাইনুল ইসলাম রাজু আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৮:৫৫ পিএম
আমতলীতে সড়ক দূর্ঘটনায় বাবা মেয়েসহ নিহত তিন ও শিশুসহ আহত চার

বরগুনার আমতলী- পটুয়াখালী- কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কে কেওয়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ইকরা পরিবহন ও একটি ব্যাটারী চালিত ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ইজিবাইকে থাকা দুই বাবা মেয়েসহ তিন যাত্রী নিহত এবং শিশুসহ ৪ জন আরোহী গুরুত্বর আহত হয়েছে।

নিহতরা হলেন উপজেলার গাজীপুর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শাখার সিনিয়র শিক্ষক মৌলবী আঃ আজিজ (৫৫), তার মেয়ে মোছাদ্দিকা (২৫), বেয়াইন খালেদা (৪৫)। তাদের বাড়ী উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামে।

প্রত্যক্ষদর্শি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর ২ টায় দিকে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ইকরা পরিবহন (ঢাকা মেট্রো- ব -১৫-৮৯৫৩) নামের একটি দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহন বাস আমতলী- পটুয়াখালী- কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কে কেওয়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে পাশর্^ রাস্তা (আকবারিয়া মাদ্রাসা সড়ক) স্থানে পৌছাইলে ওই রাস্তা দিয়ে মহাসড়কে উঠতে যাওয়া যাত্রী বোঝাই একটি ব্যাটারী চালিত ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ইাজবাইকটি দুমড়ে-মচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ইজিবাইকে থাকা দুই আরোহী বাবা মেয়ে মারা যায়। শিশুসহ আহত হয় আরো ৫ জন। গুরুত্বর আহত খালেদা বেগমকে চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।

সংবাদ পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। স্থানীয়দের সহায়তায় নিহতদের উদ্ধার করে এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, দূর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।