বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২
বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২

মা-বাবা ও বয়োজ্যেষ্ঠদের সঙ্গে আচরণ যেমন হওয়া উচিত

ইউ বি টিভি ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৩:৩২ এএম | 95 বার পড়া হয়েছে
মা-বাবা ও বয়োজ্যেষ্ঠদের সঙ্গে আচরণ যেমন হওয়া উচিত

আল্লাহ আদেশ করেছেন যে, তোমরা এক আল্লাহ ছাড়া কারো উপাসনা করবে না। বাবা-মার সাথে ভালো ব্যবহার করবে। তোমার জীবদ্দশায় তাদের একজন বা উভয়েই যদি বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবুও তাদের ব্যাপারে ‘উহ-আহ’ কোরো না, তাদের ধমক দিও না বা অবজ্ঞা কোরো না, তাদের সাথে আদবের সাথে কথা বলো। শ্রদ্ধাভরা দৃষ্টিতে মমতার ডানা মেলে ছায়ার মতো আগলে রাখো এবং সবসময় তাদের জন্যে দোয়া করো : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার মা-বাবা শৈশবে যে মমতায় আমাকে লালন করেছেন, তুমিও তাদের ওপর সে-রূপ করুণাবর্ষণ করো।’

চলুন জেনে আসা যাক কীভাবে মা-বাবা ও বয়োজ্যেষ্ঠদের সঙ্গে আচরণ করবেন…

> মা-বাবা ও মুরুব্বি/ গুরুজনদের সাথে দেখা হলে আগে সালাম দিন। হাসিমুখে কুশল জিজ্ঞেস করুন।

> যত ব্যস্তই হোন, দিনের কিছুটা সময় তাদের জন্যে রাখুন। আপনার সঙ্গ তাদের আনন্দ দেবে।

> ঘরে ফিরে আগে মা-বাবার সাথে কুশল বিনিময় করুন। তাদের সাথে গল্প করুন, সারাদিন কী কী উল্লেখযোগ্য ও মজার ঘটনা ঘটেছে তা বলুন এবং তাদের কাছ থেকেও শুনুন।

> বাইরে বেরোনোর সময় কোথায় যাচ্ছেন বলে যান এবং কোনোকিছুর প্রয়োজন আছে কিনা, কিছু আনতে হবে কিনা বা বিশেষ কিছু খেতে ইচ্ছে করছে কিনা তা জেনে নিন।

> বাসায় ফেরার সময় সম্ভব হলে তাদের জন্যে কিছু একটা নিয়ে আসুন। না চাইতে পাওয়ায় তারা খুশি হবেন।

> নিয়মিত তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিন। অসুস্থ হলে সুচিকিৎসা ও সেবার ব্যবস্থা করুন।

> উপার্জন-অক্ষম মা ও বাবাকে বিনয়ের সাথে নিয়মিত হাতখরচ দিন। এ নিয়ে কখনোই খোঁটা দেবেন না। হিসাব চাইবেন না।

> মা-বাবার যুক্তিসঙ্গত যে-কোনো ইচ্ছাপূরণে যথাসাধ্য চেষ্টা করুন।

> গুরুত্বপূর্ণ বা পারিবারিক বিষয়ে তাদের সাথে আলাপকালে আগে তাদের কথা শুনুন, তারপর নিজের কথা বলুন।

> বড় যে-কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে মা-বাবাকে জানান। তাদের পরামর্শ ও দোয়া নিন।

> বাইরে থাকলেও দিনে অন্তত একবার ফোন করে খোঁজখবর নিন।

> রাতে নিজেরা ঘুমাতে যাওয়ার আগে তাদের ঘুমানোর ব্যবস্থা করুন।

> সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আপনার ব্যক্তিগত কাজের ফাঁকে তাদের জন্যে সময় রাখুন। তাদের পছন্দের খাবার রান্না করুন বা তাদের নিয়ে বেড়াতে যান। আত্মিক/ সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, মেলা/ উৎসব/ দাওয়াতে তাদেরকে সঙ্গে নিন। আপনার সান্নিধ্য তাদেরকে সবসময় উৎফুল্ল রাখবে।

> মা-বাবাকে উদ্বুদ্ধ করুন বাসায় একাকী অলস সময় না কাটিয়ে সবার সাথে মিলেমিশে আত্ম উন্নয়নমূলক ও সেবা-কাজে শরিক হতে। তাহলে তারা প্রফুল্ল থাকবেন।

> মা-বাবার বিশেষ দিনগুলোতে তাদের আন্তরিক সময় দিন।

> মা-বাবার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে সবসময় প্রার্থনা করুন।

> তাদেরকে নিয়ে সুযোগ করে আত্মীয়দের বাড়িতে বেড়াতে যান। দূরে কোথাও গেলে তাদের যেন কোনো অসুবিধা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।

> মা-বাবার ডায়েরি অথবা মোবাইল ফোন অনুমতি ছাড়া ধরবেন না।

> মা-বাবার মানিব্যাগ বা পার্স থেকে বিনা অনুমতিতে কখনো টাকা নেবেন না।

> মতের অমিল হলেও মা-বাবার সাথে তর্ক করবেন না। বিনয়ের সাথে নিজের অভিমত তুলে ধরুন।

> মা/ বাবা যদি কোনো গুরুতর ভুল বা অন্যায়ের সাথে জড়িয়ে যান (যেমন : মাদকাসক্তি পরকীয়া জুয়া ইত্যাদি)−যেখানে আপনার কিছু করার নেই, তা নিয়ে বাসায় হইচই বা বাইরে নিন্দা করবেন না। সুযোগ থাকলে পরিবারের কোনো গুরুজনের সাথে পরামর্শ করুন। নিজে প্রশান্ত থাকুন এবং তাদের জন্যে দোয়া করুন। কিন্তু এ কারণে কোনোভাবেই নিজের জীবন ও ক্যারিয়ারের ক্ষতি করবেন না।

> কোনো অন্যায় বা ভুল করতে দেখলে বিনয়ের সাথে তা বুঝিয়ে বলুন, তাদেরকে শুধরে নিতে সাহায্য করুন।

> তাদের বার্ধক্যজনিত কোনো শারীরিক বা মানসিক অপারগতা/ অক্ষমতাকে বার বার মনে করিয়ে দেবেন না।

> বার্ধক্যে মানুষ দ্বিতীয় শৈশবে চলে যায়। তাদের শিশুসুলভ আচরণে অসহিষ্ণু বা ক্ষুব্ধ হবেন না। এসময় তাদের প্রতি আরো সহনশীল ও সমমর্মী হোন।

> মুরুব্বি/ গুরুজনদের সামনে পায়ের ওপর পা তুলে বসবেন না। তাদের দিকে পা ছড়িয়ে দিয়েও বসবেন না।

> মুরুব্বি/ গুরুজনেরা কথা বলতে এলে সম্মানার্থে উঠে দাঁড়ান।

> তাদের সামনে হাত নেড়ে বা আঙুল উঁচিয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। সঙ্গত কারণ না থাকলে সানগ্লাস/ ক্যাপ খুলে কথা বলুন।

> যে-কোনো ভালো কাজে যাওয়ার আগে তাদের দোয়া/ আশীর্বাদ নিন।

> সবসময় এগিয়ে গিয়ে তাদের কাজে সহায়তা করুন।

> বয়োজ্যেষ্ঠ বা সম্মানিত কাউকে মোবাইল ফোনে ‘মিসড কল’ দেয়া থেকে সচেতনভাবে বিরত থাকুন।

> সশরীরে সহজেই যাওয়া যায়−এমন দূরত্বে বয়োজ্যেষ্ঠদের ফোন করে সিদ্ধান্ত জানাবেন না বা কিছু জানতে চাইবেন না।

> বয়োজ্যেষ্ঠদের সাথে কখনো ধমকের সুরে ও মেজাজ দেখিয়ে কথা বলবেন না। তাদের যে-কোনো প্রশ্নের জবাব বিনয়ের সাথে দিন।

> তাদের কথা শোনার ক্ষেত্রে মনোযোগী হোন। বিরক্তি বা অস্থিরতা প্রকাশ করবেন না।

> মুরুব্বি, শিক্ষক, গুরুজন যে স্বরে কথা বলছেন তার চেয়ে উচ্চস্বরে কথা বলবেন না।

> কারো বাসায় বা কোনো অনুষ্ঠানে গেলে প্রবীণদের সঙ্গে নিজেই এগিয়ে গিয়ে সালাম ও কুশল বিনিময় করুন।

> বাসায় কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে তাদেরকেও সম্পৃক্ত করুন।

> সুযোগ পেলেই তাদের সাথে গল্প করুন। সমসাময়িক বিভিন্ন ইতিবাচক বিষয়ে আলাপ করুন কিংবা তাদের সুখস্মৃতি সম্পর্কে বলতে অনুরোধ করুন।

> স্কুলে/ বাইরে যাওয়ার সময় দাদা-দাদি/ নানা-নানি/ মুরুব্বিদের সাথে দেখা করে দোয়া নিতে সন্তানদের উদ্বুদ্ধ করুন।

> পরীক্ষায় কিংবা কোনো সাফল্যে সন্তানদেরকে বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে বিশেষভাবে দোয়া চাইতে উৎসাহিত করুন।

> খাবার টেবিলে বয়োজ্যেষ্ঠদের নিয়ে একসাথে বসুন। সবার আগে তাদের প্লেটে খাবার তুলে দিন।

> তাদেরকে হাসিখুশি রাখতে সাধ্যমতো চেষ্টা করুন। মনের সুখই বার্ধক্যে তাদের দেহের অনেক অসুখকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

> অপেক্ষমাণ যে-কোনো লাইনে বয়োবৃদ্ধদের আগে সুযোগ দিন।

> আপনার সঙ্গে পদ-পদবি বা যোগ্যতার ব্যবধান থাকলেও বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রত্যেককে তার প্রাপ্য সম্মান দিন।

> মুরুব্বিদের সিদ্ধান্ত উপদেশ নির্দেশ আপাতত অপছন্দনীয় হলেও তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ বা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন না।

> মুরুব্বিদের কখনোই ‘বুড়ো/ বুড়ি’ বলে সম্বোধন করবেন না। পঙ্গুত্ব বা শারীরিক অক্ষমতার জন্যে খোঁটা দেবেন না।

> বাসার কারো আচরণে বা কথায় যেন তারা কখনো মনে না করেন যে, বৃদ্ধ হয়েছেন বলে সংসারে তারা এখন অপাঙ্‌ক্তেয়, বোঝা।

> বয়োজ্যেষ্ঠদের মতামতকে গুরুত্ব দিন। সবসময় মনে রাখুন− আপনার ধ্যানধারণা সমকালীন হলেও জীবন ও জগৎ সম্পর্কে তারা আপনার চেয়ে অভিজ্ঞ।

> আপনার জীবনে মা ও বাবার অবদানের জন্যে সবসময় তাদের প্রতি বিনীত, কৃতজ্ঞ ও শ্রদ্ধাশীল থাকুন। তাদের প্রতি দায়িত্ব পালন আর সম্মান-ভালবাসা জানানো শুধু তথাকথিত ‘বাবা/ মা দিবসে’ সীমাবদ্ধ করে ফেলবেন না।

> জীবনসায়াহ্নে সন্তানের কাছে থাকার আকুতি মা-বাবার মাঝে সবচেয়ে বেশি থাকে। এসময় তাদেরকে গ্রামে বা নিজের থেকে দূরে শুধু গৃহকর্মী পরিবেষ্টিত করে রাখবেন না। যেভাবে তারা আপনাকে শিশুবয়সে আগলে রেখেছিলেন, একইভাবে তাদের শেষ বয়সে আপনিও তাদের আগলে রাখুন।

> তাদের সাথে মতের অমিল হলে বা তাদেরকে বোঝা মনে করে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর কথা ভুলেও চিন্তা করবেন না। তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠালে আপনার বার্ধক্যেও একই পরিণতির জন্যে তৈরি থাকুন।

> বয়োবৃদ্ধ মা-বাবার যত্ন নিন। বার্ধক্যে আপনিও যত্নে থাকবেন। স্ত্রী/ স্বামী বিরোধিতা করলে কুশলী হোন। আপনি তা-ই করুন, যা মা-বাবার প্রতি সন্তান হিসেবে আপনার কর্তব্য।

> জীবন যেমন স্বাভাবিক, মৃত্যুও তেমনি স্বাভাবিক। জীবন যেমন সম্মানজনক, মৃত্যুও তেমনি সম্মানজনক হওয়া উচিত। তাই মৃত্যুপথযাত্রী মা-বাবাকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ নামক ‘নির্জন সেলে’ একাকী ফেলে রেখে অসম্মান করবেন না। তাদের জন্যে সবচেয়ে সম্মানজনক মৃত্যু হচ্ছে−আপনার কোলে মাথা রেখে, আপনার হাতে হাত রেখে পরম প্রভুর নাম নিতে নিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা।

> আপনার বেড়ে ওঠায় মা-বাবার অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করুন। আর সন্তান হিসেবে মনে রাখুন− মায়ের পায়ের নিচে আপনার বেহেশত।

> মা-বাবা কিংবা ঘনিষ্ঠ অভিভাবক পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে থাকলে তাদের মাগফেরাত বা অনন্ত প্রশান্তি কামনা করে সৎকর্মে অংশ নিন, সাধ্যমতো দান করুন। সামর্থ্য থাকলে তাদের নামে একজন এতিমকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব নিন। পারলৌকিক মুক্তির নিয়তে আল কোরআন বাংলা মর্মবাণী বিতরণ করুন।

লেখাটি শহীদ আল বোখারী মহাজাতক- এর “শুদ্ধাচার” বই থেকে নেওয়া

বিদ্যালয়ের সময়ের আগেই শিক্ষকদের বিদ্যালয় ত্যাগ! অভিভাবকদের উদ্বেগ

মোঃ পলাশ শেখ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫৯ পিএম
বিদ্যালয়ের সময়ের আগেই শিক্ষকদের বিদ্যালয় ত্যাগ! অভিভাবকদের উদ্বেগ

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত শ্রেণিকক্ষ চলাকালীন সময়ের আগেই শিক্ষকদের বিদ্যালয় ত্যাগ করার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়ের সময় শেষ হয় বিকেল ৪টায় ১৫ মিনিট , কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রতিদিনই প্রায় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে বিদ্যালয় ত্যাগ করছেন।

এ ঘটনা ঘটে ৪ আগস্ট, সোমবার। অভিযোগ পাওয়া বিদ্যালয়গুলো হলো:

বিলধনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – সহকারী শিক্ষক রুবেল ও রাসেল

ভাটিমেওয়াখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – সহকারী শিক্ষক সবুজ ও ইউসুফ

বিশুড়ীগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – সহকারী শিক্ষক হাবিব ও মিজান

উজান মেওয়াখোলা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – সহকারী শিক্ষক আইয়ুব হোসেন

এ বিষয়ে স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগ, “শিক্ষকরা সময়মতো বিদ্যালয়ে আসেন না এবং সময়ের আগেই চলে যান। এতে শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে পাঠদান পাচ্ছে না।”

এ প্রসঙ্গে কাজিপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন,

> “আমি ইতোমধ্যে বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো শিক্ষক নিয়ম ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ও শহীদ স্মরণে নওগাঁর রাণীনগরে বিএনপির র‌্যালি-সমাবেশ

মোঃ আব্দুল মালেক, রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫৬ পিএম
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ও শহীদ স্মরণে নওগাঁর রাণীনগরে বিএনপির র‌্যালি-সমাবেশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ও শহীদ স্মরণে নওগাঁর রাণীনগরে র‌্যালি ও সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে এই র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালিতে উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। র‌্যালি শেষে সদর বাজারের বিএনপির মোড়ে সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি।

রাণীনগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মখলেছুর রহমান বাবুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক নজমুল হক ছনি, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউল আজম রানা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নুরে আলম মিঠু, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রওশন উল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোসারব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউল হক লিটন, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মোজাক্কির হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক মতিউর রহমান উজ্জল, সদস্য সচিব মাহমুদ হাসান বেলাল, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান শিমুল, উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন টনি, উপজেলা জিয়া সাইবার ফোর্সের সভাপতি শামীম হোসেন, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি ফাহিমা প্রমুখ।

সিরাজগঞ্জ জেলা মানবাধিকার সংস্থার জেলা কমিটি গঠন: সভাপতি মাকসুদা সিদ্দিকা সাথী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম

কে এম শামীম হাসান সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫০ পিএম
সিরাজগঞ্জ জেলা মানবাধিকার সংস্থার জেলা কমিটি গঠন: সভাপতি মাকসুদা সিদ্দিকা সাথী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম

সিরাজগঞ্জ জেলা মানবাধিকার সংস্থার নতুন জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে। সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মাকসুদা সিদ্দিকা সাথী এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মোঃ আশরাফুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট ২০২৫) শহরের একটি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত মানবাধিকারকর্মীদের উপস্থিতিতে নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটি গঠনের পুরো প্রক্রিয়া ছিল গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ এবং সম্মানজনক।

নবনির্বাচিত সভাপতি মাকসুদা সিদ্দিকা সাথী বলেন,

“মানবাধিকার সংস্থা মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে পালন করব। সমাজের নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকাই আমাদের প্রধান অঙ্গীকার।”

সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেন,

“আমি মানবাধিকারের আদর্শে বিশ্বাসী। নতুন কমিটির মাধ্যমে আমরা জেলার প্রতিটি স্তরে মানবাধিকার বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করবো এবং আইনি সহায়তা ও সেবার প্রসার ঘটাবো।”

নতুন জেলা কমিটিতে আরও রয়েছেন—

সিনিয়র সহ-সভাপতি: মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম

সহ-সভাপতি বিশ্বনাথ সাহা নন্দন

সাংগঠনিক সম্পাদক: কে এম শামীম হাসান

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: শামসুল আলম

সহকারী সম্পাদক: মোঃ সাইদুল রহমান

অর্থ সম্পাদক: আব্দুল করিম

কার্যকরী সদস্য: মুন্নাফ সাকি

সদস্য: শহিদুল ইসলাম

কমিটির অন্যান্য সদস্যদের নাম দ্রুত সময়ের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

এই নবগঠিত কমিটি সিরাজগঞ্জ জেলার প্রতিটি এলাকায় মানবাধিকার রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে – এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

error: Content is protected !!