বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২
বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২

মা-বাবা ও বয়োজ্যেষ্ঠদের সঙ্গে আচরণ যেমন হওয়া উচিত

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৩:৩২ এএম | 96 বার পড়া হয়েছে
মা-বাবা ও বয়োজ্যেষ্ঠদের সঙ্গে আচরণ যেমন হওয়া উচিত

আল্লাহ আদেশ করেছেন যে, তোমরা এক আল্লাহ ছাড়া কারো উপাসনা করবে না। বাবা-মার সাথে ভালো ব্যবহার করবে। তোমার জীবদ্দশায় তাদের একজন বা উভয়েই যদি বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবুও তাদের ব্যাপারে ‘উহ-আহ’ কোরো না, তাদের ধমক দিও না বা অবজ্ঞা কোরো না, তাদের সাথে আদবের সাথে কথা বলো। শ্রদ্ধাভরা দৃষ্টিতে মমতার ডানা মেলে ছায়ার মতো আগলে রাখো এবং সবসময় তাদের জন্যে দোয়া করো : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার মা-বাবা শৈশবে যে মমতায় আমাকে লালন করেছেন, তুমিও তাদের ওপর সে-রূপ করুণাবর্ষণ করো।’

চলুন জেনে আসা যাক কীভাবে মা-বাবা ও বয়োজ্যেষ্ঠদের সঙ্গে আচরণ করবেন…

> মা-বাবা ও মুরুব্বি/ গুরুজনদের সাথে দেখা হলে আগে সালাম দিন। হাসিমুখে কুশল জিজ্ঞেস করুন।

> যত ব্যস্তই হোন, দিনের কিছুটা সময় তাদের জন্যে রাখুন। আপনার সঙ্গ তাদের আনন্দ দেবে।

> ঘরে ফিরে আগে মা-বাবার সাথে কুশল বিনিময় করুন। তাদের সাথে গল্প করুন, সারাদিন কী কী উল্লেখযোগ্য ও মজার ঘটনা ঘটেছে তা বলুন এবং তাদের কাছ থেকেও শুনুন।

> বাইরে বেরোনোর সময় কোথায় যাচ্ছেন বলে যান এবং কোনোকিছুর প্রয়োজন আছে কিনা, কিছু আনতে হবে কিনা বা বিশেষ কিছু খেতে ইচ্ছে করছে কিনা তা জেনে নিন।

> বাসায় ফেরার সময় সম্ভব হলে তাদের জন্যে কিছু একটা নিয়ে আসুন। না চাইতে পাওয়ায় তারা খুশি হবেন।

> নিয়মিত তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিন। অসুস্থ হলে সুচিকিৎসা ও সেবার ব্যবস্থা করুন।

> উপার্জন-অক্ষম মা ও বাবাকে বিনয়ের সাথে নিয়মিত হাতখরচ দিন। এ নিয়ে কখনোই খোঁটা দেবেন না। হিসাব চাইবেন না।

> মা-বাবার যুক্তিসঙ্গত যে-কোনো ইচ্ছাপূরণে যথাসাধ্য চেষ্টা করুন।

> গুরুত্বপূর্ণ বা পারিবারিক বিষয়ে তাদের সাথে আলাপকালে আগে তাদের কথা শুনুন, তারপর নিজের কথা বলুন।

> বড় যে-কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে মা-বাবাকে জানান। তাদের পরামর্শ ও দোয়া নিন।

> বাইরে থাকলেও দিনে অন্তত একবার ফোন করে খোঁজখবর নিন।

> রাতে নিজেরা ঘুমাতে যাওয়ার আগে তাদের ঘুমানোর ব্যবস্থা করুন।

> সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আপনার ব্যক্তিগত কাজের ফাঁকে তাদের জন্যে সময় রাখুন। তাদের পছন্দের খাবার রান্না করুন বা তাদের নিয়ে বেড়াতে যান। আত্মিক/ সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, মেলা/ উৎসব/ দাওয়াতে তাদেরকে সঙ্গে নিন। আপনার সান্নিধ্য তাদেরকে সবসময় উৎফুল্ল রাখবে।

> মা-বাবাকে উদ্বুদ্ধ করুন বাসায় একাকী অলস সময় না কাটিয়ে সবার সাথে মিলেমিশে আত্ম উন্নয়নমূলক ও সেবা-কাজে শরিক হতে। তাহলে তারা প্রফুল্ল থাকবেন।

> মা-বাবার বিশেষ দিনগুলোতে তাদের আন্তরিক সময় দিন।

> মা-বাবার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে সবসময় প্রার্থনা করুন।

> তাদেরকে নিয়ে সুযোগ করে আত্মীয়দের বাড়িতে বেড়াতে যান। দূরে কোথাও গেলে তাদের যেন কোনো অসুবিধা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।

> মা-বাবার ডায়েরি অথবা মোবাইল ফোন অনুমতি ছাড়া ধরবেন না।

> মা-বাবার মানিব্যাগ বা পার্স থেকে বিনা অনুমতিতে কখনো টাকা নেবেন না।

> মতের অমিল হলেও মা-বাবার সাথে তর্ক করবেন না। বিনয়ের সাথে নিজের অভিমত তুলে ধরুন।

> মা/ বাবা যদি কোনো গুরুতর ভুল বা অন্যায়ের সাথে জড়িয়ে যান (যেমন : মাদকাসক্তি পরকীয়া জুয়া ইত্যাদি)−যেখানে আপনার কিছু করার নেই, তা নিয়ে বাসায় হইচই বা বাইরে নিন্দা করবেন না। সুযোগ থাকলে পরিবারের কোনো গুরুজনের সাথে পরামর্শ করুন। নিজে প্রশান্ত থাকুন এবং তাদের জন্যে দোয়া করুন। কিন্তু এ কারণে কোনোভাবেই নিজের জীবন ও ক্যারিয়ারের ক্ষতি করবেন না।

> কোনো অন্যায় বা ভুল করতে দেখলে বিনয়ের সাথে তা বুঝিয়ে বলুন, তাদেরকে শুধরে নিতে সাহায্য করুন।

> তাদের বার্ধক্যজনিত কোনো শারীরিক বা মানসিক অপারগতা/ অক্ষমতাকে বার বার মনে করিয়ে দেবেন না।

> বার্ধক্যে মানুষ দ্বিতীয় শৈশবে চলে যায়। তাদের শিশুসুলভ আচরণে অসহিষ্ণু বা ক্ষুব্ধ হবেন না। এসময় তাদের প্রতি আরো সহনশীল ও সমমর্মী হোন।

> মুরুব্বি/ গুরুজনদের সামনে পায়ের ওপর পা তুলে বসবেন না। তাদের দিকে পা ছড়িয়ে দিয়েও বসবেন না।

> মুরুব্বি/ গুরুজনেরা কথা বলতে এলে সম্মানার্থে উঠে দাঁড়ান।

> তাদের সামনে হাত নেড়ে বা আঙুল উঁচিয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। সঙ্গত কারণ না থাকলে সানগ্লাস/ ক্যাপ খুলে কথা বলুন।

> যে-কোনো ভালো কাজে যাওয়ার আগে তাদের দোয়া/ আশীর্বাদ নিন।

> সবসময় এগিয়ে গিয়ে তাদের কাজে সহায়তা করুন।

> বয়োজ্যেষ্ঠ বা সম্মানিত কাউকে মোবাইল ফোনে ‘মিসড কল’ দেয়া থেকে সচেতনভাবে বিরত থাকুন।

> সশরীরে সহজেই যাওয়া যায়−এমন দূরত্বে বয়োজ্যেষ্ঠদের ফোন করে সিদ্ধান্ত জানাবেন না বা কিছু জানতে চাইবেন না।

> বয়োজ্যেষ্ঠদের সাথে কখনো ধমকের সুরে ও মেজাজ দেখিয়ে কথা বলবেন না। তাদের যে-কোনো প্রশ্নের জবাব বিনয়ের সাথে দিন।

> তাদের কথা শোনার ক্ষেত্রে মনোযোগী হোন। বিরক্তি বা অস্থিরতা প্রকাশ করবেন না।

> মুরুব্বি, শিক্ষক, গুরুজন যে স্বরে কথা বলছেন তার চেয়ে উচ্চস্বরে কথা বলবেন না।

> কারো বাসায় বা কোনো অনুষ্ঠানে গেলে প্রবীণদের সঙ্গে নিজেই এগিয়ে গিয়ে সালাম ও কুশল বিনিময় করুন।

> বাসায় কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে তাদেরকেও সম্পৃক্ত করুন।

> সুযোগ পেলেই তাদের সাথে গল্প করুন। সমসাময়িক বিভিন্ন ইতিবাচক বিষয়ে আলাপ করুন কিংবা তাদের সুখস্মৃতি সম্পর্কে বলতে অনুরোধ করুন।

> স্কুলে/ বাইরে যাওয়ার সময় দাদা-দাদি/ নানা-নানি/ মুরুব্বিদের সাথে দেখা করে দোয়া নিতে সন্তানদের উদ্বুদ্ধ করুন।

> পরীক্ষায় কিংবা কোনো সাফল্যে সন্তানদেরকে বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে বিশেষভাবে দোয়া চাইতে উৎসাহিত করুন।

> খাবার টেবিলে বয়োজ্যেষ্ঠদের নিয়ে একসাথে বসুন। সবার আগে তাদের প্লেটে খাবার তুলে দিন।

> তাদেরকে হাসিখুশি রাখতে সাধ্যমতো চেষ্টা করুন। মনের সুখই বার্ধক্যে তাদের দেহের অনেক অসুখকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

> অপেক্ষমাণ যে-কোনো লাইনে বয়োবৃদ্ধদের আগে সুযোগ দিন।

> আপনার সঙ্গে পদ-পদবি বা যোগ্যতার ব্যবধান থাকলেও বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রত্যেককে তার প্রাপ্য সম্মান দিন।

> মুরুব্বিদের সিদ্ধান্ত উপদেশ নির্দেশ আপাতত অপছন্দনীয় হলেও তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ বা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন না।

> মুরুব্বিদের কখনোই ‘বুড়ো/ বুড়ি’ বলে সম্বোধন করবেন না। পঙ্গুত্ব বা শারীরিক অক্ষমতার জন্যে খোঁটা দেবেন না।

> বাসার কারো আচরণে বা কথায় যেন তারা কখনো মনে না করেন যে, বৃদ্ধ হয়েছেন বলে সংসারে তারা এখন অপাঙ্‌ক্তেয়, বোঝা।

> বয়োজ্যেষ্ঠদের মতামতকে গুরুত্ব দিন। সবসময় মনে রাখুন− আপনার ধ্যানধারণা সমকালীন হলেও জীবন ও জগৎ সম্পর্কে তারা আপনার চেয়ে অভিজ্ঞ।

> আপনার জীবনে মা ও বাবার অবদানের জন্যে সবসময় তাদের প্রতি বিনীত, কৃতজ্ঞ ও শ্রদ্ধাশীল থাকুন। তাদের প্রতি দায়িত্ব পালন আর সম্মান-ভালবাসা জানানো শুধু তথাকথিত ‘বাবা/ মা দিবসে’ সীমাবদ্ধ করে ফেলবেন না।

> জীবনসায়াহ্নে সন্তানের কাছে থাকার আকুতি মা-বাবার মাঝে সবচেয়ে বেশি থাকে। এসময় তাদেরকে গ্রামে বা নিজের থেকে দূরে শুধু গৃহকর্মী পরিবেষ্টিত করে রাখবেন না। যেভাবে তারা আপনাকে শিশুবয়সে আগলে রেখেছিলেন, একইভাবে তাদের শেষ বয়সে আপনিও তাদের আগলে রাখুন।

> তাদের সাথে মতের অমিল হলে বা তাদেরকে বোঝা মনে করে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর কথা ভুলেও চিন্তা করবেন না। তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠালে আপনার বার্ধক্যেও একই পরিণতির জন্যে তৈরি থাকুন।

> বয়োবৃদ্ধ মা-বাবার যত্ন নিন। বার্ধক্যে আপনিও যত্নে থাকবেন। স্ত্রী/ স্বামী বিরোধিতা করলে কুশলী হোন। আপনি তা-ই করুন, যা মা-বাবার প্রতি সন্তান হিসেবে আপনার কর্তব্য।

> জীবন যেমন স্বাভাবিক, মৃত্যুও তেমনি স্বাভাবিক। জীবন যেমন সম্মানজনক, মৃত্যুও তেমনি সম্মানজনক হওয়া উচিত। তাই মৃত্যুপথযাত্রী মা-বাবাকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ নামক ‘নির্জন সেলে’ একাকী ফেলে রেখে অসম্মান করবেন না। তাদের জন্যে সবচেয়ে সম্মানজনক মৃত্যু হচ্ছে−আপনার কোলে মাথা রেখে, আপনার হাতে হাত রেখে পরম প্রভুর নাম নিতে নিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা।

> আপনার বেড়ে ওঠায় মা-বাবার অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করুন। আর সন্তান হিসেবে মনে রাখুন− মায়ের পায়ের নিচে আপনার বেহেশত।

> মা-বাবা কিংবা ঘনিষ্ঠ অভিভাবক পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে থাকলে তাদের মাগফেরাত বা অনন্ত প্রশান্তি কামনা করে সৎকর্মে অংশ নিন, সাধ্যমতো দান করুন। সামর্থ্য থাকলে তাদের নামে একজন এতিমকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব নিন। পারলৌকিক মুক্তির নিয়তে আল কোরআন বাংলা মর্মবাণী বিতরণ করুন।

লেখাটি শহীদ আল বোখারী মহাজাতক- এর “শুদ্ধাচার” বই থেকে নেওয়া

নরসিংদীর রায়পুরা মেঘনা নদীতে জলদস্যুতা ও চাঁদাবাজ নুরুল ইসলাম, হারুন, হান্নানের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

তালাত মাহামুদ বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:১৮ পিএম
নরসিংদীর রায়পুরা মেঘনা নদীতে জলদস্যুতা ও চাঁদাবাজ নুরুল ইসলাম, হারুন, হান্নানের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় মেঘনা নদীতে জলদস্যুতা ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে , প্রতিবাদ ,মানববন্ধন, কর্মসূচি পালন করেন কিশোরগঞ্জের ভৈরবে । নৌপথে চলাচলকারী ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের উদ্যোগে এ মানববন্ধনে , অংশ নেন ভৈরব ও রায়পুরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, মির্জাচরের আওয়ামী লীগের দোসর রসুনের ছেলে নুরুল ইসলাম, বাশগাড়ির যুবলীগ নেতা হারুন ও নিলক্কার হান্নান দীর্ঘদিন ধরে স্পোর্টস বোট ও ট্রলারে করে মেঘনা নদীতে , সশস্ত্র তাণ্ডব চালাচ্ছে। গরু ব্যবসায়ী ও মোদি ব্যবসায়ীদের মালামাল ছিনতাই, অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি ,ও জনসাধারণের উপর গুলি চালানোর মতো ঘটনাও ঘটিয়েছে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা।

এছাড়া ও নদীর চরাঞ্চলে অবৈধভাবে চুম্বুক , ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলনের অভিযোগ ইতিপূর্বে একাধিকবার করা হয়েছে। নদীপথে চলাচল কারী কার্গো ট্রলার থেকে চাঁদা আদায়ের মতো ঘটনা , প্রতিনিয়ত চালিয়েছে বলে জানায় বিশ্বস্ত সূত্র।

এ ব্যাপারে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে , বিএনপির কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, বলেন“এই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আমাদের দলের কেউ নয়।” রায়পুরা উপজেলার বিএনপির , সাধারণ সম্পাদক ,আব্দুর রহমান খোকন ,বলেন “নুরুল ইসলাম, হান্নান ও হারুন আওয়ামী লীগের দোসর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করছি, তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করুন।” সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিএনপি দলে কোন স্থান নেই । এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় । ইতি পর্বে নুরুল ইসলাম গং মির্জাচরে মানববন্ধনে গুলি বর্ষন করেন এবং গ্রামবাসীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রায়পুরা থানায় আছে । তৎকালীন সময়ের বহু ঘটনা জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সহ নরসিংদী জেলার বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় একাধিক নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে

এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ।

সৌরভ চত্বরের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

  তৌহিদুর রহমান শেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:০৪ পিএম
সৌরভ চত্বরের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ‘সৌরভ চত্বর’-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিতর্কিত এক ব্যক্তির উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা দেখা দিয়েছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

৫ আগস্ট, মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইগাতী থানা মোড়ে শহীদ ছাত্রনেতা সৌরভের নামে নির্মিত ‘সৌরভ চত্বর’-এর মোড়ক উন্মোচন করেন, ইউএনও মো. আশরাফুল আলম রাসেল। এ সময় শহীদ সৌরভের পিতা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমিন, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

তবে অনুষ্ঠান শেষে ফটোসেশনে ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলার আসামি সারোয়ার হোসেনের ছবি ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকেই অভিযোগ করেন, জনপ্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা রাজনৈতিক সুবিধাভোগীদের পুনর্বাসনের কৌশল হিসেবে এমন আয়োজন করছেন।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হলে উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতায় ও পুলিশের বিশেষ উদ্যোগে বিতর্কিত ব্যক্তি সারোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিয়ে ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, “আমি সারোয়ার হোসেন নামে কাউকে চিনি না, তাকে আমন্ত্রণ জানানো তো দূরের কথা। শহীদ সৌরভের বাবা তাঁকে আত্মীয় হিসেবে নিজেই সঙ্গে এনেছেন। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিংবা মামলার আসামি, এসব তথ্য আমার জানা ছিল না। আমি এই ভিত্তিহীন অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “স্মৃতিচারণমূলক এ অনুষ্ঠানটি ছিল সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এবং একটি শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর নিঃস্বার্থ প্রয়াস। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি উপস্থিত থাকলে সেটিকে প্রশাসনের অভিপ্রায় হিসেবে ব্যাখ্যা করা অনুচিত।”

সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইউএনও বলেন, “সত্যতা যাচাই না করে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ও গুজব ছড়ানো সামাজিক দায়িত্বের পরিপন্থী। একজন শহীদের নামের সাথে জড়িত অনুষ্ঠানে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করাও অত্যন্ত দুঃখজনক।”

দশঘর মাদরাসা কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসর নাসির সভাপতি হওয়ার পায়তারা:এলাকায় ক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:০১ পিএম
দশঘর মাদরাসা কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসর নাসির সভাপতি হওয়ার পায়তারা:এলাকায় ক্ষোভ

ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের রাজ্জাকীয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা,দশঘরের ম্যানেজিং কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসর এমপি মানিকের ঘনিষ্টজন দশঘর গ্রামের মাষ্টার নাসির উদ্দীন সভাপতি হওয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এতে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে প্রতিষ্টানের প্রধান উলামালীগের সদস্য মাও:মুশাহিদ আলী তাঁর বিগত দিনের নিজের অপকর্ম যাতে প্রকাশ না পায় এজন্য এই আওয়ামী ডেবিলকে সভাপতি করতে তৎপরতা চালাচ্ছেন।

মাদরসার অভিভাবকদের বক্তব্য হচ্ছে ,আওয়ামীলীগের এই দোসরকে সভাপতি করলে মাদরাসা উন্নয়ন কাজ থেকে বঞ্চিত হবে।সরকারের নির্দেশনা রয়েছে।

বর্তমানে কোন শিক্ষা প্রতিষ্টানের কমিটিতে যেন নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের কোন দোসর সভাপতি হতে না পারে।মাষ্টার নাসির উদ্দিন যে আওয়ামীলীগের নেতা ও এমপি মানিকের একনিষ্ট সহযোগী ছিল, তা ছাতকের রাজনৈতিক মহলে সবার জানা।তাই নাসির উদ্দনীন সভাপতি হলে আগামী নির্বাচনে যারাই অত্র আসনে এমপি বা উপজেলা চেয়ারম্যান হবেন স্বাভাবিক ভাবে এ কারণে অত্র মাদরাসা উন্নয়ন কাজে আগ্রহী হবেন না বলে আশংকা করা হচ্ছে।

তাই,দশঘর মাদরাসায় যাতে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের কোন ডেভিল সভাপতি হতে না পারে এজন্য এলাকাবাসী ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

error: Content is protected !!